• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
তামাকজনিত রোগে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু
তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পক্ষে একমত পোষণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন শুধুমাত্র তামাকজনিত রোগে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ‘নারী মৈত্রীর’ একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তিনি এ আশ্বাসের কথা বলেন। ‘নারী মৈত্রীর’ তামাক নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কার্যক্রমে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন তামাকজনিত রোগের কারণে। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শুধু অবগত হলেই চলবে না, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ যাতে বেগবান হয়, সেজন্য যার যার অবস্থান থেকে শক্ত অবস্থান নেয়া অতন্ত্য জরুরি। এই ধরনের চমৎকার উদ্যোগের জন্য ‘নারী মৈত্রীকে’ ধন্যবাদ জানান তিনি। মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সংগঠনের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব এবং বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।   দাবিগুলো হলো-  *সকল ধরনের পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহণে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা *বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা *তামাক কোম্পানির ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা *বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহীন বিক্রি নিষিদ্ধ করা *ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট (এইচটিপি) আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা *সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৯০% এ উন্নিতকরণ) ও প্লেইন প্যাকেজিংসহ তামাকজাত দ্রব্য *মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা।   নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি জানান, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরা মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর ভুক্তভোগী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশুর উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে, রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা গেলে, সেখানে আগত অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত হ্রাস পাবে। শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। মৃত্যুর এই ভয়াল ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সচেতন হতে হবে এখনই।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২

দেশে তামাকজনিত রোগে বছরে ঝরছে দেড় লাখের বেশি প্রাণ
ধূমপান ও তামাকের কারণে বছরে দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। আর তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার অষ্টম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। আর তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ফলে এই মৃত্যুর মিছিল কমাতে দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। কারণ বিদ্যমান আইনে কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়ে গেছে। বক্তারা আরও বলেন, ২০১৬ সালের আজকের এই দিনে (৩১ জানুয়ারি) দক্ষিণ এশীয় স্পিকার্স সামিটের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে এই লক্ষ্য অর্জনে তিনটি পদক্ষেপের কথা জানান। সেগুলো হলো স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবহার করে একটি তহবিল গঠন করা, তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্কনীতি গ্রহণ করা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের জন্য সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ সময় ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন ও ১৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ জানায়। সেগুলো হলো, আইনের ধারা ৪ ও ৭ বিলুপ্ত করা। অর্থাৎ সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা। তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা। ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডক্টিস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত কিশোরের মৃত্যু
চাঁদপুরে একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে নিলয় সাহা (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের আবদুল করিম পাটওয়ারী সড়কের পরেশ সাহার ভবনের উত্তর পাশের ছয়তলা ভবন থেকে পড়ে ওই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। নিলয় সাহা ওই ভবনের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা স্বরুপ সাহার ছেলে। নিলয় শহরের পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিলয়ের খালাত ভাই অভিজিৎ জানায়, নিলয় গত কয়েক বছর মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাকে ভারত এবং দেশে কয়েকস্থানে চিকিৎসা করা হয়েছে। নিলয়ের বাবা স্বরুপ সাহা জানান, তার ছেলে মানসিক রোগে আক্রান্ত। দুপুরে বাসার সবার অজান্তে সে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে। সেখানে তার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তিনি নিজে এবং আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির ভূঁইয়া হাসপাতালে এসে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করেন।  চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম জানান, নিলয়ের পরিবারের তথ্য মতে সে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিল। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪

শীতজনিত রোগে বরিশালে ৫ শিশুর মৃত্যু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতজনিত রোগে গত ছয় দিনে চিকিৎসাধীন পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে চিকিৎসা নিয়েছে ১৮৩ শিশু। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মারা যাওয়া শিশুরা ঠান্ডাজনিত জ্বর ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তিন আরও জানান, শিশু ওয়ার্ডে গত ১২ জানুয়ারি থেকে জ্বর-সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু বাড়ছে। এ ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ শিশু ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে তিনগুণের বেশি। শয্যা সংকটের কারণে শিশুদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড ছাড়াও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক রোগী। শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রুনা আক্তার বলেন, ১২ জানুয়ারি ৩১ শিশু ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে একজন মারা যায়। ১৩ জানুয়ারি ভর্তি হয়েছিল ৩০ শিশু, মারা যায় এক শিশু। ১৪ জানুয়ারি ৩১ শিশু ভর্তি হয়েছিল, মারা গেছে এক শিশু। ১৫ জানুয়ারি ৩০ শিশু ভর্তি হয়েছিল। ১৬ জানুয়ারি ৩১ শিশু ভর্তি হয়েছিল, মারা গিয়েছিল এক শিশু। ১৭ জানুয়ারি ৩০ শিশু ভর্তি হয়, মারা গেছে এক শিশু। হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বহির্বিভাগে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগীকে সেবা দিচ্ছেন চার শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে তিনগুণের বেশি। শিশু ওয়ার্ডে শয্যা কমসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বরিশালে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রয়েছে। গত সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বরিশালে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে। শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের প্রধান বশির আহমেদ বলেন, বুধবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সোমবার মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি, রবিবার ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শনিবার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এই দাপট আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়