• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অতি অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর যেসব রেস্তোরাঁ ও শপিংমল
রাজধানীর ৮৪টি রেস্তোরাঁ ও শপিংমল অতি অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৭টি রয়েছে খিলগাঁও এলাকায়। সম্প্রতি বেইলিরোডে রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর পাঁচ শতাধিক ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এসব স্তোরাঁ ও শপিংমল চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। জানা গেছে, ৮৪টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে অগ্নিনিরাপত্তায় অতিঝুঁকিপূর্ণ, ৪০৮টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ২টি ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ৮টি ভবন-প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা বার্তা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ভবনে যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ভবনের মধ্যে খিলগাঁয়ে ২৭টি, মতিঝিল, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, বেইলিরোড, ওয়ারী, সদরঘাট, লালবাগ এলাকায় ২২টি, ধানমন্ডি মোহাম্মাদপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও ও মিরপুর এলাকায় ১৫টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। অন্যদিকে গুলশান, বনানী ও উত্তরাতে ২০টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। গত ৫ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ৫১৬টি শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, ভবন ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে জোন-১ এর মতিঝিল, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর ও বেইলিরোড এলাকায় ৬৩টি ভবন পরির্দশন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১০টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া ওয়ারী, লালবাগ ও সদরঘাট এলাকায় ৭৭টি প্রতিষ্ঠান ও ভবন পরির্দশন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১২টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৬২টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩টি ভবন চিহ্নিত করা হয়। জোন-২ এর আওতায় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেইট, কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁও এলাকায় মোট ৯৯টি ভবন পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৯৬টি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে একটি ভবন চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া শুধু মিরপুর জোনে ৭৪ প্রতিষ্ঠান ও ভবন পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১৩টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৫৫টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৬টি চিহ্নিত করা হয়। জোন-৩ এর আওতায় গুলশান ও বনানী এলাকায় ৫৩টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরিদশন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৯টি, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৪১টি এবং ৩টি কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া উওরা এলাকায় ৭৬টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১১টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৫৫টি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১০টিকে চিহ্নিত করা হয়। জোন-৫ এর আওতায় খিলগাঁওয়ে ৭৪টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরির্দশন করে ২৭টিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখানে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কোনো ভবন বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়নি। এছাড়া জোন-১ এর এলাকা সমূহে পরিদর্শন শেষে ৫টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান, জোন-২ এ দুইটি, জোন-৩ এ দুইটি এবং জোন-৫ এ একটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্যানার টানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া উইং কর্মকতা শাহজাহান শিকদার বলেন, রাজধানীজুড়ে অভিযান ও পরিদর্শন সবই চলমান রয়েছে। সরাসরি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ভবন মালিককে শাস্তি দিতে পারি না। আমরা তালিকা প্রস্তুত ও স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্থদণ্ড ও আদালতের মাধ্যমে মামলা করতে পারি।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪

১ দিনের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর রেস্তোরাঁগুলোতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে ‘নৈরাজ্য’ আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সমস্যা সমাধানে একদিনের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান রেস্তোরাঁ খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। পাশপাশি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান। এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে একদিনের জন্য সারাদেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৯

১১৩২ রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেপ্তার ৮৭২
বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর গত তিন দিনে রাজধানীর ১ হাজার ১৩২টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া ২০৭টি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান এবং আটটি রাসায়নিকের গুদামেও অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলার এ বাহিনী। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিএমপি। ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় হোটেল-রেস্তোরাঁ, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার মোট এক হাজার ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ১৩২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ২০৭টি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান এবং আটটি রাসায়নিকের গুদাম। এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা এলাকার বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকি পরিদর্শন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ডিএনসিসি। এদিন দুটি রেস্তোরাঁয় অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সিলগালা করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়মে ৮ রেস্তোরাঁ থেকে মোট এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

