• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদে স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় চিঠি লিখে আত্মহত্যা
জামালপুরে ঈদের দিন স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পেরে স্বামী হাসান আলী (২৬) নামের এক যুবক চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলার বকশিগঞ্জে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজমিস্ত্রী রহাসান আলী ওই এলাকার রহমত আলীর ছেলে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান হাসান আলী। শুক্রবার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আনার কথা ছিল। সকাল  ১১টা পর্যন্ত তিনি শ্বশুর বাড়িতে না যাওয়ায় আফরোজা বেগম নিজেই বাড়ি চলে এস দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এ সময় ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে আফরোজা দেখেন তার স্বামী আড়ার সঙ্গে ঝুলছেন। তার চিৎকারকে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। চিঠিতে হাসান আলী লিখেছে, ‘মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সাথে রাগ করছে। ঈদে সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি বউকে গুছ খাওয়াইতে পারি নাই। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার (মন খারাপ) দেখছি। যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। আফরোজাকে আমি অনেক ভালবাসি, তাকে ও আমার সন্তানকে দেখে রেখো। স্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই। বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পিএসজিকে হারাল বার্সা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। শুরুর দিকে কোণঠাসা থাকলেও কাতালনাদের জাগিয়ে তুলেন ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া। তার জোড়া গোলেই মূলত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। বুধবার (১১ এপ্রিল) পার্ক দেস প্রিন্সেসে প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জয় তুলে নিয়েছে কাতালানরা।  ম্যাচের শুরুটা ছন্দহীনভাবে করলেও ধীরে ধীরে দাপট দেখাতে থাকে বার্সা। অন্যদিকে বার্সার রক্ষণে শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে কাতালানদের গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের নৈপুণ্যে ফরাসি জায়ান্টদের বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হয়। তবে চাপ কাটিয়ে দ্রুতই চেনা ছন্দে ফেরে জাভির দল। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে রাফিনহার গোলে লিড নেয় বার্সা। লামিনে ইয়ামালের দুর্দান্ত শট ফিরিয়ে দিলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুম্মা। সুযোগে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে। বিরতি থেকে ফিরে পিএসজিকে সমতায় ফেরান উসমান ডেম্বেলে।  এরপর লিড নিতেও সময় নেয়নি ফরাসি জায়ান্টরা। ফাবিয়ান রুইজের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন ভিতিনহা।  তবে ম্যাচের ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান রাফিনহা। কাতালানদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে তার গোলে জয় নিশ্চিত করে জাভির দল। উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সার ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫

নকল করতে গিয়ে ধরা, চিরকুট লিখে আত্মহত্যা
যশোরের মনিরামপুরে চিরকুট লিখে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বাগডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সাবিহা সকালে কলেজে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থী সাবিহা খাতুন উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। সে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার কিছু মনে থাকে না বলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে অল্প একটু কাগজে তথ্য লিখে নিয়ে যাই পড়তে পড়তে। পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় তা ফেলে দিতে মনে ছিল না। তারপর পরীক্ষার মধ্যে কলেজের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক তা দেখে ফেলে। আমি তার কাছে ভুল স্বীকার করলাম। অনেকবার বললাম খাতাটা দেন। তিনি আমার খাতা নিয়ে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখল, তবুও খাতাটা দিল না। তাসলিমা ম্যাডাম এবং ইসমাইল স্যার আমাকে তাড়িয়ে দিল। এত করে বললাম ওটা আমার ফেলে দিতে মনে নেই তাও তারা আমাকে পরীক্ষার সুযোগ দিল না। তাই আমি অবশেষে লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাক সবাই। আমার ভুলত্রুটি থাকলে সবাই মাফ করে দিও। আমার কাছে ফারহানা ২৫ টাকা পাবে এবং সুবর্ণা ৫ টাকা পাবে, এটা তোমরা দিয়ে দিও।’ এ ব্যাপারে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা খাতুনের আত্মহত্যার বিষয়টি দুঃখজনক। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থী সাবিহার কাছে নকল পাওয়া যায়। যে কারণে কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদ্বয় তার কাছ থেকে খাতা নিয়ে নেন। এ ব্যাপারে শিক্ষক ও কমিটিকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

