• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিডনিতে শপিং মলে হামলা : প্রত্যক্ষদর্শীদের ভয়াবহ বর্ণনা
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পূর্বাঞ্চলের একটি শপিং মলে ছুরিকাঘাতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আর পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ওয়েস্টফিল্ড শহরের শপিং মলের ছয় তলার বন্ডি জংশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ পর ওই শপিং মল থেকে ছুটে বেরিয়ে আসছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। এ ঘটনা নিজের চোখে দেখা অনেকেই তুলে ধরেছেন হামলার ভয়াবহ সব চিত্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামলার সময় মলে থাকা দুই সন্তানের এক মা বলেন, আমার সামনেই লোকজনকে নির্বিচার ছুরিকাঘাত করছিলেন এক হামলাকারী। এটা ছিল স্রেফ হত্যাকাণ্ড ছিল। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, লোকজন চিৎকার করতে করতে ছোটাছুটি করছিলেন। সবাই আত্মরক্ষার জন্য এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার পেছনে অবস্থান নেন।  তখন হামলাকারী বড় একটি ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকেন। এরপরই গুলি চালান ওই কর্মকর্তা। বন্ডি জংশন সেন্টারে কেনাকাটা করতে গিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবক জনি জানান, আমি তীব্র হট্টগোল শুনতে পান। পেছনে ফিরে দেখেন যে এক নারী ও তার শিশুসন্তানের ওপর হামলা হয়েছে। ছুরির আঘাতে ওই নারী আহত হয়েছিলেন। এতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ বুঝতে পারছিলেন না যে কী করবেন। ওই নারী কোনোমতে কাছের একটি দোকানের ভেতর ঢুকে পড়েন। এর পরপরই দোকানের কর্মচারীরা দরজা বন্ধ করে দেন। সেখানে থাকা কয়েকজন ক্রেতা ওই নারীর শরীর থেকে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করেন। তার অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তবে তার সন্তানের শরীরে আঘাত ততটা বেশি নয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দেখতে পেলাম যে সবাই আমাদের দিকে ছুটে আসছেন। এরপর একটি গুলির শব্দ শুনলাম। আমার স্বামী আমাদের নিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে থাকা এক নারী দোকানের দরজাগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। তবে সামনের দরজাটি বন্ধ করতে পারেননি। তাই আমরা দোকানের ভেতর অফিসকক্ষে ঢুকে পড়লাম। সেটি চারদিক দিয়ে বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে আমাদের সেখান থেকে বের করে। এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, দুঃখজনকভাবে একাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। যারা এ হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের এবং তাদের প্রিয়জনদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সব নাগরিকের সহমর্মিতা রয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ৩ বোনের মৃত্যু
‘রিয়ার মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট ছিল শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে। বিদেশ যাওয়ার আগের দিন রাতে বোনকে নিয়ে শপিং করতে যায় রিয়া। সেখানে শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে গিয়ে আর ফেরেনি দুবোন। বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মৃত্যু হয় আমার মায়েদের।’ শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই বলছিলেন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশার বাবা কোরবান আলী। দুমেয়েকে হারানো এই বাবা কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ‘শপিং করতে যাওয়ার আগে আমার মেয়েরা বলেছিল, আন্টির সঙ্গে দেখা করে বাবা আমরা তাড়াতাড়ি ফিরবো।’ কোরবান আলী বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তারা এলাকায় এসেছিল। কয়েক দিন বাড়িতে থেকে চলে গেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে আমিসহ মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। টিকিটও কেটেছিল। কিন্তু গত রাতেই মারা গেছে। নিমু তাদের খালাতো বোন। একই সঙ্গে গিয়ে আর ফেরেনি। আমার ঘর আনন্দে ভরে থাকতো। আজ আমার ঘর শূন্য।’ তথ্যসূত্র বলছে, বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে দুজন হলেন রিয়া ও আলিশা। তারা কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার হাজী কোরবান আলীর মেয়ে। ফৌজিয়া আফরিন রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ঘটনায় মারা গেছেন তাদের খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। তিনি সদর উপজেলার হাতিগড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তারা একই সঙ্গে শপিং করতে গিয়েছিলেন। ফাঁকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে ঢোকেন। কান্না করতে করতে কোরবান আলী বলেন, যখন জীবিত মানুষ উদ্ধার শেষ হলো তখন আমার শরীর কাঁপছিল। আমি ঘামাচ্ছিলাম। বুকের ভেতর কেমন জানি হয়েছিল। আমার চোখে পানি আর বুক ভারী হয়ে আসছিল। রাত যখন ১০টার কাছাকাছি, তখন আমাদের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হলো। যে মেয়েকে সন্ধ্যায় ভালোভাবে বিদায় দিয়েছি তার পোড়া লাশ দিয়েছে আমাকে। আমি আমার দুই স্বপ্নের লাশ দিয়ে বাড়ি এসেছি। বিকালে পুকুর পাশের কবরস্থানে রেখে আসবো আমার দুই স্বপ্ন। তিনি সরকারকে দায়ী করে বলেন, আমরা যারা ঢাকায় থাকি, সবসময় আতঙ্কে থাকি। কেউ নিরাপদ নই। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে সবাই নড়েচড়ে বসে। আবার কদিন পরে আগের মতো হয়ে যায়। তারা কেউ তেমন পুড়ে মারা যায়নি। শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। তারা বের হতে পারেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ডিশ লাইনের ক্যাবল, ইন্টারনেট ক্যাবল আর বৈদ্যুতিক ক্যাবলের জন্য তাদের গাড়িও ঠিক জায়গায় স্থাপন করে পানি দিতে পারেনি। আর ফলাফল হলো লাশের পর মরদেহ।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৪

গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ
রাজধানীর গুলশান ১-এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের  নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। রাজউকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান ১-এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করেন বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন। গত ২৩ জুলাই রাজধানীর গুলশান ১-এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সিলগালা করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গুলশান শপিং সেন্টারের হোটেল, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গুলশান শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। যেকোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় রোধে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দিতে নির্দেশও প্রদান করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে বলেও জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ব্যবসা পরিচালনা করেছিলেন। তাই বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করে শপিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় ডিএনসিসি।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১

সেনবাগে শপিং ব্যাগে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালীর সেনবাগে শপিং ব্যাগে মোড়ানো অজ্ঞাত এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের শায়েস্তা নগর এলাকার একটি সবজি ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে কাবিলপুরের শায়েস্তা নগরের একটি সবজি ক্ষেতে শপিং ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সেনবাগ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন। তিনি জানান, খবর পেয়ে নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়