• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পু একযোগে কাজের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ সমন্বয় ও উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, দুই দেশ নিজ নিজ দেশের সম্ভাবনা ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে।  বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা বলেন। বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচকভাবে বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধান সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন। ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানি জেটসুন পেমা এখন চারদিনের সরকারি সফরে ঢাকায়।  আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ঐতিহাসিক মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভুটানের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান দু’দেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞ চিত্তে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সংস্কৃতিসহ সামাজিক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তার দেশের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উল্লেখ করেন এবং গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ভুটানের রাজা বাংলাদেশ উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগতমানের প্রশংসা করেন এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে ভুটানের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে সেদেশের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভুটানের রাজা ও রানি বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভুটানের রাজাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ভুটানের রানি জেটসুন পেমাকে আরেকটি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০২:০৮

রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় তারা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা। এদিন সকাল ৬টায় দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। সস্ত্রীক তিনি স্মৃতিসৌধে উপস্থিত থেকে প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার আগে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর। সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

রাষ্ট্রপতির সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন 
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সম্মিলিত ‘সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪’ পরিদর্শন করেছেন।  সোমবার (২৫ মার্চ) রাষ্ট্রপ্রধান তিন বাহিনীর বিভিন্ন স্টল এবং প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন, যেখানে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এবং যুদ্ধের অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, রাষ্ট্রপতিকে সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় তিনি সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর সৈন্যদের ব্যবহৃত বিভিন্ন হালকা ও ভারী অস্ত্র প্রত্যক্ষ করেন। রাষ্ট্রপতি ও অতিথিরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং পরে ফটোসেশনে যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাকে স্বাগত জানান। এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫২

এবার মীমের অভিযোগ গেল রাষ্ট্রপতির কাছে
দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা ফারজানা মীমের যৌন হয়রানির অভিযোগ এবার রাষ্ট্রপতির কাছে গেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বঙ্গভবনে গিয়ে দিয়ে আসা আবেদনে, রাষ্ট্রপতির কাছে যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের বিচার চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। আবেদনে ফারজানা মীম লিখেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে উপাচার্য বরাবর আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বুলিং ও যৌন নির্যাতনের বিচার চেয়ে একটি আবেদন দায়ের করি। বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর তখন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের দায়িত্বে ছিলেন। এটার বিচার আমি এখনও পাইনি, উল্টো আমাকে যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক ও তার সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান, অনার্স পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা আমাকে ভীষণরকম বহিষ্কার ভয়ভীতি, পরীক্ষার ফেল করানো, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করে মৃত্যু হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে আমি সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করি। এ অবস্থায়, আপনার (রাষ্ট্রপতি) কাছে সর্বশেষ আশা ভরসা নিয়ে আবেদন জানাচ্ছি। আপনার পক্ষ থেকে এই বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতার ব্যবস্থার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আমাকে ফেল করানো বিষয়গুলো আপনার নির্ধারিত বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে আমার জীবনকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আকুল আর্জি জানাচ্ছি। এর আগে, গত ১৮ মার্চ বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন ও জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন মীম। এ বিষয়ে ডিবি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এর আগে এ ছাত্রী বিভিন্ন জায়গায় বিচার দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। মিমের অভিযোগ পেয়েছি। তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা নিশ্চিতের চেষ্টা করব। তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ডিবির সাইবার টিম।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৬

মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের প্রত্যয়নপত্র পেশ
মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি মোহামেদ উল্ড শেখ এল ঘাজুওয়ানির নিকট বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন প্রত্যয়নপত্র পেশ করেছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটে অবস্থিত রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গার্ড অব অনার সম্বলিত রাষ্ট্রাচারের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রাচার পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে শুভেচ্ছা জানান। মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি মোহামেদ উল্ড শেখ এল ঘাজুওয়ানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন জানান। সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জুলকার নায়েন বিগত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র বিশদভাবে তুলে ধরলে মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত আছেন বলে জানান। রাষ্ট্রপতি ঘাজুওয়ানি দুই দেশের মধ্যকার উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত দেন। রাষ্ট্রদূত জুলকার নায়েন এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মৌরিতানিয়ার কূটনৈতিক বছরব্যাপী স্নাতকোত্তর কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন বলে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং মৌরিতানিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কন্নোয়নে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। উল্লেখ্য, গত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে মৌরিতানিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মৌরিতানিয়ায় তৈরি পোশাক ও ওষুধ প্রধান রপ্তানি পণ্য হলেও ভবিষ্যতে এ দুটি’র পাশাপাশি খেলনা, আসবাবপত্র, মাছ ধরা ট্রলার হতে অধিকতর রপ্তানির ব্যাপারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও মৌরিতানিয়া সরকারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

