• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা বেঁধে দেবে সরকার
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং আস্থা ফেরাতে কাজ চলছে। রোগীদের বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনে একজন চিকিৎসক কত সংখ্যক রোগী দেখতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। একজন রাত দুইটা আড়াইটা পর্যন্ত রোগী না দেখে সঠিক সময় সঠিক রোগী যাতে দেখতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, নতুন আইনটা এমনভাবে করা হচ্ছে যেখানে চিকিৎসক সময় নিয়ে নির্ধারিত সংখ্যক রোগী দেখতে পারেন। রোগীদেরকে সময় দিয়ে দেখতে হবে। তখন ডাক্তারদের প্রতি রোগীদের আস্থা আসবে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসায় রোগীর ক্ষতি হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।   ডা. সামন্ত লাল সেন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক তার কাজের সময়ের মধ্যে যদি হাসপাতালে না-থেকে অন্য কোথাও গিয়ে অস্ত্রোপচার বা এমন কিছু করেন, তবে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।   তিনি বলেন, চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা কোনো অংশেই ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের থেকে কম না। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের চিকিৎসকদের কাউন্সেলিংয়ের সময়টা দেওয়ার অভাব।   স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা নেই বলে অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে যে খুব একটা ভালো কিছু হবে সেটা না। আমি তো ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসেছি। ভুটানের রোগী আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।   ভুটানের রাজা বাংলাদেশে এসে অনেক খুশি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভুটানে একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা প্রকাশ করার জন্য বাইরে আমরা হাসপাতাল বানানোর অনুমতি দিয়েছি।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

২০৩৫ সালে দেশে ডায়াবেটিস রোগী হবে সোয়া ২ কোটি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বিশ্বে প্রতি বছর ৭ মিলিয়ন করে নতুন ডায়াবেটিস রোগী তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ রোগে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী আছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশে ২ কোটি ২০ লাখ হতে পারে ডায়াবেটিস রোগী। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমানে দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। ইদানিং গ্রামের মানুষদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে, যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের অভ্যেস করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে ৫ বেডের বার্ন ইউনিট শুরু করেছিলাম, তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে ৫০০ বেডে উন্নীত করেছি। চেষ্টা থাকলে সবই করা সম্ভব। এভাবে, সবার সহযোগিতা পেলে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অবশ্যই উন্নত করতে পারব। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দিন, ডা. অরুপ রতনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮

ডিগ্রি ছাড়াই নামের আগে ডাক্তার, দেখতেন রোগী (ভিডিও)
সাইনবোর্ড আর এপ্রোন পরেই হয়ে গেছেন চিকিৎসক, সনদ বা ডিগ্রি ছাড়াই দেখছেন রোগী। শুধু তাই নয়, বেসরকারি কিছু ক্লিনিক চাকরিও দিচ্ছে তাদের। রাজধানীজুড়ে এমন বেশ কিছু ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছে আরটিভি। যাদের কেউ কেউ কলেজের গণ্ডি না পেরিয়েই হয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যাদের কাছে গিয়ে রোগমুক্তির পরিবর্তে জীবন সঙ্কটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আলম ফার্মাসিতে চিকিৎসক পরিচয়ে নিয়মিত রোগী দেখেন মো. আলম। তবে টিভি ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। মো. আলম স্বীকার করেন, এইচএসসি পাস করেই নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন তিনি। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে এসএমসি হাসপাতালের চিকিৎসক সুদর্শনও ডিগ্রি ছাড়াই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক দেখে মুহূর্তেই চিকিৎসক পরিচয় পাল্টে নিজেকে মেডিকেল এসিসটেন্ট দাবি করেন সুদর্শন। যদিও সেই সনদও দেখাতে পারেননি তিনি।  শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে এক রোগীর অপারেশন করেন মোহাম্মদ আনোয়ার নামে এক ব্যক্তি। রোগীর স্বজনরা পরে জানতে পারেন তিনি চিকিৎসকই নন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আনোয়ারকে তারাও চেনেন না। অথচ এখানেই চিকিৎসা দিতেন তিনি। একই অভিযোগ, পঙ্গু হাসপাতালের টেকনিশিয়ান সেলিমের বিরুদ্ধেও। তিনিও নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন। মোহাম্মদপুরে পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও নাকি রোগি দেখেন তিনি। তবে অনেক চেষ্টাতেও তার সঙ্গে দেখা করা যায়নি, ফোনেও কথা বলতে চাননি। পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, ঘটনা সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  চিকিৎসক পরিচয়ে এমন প্রতারণার ভুরি-ভুরি উদাহরণ রাজধানীজুড়ে। যাদের কবলে পড়ে জীবন সঙ্কটে পড়ছেন বহু মানুষ। মানুষের জীবন-মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরুর তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬

