• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রোবট অলিম্পিয়াডে চট্টগ্রামের দুই ভাইবোনের স্বর্ণপদক জয়
গ্রিসের এথেন্সে ২৫তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে তিনটি স্বর্ণপদকসহ মোট ১৫টি পদক অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। বাকি ১২টি পদকের মধ্যে রয়েছে ৬টি রৌপ্য পদক, ৪টি ব্রোঞ্জ পদক ও ২টি টেকনিক্যাল পদক। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের সন্তান দুই ভাইবোন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন ইনান এবং উইলিয়াম কেরী স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জাইমা যাহিন ওয়ারা স্বর্ণপদক অর্জন করেন।  রোবটিক্সের আন্তর্জাতিক এই উৎসবে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের দল অংশ নেয়। ২৬ দেশের প্রায় ১৪০০ জন প্রতিযোগী এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।  গত ১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এথেন্সের ফ্যালিরো কোস্টাল জোন অলিম্পিক কমপ্লেক্সে ২০ জানুয়ারি অলিম্পিয়াডের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশ দলের পক্ষে ২৫তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে রোবট ইন মুভি জুনিয়র গ্রুপে রোবোস্পারকার্স দলের জাইমা যাহিন ওয়ারা, ক্রিয়েটিভ আইডিয়া সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য মিসবাহ উদ্দিন ইনান, রোবট ইন মুভি সিনিয়র গ্রুপে রোবো ইডিয়টস দলের নাশীতাত যাইনাহ্‌ রহমান, প্রপা হালদার ও মার্জিয়া আফিফা পৃথিবী। পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় রৌপ্যপদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি জুনিয়র গ্রুপে টিম পাই দলের মাহরুজ মোহাম্মদ আয়মান, ফিজিক্যাল কম্পিউটিং জুনিয়র গ্রুপে রোবোস্পারকার্স দলের জাইমা যাহিন ওয়ারা, টিম পাই দলের সদস্য মাহরুজ মোহাম্মদ, রোবট ইন মুভি সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও সাদিয়া আক্তার স্বর্ণা, অ্যাফিসিয়েনাদোস দলের মাইশা সোবহান, সামিয়া মেহনাজ ও মাশকুর মালিক মোস্তফা, এআই অটোনমাস ড্রাইভিং সিনিয়র গ্রুপে এক্সফ্যানাটিক দলের মাহির তাজওয়ার চৌধুরী। বাংলাদেশ দলের পক্ষে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া জুনিয়র গ্রুপে রোবোস্পারকার্স দলের সদস্য জাইমা যাহিন ওয়ারা, ফিজিক্যাল কম্পিউটিং সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য মিসবাহ উদ্দিন ইনান, এক্সফ্যানাটিক দলের সদস্য মাহির তাজওয়ার চৌধুরী ও ফাতিন আল হাবীব নাফিস, রোবট ইন মুভি সিনিয়র গ্রুপে টেক অটোক্র্যাটস দলের আন নাফিউ, নামিয়া রউজাত নুবালা ও রুবাইয়্যাত এইচ রহমান। এছাড়াও বাংলাদেশ দলের পক্ষে টেকনিক্যাল পদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে অটোমেশন ৭১ দলের সদস্য সাদিয়া আক্তার স্বর্ণা এবং রোবো সলো দলের সদস্য ফাতিন আল হাবীব নাফিস। বাংলাদেশ দলের দলনেতা ও আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল জানান, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোবটিক্সে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। এ শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি আধুনিক রোবটিক্স ল্যাব দেশে স্থাপন সম্ভব হলে আমাদের বাচ্চারা রোবটিক্স প্রযুক্তিতে আরো বেশি দক্ষ হবে। এথেন্সে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলের সাথে আরো উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ দলের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্রধান রোবোটিকস কোচ মিশাল ইসলাম। বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের পৃষ্ঠপোষক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২

দেশে রোবট দিয়ে হার্টের রিং বসানো শুরু 
দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বা হার্টের রিং বাসানো শুরু হয়েছ। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।  রোববার প্রথমবারের মতো দুইজন হৃদরোগীর হার্টে বিনামূল্যে রোবটের মাধ্যমে রিং পরানো মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীর চেয়ে দূরে থেকে নিখুঁতভাবে হৃদরোগীদের হার্টের ধমনীতে রিং পরাতে পারবেন। এতে অংশ নেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার ও তার বিশেষায়িত টিম। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির উদ্বোধন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন ও কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বে ১৬০টি দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি (রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো) সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ভারতে ছয়টি সেন্টার রয়েছে। রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বর্তমানে পৃথিবীতে হার্টের রিং পরানোর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কার্ডিওলজিস্টরা এখনও ক্যাথল্যাবে রোগীদের কাছে গিয়ে হার্টের রিং পরান। এর সর্বশেষ আবিষ্কার হলো রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি অর্থাৎ রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো।  আধুনিক এ চিকিৎসার বিষয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে ডাক্তাররা বলেন, এই রোবটের দুটি অংশ থাকে। একটি হলো রোবটের হাত; যা ক্যাথল্যাবে থাকে। আরেকটি থাকে কন্ট্রোল সেকশন, যেখান থেকে মূলত কার্ডিওলজিস্ট পুরো রিং পরানো কার্যক্রমটি দূর থেকে সম্পন্ন করে থাকেন। এ কাজে তিন ধরনের সুবিধার কথা জানিয়ে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, প্রথম সুবিধা হলো হার্টের রিং পরানোর জটিল প্রক্রিয়াটি রোবটের মাধ্যমে খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। নিখুঁতভাবে পজিশন করার জন্য এক মিলিমিটার সামনে অথবা এক মিলিমিটার পিছনে নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে, যা হাত দিয়ে করলে নিখুঁতভাবে করা বেশ কঠিন। কিন্তু রোবটের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে এটি সম্পন্ন করা যায় বলে জানান তিনি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়