• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রাফিকের হাতে ক্ষতিকর লেজার লাইট, বাড়ছে দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা  
সন্ধ্যা নামতেই প্রতিদিন ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ে সবুজ রঙের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি। যানজট নিয়ন্ত্রণে এই আলোকরশ্মির ব্যবহার করছে খোদ ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সদস্যরা। এতে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সদস্যদের সুবিধা হলেও দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও যান চালকদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে।   সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড়, নতুন বাজার, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়, রহমতপুর বাইপাস, মাসকান্দা বাইপাস মোড়সহ নগরীর সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা নামতেই ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর লেজার লাইট। অথচ এই লাইট ব্যবহারে রয়েছে আইনগত বিধিনিষেধ। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত খোদ পুলিশ সদস্যরাই মানছে না এই বিধিনিষেধ। ফলে পুলিশের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে পাড়া-মহল্লার শিশু-কিশোরদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ক্ষতিকর লেজার লাইট। প্রকাশ্যে খোলা বাজারে বিক্রিও হচ্ছে নগরীর অলিগলি বা মেলার স্টলগুলোতে। যা ব্যবহারে মনের অজান্তেই নীরবে ক্ষতি করে চলছে মানুষের দৃষ্টি শক্তির।       এ নিয়ে নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ও পাটগুদাম এলাকায় কথা হয় কয়েকজন অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে। অটোরিকশাচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক পুলিশের লেজার লাইট চোখে পড়লে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এরপর চোখ স্বাভাবিক হলেও অস্বস্তি লাগে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। মোশারফ হোসেন নামে অপর এক অটোরিকশাচালক বলেন, এই লাইটের আলো চোখে পড়লে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু এইটা ক্ষতিকর কি না, তা আমি জানি না। তবে চোখ অনেক সমস্যা করে, আমি নিজেই এর প্রমাণ পেয়েছি।     এ সময় মোটরসাইকেলচালক ও বেসরকারি চাকরীজীবী তানভীর আহম্মেদ বলেন, লেজারের আলো চোখে পড়লে গাড়ির ব্রেক না কষে কোনো উপায় নেই, তখন চোখে আর কিছু দেখা যায় না। এতে হঠাৎ করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাছাড়া লেজারের আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই আমি জানি কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ব্যবহার করলে আমাদের কিছু বলার থাকে না।   একই ধরনের মতামত দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মো. ফেরদৌস হাসান।   তিনি বলেন, লেজারের আলোকরশ্মি চোখের রেটিনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে চোখের ম্যাকুলা বার্ন হয়। ফলে চোখে কম দেখাসহ স্থায়ী অন্ধত্বের শঙ্কা রয়েছে। কেউ উদ্দেশ্য করে এই আলোকরশ্মি চোখে মারলে চোখ ডেমিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই লেজার লাইট ব্যবহারে সতর্কতা অপরিহার্য।       একই বক্তব্য মমেক হাসপাতালের একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞের। তাদের ভাষ্য লেজার লাইটের আলো চোখে এসে পড়লে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। এতে অনেক সময় চোখ জ্বালাপোড়াসহ স্থায়ী অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি হয়।   এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (যানবাহন) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, লেজার ব্যবহারের কারণে পথচারী ও যান চালকদের ক্ষতি হয়। তাই এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে লেজার লাইট ব্যবহার করা হলেও এখন করা হয় না। অনেক আগেই লেজার ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যদি কিছু থাকে সেগুলোও অতি দ্রুত ক্লোজ করা হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫

মনের মানুষকে মনের কথা জানানোর দিন আজ
