• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি মধুপুর আওয়ামী লীগের
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৪ জানুয়ারি) উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।  সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইয়াকুব আলী।  তিনি বলেন, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক একজন সজ্জন, সুশিক্ষিত ও ভদ্র মানুষ। তিনি মধুপুর ও ধনবাড়ী থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের এমপি। তিনি সফল খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী। তাকে নিয়ে কালিহাতীতে সড়ক অবরোধ করে প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, কালিহাতী থানা-পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে এনেছিল। তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার অনুসারীদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেন। সেই সময় অকারণে ড. রাজ্জাক সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন লতিফ সিদ্দিকী।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরও বলেন, কালিহাতীর মানুষ আবেগের বসে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম, তিনি জনগণের সম্মান রক্ষার্থে নিজেকে পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তিনি পরিবর্তন হননি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মধুপুর পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি ও সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ।  এর আগে ৯ জানুয়ারি পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান নেন। ওই সময় তিনি সদ্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪০

আব্দুর রাজ্জাককে পেটানোর হুমকি লতিফ সিদ্দিকীর, ভিডিও ভাইরাল
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাককে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) লতিফ সিদ্দিকীর কয়েকজন অনুসারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে নিতে কালিহাতী থানার সামনে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে বসে পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। এ সময় তার কয়েক শ’ অনুসারীও রাস্তার ওপর বসে পড়েন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী সড়ক অবরোধের প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থানস্থলের দিকে রওনা হলে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এ সময় নেতাকর্মীদের সামনে বলেন, ‘রাজ্জাককে আমি পেটাব। ও কত বড় নেতা হইছে? ...আমার টাকায় পড়াশোনা কইরা ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারবাদী হইছে। আমি যাইয়া শেখ হাসিনারে বলছি যে, ও ভুল করছে, ঠিক আছে। বেইমানেরা....!’ এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৪ আসনের প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর মধ্যে ভদ্রতা, শিষ্টাচার বলে কিছু নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে নিয়ে এমন কথা বলায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। জেলার নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা লতিফ সিদ্দিকীর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৯

সমর্থকদের থানা থেকে মুক্ত করেই অবরোধ তুলে নিলেন লতিফ সিদ্দিকী 
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিজয়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চার সমর্থক‌‌কে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলনের মুখে ছে‌ড়ে দিয়েছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়া‌রি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কা‌দের সি‌দ্দিকী পুলিশের সঙ্গে মধ্যস্ততা করে গ্রেপ্তার ছয় সমর্থকের মধ্যে চারজনকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন।  এর আগে গতকাল সোমবার রাতে কা‌লিহাতী উপ‌জেলার নাগবাড়ী ইউনিয়‌নের চেয়ারম‌্যান কাইয়ুম বিপ্লবের বা‌ড়ি ভাঙচুর ও বল্লা এলাকায় অফিস ভাঙচু‌রের মামলায় সা‌বেক ইউপি চেয়ারম‌্যান হাসমত আলী, সমর্থক নুর, হৃদয় ও খোকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  এ ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে সা‌বেক মন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী তার সমর্থক হাসমত আলীসহ ছয়জন‌কে গ্রেপ্তা‌রের প্রতিবা‌দে নেতাকর্মীদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ মহাসড়ক ও থানা ঘেরাও ক‌রেন। এ সময় টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ মহাসড়‌কের প্রায় ১০ কি‌লো‌মিটার এলাকাজু‌ড়ে যানজটের সৃ‌ষ্টি হ‌য়।  চরম ভোগা‌ন্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালক‌রা। দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর ছোট ভাই বঙ্গবীর কা‌দের সি‌দ্দিকী। তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে থানায় ঢুকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিনি গ্রেপ্তার হাসমত আলী, নুর, হৃদয় ও খোকাকে নিয়ে থানা থেকে বের হয়ে আসেন। পরে আন্দোলনরত বড় ভাই আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর কা‌ছে তা‌দের বু‌ঝি‌য়ে দেন। এ সময় তিনি উত্তে‌জিত কর্মী-সমর্থক‌দের কর্মসূচি প্রত‌্যাহার ক‌রে স‌রে যে‌তে ব‌লেন। তারা থানা ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।  এ সময় কা‌দের সি‌দ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সি‌দ্দিকীসহ উপ‌জেলা আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লী‌গের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  কা‌লিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরু‌দ্ধে মামলা ছিল। আসামি‌দের গ্রেপ্তা‌রের পর কেন ছাড়া হলো—এমন প্রশ্ন করা হলে ওসি কোনো মন্তব‌্য ক‌রতে রাজি হননি। বঙ্গবীর কা‌দের সি‌দ্দিকী ব‌লেন, নির্বাচন পরবর্তী উত্তেজনা কাম্য নয়। এখানে উভয়পক্ষের ভুল-বোঝাবুঝি ছিল। ছে‌ড়ে দেওয়া চারজন‌কে স‌ন্দেহমূলকভা‌বে আটক করা হ‌য়ে‌ছিল। বা‌কি দুইজন‌কে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌বে তা‌দের আজ‌কেই জা‌মি‌নের ব‌্যবস্থা হ‌য়ে যা‌বে। 
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৭

টাঙ্গাইলে থানা ঘেরাও, লতিফ সিদ্দিকীর সড়ক অবরোধ 
টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে নিজের এক সমর্থককে গ্রেপ্তা‌রের প্রতিবা‌দে সড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন সা‌বেক মন্ত্রী আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী। এতে টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ মহাসড়‌কের প্রায় ৮ কি‌লো‌মিটার এলাকাজু‌ড়ে যানজটের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়া‌রি) দুপু‌রে আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর নেতৃ‌ত্বে টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ মহাসড়‌ক অবরোধ এবং থানার সামনে অবস্থান নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।  আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী ব‌লেন, আমার সমর্থক হাসমত আলী‌কে বিনা অপরা‌ধে থানায় আটক ক‌রে রাখা হ‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া আরও ক‌য়েকজন‌কে আটক করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের বিনাশ‌র্তে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থে‌কে যা‌ব না। হাসমত আলী উপ‌জেলার বাংড়া ইউনিয়‌নের সা‌বেক চেয়ারম‌্যান। তিনি এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর সমর্থক হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। কা‌লিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, হাসমত আলী একজন এজাহারভুক্ত আসামি। অপরাধ ছাড়া কাউকে আটক করা হয়‌নি।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭

আবারও সংসদে যাওয়ার টিকিট পেলেন লতিফ সিদ্দিকী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে জয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে পরাজিত হয়েছেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহানের সঙ্গে। অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকীর অপর ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে পরাজিত হয়েছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। লতিফ সিদ্দিকী এই আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়।  
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়