রপ্তানি বাজার ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বিশ্বের সম্ভাব্য সকল স্থানে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বাজারকে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্বের সম্ভাব্য সকল স্থানে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বাজারকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ সময় বস্ত্রখাতে বিনিয়োগ, উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে শিল্পপতি, শিল্প উদ্যোক্তাগণসহ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।  কয়েকটি পণ্যের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর জোর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে এবং অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, কোন দুষ্টচক্র বা স্বার্থান্বেষী মহল যাতে উৎপাদনমুখী কারখানার পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে ও থাকবে। সাহাবুদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা সম্প্রাসারণ ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বৈদেশিক বাণিজ্য এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, প্রতিযোগিতামূলক এবং জ্ঞান ও নীতিমালাভিত্তিক। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকরাই উৎপাদনমুখী শিল্পের চালিকাশক্তি। কারখানা ও শ্রমিক একে-অপরের পরিপূরক। শ্রমিক ভালো থাকলে কারখানা ভালো থাকবে। মনে রাখতে হবে আপনারা শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা পরিচালনা করছেন না। আপনাদের সামাজিক দায়িত্বের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।  তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম, শক্তিশালী, নিরাপদ ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদানুযায়ী ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন নতুন প্রযুক্তিসমূহকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে। দেশের সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে  বস্ত্র ও পাট খাতের ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বস্ত্র শিল্পের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমঘন এই সেক্টরে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ‘স্মার্ট টেক্সটাইল’ সেক্টর গড়ে তোলা সম্ভব। সাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমানে বস্ত্রখাত আমাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে শুধু জাতীয় অর্থনীতিকেই সমৃদ্ধ করেনি, একই সঙ্গে নিশ্চিত করেছে অগনিত মানুষের কর্মসংস্থান যার ৮০ শতাংশ মহিলা এবং পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস। তিনি জানান, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ বস্ত্র শিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বর্তমান সরকারের নেওয়া সকল কার্যক্রম বাংলাদেশের বিকাশমান বস্ত্রখাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিকট আকর্ষণীয় করে তুলবে। সূত্র : বাসস
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২১

পেরুর রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরু প্রজাতন্ত্রের রাজধানী লিমায় ও পেরুর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়- গভর্মেন্ট প্যালেসে ৮ ফেব্রুয়ারি পেরুর রাষ্ট্রপতি দিনা বুলোরাটের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।  পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পেরুর রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি উপযুক্ত মূহুর্ত। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে। এছাড়া জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পেরুর রাষ্ট্রপতি দিনা বুলোরাটে রাষ্ট্রদূত মুহিতের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন এবং তার মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মিসেস রুবি পারভীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার শাহানারা মনিকা।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫২

পুনরায় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন জয়নাল আবেদীন
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব (সচিব) মো. জয়নাল আবেদীনকে একই পদে পুনরায় এক বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত মো. জয়নাল আবেদীনকে বর্তমান চুক্তির ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪০

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবীবুল আউয়াল। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে ইসির সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান কাজী হাবীবুল আউয়াল। এ সময় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জনান। রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্ব এবং নির্বাহী বিভাগের সার্বিক সহযোগিতার ফলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে করতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১২

রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরে বন্ধ থাকছে না রিসোর্ট-কটেজ
আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিন অবকাশ যাপনে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ির সাজেকভ্যালি পর্যটন কেন্দ্র সফরে আসবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরে রিসোর্ট-কটেজ ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকছে না বলে জানিয়েছেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।  তিনি জানান, ‘রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে সাজেকে কটেজ, রেস্টুরেন্ট কোনোটাই বন্ধ থাকবে না। রাষ্ট্রপতি অন্যান্য পর্যটকদের সঙ্গেই সাজেকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করবেন।’ মেঘ-পাহাড়ের উপত্যকা সাজেক ভ্যালি আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে অবস্থিত। রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক বরাবর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আপন বিভাগের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ১০-১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক সফর করবেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার সফর সঙ্গীগণের গমনাগমনের প্রশাসনিক, আবাসন ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত বছরের ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরের সিডিউল থাকলেও পরে ‘অনিবার্য কারণবশত’ সফরটি স্থগিত করা হয়। ওই সফরকে কেন্দ্র করে ১৮-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন সাজেকের সব কটেজ-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সাজেক কটেজ মালিক সমিতি। তবে আগামী ১০-১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে রিসোর্ট, কটেজ ও রেস্টুরেন্ট কোনোটাই বন্ধ থাকছে না বলে জানান জেলাপ্রশাসক।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়