• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যেতে গিয়ে ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি বন্দী হন
দালালদের ইউরোপ পাঠানোর প্রলোভনে পা দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন শত শত বাংলাদেশি। ইউরোপ যেতে গিয়ে লিবিয়ায় ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মীই বন্দি হয়েছেন। এই বন্দি কর্মীদের ৭৯ শতাংশই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের ৫৪ শতাংশ কর্মী কখনো তিন বেলা খাবার পাননি। আর ২২ শতাংশ কর্মী দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পেয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় ব্র্যাক। ব্রাক জানায়, লিবিয়া থেকে ফেরত আসা ৫৫৭ জন বাংলাদেশির যাত্রা, গন্তব্য, অর্থ, নিপীড়ন, উদ্ধার থেকে শুরু করে প্রত্যেকের ৫০ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী লোকজন সবচেয়ে বেশি ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে ৩১ থেকে ৩৫ বছরের লোক সবচেয়ে বেশি। এদের বেশির ভাগেরই বাড়ি মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা এলাকায়। ব্র্যাক আরও জানায়, যাত্রাপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে দুবাই-মিসর হয়ে লিবিয়া গেছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল-দুবাই হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে কাতার হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে দুবাই-সিরিয়া হয়ে লিবিয়া এবং অল্প কিছু লোক ঢাকা থেকে সরাসরি লিবিয়া গিয়েছেন। ‌‘এভাবে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অর্থ কোথায় পেয়েছেন?’- এমন প্রশ্নের উত্তরে ৫৬ শতাংশ বলেছেন, তারা নিজেরাই এই টাকা জোগাড় করেছেন। ২৩ শতাংশ বলেছেন, তারা পরিবারের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফরম) বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জেলার লোক কিন্তু এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে না। মূলত সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। আমাদের গবেষণায় এটি উঠে এসেছে যে দালালরা এসব এলাকার অভিভাবক ও তরুণদের ভালো চাকরি আর ইউরোপের প্রলোভন দেখাচ্ছে, যেটি বাস্তবসম্মত নয়।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও বিদেশগামীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচারচক্রকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমন্বিত অভিযান চালাতে হবে।’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৯

দেশে ফিরছেন আরও ১৪৪ লিবিয়া প্রবাসী
লিবিয়া থেকে আরও ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় এরই মধ্যে তারা বেনগাজী থেকে বিমানে করে রওনা দিয়েছেন। ফেরত আসাদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বহন করা বিমানটি অবতরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে মানব পাচার হচ্ছে লিবিয়ায়। দেশটির বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ স্বেচ্ছায় দেশে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম এর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের দূতাবাস নিয়মিতভাবে ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করছে এবং আটক বাংলাদেশিদেরকে আউটপাস প্রদানসহ প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা দিচ্ছে বলে দাবি করছে দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সমস্যাগ্রস্তদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়