আবেগ প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম হলো ভালোবাসা। এই আবেগ প্রকাশের অনুভূতি যেন অন্যরকম। শৈশবকাল থেকে চিরন্তন ভালোবাসার গল্প আমরা সবাই পড়েছি। ১৪ ফেব্রুয়ারির সর্বাধিক প্রতীক্ষিত ভালোবাসা দিবসের পূর্ববর্তী ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহে আপনার ভালোবাসা প্রকাশের চেয়ে আর ভালো উপায় কী হতে পারে। ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘প্রপোজ ডে’ হিসেবে পালিত হয়। আর মনের মানুষকে মনের কথা জানানোর জন্য এই দিনটিই তাই সবচেয়ে সুন্দর দিন। আজকের দিনটি ভালোবাসার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। যা কি-না সাত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উদযাপিত হয়। গতকাল ছিল ভালোবাসার মানুষকে গোলাপ দেওয়ার দিন অর্থাৎ ‘রোজ ডে’। আজ প্রপোজ ডে, আর আপনি চাইলে এই দিনে নিজের মনের কথাটি আপনার পছন্দের মানুষকে বলে দিতে পারেন।   বিশেষ মানুষটিকে মনের কথা জানিয়ে দেওয়াটা এত সহজ নয় কারণ আপনি কী বলবেন এবং কী করতে চাচ্ছেন তা আগে থেকেই গুছিয়ে নেওয়া দরকার। ভালোবাসার মানুষের সামনে আমাদের ভালোবাসা প্রকাশের সময় এলেই মুশকিলে পড়ে যেতে হয়। কাউকে প্রপোজ করাটা আসলে এমন একটি বিষয় যা কেবল একবারই করা সম্ভব এবং আপনি যদি সঠিক জায়গায় তা বলতে পারেন তবেই পছন্দের মানুষটির ভালোবাসা অর্জন করতে পারবেন।  ভালোবাসার কথা জানানোর পরে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে অনেকে মনের কথা মনে চেপে যান। কিন্তু আপনি যদি না-ই বলেন, তাহলে হলেও হতে পারতো একটি ভালোবাসা শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়। তাই এতো না ভেবে মনের কথা জানিয়ে দিন। যদি সে আপনার জন্যই হয়, তাবে ‌‘হ্যাঁ’ বলবে। যদি ‘না’ বলে, তবুও হতাশ হবেন না। প্রিয় মানুষটিকে নিজের মনের কথা বা প্রপোজ করবেন জেনে নিন তার কয়েকটা ধরন- চিঠি কিংবা কবিতা: নিজের মনের ভাবগুলো লিখে প্রিয় মানুষটিকে দিন। লেখার সময় নিজে যা ভাবেন, তাই লিখুন। অন্যের লেখা কপি করবেন না। এতে করে আপনার প্রিয় মানুষটির আপনার প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। খুব বেশি লিখতে না পারলে ৪ লাইনের একটি কবিতা তাকে উপহার দিতে পারেন। এতে আপনার প্রিয় মানুষটিকে বলাও হয়ে যাবে। বইয়ের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ: আপনার ভালবাসার মানুষটি যদি সাহিত্যিপ্রেমী হয়ে থাকে তবে এই কৌশল আপনার জন্য খুব কার্যকরী হবে। তাকে কোনো একটি ভালোবাসার বই উপহার দিন, তবে বইয়ে নিজ হাতে দুই লাইনে আবেগের কথাগুলো লিখে দেন। অথবা চিরকুটে ভালবাসা বা বিয়ের প্রস্তাবটি লিখে ভিতরে রেখে দিন এবং তাকে বইটি থেকে একটি নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা পড়তে বলুন। এতে সে প্রচন্ড অবাক ও খুশি হয়ে উঠবে।  স্মৃতিচারণের মাঝে প্রপোজ: আপনাদের নিজেদের স্মৃতিগুলোকে সংগ্রহ করুন। তা হতে পারে কোনো ছবি বা অন্য যেকোনো স্মৃতি। এরপর তা সুন্দরভাবে একটি বাক্সের ভিতরে রাখুন। প্রতিটি ছবির পিছনে একটি নোট লিখুন এবং সর্বশেষ নোটটিতে তাকে প্রপোজ করে ফেলুন। ক্যান্ডেল লাইট ডিনার: প্রিয় মানুষটির সাথে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যান। সেখানে মোমবাতির আলো-আধারিতে নিজের মনের কথাটি বলে ফেলুন। রোমান্টিক পরিবেশে আপনাকে না করতে পারবে না। হাতের রিং: অনেকদিন সময় নিয়েছেন, তবে আজ একটি আংটি নিয়ে গিয়ে সাহস করে বলেই ফেলুন ভালোবাসার কথা। সুন্দর একটি আংটি নির্বাচন করে প্রিয়জনকে প্রশ্ন করতে পারেন, সে আংটি-টি পরতে রাজি আছে কি-না?  গান গেয়ে প্রপোজ: মনের ভাব সহজেই প্রকাশ করা যায় গানের মাধ্যমে। আর আপনি যখন প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলতে চাইছেন সেক্ষেত্রে গান উত্তম উপায়। এতে আপনার সঙ্গী সহজেই আপনার কথা বুঝে যাবে। আর গানটি যদি আপনি নিজে লিখে শোনান তাহলে-তো কথায় নেই। এক কথায় আপনি আপনার গানের মাধ্যমে প্রিয় মানুষটিকে স্পেশাল ফিল করাতে পারলেই আপনার কাজ হয়ে যাবে। 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯

বাংলাদেশ-নরওয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় ‘লেট দ্যা লাইট ইন’
বাংলাদেশের চিরকুট এবং নরওয়ের মার্তে উলফ মিলে তৈরি করেছে নতুন গান ‘লেট দ্যা লাইট ইন’। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ নরওয়েজিয়ান দূতাবাসে নরওয়ে-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে চিরকুটের লাইভ পারফরমেন্সের মাধ্যমে ‘লেট দ্যা লাইট ইন’ উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-স্ভেনসন, বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, কূটনীতিক, থিঙ্কট্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী এবং উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা এই সাংস্কৃতিক উদযাপনে অংশ নেন। নরওয়ে এবং চিরকুট ব্যান্ডের মিউজিক্যাল পার্টনারশিপ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক বছরের। ২০১১ সালে রিক্সকনসার্টিন (ন্যাশনাল ট্রাভেলিং কনসার্ট) এবং লাইভ স্কয়ার কনসার্ট, বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে নরওয়ের সাথে চিরকুটের সহযোগিতা শুরু হয়। এটি রক ব্যান্ডের জন্য একটি নতুন সূচনা ছিল এবং এর পর থেকে চিরকুটকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এই সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-স্ভেনসন। এদিকে চিরকুট নেতা সুমি আর নরওয়েজিয়ান শিল্পী মার্তে’র নতুন গান ‘লেট দ্য লাইট ইন’ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। গানচিত্রটি গত ডিসেম্বরে প্রকাশ হয় চিরকুটের ইউটিউব চ্যানেলে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়