• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন
পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে ‘কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনে ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ মাবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর যুক্তি রমজানে একমাস ব্যবসা করবে, ১১ মাস বসে থাকবে। সে কারণে রমাজান মাসে মৌসুমির ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অঙ্ক বাড়ে। কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু ও পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মুজত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছেন। অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারণে তারা বারবার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। নেতারা আরও বলেন, মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকর ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম উদ্ভাবনী মডেল হলেও বর্তমানে সেটাকে অকার্যকর করতে নানান চক্রান্ত চলছে। প্রশাসন অভিযান চালালেই ব্যবসায়ীদের প্রতি হয়রানি বলে এটা বন্ধে নানান অপতৎপরতা চালান। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। মানুষরূপী এই সন্ত্রাসীরা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টপোষকতায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের অংশগ্রহণ বারবার বাড়ছে।  টিসিবির পণ্য বিতরণে নানান অনিয়মের কথা উল্লেখ করে এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিসিবি ও খাদ্য বিভাগের ওএমএসের পণ্য সংগ্রহে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও জনদরদী নেতাদের ও তথাকথিত ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের তাদের কথা ভাববার সময় নেই। যার কারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেওয়ার মতো।  ক্ষুব্ধ বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার মসলা, আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যহত হচ্ছে। আর সংকট হলেই প্রশাসন বলেই বেড়ান সাঁড়াশি অভিযান হবে বলে হুংকার দিলেও শেষ পর্যন্ত খুচরা দোকানে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে কার্যত ব্যর্থ করে দিচ্ছেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বাজার তদারকিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও সেগুলো কাগজে কলমেই থেকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে তার কোনো সুফল আসছে না।  ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় রিকশা মিছিল ও মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইদ্রিস আলী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভূঁইয়া, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম, ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ব ম হুমায়ুন কবির প্রমুখ।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়