• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সিরিজ জয়ের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন 
ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শান্ত-মিরাজরা। এই জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে থাকতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শান্ত-মিরাজরা। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। টাইগারদের হারিয়ে ১-১ সিরিজে সমতা আনে লঙ্কানরা। তাই শেষ ম্যাচটি হয়ে যায় অঘোষিত ফাইনাল। অন্যদিকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এবার ওয়ানডে সিরিজ জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিলো শান্ত বাহিনী।
২৩ ঘণ্টা আগে

রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাদের এই সফর ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন।  এরই মধ্যে শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। উৎসাহের কমতি নেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝেও। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এরইমধ্যে নিরাপত্তাসহ সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষ করেছে প্রশাসন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।  জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৮

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টার যোগে তাদের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পর তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে শিশু দিবসের আলোচনা সভায় ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:২৪

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে পৃথক বার্তায় তারা এই শোক প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এর আগে, সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আরিফ টিপু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্যে মেডিকেল চেকআপ শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।  বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ  (আইজিপি) সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।   রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাতের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।   গত ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত বিমানে আরব আমীরাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন। আমীরাত থেকে তিনি মেডিকেল চেকআপের অংশ হিসেবে ৬ মার্চ লন্ডনে পৌঁছান। সফরকালে স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা, বঙ্গভবনের সচিব ও বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৬

বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।  রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো দৈনিক কর্মসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  এর আগে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ৩ মার্চ আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপ্রধান। এরপর ৫ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আরব আমিরাত থেকে লন্ডনে যান সাহাবুদ্দিন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ও বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা তার সঙ্গে ছিলেন। লন্ডনের পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি কেমব্রিজ শহরে যান। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা ফুল দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বিদেশে কার্ডিয়াক বাইপাস সার্জারি করান।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় : রাষ্ট্রপতি
বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ যথার্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরও বলেন, বাংলাদেশে নারীদের সমঅধিকার, সমসুযোগ ও সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল হিসাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে যা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৬

৭ মার্চের ভাষণ পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির মহাকাব্য : রাষ্ট্রপতি
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চেরঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য’ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। বাংলার মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিলো। তাই, তার ভাষণে মূলত মানুষের মনে কথাগুলো ফুটে উঠেছিল।  রাষ্ট্রপতি বলেন, পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে  পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাক্সিক্ষত পথ।  ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’ মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ  নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১০:২৪

যুক্তরাজ্যের পথে রাষ্ট্রপতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং যুক্তরাজ্যের (ইউকে) উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শনিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বৃটিশ হাই কমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি), ঊর্ধ্বতন সামরিক  ও বেসামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান। স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মেডিক্যাল চেকআপের সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন। আগামী ১৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন বলে বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় দগ্ধ হয়ে নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি  শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা। এছাড়া বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  শুক্রবার (১ মার্চ) বঙ্গভবন থেকে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠানো হয়। এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে । শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।   আর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো শোক বার্তায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।  এছাড়া আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তায়।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের মরদেহ এরইমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে মোট ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে। এদিকে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।    
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়