• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় যোগদানে প্রচলিত পেনশন মিলবে না আর
চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন সুবিধা পাবেন না তারা। এর বদলে বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে নতুনদের।  সম্প্রতি অর্থ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর যোগ দেবেন, সরকার তাদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করল। প্রসঙ্গত, চারটি আলাদা কর্মসূচি (স্কিম) নিয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয় গত বছরের ১৭ আগস্ট, যার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কিমগুলো হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস ও সমতা। প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য। সমতা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাঁদের আয়সীমা বার্ষিক অনূর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য।  প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। আর সুরক্ষা রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। সর্বজনীন পেনশনে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সের সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।   আর সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোতে এখন পর্যন্ত চালু পেনশন সুবিধা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীরা সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখেন, যার বিনিময়ে সরকার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে সুদ দেয়। পেনশনে যাওয়ার পর এ টাকা পেয়ে থাকেন অবসরভোগীরা। যেসব সরকারি কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।   জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে সরকার, তারই অংশ হিসেবে এ দফায় নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোতে আগামী ১ জুলাইয়ের পর যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের জন্য ‘প্রত্যয়’ নামের একটি কর্মসূচি চালুর চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, বর্তমানে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা যে পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছেন, তাদেরও প্রত্যয় নামের নতুন পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের বিদ্যমান পেনশনের সুবিধা সমর্পণ করতে হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে জানিয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আগামী সপ্তাহে পেনশন সংক্রান্ত এ নতুন বিধিমালা জারি হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, বর্তমানে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৪০০ সংস্থা রয়েছে, যেগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৪ লাখের বেশি। এ ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বিএসটিআই ইত্যাদি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৬

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বেচে দিচ্ছে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার
অর্থ সংকটের কারণে পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই দেশের পতাকাবাহী এই সংস্থাটিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এক মন্ত্রীর বরাত দিয়ে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের এই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই  নিয়মিত লোকসানে পরিচালিত হচ্ছিল। এরপরও দেশটির আগের সরকার এই সংস্থাটির সংস্কার বা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের আওতায় তৎকালীন সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল।  উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কাজ দেশে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু আগস্টে বিদায়ী নির্বাচিত সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে যায়। তার সূত্র ধরেই, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার পিআইএ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।    পাকিস্তান সরকারের বেসরকারিকরণ বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ হাসান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘পিআইএ বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করা সংক্রান্ত কার্যক্রম ৯৮ শতাংশই সমাধান হয়ে গেছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর এক্সেল শিটে হিসাব-কিতাব করে বাকি ২ শতাংশও শেষ করা হবে।’ ফাওয়াদ হাসান বলেন, লেনদেন বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং পিআইএ বিক্রির পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করেছে। এই পরিকল্পনা নির্বাচনের পর বর্তমান প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা টেন্ডারের মাধ্যমে বা সরকার থেকে সরকারি চুক্তির মাধ্যমে পিআইএ-এর শেয়ার বিক্রি করবে কি না তাও সিদ্ধান্ত নেবে।  আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার ঠিক সাত দিন আগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিক্রির সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র চার মাসে আমরা যা করেছি, তা অতীতের সরকারগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে করার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারেনি। এখন আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।’ 
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়