• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শবেবরাত যেভাবে বাংলাদেশে উৎসবে পরিণত হলো
পবিত্র শবেবরাত আজ। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত মুসলমানরা শবেবরাত হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত। বহুকাল ধরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বেশ ঘটা কর শবেবরাত পালন করছে। যদিও শবেবরাতকে কেন্দ্র কের যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্ক দেখা যায়।  ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মতে মুসলিমদের মধ্যে শবেবরাত পালনের প্রথা ইসলাম ধর্মের উৎপত্তির সময় থেকেই শুরু হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে নফল নামাজ পড়তেন ও কবরস্থান জিয়ারত করতেন, তা অনেক হাদিসেই বর্ণিত রয়েছে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, রোজার মাস শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্বনবী এই আচার পালন করতেন এবং তার অনুসারীদেরও পালন করতে বলতেন। তার মতে, বিশ্বনবীর সময়কাল এবং তার পরবর্তী সময়ে আরব থেকে ইসলাম প্রচারে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যারা সফর করেছেন, তাদের মাধ্যমেই বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে শবেবরাত পালনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। আর এই আনুষ্ঠানিকতাকে উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হতো বলে ধীরে ধীরে এই দিনে ভালো খাবার তৈরি ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার প্রথা তৈরি হয়েছে। উপমহাদেশে যেভাবে ছড়িয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে শবেবরাত পালনের চল কবে থেকে শুরু হল সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। এই অঞ্চলে শবেবরাত পালন সংক্রান্ত সবচেয়ে পুরনো নথি পাওয়া যায় খাজা শামসুদ্দিন মিরার লেখায়। চীনের উইঘর অঞ্চলের কাসগারে জন্ম নেওয়া খাজা শামসুদ্দিন ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বর্তমান ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরতাজাবাদে আসেন এবং সেখানেই থেকে যান। ইরানের ইয়াজদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্বের অধ্যাপক মোহসেন সাইদি মাদানি তার ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত গবেষণা ধর্মী বই ‘ইমপ্যাক্ট অব হিন্দু কালচার অন মুসলিমস’ বইয়েও উল্লেখ করেছেন যে দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে শবেবরাতে হালুয়া-রুটি তৈরি ও বিতরণের প্রমাণ পাওয়া যায়। খাজা শামসুদ্দিনের লেখার বরাত দিয়ে মোহসেন সাইদ মাদানি তার বইয়ে লিখেছেন ‘দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের আমলে শবেবরাত যে জৌলুসপূর্ণভাবে আয়োজিত হত, তার প্রথম দলিল পাওয়া যায় শামসুদ্দিন মিরার লেখায়।’ পরবর্তীতে অষ্টাদশ-উনবিংশ শতকে শাহ ইসমাইল শহিদ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ আর মৌলভি সৈয়দ আহমেদ দেহলভীর লেখায় শবেবরাত পালনের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় বলে উঠে এসেছে মাদানির লেখায়। সে সময় হালুয়া-রুটি বিতরণের পাশাপাশি আতশবাজি পুড়ানো ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পূর্বোক্ত লেখকদের বরাত দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে শবেবরাতের আলোকসজ্জা ও আতশবাজি পুড়ানোর বিষয়টি হিন্দুদের দ্বীপাবলি উৎসব থেকে নেওয়া হতে পারে। তবে ইসলামিক ইতিহাসের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মনে করেন, উপমহাদেশে শবেবরাত পালনের চল অষ্টম শতক থেকেই শুরু হয়েছে, যখন থেকে ইসলাম প্রচারে মধ্য এশিয়া ও আরব থেকে উপমহাদেশে মুসলিম ধর্ম প্রচারকরা এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ত্রয়োদশ শতকে কুতুবুদ্দিন আইবেক, বখতিয়ার খিলজী দিল্লিতে সালতানাত প্রতিষ্ঠা করার পর উপমহাদেশে রাজনৈতিকভাবে ইসলাম ছড়িয়ে পরে। কিন্তু ৭১২ সালে মোহাম্মদ বিন কাসেম মুলতান আর সিন্ধ জয় করেন। সেটি ছিল উপমহাদেশে ইসলাম ছড়িয়ে যাওয়ার শুরু। এছাড়া আরব, চীনা বণিকরা সাগরপথে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে এসেছেন। তাদের মাধ্যমেও উপমহাদেশে ইসলাম ছড়িয়েছে এবং ইসলামিক রীতি-রেওয়াজও মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছে। আতশবাজি ও হালুয়া-রুটির প্রচলন বাংলাদেশের বিশেষ করে ঢাকার মানুষ শবেবরাত বলতে বুঝতো এমন একটি দিনকে, যেদিন সবার ঘরে ঘরে হালুয়া তৈরি করা হবে ও তা বিতরণ করা হবে আত্মীয়-স্বজন ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। মসজিদে মসজিদে সারারাত জিকির করা বা নামাজ পড়ায় ব্যস্ত থাকবে পুরুষরা। আর সন্ধ্যার পর পোড়ানো হবে আতশবাজি। শবেবরাতে এই আতশবাজি পোড়ানো ও আলোকসজ্জা করার রীতি কয়েকশ বছরের পুরনো। ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিদ্যাধর মহাজন তার বই ‘হিস্টরি অব মিডিইভাল ইন্ডিয়া’য় লিখেছেন যে দিল্লির সুলতানদের আমলে এবং মোঘল আমলে শবেবরাতের রাতে বাদশাহদের প্রাসাদ ও মসজিদ আলো দিয়ে সাজানো হত। মোঘল আমলে শবেবরাত পালনের এই চিত্র উঠে এসেছে পার্বতী শর্মার ‘জাহাঙ্গির: অ্যান ইনটিমেট পোর্ট্রেট অব এ গ্রেট মোঘল’ বইয়েও। যেখানে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলে (১৬০৫-১৬২৭) শবেবরাত উদযাপনের সময় হালুয়া মিষ্টি জাতীয় খাবার বিতরণ ও আলোকসজ্জা করা হত বলে লিখেছেন তিনি। ১৮৮০ সালে প্রকাশিত বৃটিশ পাদ্রী এডওয়ার্ড সেলের লেখা বই ‘ফেইথস ইন ইসলামে’ উঠে আসে যে সেসময় আতশবাজির পেছনে বিপুল পরিমাণ খরচ করা হত। এডওয়ার্ড সেল ১৮৬৫ সাল থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষের মাদ্রাজে পাদ্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, হালুয়া তৈরি করে আত্মীয় ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করার সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলছিলেন, আমরা জানি যে বিশ্বনবী মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন। তার পছন্দের জিনিসকে উম্মতরা পছন্দ করবেন, সেটাও তাকে পছন্দ করার একটা ধরন। ফলে মিষ্টি হিসেবেই হালুয়া বানানোর প্রচলন শুরু। কারণ হালুয়া বানানোর উপকরণ এই অঞ্চলে রয়েছে। আর আনন্দের ভাগ অন্যদের দেওয়ার জন্য বিতরণের রেওয়াজ তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতি আর সামাজিকতা রক্ষা – দুটো বিষয়ই জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশে যেভাবে প্রচলন হলো বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে শবেবরাত পালনের সবচেয়ে পুরনো প্রমাণ পাওয়া যায় উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, প্রায় ১৫০ বছর আগে। সে সময় ঢাকার নবাবরা ঘটা করে শবেবরাত পালন করতেন বলে বলছিলেন ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, যিনি বাংলাদেশের উৎসবের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন ও বই লিখেছেন। তিনি বলেন, সে সময়ে হিন্দুদের আধিপত্য থাকার কারণে সেটিকে মোকাবেলা জন্য ঢাকার নবাবরা শবেবরাতের জন্য অনেক বড় আয়োজন করতো। এতে ঢাকার নবাবদের মুসলমান পরিচয় এবং আধিপত্য - এ দুটো বিষয় একসঙ্গে তুলে ধরার প্রয়াস দেখা যেত। অধ্যাপক মামুন বলেন, নবাবরা যেহেতু মুসলিম ছিলেন এবং ঢাকাকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতেন, সেজন্য উৎসবগুলোকে তারা গুরুত্ব দিতেন। এর মাধ্যমে নবাবদের আধিপত্য, মুসলমানদের আধিপত্য এবং ধর্ম পালন এই তিনটি বিষয় একসাথে প্রকাশ হতো। ১৯০০ শতকের শেষের দিকে ঢাকায় শবেবরাত পালন মুসলিম পরিচয় প্রকাশের বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। এমনটাই বলছেন অধ্যাপক মামুন। সেই ধারাবাহিকতায় শবেবরাত একটি বড় ধরনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মতে আরও আগে থেকেই বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে শবেবরাত পালন হয়ে আসছে। তিনি বলেন, আরব আর চীনা বণিকরা যখন সাগরপথে ব্যবসা করতে আসতো, তখন চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের জাহাজ ভিড়তো। সেসময় তাদের অনেকেই এখানে থেকে যেতেন। তাদের মাধ্যমে ইসলামিক রীতি-রেওয়াজের সঙ্গে সেখানকার মানুষের পরিচয় হয়েছিল। তার মতে, ঢাকার নবাবরা জাঁকজমকের সঙ্গে শবেবরাত পালন করলেও তারও কয়েকশ বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মানুষ এই রেওয়াজের সঙ্গে পরিচিত ছিল। সূত্র : বিবিসি বাংলা  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১

শবেবরাত ঘিরে গরুর মাংসের বাজারে আগুন
মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগির রাত শবেবরাতের আগে অস্থির হয়ে উঠেছে গরুর মাংসের বাজার। ক্রেতাদের এক প্রকার জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শবেবরাত উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারগুলোতে বাড়ানো হয়েছে গরুর মাংসের দাম। দুদিন আগে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও রোববার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে হঠাৎ গত দু-তিনদিন গরুর দাম বেড়েছে। আবার মাংসের চাহিদাও বেশি। সব মিলিয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। সন্ধ্যার দিকে বিক্রি বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে। আর সামনে যেহেতু রোজা তাই দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা। রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকার মাংস ব্যবসায়ী সায়েম হাওলাদার বলেন, গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আমার এখানে তা–ও একটু কম; অনেকে তো ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করছে। এমন না যে আমি খারাপ মানের মাংস দিচ্ছি। এটা আসলে গরু কেনার ওপর নির্ভর করে। বড় গরুর মাংস একটু কম দামে বিক্রি করে যায়। এদিন বাড্ডা এলাকার বউবাজার রাস্তার ওপর অন্তত তিন জায়গায় মাংস বিক্রি করতে গেছে। সেখানে ৭৯০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, সকালে গরু জবাই করেছি, ফ্রেশ মাংস। ভালো খেতে চাইলে ভালো দাম দিতে হবে। এদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। আর ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। রিয়াজুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মগবাজারে। মালিবাগ রেলগেট বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, এভাবে আর চলে না। রমজান আসতে না আসতেই সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমরা যারা সীমিত আয়ের লোক, আমরা যাব কোথায়। আমাদের তো আর আয় বাড়েনি। সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটর করতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তজা বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি আকারের গরুর দাম ১৫ হাজার টাকার মতো বেড়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। কেউ ৭৫০ টাকা, কেউবা ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করছেন। বিষয়টি নির্ভর করছে গরুর দামের ওপর। গরুর দাম কমলে মাংসের দামও কমে আসবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৪

শবেবরাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমে যত আয়োজন
আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবেবরাত পালন করা হবে। এ উপলক্ষে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে, কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, ওয়াজ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাত। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পবিত্র শবেবরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে ওয়াজ শুরু হবে। এতে বয়ান করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় নিয়ে ওয়াজ করবেন মাদারীপুরের জামেআতুছ সুন্নাহ শিবচরের মুহতামিম মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী। দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে করণীয় নিয়ে ওয়াজ করবেন ঢাকার বাদামতলীর শাহাজাদ লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী। রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান। ভোর সাড়ে ৫টায় দোয়া-মোনাজাত পরিচালনার মধ্যদিয়ে শবেবরাতের আয়োজন শেষ হবে। এই দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে বলা হয় শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত। রাতটি মুসলমানদের কাছে ‘মুক্তির’ রাত হিসেবে বিবেচিত। হাদিসে রাতটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই মুসলমানরা নফল নামাজ, দানসদকাসহ বিভিন্ন ইবাদতে রাতটি কাটিয়ে দেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭

শবেবরাত সবার জন্য রহমত ও কল্যাণ বয়ে আনুক : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পবিত্র শবেবরাত সবার জন্য রহমত, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ‘পবিত্র শবেবরাত’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীকে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বার্তা নিয়ে পবিত্র লায়লাতুল বরাত আমাদের মাঝে সমাগত। উপমহাদেশে শবেবরাত প্রধানত মুক্তির রজনী হিসেবে পালিত হয়। পবিত্র এ রজনী আল্লাহ তা’য়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়।  তিনি বলেন, শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক। তিনি আরও বলেন, পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনী। এ উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। রাষ্ট্রপতি বলেন, আর কিছুদিন পরই আসছে পবিত্র রমজান মাস। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি। এ পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত  মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে আমি বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পরম করুণাময় সব সংঘাত-সংকট থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করুন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮

পবিত্র শবেবরাত আজ
পবিত্র শবেবরাত আজ। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলমানরা শবেবরাত হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত।আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন।মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন। এদিকে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পবিত্র রমজানে অসহায়, দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, আর কিছু দিন পরই আসছে পবিত্র রমজান মাস। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি। এ প্রেক্ষিতে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে আমি বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পরম করুণাময় সব সংঘাত-সংকট থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করুন। পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনী উল্লেখ করে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। পৃথক বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আসুন সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র শবেবরাত রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। পবিত্র এই রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি,শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুটি থাকবে। আজ রাতে মুসলিম পরিবারসহ মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র শবেবরাত ১৪৪৫ হিজরি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। রোববার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে সন্ধ্যা ৬টা ৪০মিনিটে পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য শীর্ষক ওয়াজ করবেন জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ রুহুল আমীন। রাত ৮টা ৫০মিনিটে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় শীর্ষক ওয়াজ করবেন মাদারীপুর জামেআতুছ সুন্নাহ শিবচরের মুহতামিম হযরত মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী। রাত সাড়ে ১২টায় আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে করণীয় শীর্ষক ওয়াজ করবেন ঢাকার বাদামতলীর শাহাজাদ লেন জামে মসজিদের খতীব শায়খুল হাদিস মুফতী নজরুল ইসলাম কাসেমী। আর রাত ৩টা ১৫মিনিটে নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত শীর্ষক ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতী মো. মিজানুর রহমান। ভোর সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতী মো. মিজানুর রহমান। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষ্যে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০

রাসুল (সা.) যেভাবে কাটাতেন শবেবরাত 
