• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সেবা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি পেলেন ১২০ র‍্যাব সদস্য
পেশাগত কাজে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) পদক পেয়েছেন সংস্থাটির ১২০ জন সদস্য। সেবা ও সাহসিকতার জন্য তাদেরকে এ পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে’ অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন।  এ সময় পদক প্রদান ছাড়াও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত ৩৩ র‍্যাব সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন র‍্যাব মহাপরিচালক। এ ছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রমে শহীদ র‍্যাব সদস্যদের স্মৃতি স্মরণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও শহীদ র‍্যাব সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৬

ঢামেকে রোগীদের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে মাদকাসক্তদের রক্ত : র‍্যাব
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেকে) হাসপাতালে রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে টাকার বিনিময়ে জোগাড় করে দেয় সক্রিয় দালাল চক্র। তবে বেশির ভাগ রক্ত তারা জোগাড় করে হাসপাতালের আশপাশে থাকা ভবঘুরে ও মাদকাসক্তদের থেকে। ফলে জীবন বাঁচাতে গিয়ে রোগীদের সরিরে মিশে যাচ্ছে মাদকাসক্তদের রক্ত।  এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৪ মার্চ) ঢামেক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৫৮ জন দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। অভিযান শেষে ঢামেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা মেডিকেলে রোগীদের জিম্মি করে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে র‍্যাব অধিনায়ক জানান, সোমবার ৬৫ জন দালাল আটক করেছেন তারা। এদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১৫ থেকে এক মাস করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই দালালরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে, জরুরি বিভাগে, বহির্বিভাগে, ব্লাড ব্যাংকে রোগীদের জিম্মি করে। আবার মেডিকেলের ভেতরে অসহায় রোগীদের জিম্মি করে ছিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য লেনদেন করে। কর্নেল আরিফ আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছিলাম। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতেই উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এসব দালাল চিহ্নিত করেছি। আজকে আমরা অল্পসংখ্যক দালাল ধরেছি। এ সংখ্যাটা আরও বেশি হবে। এদের বড় একটি চক্র আছে। শুধু ঢাকা মেডিকেলেই ১৫০ থেকে ২০০ দালাল আছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৬

র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা গ্রামের বিলকিছ বেগম নামে ওই ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই মো. শিমুল।  লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা মৌজায় বি.এস ১৯ দাগে ১০ শতক জায়গার মধ্যে ৫ শতকে বিলকিছ বেগম ক্রয়সূত্রে স্বত্ববান ও ভোগদখলকারী এবং বাকি ৫ শতকে সিরাজুল ইসলামের অবস্থান। তবে সিরাজুল ইসলাম র‌্যাব-৯ জোনে কর্মরত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে বিলকিছ বেগমের জায়গা অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করে আসছে। সম্প্রতি বিলকিছ বেগম তার জায়গায় একাধিকবার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম বাধা দেয় এবং পরে তা ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। এমন কি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও সিরাজুল ক্ষমতাবলে জায়গা জবর দখল ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে আনা হয়। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত তারা নিজেরাই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮

দালাল ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযানে র‍্যাব
দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে র‍্যাব।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি শিহাব করিম বলেন, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দালালরা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে। এমন একাধিক অভিযোগের পর অভিযানে নেমেছে র‍্যাব। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ নাজমুল্লাহেল ওয়াদুদ জানান, হাসপাতালগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া, ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের বিরক্ত করা, কমিশন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। এসব দালালের সঙ্গে কিছু অসাধু কর্মচারীও জড়িত। তাই দালালবিরোধী অভিযানে নেমেছে র‌্যাব। তিনি আরও বলেন, শেরে বাংলা নগর এলাকার শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একযোগে অভিযান চলছে। এদিকে রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানের প্রথম দিনে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মোট ৬টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০

মাতৃভাষা দিবস / যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব প্রস্তুত
মাতৃভাষা দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, তারপরও যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। খুরশীদ হোসেন বলেন, সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে আজ (মঙ্গলবার) থেকে সারাদেশে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে র‍্যাবের সাদা পোশাকধারীরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং করবে। ‘এ ছাড়া র‍্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে।’ র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ভার্চুয়াল জগতে উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে র‍্যাবের সাইবার ইউনিট অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। র‍্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সারাদেশের ব্যাটালিয়নগুলোতে মনিটরিং করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কাজ করবে বলেও জানান এম খুরশীদ হোসেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে সর্বস্ব খোয়ালেন র‌্যাব সদস্য
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে একটি যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মোবাইল ও নগদ টাকা খুইয়েছেন মো. সোহাগ মিয়া (২৭) নামে এক র‌্যাব সদস্য। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোহাগ মিয়া র‌্যাব-১-এর সিপিসি-৩-তে কর্মরত রয়েছেন।  সোহাগ মিয়ার সহকর্মী র‌্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) শামসু মিয়া বলেন, রাতে ছুটি শেষ করে গাজীপুর থেকে একটি বাসে করে ক্যাম্পে ফিরছিলেন সোহাগ মিয়া। এ সময় প্রতারক চক্র সুকৌশলে টিস্যু পেপারের মধ্যে নেশা জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে তাকে অসুস্থ করে তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে কিছুটা সুস্থ হলে সে নিজেই আমাদের ক্যাম্পে আসে। তখন আমরা দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া এক র‌্যাব সদস্যকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। এ সময় তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে সকালের দিকে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫২

