• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে লাগতে পারে যতদিন
ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও ২৩ নাবিককে সব প্রক্রিয়া শেষ করে উদ্ধার করতে প্রায় এক থেকে চারমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক নিজের এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এ বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের ছাড়া পেতে এক থেকে চারমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কেননা, মুক্তিপণ দাবির পর তা নিয়ে দর-কষাকষিসহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে এই কবির গ্রুপেরই জাহাজ জাহান মণি মুক্তি পেতে লেগেছিল ১০০ দিন।  তিনি আরও বলেন, সাধারণত নিজেদের সমুদ্রসীমায় ছোট ছোট স্পিডবোটে ব্যবহার করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জলদস্যুরা। তবে আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এসে ছিনতাই করে এই জাহাজটিকে।  বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, নানা প্রক্রিয়া শেষ করে সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করতে বেশ সময় লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সমঝোতাই মুক্তির মূল উপায়। সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোনো নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।  এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৪

মাহির সর্বনাশ করেছ, আমার সঙ্গে লাগতে এসো না : ইমনকে ডি এ তায়েব
নতুন বছর নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘কাগজের বউ’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেলেও এটি শুরুতে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। এ নিয়ে ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা নায়ক মামনুন ইমন বেশ ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। ‘কাগজের বউ’র প্রচারে দেখা যায়নি জানতে চাইলে একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইমন বলেন, ‘কাগজের বউ’ কীভাবে চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেয়েছে, এটাই বুঝিনি। শুটিং শুরুর আগে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী একদিন আমাকে ফোন করে বললেন, ইমন আমি একটা ওয়েব ফিল্ম বানাব, গল্পটা হচ্ছে এ রকম। বললাম, অন্য আর্টিস্ট কে কে থাকবেন? তখন তিনি বললেন,পরীমনি। ডি এ তায়েবের কথাও বলেছিলেন। তারপর গল্পটা শুনে রাজি হয়েছি। শুটিং করলাম। কী কারণে যেন আমার কিছু অংশের তো শুটিংই হয়নি। একটা সময় শুনি, এটার প্রযোজক ডি এ তায়েব ভাই। পরে অবশ্য এত কিছু আর ভাবিনি। যেহেতু পরীমনির সঙ্গে কাজই হয়নি, গল্পটাও ভালো। ভাবলাম, ওয়েব ফিল্ম হিসেবে একটা কাজ হোক। পরিচালক থেকে শুরু করে আমরা শিল্পীরা সবাই জানি, এটা ওয়েব ফিল্ম। কিন্তু পরে শুনি, ফুটেজ দেখার পর প্রযোজকের মনে হয়েছে, এটা ফিল্ম হয়ে যেতে পারে। ইমনের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী আরটিভিকে বলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তাছাড়া ইমনতো আমার নাম উল্লেখ করে কিছু বলেনি। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে জানতে হলে ছবির প্রযোজক ডি এ তায়েবের সঙ্গে কথা বলুন। অভিনেতা ডি এ তায়েবের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেছিলেন, আসলে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ইমন আমার খুব কাছের ছোট ভাই, সে কেনো এমন করলো তাও বুঝতে পারছি না। হয়তো সে আলোচনায় আসতেই এমন মন্তব্য করেছেন। তাছাড়া ছবির প্রযোজকও আমি না। এদিকে সম্প্রতি অভিনেতা ডি এ তায়েবের ও ইমনের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ডি এ তায়েব নায়ক ইমনকে বলছেন, ইমন তোমার একটি ইন্টারভিউ দেখলাম, তুমি কিন্তু খুব অন্যায় করেছো। আমি কিন্তু কখনোই তোমাকে কাস্টিং করি নাই, আর আমি এই সিনেমার প্রযোজকও না। তোমার কাছে চুক্তিপত্র থাকলে তা দেখাও নইলে বিপদে পড়বা।  মাহির সর্বনাশ করেছো, আমার সঙ্গে লাগতে এসো না উল্লেখ করে ডি এ তায়েব আরও বলেন, তোমার জন্য মাহিও সিনেমাটি করেনি। তুমি একবার একটা কাজ করে সর্বনাশ করেছো মাহির। তোমার কাজের জন্য একজন মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব চলে গেছে। আর এইবার আমি ধরলে কিন্তু পচে যাবা, তোমার পিছনে যত বেকিংয়ি থাকুক না কেন?    তোমার সঙ্গে আমার কোন লেনদেন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি তোমার মত মানুষকে কখনোই কোন সিনেমাকে নিবো না। আইন প্রমাণ চায় সব সময়। তুমি টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিয়ে বড় কিছু হয়ে যাও নাই। প্রমাণ থাকলে দেখাও, নাইলে তুমি কিন্তু বিপদে পড়ে যাবা। জ্ঞানে আসো, হুঁশে আসো।  ‘কাগজের বউ’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি। এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ডিএ তায়েব, ইমন, আবুল হায়াত, দিলারা জামান প্রমুখ।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়