মুসলমানদের জন্য অন্যতম বরকতময় একটি রাত শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত। ভারতীয় উপমহাদেশ, পারস্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশে যা ‘শবেবরাত’ নামেই অধিক পরিচিত। শবেবরাত কথাটি ফারসি থেকে এসেছে। শব মানে রাত আর বরাত মানে মুক্তি; অর্থাৎ শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। ‘শবেবরাত’-এর আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারকাত’। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে।  আরবি দিনপঞ্জিকার হিসেবে আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) সেই শবে বরাত। আজকের রাতের ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আলী বিন আবু তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘অর্ধ শাবানের রাত তোমরা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো। কেননা, এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বলেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোনো রিজিক অন্বেষণকারী আছো কি? আমি তাকে রিজিক প্রদান করবো। আছো কি কোনো রোগাক্রান্ত? আমি তাকে আরোগ্য দান করবো। এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে তাদের ডাকতে থাকেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮) মুফাসসিরিনগণের ভাষ্য অনুযায়ী, শাবান মাসের ১৪ তারিখের এ সম্পূর্ণ দিনটি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাতেন মহানবী (সা.)। পুরো রাত জেগে ইবাদত করতেন তিনি। রাতভর মশগুল থাকতেন নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার ইত্যাদি আমলে।  আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসুল (সা.) বলেন, পাঁচটি রাত এমন আছে, যে রাতে বান্দার কোনও দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। আর তা হলো- জুমার রাতের দোয়া, রজব মাসের প্রথম রাতের দোয়া, নিসফা শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাতের দোয়া, ঈদুল ফিতর তথা রোজার ঈদের রাতের দোয়া, ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদের রাতের দোয়া।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ৭৯২৭)। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়িয়ে এত দীর্ঘ সময় সেজদায় রইলেন যে, আমার ধারণা হলো, হয়তো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন আমি তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিয়ে দেখলাম। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা, ওহে হুমাইরা! তোমার কি আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না হে আল্লাহর রাসুল! আপনার দীর্ঘ সেজদায় আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত অর্থাৎ শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত। আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই’ (শুয়াবুল ঈমান : ৩৫৫৪)। শবে বরাতে নবীজি (সা.) রাতভর ইবাদত করতেন এবং দিনের বেলা রোজা রাখতেন। উম্মে সালমা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে শাবান ও রমজান ছাড়া দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। (আবু দাউদ : ২৩৩৬) হজরত আয়েশা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) এ রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন। তিনি আরও বলেন, নবীজি (সা.) তাঁকে বলেছেন, এ রাতে বনি কালবের ভেড়া বকরির পশমের (সংখ্যার পরিমাণের) চেয়েও বেশিসংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস: ৭৩৯)। শবে বরাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা। কারণ, বরকতময় এই রাতে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আকাশে এসে বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন। তাদের গোনাহগুলো মাফ করেন। হাদিস শরিফে বিবৃত হয়েছে, রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত আসে তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম আকাশে অবস্থান করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করে দেন।’ (মুসনাদে বাজজার : ৮০)  তবে এ রাতকে কেন্দ্র করে ভিত্তিহীন কোনও কাজ করা যাবে না। হাদিস শরিফে শবে বরাতে রাসুল (সা.) থেকে বিশেষ পদ্ধতির কোনও ইবাদত প্রমাণিত নেই এবং সাহাবায়ে কেরামদের থেকেও এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।  আসুন, আমরা অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে রাসুলুল্লাহ (স.) এর উম্মত হিসেবে এই রাতে আল্লাহর দিকে মনোযোগী হই, বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং বিশুদ্ধ আমলের মাধ্যমে শবে বরাতের ফজিলত, বরকত ও মাগফিরাত হাসিল করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন।    
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০

শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, যেদিন পবিত্র শবেবরাত
বাংলাদেশের আকাশে আজ শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সারাদেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। যেহেতু আজ শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে তাই সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শবেবরাত পালিত হবে। শবে বরাতের পরদিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। শবেবরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবেবরাতে মহান আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নফল রোজা, দান সদকা ও এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতাআলা শাবানের অর্ধরাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়