বইমেলায় আসছে র‌্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈনের দুই বই
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তার পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন সচেতনতামূলক দুটি বই।  ‌‘মাদকের সাতসতেরো’ ও ‘কিশোর গ্যাং’ নামের এই বই দুটি আসছে অমর একুশে বইমেলায়। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বই দুটি মেলায় পাওয়া যাবে কবি প্রকাশনীর ৬৩ ও ৬৪ নম্বর স্টলে। ‘মাদকের সাতসতেরো’ বইটি সম্পর্কে জানা গেছে,  র‌্যাবের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদক সেবনকারী ও মাদককারবারিদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার যে অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তার লেখায়। বইটিতে তিনি মাদক সেবনের ভরাবহ ক্ষতিকর প্রভাব এবং মাদক কারবারিদের ভরানক ও অন্ধকার রূপের কথা তুলে ধরেছেন। দিয়েছেন সমাজ থেকে মাদককে সমূলে উৎপাটিত করবার রূপরেখা। ‘কিশোর গ্যাং’ বইটি সম্পর্কে জানা গেছে, খন্দকার মঈন তার দায়িত্ব পালনের সময় একজন কিশোর কীভাবে অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে তা তিনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন। নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতা ও তন্নিষ্ঠ পাঠের ফসল কিশোর গ্যাং বইটি। তিনি র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণালব্ধ বাস্তব অজ্ঞিতারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তার এই লেখায়।  কমান্ডার মঈনের কলমে পাঠক দেখতে পারবেন- কিশোর গ্যাং, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কী সংকট তৈরি করেছে। তবে শুধু সমস্যার বয়ানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি লেখক। এই অহেতুকী যন্ত্রণা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের করণীয় কী, তাও আলোচিত হয়েছে ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখবো’ গ্রন্থে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮

ক্যাম্পাসে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না জাবি কর্তৃপক্ষ : র‍্যাব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। কারণ বিভিন্ন সময় সেখানে মাদক, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহিরাগতদের প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলিট ফোর্সটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই এলার্মিং (বিপজ্জনক)। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধ কাজ ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সহযোগিতা চান, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব। আমরা দেশের ভবিষ্যত সম্পদ, জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যতকে এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলবো না। কারণ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমরা মনে করি, শুধু এখনই নয়, সব সময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায়-দায়িত্ব আমাদের সকল স্টেকহোল্ডারদের নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকেও এর দায় নিতে হবে। প্রসঙ্গত, একজনকে মীর মশাররফ হলে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং তার সহযোগী বহিরাগত মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৩

চাঁদাবাজির কারণেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে : র‍্যাব
বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। ঢাকায় অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা তোলা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংস্থার মুখপাত্র খন্দকার আল-মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। খন্দকার আল-মঈন বলেন, সম্প্রতি অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ ও পাইকারি বাজার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে একযোগে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, রাজধানীর কাজলা, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, ইত্তেফাক মোড়, টিটিপাড়া, বাবুবাজার, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়, কারওয়ান বাজার ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. বাবলু, মো. জাবেদ, মো. আরিফ,  বিল্লাল হোসেন, মো. আলী হোসেন, মো. রাকিব হাসান, মো. ফালান মিয়া, মো. সাকিব আলী, আবুল হোসেন ও মো. রাজাসহ ৬৩ জন। তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লেজার রশ্মির লাইট, সিটি করপোরেশনসহ ছয়টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যাকেট, দুটি অন্যান্য লাইট, চারটি আইডি কার্ড, ৪১টি মোবাইল ফোন এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকেন। এই র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রসিদও দিয়ে থাকেন। চালকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন থেকে ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকেন। কখনো শ্রমিক সংগঠন, কখনো কল্যাণ সমিতি, কখনো সিটি করপোরেশন, কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়। তিনি আরও বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে মধ্যরাতে যখন পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করে, তখন চাঁদা উত্তোলন শুরু হয়। একটি গ্রুপ চাঁদা উত্তোলন করে কথিত ইজারাদারদের কাছে জমা দেয়। তারা সিন্ডিকেটের মধ্যে টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেয়। চাঁদা উত্তোলনকারীরা প্রতি রাতে মজুরি হিসেবে ৬০০-৭০০ টাকা পান। প্রতিটি স্পট থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৮

ইজতেমা ঘিরে নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই : র‌্যাব
বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমের সামনে ব্রিফিংয়ের তিনি এ কথা বলেন। খুরশীদ হোসেন বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন ইজতেমাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সেদিকে র‌্যাব সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। এ ছাড়াও কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। এ জন্য অনলাইনেও নজরদারি রাখা হয়েছে। আর ইজতেমার দুই পক্ষ (সা’দপন্থী ও জোবায়েরপন্থী) নিয়ে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, এটা নিয়ে মুরুব্বিদের (প্রবীণ) সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশি মেহমানদের নিয়ে গত বছর যে হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল, এবার এ বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেওয়ার সময় যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু নষ্ট করে (অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন), তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‌্যাব ডিজি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তর জমায়েত। বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুরি-ছিনতাই, মাদক ও অজ্ঞান পার্টির কর্মকাণ্ড তীক্ষ্ণভাবে নজরে আছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এম. খুরশীদ হোসেন বলেন, কামার পাড়া, উত্তরার নর্থ টাওয়ার মীরের বাজারসহ সংশ্লিষ্ট সব পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। তুরাগ নদীতে র‌্যাবের টহল, আকাশ পথে হেলিকপ্টার টহলসহ র‌্যাব স্থলে-জলে ও আকাশপথ নিরাপদ রাখতে র‌্যাব কাজ করছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ২ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং দ্বিতীয় পর্ব আগামী ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়