• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কার্বন নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন লক্ষ্যমাত্রা
কার্বন নিঃসরণ কমানোর নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে জো বাইডেন প্রশাসন৷ বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, সংশোধিত এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে ইলেকট্রিক গাড়ি শিল্পে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে৷ নতুন নীতিমালায় গাড়ি এবং ট্রাকের জন্য নির্ধারিত দূষণ-মান অবশ্য হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের মতো হয়নি৷ হোয়াইট হাউস ২০৩২ সালের মধ্যে নিঃসরণ কমাতে আরো কঠিন কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্য, বিশেষ করে মিশিগান রাজ্যের গাড়ি শিল্প কারখানা এবং কারখানার কর্মীরা ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করার দাবি জানিয়ে আসছিল৷ তাদের দাবির মুখে পরে ২০৩২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে অন্তত ৩৫ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয় পরিবেশ রক্ষা সংস্থা-ইপিএ৷ আগের প্রস্তাবে ২০৩২ সালের মধ্যে মোট গাড়ির অন্তত ৬৭ শতাংশ বৈদ্যুতিক করার কথা বলেছিল তারা৷ দাবির মুখে শিথিল করা প্রস্তাবে ইপিএ আরো বলেছে, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর জন্য হাইব্রিড, অর্থাৎ তেল এবং বিদ্যুতে চলে এমন গাড়িও বাড়ানো যেতে পারে৷ ইপিএ-র প্রধান মাইকেল রিগান মনে করেন, এমন প্রযুক্তি-নিরপেক্ষ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে পরিবেশ দূষণ হ্রাস যদি সম্ভব না-ও হয়, দূষণের বর্তমান মাত্রা অন্তত ধরে রাখা যাবে৷ তিন বছর আগে জো বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৫০ ভাগ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন৷ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে সেই লক্ষ্যমাত্রার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রপ্তানি থেকে আয় বাড়াতে এবং অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ  গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোষাক, ওষুধ পণ্য, প্লাস্টিক, চামড়া, পাটজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ এবং দক্ষ জনশক্তিকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য ফোকাস করার কয়েকটি ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)  মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক বাজার: বাংলাদেশের সুযোগ ও অগ্রগতি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমসহ কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবসহ একাধিক ফ্রন্টের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নতি করেছে। এটা শুধু জাদু নয়, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপট বিকশিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ উভয়ই তৈরি করে এবং সরকার বিচক্ষণতার সাথে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আজম সরকারের মডারেশনে সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিদেশি রাষ্ট্রদূত, দেশের সাবেক রাষ্ট্রদূতদের অংশ নেওয়া সেমিনারে বিআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবিরের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. দ্বীন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. রোজানা রশীদসহ অনেকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬

উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ ও ল্যাব সুবধিা বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‌‘ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ’ নিয়ে ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন,  ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগামে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্ব দরবারে নিজেদের মেলে ধরার বড় সুযোগ পাচ্ছেন।  ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রাম উচ্চতর গবেষণা, নতুন নতুন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত, জানান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। দেশের চাকরির বাজারে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামের আওতায় যারা বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরবে তাদেরকে উচ্চশিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের কাউন্সিলর ও টিম লিডার (শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) উরাতে এস মার্ভেলি। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে উরাতে এস মার্ভেলি বলেন, ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ দক্ষ জনবল তৈরিতে সফল। এর মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রোগামটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন আইডিয়া বিনিময় করতে পারবে। ইউজিসি সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মামুনের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।  উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামটি গত তিন যুগ শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং সম্মানজনক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এতে জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৪টি সেমিস্টার ভিন্ন দেশে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, সব ধরনের টিউশন ফি, লাইব্রেরি ফি, পরীক্ষা ফি, গবেষণা সংক্রান্ত ফিসহ বিভিন্ন ধরনের কনফারেন্স, সেমিনার, সামার স্কুল, উইন্টার স্কুল প্রভৃতি সুবিধা পাওয়া যায় বিনামূল্যে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়