• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে যা বললেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মার্চ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তার ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্ট দেন। ফেসবুকের সেই পোস্টে তিনি বেইলি রোডের আগুন ও বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে কথা বলেন। আরটিভির পাঠকদের জন্য সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- বনানীর F R টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার আজো হয়নি : বেলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৬ ছাড়িয়েছে। এর দায় অবশ্যই তাদের নিতে হবে যাদের গাফিলতির কারণে এই নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হলো। স্বজন হারাদের আর্তনাদ, অপূরণীয় ক্ষতি এবং অনেক পরিবারের সুন্দর ভবিষ্যৎ কিভাবে নির্মমতায় শেষ হয়ে গেল, এর বিচার হবে কিনা জানিনা।‌ বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলো, আমাদের ভবনগুলির অব্যবস্থাপনা এবং দেখভাল করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি করেছিলাম একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। তদন্তে ৬২ জনের দায় নিরূপণ হয়েছিল ভবন নির্মাণ এবং তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্য থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে দায়ীদের সকল তথ্য দিয়েছিলাম দুর্নীতি দমন কমিশনকে। অপ্রিয় হলেও সত্য ,তদন্ত রিপোর্টে যাদের দায় নিরুপন হয়েছিল তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়নি। আরো আশ্চর্য যে, তদন্ত শেষে আরো অনেককেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগপত্রে। যাদের দায় নির্ধারণ করেছিল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি, তাদের চেয়ে অনেক নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঐ দায়ীদের একটি অংশকে অব্যাহতি দিয়ে দিলেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে তাদের জামিন হয়ে গেলো। এমনও নজির রয়েছে, কোন কোন আসামিকে একদিনের জন্যেও জেল হাজতে যেতে হয়নি। বিচারে শাস্তি হওয়াতো অনেক দূরের কথা। যতদূর জানি এই মামলার বিচার আজও হয়নি। ওই ঘটনা দেশি-বিদেশি সকল গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ওই ঘটনার পরে ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে অনেক ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে। রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থাকে এজাতীয় ভবনের তদারকের উপরে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বলতে আমার দ্বিধা নেই, সবকিছুই স্থিমিত হয়ে যায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই। এভাবেই অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রভাবশালীদের হাত অনেক লম্বা। তারা সবকিছুই ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন। বেলিরোডের নির্মমতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করলেও অনেকেই এই সকল অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ ঘটনায় দায়ীদের বাঁচাবার জন্যই তৎপর হয়ে যান। নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুড এর ঘটনায় পোড়া দেহগুলি স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করার পূর্বেই জামিন হয়ে গেলো আসামিদের। আমাদের বিবেক কি, নির্বাক হয়ে এসব দেখেই যাবে? নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া কি আর বলার আছে? চিকিৎসাধীন যারা তাদের আরোগ্য কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হোন। এই ঘটনায় দায়ী অপরাধীরা যেহেতু শক্তিশালী, তাদের হাত অনেক লম্বা, তাই তাদের নিয়ে না হয় কোন মন্তব্য করলাম না।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

‘১৩০০ ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি’
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিলাম। কারণ ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ঘটা ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শ ম রেজাউল করিম বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজকে পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। সরকার দলের এ সংসদ সদস্য বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে, সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা আছে। এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। এর আগে সংসদের বৈঠকের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়। এ সময় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক এবং নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৩

দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে : চরমোনাই পীর
দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। কোথাও শান্তি নেই। সর্বত্র মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। মায়ের কোলের শিশুও আজ নিরাপদ নয়।’ তিনি বলেন, ‘দেশে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। ঘরে থাকলে খুন আর রাস্তায় বের হলে হয় গুম। ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদীরা নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে।’ তিনি  আরও বলেন, ‘আমরা একাত্তরকে ধারণ করি। অসহায়, মজলুম ও গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করি এবং এদেশের মানুষের বিশ্বাস ও ইসলাম নিঃসৃত নীতিতে নারীর উন্নয়ন ও মুক্তির জন্য আন্দোলন করি। দেশের সব ধর্মের ও বিশ্বাসের মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

‘শিশু দিয়ে ভোটদান সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ’
শিশু দিয়ে ভোটদান এবং একাধিক ভোট দেওয়া সরকার দলের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পির সাহেব চরমোনাই। বুধবার (১০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের নামে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অতি স্বল্পসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণকে দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে। এতে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটাধিকার হরণ করে খেল-তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতেই মরিয়া হয়ে উঠছে সরকার। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ছিল সরকারের ক্ষমতা নবায়নের জন্যে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন তামাশাপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। একতরফা নির্বাচনে দিনব্যাপী ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারের চরম অভাব লক্ষ্য করা গেছে। শিশুদের দিয়ে ভোটদান এবং একাধিক ভোট দেওয়া সরকার দলের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, শত ভয়ভীতি, প্রলোভন ও সরকারের আহ্বান উপেক্ষা করে ভোট না দেওয়ার মাধ্যমে জনগণ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারকে তামাশা বাদ দিয়ে জনগণের ভাষা বুঝে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই। নগণ্য সংখ্যক ভোটকে কারসাজি করে পার্সেন্ট বাড়িয়ে দলবাজ সিইসি অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দলকানা সিইসি তামাশার নির্বাচন করে ইতিহাসে ঘৃণিত হয়ে থাকবেন। মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, প্রহসনমূলক এ নির্বাচন দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংকটে ফেলবে। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘ডামি সরকার’ গঠনের পথে না গিয়ে সরকারের পদত্যাগ করাই হবে আশু সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়