• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেনের টিকিট : একদিনে গ্রাহকের ৪০ কোটি টাকা লোকসান
আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছয় দিনের মধ্যে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রেলের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এদিন ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০টি ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই অনলাইন অথবা অ্যাপে টিকিট কাটার চেষ্টায় দুই কোটি ৭২ লাখ বার হিট করেছেন গ্রাহকরা। আর সারাদিনে তা চার কোটির বেশি বার। এতে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার প্রতি গ্রাহক টিকিট কাটতে গিয়ে ন্যূনতম ১০ টাকা খরচ করেছেন। তবুও ৯৯ শতাংশ গ্রাহক টিকিট পাননি। সেই হিসেবে এদিন টিকিট কাটতে যেয়ে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও গ্রাহকদের দাবি প্রতিবার টিকিট কাটার চেষ্টায় ২০ টাকা করে ৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তবে এ সময় গড়ে প্রতি টিকিট ৫০০ টাকা ধরে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় মাত্র ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে যে ১০ হাজার গ্রাহক সাড়ে ৩৩ হাজার টিকিট নিতে সক্ষম হয়েছেন তাদেরও টিকিটপ্রতি অনলাইন সার্ভিস চার্জ বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হয়েছে। এদিন সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট ছাড়া হয়। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় ৯৫ শতাংশ টিকিট। এদিকে দুপুর ২টায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটসহ ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিট ছাড়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি চেয়ার, কেবিন, নন-এসি চেয়ার ও এসি-চেয়ারের টিকিটও শেষ হয়ে যায়। তার পরও লাখো মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য অ্যাপে প্রবেশ করেন। জনগণের টাকা লোকসান এবং সরকারি আয় কমার কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির পুরো বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেওয়াকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এত উন্নয়ন ও এত সক্ষমতা থাকার পরও টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি বেসরকারি খাতকে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় ব্যক্তি পকেটে চলে যাচ্ছে, গ্রাহকেরও লোকসান হচ্ছে। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, টিকিট বিক্রয়ের স্থান থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুই রেলের, সরকার চাইলেই টিকিট বিক্রয়ের পুরো বিষয়টা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৩

লোকসান এড়াতে সোনামসজিদ দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৯ দিন ধরে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের এড়াতে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় আলু আমদানি বন্ধ রেখেছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বাজারে ভারতীয় আলুর চাহিদা কমে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছেন। তাই গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আলু আমদানি বন্ধ রেখেছি।  তিনি আরও বলেন, এমনিতেই ভারতীয় আলুর বিক্রি কম। এখন বাজারে দেশি আলু রয়েছে। যেখানে আমদানিতে কেজিপ্রতি ভারতীয় আলু খরচ হয় ২৫-২৮ টাকা। আর সেখানে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা। এজন্য আমরা আলু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সমির ঘোষ বলেন, অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা মাত্র এক হাজার ১০৬ মেট্রিক টন ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন। সর্বশেষ তারা ১০ ফেব্রুয়ারি আলু আমদানি করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৫

এক বছরে রেলের লোকসান ১৫২৪ কোটি
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা আর ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে রেলের মোট লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। তবে এ ব্যয়ের মধ্যে রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া রেলের পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী-আরএনবি, স্কুল, হাসপাতালের ব্যয় বাড়ায় রেলের ব্যয় বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, রেলের যাত্রীবাহী ট্রেনের দৈনিক গড় আয় যেখানে সাড়ে তিন লাখ টাকা, সেখানে একটি মালবাহী ট্রেনের গড় আয় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। তবে ৩৫০টির অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করলেও মালবাহী ট্রেন মাত্র ২০-২৫টি চলাচল করে বিধায় রেলের আয় কিছুটা কম হচ্ছে। জিল্লুল হাকিম বলেন, দেশের মোট ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৩টি জেলায় রেল সংযোগ রয়েছে। বাকি ২১টি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করা প্রক্রিয়াধীন। সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯৯টি নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অর্থাৎ মোট ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। গত এক যুগে সরকার দেশে ৯৪৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৩৪০ দশমিক ১৭ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ১ হাজার ৩৯১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার রেললাইন পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ, ১৪৮টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, ২৩৮টি স্টেশন বিল্ডিং পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ, ১ হাজার ৬২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৭৯৪টি রেলসেতু পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ, ১৩৭টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তিনি জানান, রেলের সেবা আরও আধুনিক করার জন্য বর্তমান সরকারের পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রেলের সক্ষমতা বাড়ানো, রেললাইন পুনর্বাসন ও নতুন রেললাইন নির্মাণ, রোলিং স্টক সংকট নিরসন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নতুন রেলসংযোগ স্থাপন, সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নতুন ট্রেন চালু করা, রেল ডিজিটালাইজেশন, এ ছাড়াও ২৮টি নতুন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়