• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বেঙ্গল সু ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।  শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে শ্রমিকরা উপজেলার রাখালিয়া বাজার কারখানার সামনে রায়পুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে প্রায় ৩ ঘণ্টা রাস্তার দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।  এদিকে খবর পেয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান ও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। শ্রমিকদেরকে সড়ক থেকে সরে যেতে বললেও রাজি হচ্ছিল না। এতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে ইউএনও এবং ওসি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ তুলে নেন।  আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, শনিবার সকালে তাদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন, ২ মাসের ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারখানা মালিকপক্ষ তা দেয়নি। এতে কর্মবিরতি রেখে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী মালিকপক্ষ শ্রমিকদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না।  রায়পুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন মজুমদার বলেন, শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেতন-বোনাস যেন শ্রমিকরা যথাসময়ে পায়, তা নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।   
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩১

বিপিএলের টিকিট প্রত্যাশী দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ
সাধারণত আমরা দেখে থাকি রাজনীতির মাঠে কোনো দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন বা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে থাকে পার্টি বা দলগুলো। সেখানে অনেক সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিরোধী পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি বা লাঠিচার্জের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এবার সেরকমই ঘটেছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। আগামীকাল বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল-কুমিল্লার লড়াই দেখার জন্য সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমাতে শুরু করেন। সময় পেরোতেই লাইন বাড়তে থাকে। বিসিবির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে টিকিট বিক্রি শুরু করার কথা থাকলেও দুপুর ১টা বাজলেও টিকিট কাউন্টারে বিসিবি কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি। এতে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে টিকিট প্রত্যাশীরা। একপর্যায়ে টিকিট কাউন্টার ছেড়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনের দুই রাস্তা অবরোধ করে রাখে ক্রিকেটভক্তরা। রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের ওপর চড়াও হয় টিকিট না পাওয়া দর্শকরা। এরপর কয়েক ঘণ্টা পেরলেও টিকিট কিনতে পারছিল না তারা। তবে বাংলাদেশের মানুষ এতটা ক্রিকেটকে ভালোবাসে তারা টিকিট না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না এমন পন করতে থাকে।  দুপুর ২টার দিকে টিকিট বিক্রেতারা আসলে তাদের দিকে জুতা ছুড়ে মারতে থাকে ভোর থেকে টিকিটের অপেক্ষায় থাকা কুমিল্লা-বরিশালের দর্শকরা। তবুও টিকিট পাচ্ছিল না তারা। এ সময় তীব্র গরমে বেশ কয়েকজন ভিড়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন।  এ ছাড়াও দর্শকের চাপ এতোটা বেড়ে যায় ধাক্কাধাক্কিতে টিকিট কাউন্টারের লোহার তৈরি ব্যারিকেড লাইনগুলো ভেঙে যায় এসময় অনেকেই আঘাত পান। এক পর্যায়ে কিছু দর্শক টিকিট কাউন্টারের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে এমন পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এতে অনেকেই আঘাত পান, সেই সঙ্গে ভোর রাত থেকে আকড়ে ধরে থাকা টিকিটের সামনের লাইন থেকেও ছিটকে পড়েন। এ সময় এক কলেজ ছাত্র তার সামনের জায়গা হারানোয় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে দর্শকদের মনে প্রশ্ন একটায় মিরপুরের ২৫ হাজার টিকিট গেল কোথায়। মিরপুরের স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমরা জানতে চায় ২৫ হাজার টিকিট কোথায় গেল। ধরে নিলাম ৫ হাজার টিকিট ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকসহ কর্মকর্তারা পেল। আর বাকি ২০ হাজার টিকিট কোথায়। এদিন কাউন্টারের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করলেও কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের কাছে আগের রাতেই টিকিট পৌঁছে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এক ব্যক্তি বলেন, আমাকে ৩০০ টাকার টিকিট একজন ১ হাজার টাকায় দিতে চাচ্ছিল আমি না করে দিয়েছি। এ বিষয়ে বিসিবির মন্তব্য জানতে একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউই ফোন ধরেননি।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫১

পাবনায় ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০
পাবনায় ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের নেতারা। মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।  সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা শহরের দই বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেশজুড়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গণ গ্রেপ্তার, হামলা, গুম, খুন ও শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন ও পাবনা জেলা ছাত্রলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইটের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে বের করে শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোড হয়ে ইন্দিরা মোড় দিয়ে দই বাজার মোড়ে পৌঁছায়। মিছিলটি দই বাজার মোড়ে পৌঁছালে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ছাত্রদলের একটি মিছিল দই বাজার মোড়ে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ধাওয়া দিলে দৌড়ে পালাতে গিয়ে কয়েকজন পড়ে আহত হন। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়