• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আরবি লেখা পোশাক পরায় হামলার মুখে তরুণী
আরবি হরফ লেখা পোশাক পরিধান করায় ধর্মের প্রতি অবমাননা হয়েছে উল্লেখ করে এক তরুণীকে একদল লোক পিটুনি দিতে উদ্যত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের ইছরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক সাড়া না দিলে ওই তরুণীর সঙ্গে আরও খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারত। দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) অভিযোগ এনে গণপিটুনিতে অনেক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেউ একজন বাজারে ছড়িয়ে দেন ওই তরুণীর জামার ছাপাগুলো পবিত্র কোরআনের বাণী। এই খবরে ওই তরুণীকে ঘিরে ক্রেতা, দর্শনার্থী ও পথচারীদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় বাজারের পোশাক ব্যবসায়ীরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। পোশাকটিতে আরবি অক্ষরে ‘হালুয়া’ শব্দটি মুদ্রিত রয়েছে, যার অর্থ মিষ্টি। লাহোর পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় ১টা ১০ মিনিটে তারা প্রথম একটি টেলিফোন কল পায়। ওই সময় টেলিফোনে পুলিশকে জানানো হয়, পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের একটি রেস্টুরেন্টে এক নারীকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গুলবার্গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেহর বানু বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা যায় রেস্টুরেন্টের বাইরে ৩০০ জনের মতো মানুষ ভিড় করে। এ সময় এক কোণে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে ওই নারী।  পুলিশের এই নারী কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জামায় কী লেখা আছে, তা উত্তেজিত জনতার কেউই জানেন না। তবে ওই নারীকে সেখান থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে পারাই ছিল আমাদের জন্য প্রধান কাজ।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যবসায়ীরা ওই তরুণীকে একটি দোকানের মধ্যে নিয়ে যান এবং উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তাঁর জামায় যে ছাপ দেওয়া, তা আদৌ কোরআনের কোনো বাণী নয়, এগুলো আরবি অক্ষরশিল্প মাত্র। যা পাকিস্তানের বাজারে সচরাচর পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই ব্যাখ্যা শোনার পর উত্তেজিত জনতার একটি পক্ষ শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও একটি পক্ষ তরুণীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলতেই থাকে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই তরুণী বারবার বলছেন তিনি কোনো ধর্ম অবমাননা করেননি। এমনকি এ ধরনের পোশাক পরার ক্ষেত্রে তাঁর ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না। এমন নকশার পোশাক সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে সচরাচর পরা হয় বলেও তরুণী উল্লেখ করেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে গুলবার্গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেহর বানু জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওই তরুণীর জামার ছাপায় কোনো পবিত্র শব্দ লেখা নেই। জামায় যেসব শব্দ লেখা রয়েছে, তার মধ্যে একটির অর্থ ‘হালুয়া’। ওই তরুণী থানায় এক ঘণ্টার মতো পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়, ওই জামায় কোরআনের কোনো বাণী লেখা নেই। এ খানে ধর্ম অবমাননার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭

চালের বস্তায় ৬ তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করল সরকার
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চাল বাজারজাত নিশ্চিত করতে বস্তার ওপর ছয়টি তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। বস্তায় উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সরকারি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। জারি করা এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তাগণ ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে ছয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম হতে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্যের এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকবে। ২. বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না। ৩. চাল উৎপাদনকারী সকল মিল মালিক (অটো/হাস্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে। ৪. কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। ৫. এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। খাদ্য পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ৬. আগামী ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) তারিখ থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
আবেদনের মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার স্মার্টকার্ড দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের চারটি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) উপপরিচালক (তথ্য অনুসন্ধান) মো. রশিদ মিয়া নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। এতে ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিম্নের চার নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো ১) বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির নিমিত্ত উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন দাখিল করবেন। আবেদনের সঙ্গে এতদসংক্রান্ত গেজেটসহ সাম্প্রতিককালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রদত্ত এমআইএস নম্বরসহ স্মার্ট কার্ড এবং ডিজিটাল সনদের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। ২) মাসিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসাররা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে ওই আবেদনসমুহ মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করবেন। ৩) আঞ্চলিক/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসাররা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাসিক/ত্রৈমাসিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। ৪) বিতরণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রারে এবং ডিজিটালি এনআইডি সিস্টেমে প্রাপ্তি স্বীকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মানার্থে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড ‍তুলে দিয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এ আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় কে এম নূরুল হুদার কমিশন গেজেট অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনে। তবে আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার আপত্তি জানায় মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উদ্যোগটি। এবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই স্মার্টকার্ড দিচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এ কার্ড নিতে শুধু নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেই হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিচ্ছে ইসি
আবেদনের মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে যারা ২০ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করবেন তাদেরটা আগে দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মানার্থে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড ‍তুলে দিয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এ আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় কে এম নূরুল হুদার কমিশন গেজেট অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনে। তবে আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার আপত্তি জানায় মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উদ্যোগটি। এবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই স্মার্টকার্ড দিচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এ কার্ড নিতে শুধু নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেই হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০০

এবারের নির্বাচন ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় দুপুরে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময়  সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। দু-চারটা দল ভোটে না এলে সমস্যা ছিল না। ইতিহাসে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কিছু যায়-আসেনি। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছে।’ উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২২৪টি আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর অন্যান্য দল পেয়েছে একটি আসন।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়