এবার সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা
রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন। সুলতান’স ডাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, তাদের সব কাগজপত্র রয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আপাতত রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। অন্যদিকে কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজউকের কর্মকর্তারা। এর আগে, এদিন সকালে বেইলি রোডের বন্ধ থাকা আরেক রেস্টুরেন্ট ‘নবাবী ভোজ’ সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানের শুরুতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকিবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা
রাজধানীর ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা ও একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলা হয়েছে। নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে সোমবার (৪ মার্চ) অভিযান চালিয়ে রেস্তোরাঁগুলো সিলগালা করা হয় বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজউক পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার জানান, নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রেস্তোরাঁগুলো সিলগালা করা হয়।  তিনি বলেন, ভবনটি মূলত ‘এফ’ ক্যাটাগরির। এটি অফিসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলেও সেখানে অবৈধভাবে প্রায় ১২ থেকে ১৫টির মতো রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওষুধ ও কাপড়ের দোকানও পাওয়া গেছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে যারা এসব করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হবে বলেও জানান তাজিনা সারোয়ার। এর আগে, এদিন বেলা ১১টার পর ভবনটিতে অভিযান শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার। তবে এর আগেই ভবনের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল। এদিকে এই ভবন নিয়ে শুক্রবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ভবনের স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘PLEASE DON’T USE THIS BUILDING FOR YOUR OWN SAFETY’ মুস্তাফা খালিদ লিখেছেন, প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য- সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু হয়েছে তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক ও ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিস্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে। কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর- ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এ-ও জানানো হয় যে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে। তিনি আরও লিখেছেন, উদ্ভট সব যুক্তির বেড়াজালে একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে অসহায় না ভেবে গত মাসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন মাস্টারকে এক বার্তায় এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান। আমার ঘনিষ্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ডিজিকেও তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করলে তিনি সাধ্যমতো তা করবেন বলে জানান। আজ আবার স্টেশন মাস্টারকে বিস্তারিত তথ্য লিখলাম। দেখা যাক কি হয়। যতদূর জানি- এ ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। একজন সচেতন স্থপতি তো বটেই একজন শহরবাসী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বায়ীত্ব দৃশ্যমান অশনিসংকেতের মোকাবিলা করা। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ভবন ও রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

ধানমন্ডির টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিচ্ছে রাজউক
রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের আলোচিত গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিচ্ছে রাজউক। রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী ভবনটির ছাদ ফাঁকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া সেখানে রেস্তোরাঁটি গড়ে উঠেছে। তাই এটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর থেকে রেস্তোরাঁটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে রাজউক। অভিযানে (রাজউক) জোন-৩-এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অফিসের জন্য অনুমোদিত এই ভবনে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ও ফুডকোর্ট। তিনি আরও বলেন, এই ভবনটি এফ ক্যাটাগরির। অফিসের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে অবৈধভাবে প্রায় ৮-১০টির মতো রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অনুমতি রয়েছে কিনা সেগুলা খতিয়ে দেখা হয়। অভিযানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনিয়ম থাকার কারণে ৩৫ জনকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, এই ভবন নিয়ে শুক্রবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ভবনের স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘PLEASE DON’T USE THIS BUILDING FOR YOUR OWN SAFETY’ স্থপতি মুস্তাফা খালিদ লিখেছেন, প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য- সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু হয়েছে তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক ও ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিস্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে। কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর- ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এও জানানো হয় যে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে। তিনি আরও লিখেছেন, উদ্ভট সব যুক্তির বেড়াজালে একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে অসহায় না ভেবে গত মাসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন মাস্টারকে এক বার্তায় এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান। আমার ঘনিষ্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ডিজিকেও তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করলে তিনি সাধ্যমতো তা করবেন বলে জানান। আজ আবার স্টেশন মাস্টারকে বিস্তারিত তথ্য লিখলাম। দেখা যাক কি হয়। যতদূর জানি- এ ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। একজন সচেতন স্থপতি তো বটেই একজন শহরবাসী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বায়ীত্ব দৃশ্যমান অশনিসংকেতের মোকাবেলা করা।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়