• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাময়িক বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে ‘সাময়িক বন্ধ’ নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর পেয়ে সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়কের দুই পাশের শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৫৮৯/সি ঠিকানার ভবনটিতে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘সিরাজ চুইগোস্ত’সহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়া। ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ’ এমন একটি নোটিশ ঝুলানো। এতে ভবনটি আর পরিদর্শন করতে পারেননি ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে সেখানকার বহুতল একটি ভবনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাত তলা ভবনটির প্রতিটি তলাতেই রেস্তোরাঁ ছিল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সকালে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘নবাবী ভোজ’ নামে বেইলি রোডের আরেকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৯

অভিযানের খবরে ভবনের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ, কেয়ারি ক্রিসেন্ট সিলগালা
অভিযানের খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডির কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনের সব রেস্টুরেন্ট। এরপরই ভবনটি সিলগালা করে দেয় অভিযানে আসা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি দল। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ভবনটিতে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় ভবনটি থেকে তিনজনকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। এর আগে, ওই ভবনে অভিযান চালানো হবে এমন খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেখানে থাকা সব রেস্টুরেন্ট। ভবনের মূল গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ। সেখানে লেখা রয়েছে- সকল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকিবে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার মার্কেট এবং নিচ তলার দোকানগুলো খোলা থাকবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে সব রেস্টুরেন্টে তালা লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। নেই কোনো মানুষজন। কথা বলার জন্য ভবন সংশ্লিষ্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ আসেননি। পরে বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠে অভিযানিক দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এর আগে, সোমবার দুপুরে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রাজউকের অভিযানে ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও একটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩২

আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে এক আইনজীবী। সেই সঙ্গে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের। রিটকারী আইনজীবী জানান, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

বেইলি রোডের আগুন / অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিয়ে পুড়ে মরলেন দুই রেস্টুরেন্ট কর্মী
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগার পর অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিলেও ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন এক রেস্টুরেন্টের দুইজন কর্মী। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।  ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  মোহাম্মদ আলতাফ নামে এক রেস্টুরেন্ট কর্মী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তার দুই সহকর্মী নিহত হয়েছেন। তারা অন্যদের ভবন থেকে বের হতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের চেষ্টায় অন্যরা বের হয়ে যেতে সমর্থ হলেও তারা নিজেরা বাঁচতে পারেননি। আলতাফ আরও বলেছেন, ‘যখন সামনে আগুন লাগে এবং কাঁচ ভেঙে যায়, আমাদের ক্যাশিয়ার এবং ওয়েটার সবাইকে বের হতে সাহায্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা দুজনই মারা যায়। আমি রান্নাঘরে যাই এবং একটি জানালা ভেঙে লাফ নিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাই।’ এদিকে, বহুতল ভবনের একটি ফ্লোরে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। রেস্টুরেন্টে আসা শতাধিক মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। তাদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভবনে আটকা পড়ে যায় খেতে আসা মানুষরা। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ১৩টি ইউনিট। তবে, এই সময়ের মধ্যেই দগ্ধ হন বহু সংখ্যক মানুষ। আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।    এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন জানান, আগুনের সূত্রপাত কোনও চুলা অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে। কারণ ভবনটি খুবই বিপজ্জনক ছিল। ভবনের সিঁড়িসহ সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার ছড়ানো-ছিটানো ছিল।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়