জামিন পেতে ধর্ষকের জমি লিখে দিতে হবে জন্ম নেওয়া সন্তানকে
ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। সেইসঙ্গে জন্ম নেওয়া শিশু সন্তানের ভরনপোষণ দিতে বলা হয় ২১ বছর পর্যন্ত। তবে আসামি সেই রায় না মেনে আপিল করেন হাইকোর্টে, চান জামিনও। তবে শুনানিতে সন্তানের স্বীকৃতি ও সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি হলে মিলে জামিন।  বুধবার (২০ মার্চ) দুই মাসের মধ্যে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কথা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে।  আসাদুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাহফুজুল আলম মুন্না। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল আজিজ মিয়া মিন্টু ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।  আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, রংপুরের মিঠাপুকুরের আসাদুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হন ওই নারী। বিয়ের জন্য চাপ দিলে আসাদুল সম্পর্ক ও অনাগত সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর আসাদুলকে আসামি করে ২০০৭ সালে ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী।একপর্যায়ে আদালতের আদেশে শিশুর পিতৃপরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্ট হয়। এতে জানা যায়, ভুক্তভোগীর গর্ভে জন্ম নেওয়া ওই ছেলে শিশুর বাবা আসাদুল। শিশুটির বয়স এখন ১৫ বছর। ২০১৬ সালের রংপুরের বিচারিক আদালত এক রায়ে আসাদুলকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেয়। এরপর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তা আইনজীবীরা। এর ধারাবাহিকতায় জামিনের আবেদনের পর গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জামিন পান আসামি।  আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী আরও জানা যায়, দুই মাস আগে যখন জামিন হয় তখন হাইকোর্ট শর্ত দিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশু সন্তানের ভরণপোষণ ও ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনতে বুধবার ধার্য করেছিল হাইকোর্ট। দুপক্ষের আইনজীবীসহ স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তভোগী নারীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষের আইনজীবী ও স্বজনের উপস্থিতিতে বুধবার আদালত নির্দেশ দেন ৫ বিঘা জমি লিখে দিতে হবে। দলিল দাখিলের পর পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে।  তবে ভোক্তভোগী নারী দাবি করেন আসাদুলের সম্পত্তি আরও বেশি রয়েছে। পরে আদালত সিদ্ধান্ত দেন তার প্রাপ্ত সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দিতে হবে। আর সম্পত্তি না লিখে দিলে তার জামিন বাতিল হবে। আর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২১ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০

চিঠি লিখে আ.লীগ নেতার আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে জাহিদুল আলম মিন্টু (৩৯) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর হালিশহরের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম নগরীর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গত জাতীয় নির্বাচনের সময় এমপি লতিফের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা চিঠিতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ঋণগ্রস্ত থাকার কথা উল্লেখ করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৪

‘আমি একটু সুখ চাই’ লিখে আত্মহত্যা করলেন নববধূ
বরিশালে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নগরীর পুরানপাড়া এলাকায় এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নববধূর নাম সাদিয়া আক্তার (২০)। তিনি পুরানপাড়া এলাকার মাহফুজ আলমের মেয়ে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সাদিয়া।  সাদিয়ার পরিবার জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল সাদিয়ার। বিয়েতে মেয়েকে স্বর্ণালংকার ও জামাইকে ফ্রিজ, গলার চেইন ও আংটি দেওয়া হয়। এতে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।   সাদিয়ার পরিবার আরও জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের সবার অজান্তে বাবার বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সাদিয়া। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।   আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন সাদিয়া। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আমি কী দোষ করেছিলাম, এমন একজন মানুষের জন্য নিজের জীবনটাই শেষ করে দিলাম। প্রত্যেক রাতে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য জ্বালায়। আমাকে বিয়ে দিয়েছিলে কেন। আমি তোমাদের কাছে বোঝা? টাকা চাইলে তো মন পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে কী ভালোবাসা পাওয়া যায়। আমি তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না বাবা-মা। আমি একটু সুখ চাই।’   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, দুদিন আগে সাদিয়ার বাবাকে খবর দিয়ে নেওয়া হয় রুবেলের বাড়িতে। এরপর মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকি ওই বাড়িতে আবার আসতে হলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন রুবেল। এ কারণে ক্ষোভে সাদিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা যায়। তার লেখা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪

‘বলার ছিলো অনেক কিছু’ লিখে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে লামিসা জামান দিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহ্যা করেছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার আগে লামিসা জামান দিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুকের স্টোরিতে ‘বলার ছিলো অনেক কিছু, বলা হইলো না কিছু’ লিখে পোস্ট করেন। লামিসা জামান দিয়া (১৭) দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের ইতালি প্রবাসী মনিরুজ্জামান বিপ্লব বেপারী ও লাকি বেগম দম্পত্তির মেয়ে।  তিনি সরকারি ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। স্থানীয়রা জানান, লামিসা জামান দিয়ার মা লাকি বেগম বাড়িতে ছিলেন না। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেন লামিয়া। অনেক সময় কেটে গেলেও দরজা না খুললে সন্দেহ হয় বাড়িতে থাকা অন্যদের। এরপর তার খালামনি ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা না খুললে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে দেখেন ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে লামিসা জামান দিয়া ঝুলে রয়েছেন। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লামিসাকে মৃত ঘোষণা করেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা থানার ওসি এমারত হোসেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক ধারণায় মনে হয়েছে লামিসা আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

পা দিয়ে লিখে দৃষ্টান্ত গড়তে চায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সিয়াম
জন্ম নিয়েছেন দুই হাত ছাড়া। পরিবারেরও নেই লেখাপড়া করানোর সামর্থ্য। তবে হাত না থাকলেও তার রয়েছে আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছাশক্তি। সব সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে পা দিয়ে লিখে অংশ নিয়েছেন এবারের এসএসসি পরীক্ষায়। বলছি জামালপুরের সরিষাবাড়ির চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী সিয়াম মিয়ার কথা। জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সিয়াম। সে জিন্নাহ মিয়া ও জোসনা বেগমের ছোট ছেলে। লেখাপড়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে ২০১৪ সালে উদনাপাড়া ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি করে। দিনমজুর বাবার পক্ষে তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ বহন করা সম্ভব হয়নি। ফলে চতুর্থ শ্রেণিতে থাকতে একবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। এক বছর পড়াশোনা বন্ধ থাকে তার। তবু থেমে যায়নি সিয়াম, আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিয়াম। এক শিক্ষকের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সিয়াম। এরপর চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ২০০৬ সালে জন্ম নেওয়া সিয়াম মিয়া পিএসসি পরীক্ষাতেও পা দিয়ে লিখে পেয়েছিল জিপিএ ৪.৮৩।  সিয়ামের ভাষ্য, সবাই বলতো আমি কখনো পড়াশোনা করতে পারবো না। এখনো অনেকে এ কথা বলেন। আমি লেখাপড়া করে সবাইকে দেখাতে চাই, আমি ও লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত হতে পারি। মা জোছনা বেগম বলেন, অনেক কষ্টে সিয়াম স্কুলে যায়। মাঝে মাঝে তার ঘাড়ে ও পায়ে ব্যথা হয়। তবুও হাল ছাড়ে না। তবে ওর সহপাঠীরা ব্যাগ ‍ওঠানো-নামানোসহ নানান বিষয়ে সহযোগিতা করে। আমার স্বামী দু’বার স্ট্রোক করেছে। কোন কাজ করতে পারে না। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সিয়ামের পড়াশোনা করাচ্ছি। সিয়ামের বাবাও নিজের অপরাগতা এবং সিয়ামের ইচ্ছাশক্তির বিষয়ে জানান। চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিয়াম পা দিয়ে লিখলেও তা খুব সুন্দর। যা দেখে সবাই বিস্মিত হন। তার পরিবারের অবস্থা ভালো না। বিদ্যালয় থেকে তার বেতন পোশাক ও এসএসসির ফরম ফিলআপ ফি মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমারের আওতাধীন একটি সেন্টারে সিয়াম নামের এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। সে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে। কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তাকে ৩০ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হচ্ছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২

বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম, গেঞ্জিতে নোট লিখে আত্মহত্যা
সাগরদীঘি-জোড়দীঘি গ্রামের সোহরাব হোসেন (৩০) ও শহরগোপীনপুর গ্রামের কায়সার আহমেদ (২৮) পেশায় দুজনই কাঠমিস্ত্রি। একই কর্মে থাকায় বন্ধুত্ব হয় দুজনের মধ্যে। দুজনেই বিবাহিত। বন্ধুত্বের সুবাদে দুই পরিবারের মধ্যে গড়ে ওঠে সুসম্পর্ক। বন্ধুত্ব স্থাপনই অশান্তি ডেকে আনে সোহরাবের পরিবারে। একে অপরের বাড়িতে প্রতিনিয়ত ছিল তাদের যাতায়ত। এক পর্যায় সোহরাবের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কায়সারের। সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রেমিকার ঘরের পেছনে গিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কায়সার। মৃত্যুর আগে গায়ে পরিহিত গেঞ্জিতে সে লিখেছেন ‘তর কারণে আছ আমার এই অবস্থা, তুই বাবিনা শান্তি পাবি তুই। তরা মা মেয়ে মিলে ভালো।’ এর পরের লেখা বোঝা যায় না।   বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের জোড়দীঘি গ্রামে। সোহরাবের প্রতিবেশীরা জানায়, কায়সার আহমেদের বাড়ি থেকে তার বন্ধু সোহরাব হোসেনের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। দুজনের আয়ের পথ একই হওয়ায় বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জোড়দীঘি বাজারে কাঠের দোকান রয়েছে কায়সারের। এরই মধ্যে কাঠমিস্ত্রির কাজ বাদ দিয়ে সোহরাব চলে যান প্রবাসে। বাজারের পাশেই সোহরাবের বাড়ি হওয়ায় বন্ধুর বাড়ি যাতায়াত বেড়ে যায় কায়সারের। সাত মাস আগে দেশে আসেন সোহরাব। দেশে আসার পরপরই তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যান কায়সার। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্ধুত্বের সুবাদে সোহরাবের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কায়সারের। কায়সার নিজেও বিবাহিত। কায়সার বন্ধুর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যান। তিনদিন থাকার পর আবার সোহরাবের বাড়িতে চলে আসেন তার স্ত্রী। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সোহরাবের শ্বশুর এসে মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ছেলেসন্তানের দিকে তাকিয়ে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে পুনরায় ঘর-সংসার শুরু করেন সোহরাব। তিনি আরও জানান, সোহরাবের ঘরের পেছনের দিক দিয়ে হাঁটার পথ চলে গেছে। সেই পথ দিয়ে ভোরে স্থানীয় লেবু ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বাজারে যাওয়ার সময় কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় কায়সারকে দেখতে পান। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে লাশ নিচে নামান। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। সাগরদীঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) ভিক্টর ব্যানার্জি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। নিহতের গায়ে পরিহিত গেঞ্জিতে একটি নোট লেখা আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫০

আরও এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ
রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষেই হয়তো এভাবে ম্যাচে ফেরা সম্ভব। কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের প্রথমার্ধে চমক দেখায় পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে থাকা আলমেরিয়া। জোড়া লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সফরকারীরা। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখে রিয়াল। জয় নিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরল রিয়াল।  রোববার (২১ জানুয়ারি) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চরম নাটকীয় ম্যাচে একেবারে শেষ সময়ে আলমেরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এদিন পুরো ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে হোঁচট খায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ব্লাঙ্কোসের জাল খুঁজে নেন বেলজিয়াম উইঙ্গার রামাজানি। এরপর ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে গঞ্জালেজ আরেক ধাপ এগিয়ে নেন আলমেরিয়াকে। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে কার্লো আনচেলত্তির বাহিনী। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে রিয়ালকে প্রথম গোল এনে দেন বেলিংহাম।  এরপর ১০ মিনিটের ব্যবধানে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় কারভাজালের গোলে জয় তুলে নেয় লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে ২০ ম্যাচে ১৬ জয় নিয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে জিরুনা। অন্যদিকে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাও। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে বার্সা। আর ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়