আরও ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি।    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২ জন ঢাকায় এবং ১ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৬০ জনে, যাদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৯ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি ৩৩ জন; আর ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ২৬। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ৩ রোগী
দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ জন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকাতে দুইজন এবং ঢাকার বাইরে একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট চারজন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে একজন এবং ঢাকার বাইরে তিনজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের মোট ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে ঢাকাতে ৪১০ জন ও ঢাকার বাইরে ৭৯২ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৩৫২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতাল ৭২৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে সারাদেশে মোট ১১১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৪৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৩ জন। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৮৯ শতাংশ, ভর্তি থাকার নয় শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শতকরা এক দশমিক তিন শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশ রোগী
অর্ধশতাধিক নীতিমালা ও আইন থাকার পরেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশের বেশি রোগী।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।  জন্মের পরপরই মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় দেশের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ (পিএমআর) আয়োজিত এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনটি সেশনে প্রকাশ করা হয় বিষয়ভিত্তিক ১৪টি গবেষণা প্রতিবেদন।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এই গবেষণাগুলো করা হয়। অধিদপ্তরের নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশে আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা রয়েছে ১৫২টির মতো। আইনের অভাব না থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা নেই। যে কারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোয় সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের (আইপিসি) অবস্থা বিষয়ক এক গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ হাসপাতালে আইপিসি কমিটি আছে। কিন্তু অধিকাংশ কমিটি কার্যকর নয়। অধিকাংশ হাসপাতালেই নেই আইপিসির জন্য নির্দিষ্ট জনবল। সরকারি ৬০ শতাংশ হাসপাতালে আইপিসি ব্যবস্থাপনা নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালের ৫০ শতাংশে নেই এই ব্যবস্থাপনা। ফলে হাসপাতাল থেকে যেসব রোগের সংক্রমণ হয়, সেগুলো বাড়বে। এই সংক্রমণ মারাত্মক ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে ব্যবহার করা হবে, এর একটি গাইডলাইন থাকলেও হাসপাতালগুলোয় তা মানা হয় না।  এক-চতুর্থাংশ হাসপাতালে ‘হ্যান্ড হাইজেনিং স্টেশন’ অর্থাৎ হাত ধোয়ার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। প্রতি বেডে একজন রোগী থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালগুলোয় বেডের চেয়ে বহুগুণ বেশি রোগী থাকছে।  উন্নত দেশে আইপিসি হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ হলেও এশিয়ার দেশগুলোয় এই হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তথ্যের ঘাটতি-সম্পর্কিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্য খাতের যে ৪০টি সূচক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সরকার কাজ করলেও পরিপূর্ণ তথ্য নেই। এ ৪০টি সূচকের মধ্যে চারটির কোনো সঠিক তথ্যই নেই। অন্যদিকে, ১০ সূচকের আংশিক তথ্য রয়েছে। আর বাকি ২৬টি সূচকের যাচাই করার মতো তথ্য আছে, তবে তা পরিপূর্ণ নয়। যে চারটি সূচকের কোনো তথ্য নেই, তা হলো জন্মহার, অনিরাপদ পানি ও অনিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির অভাবে মৃত্যুহার, স্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধার অনুপাত (যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় ওষুধের সুবিধা রয়েছে) এবং নির্বাচিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে রক্তপ্রবাহের সংক্রমণের তথ্য। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. কাজী মো. রাশিদ উন নবীসহ ১৩ জন চিকিৎসক একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে নেওয়া রোগীদের সুস্পষ্ট মতামত উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হয়। যদিও তাদের হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়ার কথা। এছাড়া ১৮ শতাংশ রোগীকে সরকারি হাসপাতালের সেবা পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। হাসপাতালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ রোগী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।  স্বাগত বক্তব্য দেন পিএমআরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম।  এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪

২২ লাখ ক্যানসার রোগী বাংলাদেশে
বাংলাদেশে ২২ লাখ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ক্যানসার সচেতনতামূলক এক বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ক্যান্সারে দেড় লাখ রোগী মারা যাচ্ছে। আমরা ২০৩০ সালে যখন এসডিজি অর্জন করব, তখন বিশ্বের ৭৭ শতাংশ ক্যানসার রোগী হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রোগী থাকবে এই অঞ্চলে। সুতরাং আমরা খারাপ অবস্থায় আছি। তিনি বলেন, খারাপ অবস্থায় থাকার কারণ হলো আমরা রোগকে অবহেলা করি।  এমনকি আমরা ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগীকে চতুর্থ স্টেজে নিয়ে আসি। যার ফলে তাকে আর বাঁচানো যায় না। অথচ আর্লি ডায়গোনোসিস করলে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারতাম। উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিডনি, হার্ট ও ক্যানসারকে প্রাধান্য দিয়ে আট বিভাগে আটটি হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা বিভাগ অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারব। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মোশতাক হোসেন ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

