• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বেড়েছে। তবে জামিনের মেয়াদ কতদিন বেড়েছে, সেটি এখনও উল্লেখ করা হয়নি। পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।  রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।  এর আগে, সকালে পূর্বের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। জামিন নিতে আসেন গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন কর্মকর্তা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা কর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়েরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর এনবিআরের কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে তিন শ থেকে প্রায় চার শ কোটি টাকার মতো ছিল। ফলে এনবিআর অর্থ চেয়ে নোটিশ করে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে আদেশ দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২

‘প্রীতি ওরাংয়ের মৃত্যুতে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গৃহকর্মী প্রীতি ওরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। এটার তদন্ত সঠিকভাবে হওয়া উচিত। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের চারটি গার্মেন্টস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার গৃহকর্মী ছিল প্রীতি ওরাং (১৫)। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বহুতল ভবনের ৯ তলা থেকে পড়ে প্রীতির মৃত্যু হয়। ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রীতি ওরাং বাসার একজন গৃহকর্মী। গৃহকর্মীদের জন্য বাংলাদেশের পলিসি আছে। এছাড়া আমরা মানুষ। আর মানুষ মানুষের জন্য। এই দিকটি দিয়ে একান্তই দেখা উচিত ছিল।’ এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গৃহকর্মী প্রীতি ওরাংয়ে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।  চিঠিতে বলা হয়, প্রীতির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবেদন পর্যালোচনায় জানা যায় রাজধানীতে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহপরিচারিকা চা শ্রমিকের কন্যা প্রীতি ওরাং নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের বাসার ৯ তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় শিশু প্রীতি ওরাং। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার নিহত গৃহকর্মী প্রীতি ওরাংয়ের বাবা লুকেশ ওরাং বাদী হয়ে অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে মর্মে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আশফাকুল-তানিয়াসহ ওই বাসা থেকে মোট ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।  মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান  বলেন, বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মী নির্যাতন একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গৃহকর্মীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দুর্বল অবস্থানে থাকার কারণে নির্যাতনে জড়িতদের সাজা হয় না বললেই চলে। ফলে সমাজে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিচারহীনতার এক সংস্কৃতি বহমান।’  তিনি বলেন, এ কারণে সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়াটাই একটি চ্যালেঞ্জ। যদিও বা কোনো বিষয় মামলা হয়, কিন্তু পরবর্তী সময়ে অর্থের দাপট, পেশিশক্তি এবং রাজনৈতিক দাপটের কাছে পরাস্ত হতে হয় দুর্বলদের। ফলে শুরুতে বা মাঝপথে আইনবহির্ভূত সমঝোতা লক্ষ করা যায়। উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে একটি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের বাসায়। যেখানে সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেখানে সাংবাদিক আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মী প্রীতির মৃত্যুর এ ঘটনাটি ছিল অত্যন্ত নির্মম, মর্মান্তিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।  ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এ ধরনের পাশবিক ঘটনা আমাদের বিবেককে চপেটাঘাত করে। ঘটে যাওয়া এই ঘটনা নতুন কোনো ঘটনা নয়, এটি পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি, যা ঘটেছিল গত বছরের ৬ আগস্ট একই সাংবাদিকের বাসায়।  তিনি জানান, প্রীতির মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে সেদিন কী ঘটেছিল তা অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত বলে কমিশন মনে করে। এরই প্রেক্ষাপটে গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বলা হয়। এ আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬

সাবেক এমপি নদভী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের পরাজিত প্রার্থী সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছেন আদালত। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা বিকল চাকমা বাদী হয়ে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলাটি আদালতের গ্রহণ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারের সময় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন ও রিজিয়া রেজা চৌধুরী একটি সমাবেশে চুনতি মাদ্রাসার সিরাতুন্নাবি (সা.) মাহফিলের জন্য এক কোটি টাকা অনুদান, এক সমর্থকের ছেলেকে চাকরি প্রদানের ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া রিজিয়া রেজা চৌধুরী লোহাগাড়া উপজেলার ল পুটিভিলা তাতীপাড়া এক সমাবেশে এক লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। এসব ঘটনায় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১/৩ বিধির লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের কাছে হারেন তিনি।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬

আকাশসীমা লঙ্ঘন না করতে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সতর্কবার্তা
মিয়ানমার বিমানবাহিনীর কোনো যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার যাতে বাংলাদেশের আকাশ সীমানায় প্রবেশ না করে, এ বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিন সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করা হয়। এ সময় তার হাতে প্রতিবাদপত্র তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার অনুবিভাগ) মিয়া মো. মাইনুল কবির। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসা গোলার (মর্টার শেল) আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রাণহানি বা সম্পত্তির জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনো ধরনের অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাখাইন থেকে আর কোনো বাস্তুচ্যুতকে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না বলে রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। মিয়ানমার বিমানবাহিনী সীমান্তের খুব কাছে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা যেন বাংলাদেশ সীমানায় না প্রবেশ করে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলো তার সরকারকে অবহিত করবেন বলে জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি সদস্যদের দ্রুততার সঙ্গে ফেরত নেওয়ার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৫

জি এম কাদের সংসদে নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন: ওবায়দুল কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের জাতীয় সংসদে নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি, জাপা চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের জবাবে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, কথা তো যা বলার জি এম কাদের একাই বললেন। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল যেসব কথা বলেছেন, তা ঠিক হয়নি। সামনে আরও সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টা ছিল ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য জিএম কাদেরকে আহ্বান করা হয়নি। তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন। মন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব। মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে। বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইল করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন, এর প্রতি দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৪৮০ জনকে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দলের প্রার্থীসহ ৪৮০ জনকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব আব্দুছ সালাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় সোমবার পর্যন্ত ৪৮০ জনকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩০৪টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।  সবচেয়ে বেশি শোকজ করা হয়েছে অঞ্চলে। মোট ৪৮০টি শোকজ নোটিশের মধ্যে ১১৯টি এই অঞ্চলের প্রার্থী ও ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর অঞ্চলে ২৯টি, কুমিল্লায় ৬৮টি, ফরিদপুরে ২০টি, চট্টগ্রামে ৩৮টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ২৭টি, খুলনায় ৪০টি, রাজশাহীতে ৭৪টি ও ময়মনসিংহে ৪৯টি শোকজ করা হয়েছে।  এবারই প্রথমবারের মত ৩০০ আসনের প্রতিটিতে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের নিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে কমিশন। নির্বাচন ঘিরে কোনো প্রার্থী বা সমর্থক আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কমিটি তাদের শোকজ করছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি তা কমিশনে প্রতিবেদন পাঠায়। এরপর কমিশন প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়। এ পর্যন্ত কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা এবং বরগুনা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কমিশন। এ ছাড়া ডিসি-এসপিকে বদলির হুমকি দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে ইসি।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৪

ড. ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন : বিচারক
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন আসামি শ্রম আইনের ৪,৭ ও ৮ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারক। সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণাকালে এ পর্যবেক্ষণ দেন। রায় ঘোষণা এখনও চলছে। দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। ২টা ১৫ মিনিটে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসাসিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এ সময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত। উল্লেখ্য, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া চলছে। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই রায় পড়া শুরু হয়। এর আগে, দুপুরে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা।  
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় পড়া চলছে
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া চলছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই রায় পড়া শুরু হয়। এর আগে, দুপুরে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা। ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এই মামলা করা হয়। গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন। এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না। তবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়। আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।  
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়