‘২০৫০ সালে বিশ্বে ক্যানসার রোগী বাড়বে ৭৭ শতাংশ’
বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৩ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৮৫টি দেশের ৩৬ ধরনের রোগ বিশ্লেষণ করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার। এমন খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন। সিএনএন জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ কোটি, সেই হিসাবে পরবর্তী ২৮ বছরে এই সংখ্যা ৭৭ শতাংশ বেড়ে যাবে। গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ২০২২ সালে বিশ্বে ফুসফুসের ক্যানসারের প্রভাব ছিল বেশি। ২০২২ সালে ২৫ লাখ ফুসফুসের ক্যানসার শনাক্ত হয়। যা ছিল মোট শনাক্তের ১২ দশকি ৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে কোলোরেক্টাল, প্রোস্টেট পাকস্থলীর ক্যানসার ও নারীদের স্তন ক্যানসার। বিশ্বে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তদেরই মৃত্যুর হার বেশি। ২০২২ সালে ক্যান্সারে মারা যাওয়াদের ১ দশমিক ৮ শতাংশের মৃত্যু হয় এই ক্যানসারে, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ১৯ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার গবেষণা এজেন্সি আরও বলছে, উন্নত দেশগুলোতে আক্রান্তদের সংখ্যা দেখা যায় বেশি। যেমন— মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) এগিয়ে থাকা দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নত। আগামীতে সেখানে ১২ নারীর মধ্যে একজনের ক্যানসার শনাক্ত হবে। আর মারা যাবেন ৭১ জনের মধ্যে একজন। অপরদিকে মানব উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান তেমন উন্নত নয়। সেখানে ২৭ জনে একজন নারীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়বে। পাশাপাশি প্রতি ৪৮ জনে একজনের মৃত্যুর হবে। মূলত দেরিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুযোগের অভাবে এসব দেশে শনাক্তের হার কম, কিন্তু মৃত্যুর হার বেশি। গবেষকরা বলছেন, ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেডিয়েশন বা রেডিও থেরাপি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টের মত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও উন্নত দেশ আর অনুন্নত দেশের বৈষম্য রয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক বেন্তে মিক্কেলসেন বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্য ও আর্থিক সুরক্ষার অভাবের ওপর আলো ফেলেছে এই গবেষণা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলো ক্যানসারের প্রাথমিক সেবা ও চিকিৎসা দিতে অক্ষম। আগামী বছরগুলোতে ক্যান্সার বাড়ার কারণ সম্পর্কে গবেষকরা নতুন সমীক্ষায় দেখিয়েছেন, স্থূলতা, তামাক ও অ্যালকোহল ব্যবহার এবং বায়ু দূষণের মতো পরিবেশগত কারণসহ বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত বাড়বে। গত জানুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। সেখানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু ক্যানসারের নির্দিষ্ট ধরনগুলোতে আক্রান্ত বাড়ছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানিয়েছে, কমবয়সীরা এখন বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। ৫৫ বছরের কম বয়সী প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্যানসার আক্রান্তের হার ১৯৯৫ সালে ছিল ১১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ। গবেষেণায় দেখা গেছে, ১৯৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিতে ক্যানসারে মৃত্যু কমেছে ৩৩ শতাংশ। তামাকের কম ব্যবহার, শুরুতেই শনাক্ত হওয়া এবং চিকিৎসায় দ্রুত উন্নতির ফলে মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

‘চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুহার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’
কিছু চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং অবহেলায় রোগীর মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ জানুয়ারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘প্রসূতির পেট ছিল কাটা, মা-সন্তান দুজনই মৃত’ শীর্ষক সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে। ওই সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরগুনার বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তার (১৯) নামে এক তরুণীকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রুত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বরিশালে যাওয়ার পথে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভান্ডারিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মা ও নবজাতক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ বিষয়ের অবতারণা করে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, অমানবিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সম্প্রতি ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কতিপয় চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং অবহেলার কারণে রোগীদের হয়রানি এবং কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।   তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাবে যত্রতত্র অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসক এবং নার্সরা ন্যূনতম যোগ্যতা ছাড়াই অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসব অনুমোদনহীন হাসপাতাল চিহ্নিত করে বন্ধ করার পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।   উল্লেখ্য, প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) এবং জেলা জজ মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে বুধবার কমিশনের কাছে সংযুক্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কমিটির সুপারিশগুলো বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য বেঞ্চ সভায় আলোচনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৫

‘ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় রয়েছে’
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সহজে এবং নিরাপদে রোজা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। কিছু নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরাও সহজে রোজা রাখতে পারবেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।  গবেষণার তথ্য তুলে ধরে এসিইডিবি জানায়, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস এবং পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভুগেন।  অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ডা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণা দেখা গেছে, রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যারা রোজা রাখেন তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়াসহ অন্য জটিলতা রমজানের পূর্বের চেয়েও অনেক কম হয়। রোজা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। ডায়াবেটিস রোগীদের রমজানের কমপক্ষে দুই থকে তিন মাস আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এসিইডিবির সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, রোজায় অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন নেন এবং ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাই রমজানে তাদের বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সেজন্য খাদ্য, ব্যায়াম ও ওষুধের সমন্বয় করা যেতে পারে। রমজানের আগেই নফল রোজা রেখে অভ্যাস করে নিতে পারেন। এসিইডিবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, কিছু বিষয়ে একটু সচেতন হলেই সমাধান সম্ভব। যেমন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তিনবারের ওষুধ এক বা দু’বারে নিয়ে আসা যেতে পারে। দিনের ওষুধ রাতে খাওয়ার নিয়ম করে নিতে পারেন। অনুষ্ঠানে আলোচকরা আরও বলেন, নিরাপদে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা পালনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরে জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এই হাসপাতালের এন্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়