• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
যে কারণে রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি দীপিকা
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন ঘিরে অযোধ্যায় ছিল ‘মহোৎসব’। এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে বলিউডের আমন্ত্রিত তারকারা সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরেই পৌঁছে যান অযোধ্যায়।  শুধু বলিউড তারকারা নন, হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণী অভিনেতারাও। অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে উপস্থিত ছিলেন- অমিতাভ বচ্চন, অনুপম খের, রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকারা। তবে বলিউডের তিন খান– শাহরুখ, সালমান ও আমিরের মতো আমন্ত্রণ পাননি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। রামমন্দিরে ডাক না পেলেও নিজ বাড়িতে উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু কেন অযোধ্যায় আমন্ত্রণ পেলেন না তিনি? দীপিকা বরাবরই সাবধানি। বেফাঁস মন্তব্য করতে কখনোই দেখা যায় না তাকে। অস্কারের মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। একাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত তিনি। সিনেমায় তার কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। তবুও রামমন্দির উদ্বোধনে আলিয়া-ক্যাটরিনা-কঙ্গনারা গেলেন, অথচ বাড়িতে বসে আছেন দীপিকা। নিজে সাবধানি হলেও অভিনেত্রীর কিছু পদক্ষেপে নাকি বিরক্ত গেরুয়া শিবির। বলিউড সূত্রের খবর, দীপিকাকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের রাগের কারণ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর এবিভিপির হামলার সময় তাদের সাবেক ও শিক্ষক সংগঠনের ডাকা প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়েছিলেন দীপিকা। সেখানে ছাত্রসংসদের আহত নেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরাও ছিলেন। ছিলেন কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়া যখন আজাদির স্লোগান তুলছিলেন, তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা। কোনো বক্তৃতা দেননি, শুধুই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারও আগে হিন্দু সংগঠন ও গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়েন তিনি ‘পদ্মাবত’ ছবি নিয়ে। সেই সময় তার নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার ছবি বয়কটের ডাকও দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে দীপিকা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। সম্প্রতি ‘পাঠান’ ছবি মুক্তির সময় দীপিকার পরনের গেরুয়া বিকিনি নিয়ে আপত্তি জানায় গেরুয়া শিবির। অনেক জলঘোলা হয় তা নিয়ে। এক্ষেত্রেও চুপ ছিলেন দীপিকা। এবার রামমন্দির উদ্বোধনে আদৌ ডাক পেয়েছেন কি না, সেই বিষয়েও নীরবতা বজায় রেখেছেন তিনি। তবে রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র মুহূর্তে অভিনেত্রী ছোট্ট একটি প্রদীপ জ্বালিয়েছেন নিজ বাড়িতেই।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৮

রামমন্দির উদ্বোধনে গেলেন না মমতা
অযোধ্যায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অনুষ্ঠানে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বরং এদিন তিনি কলকাতায় সংহতি মিছিলের আয়োজন করেন। আজ বেলা তিনটায় কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংহতি যাত্রায় অংশ নেন। সংহতি যাত্রা শুরু হয় হাজরাপার্ক থেকে আর শেষ হয় পার্ক সার্কাসে গিয়ে। সংহতি মিছিলে যোগ দেন হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি, ইহুদি ধর্মের প্রতিনিধিরা।  এরপর মমতা পার্ক সার্কাসে আয়োজিত সভায় বলেন, ‘আমরা এই রাজ্যে ধর্মের নামে বিভেদ চাই না। আমরা যেন একসাথে থাকি। আমরা ধর্মে ধর্মে বিভেদে চাই না।’ মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী জাভেদ খান প্রমুখ।  মিছিলের আগে মমতা কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পূজা দেন। এরপর তার সংহতি যাত্রার মাঝে পথিমধ্যে শিখ সম্প্রদায়ের গুরুদুয়ারা। পার্ক সার্কাসের গির্জা থেকে বেরিয়ে কাছের এক মসজিদে যান মমতা। এরপর পার্ক সার্কাস ময়দান গিয়ে সভায় বক্তব্য দেন মমতা।  রামমন্দির উদ্বোধনে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; কিন্তু কয়েক দিন আগেই মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অযোধ্যা যাচ্ছেন না। এমনকি রামমন্দির উদ্বোধনকে ‘ভোটের আগে গিমিক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। তৃণমূল নেতারা বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতির খেলা শুরু করেছে। এমন কথা শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন, যত দিন তৃণমূল সরকার থাকবে, তত দিন আমি এই রাজ্যে ধর্ম নিয়ে বিভাজন হতে দেব না। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব। থাকব সব ধর্মের মানুষদের নিয়ে। মমতা বলেন, যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম- কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকেই ভুলে গিয়েছেন।  ‘জয় বাংলা, জয় সম্প্রীতি। সব ধর্ম ভাই ভাই। দেশকে ভাগ করতে দেব না। আমরা শান্তি চাই’- বলেন মমতা। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাফ ছুটির সমালোচনা করে মমতা বললেন, নেতাজীর জন্মদিনে তাদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম। দেয়নি। আর আজ তারা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ আমি দিয়েছি, অথচ বৈঠকে সম্মান পাই না। সিপিএম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে। আমি সেটা মানব না। এদিকে আজ সকালে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অযোধ্যায় রামমন্দিরের শুভ উদ্বোধনকে স্মরণে রাখতে কলকাতায় আয়োজন করেন ‘অকালবোধন যাত্রার।’ এই যাত্রায় ছিল অযোধ্যার রামমন্দিরের একটি ট্যাবলো। আর ছিল দুর্গা প্রতিমা। এই যাত্রায়ও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৩

বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির উদ্বোধনের আতশবাজির ট্রাকে আগুনের খবরটি সত্যি নয়
ভারতের বাবরি মসজিদের জায়গায় বহুল আলোচিত রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অনুষ্ঠানের আতশবাজির ট্রাকে আগুন লেগেছে। প্রকাশিত খবরটি সত্যি নয়।  ট্রাকটি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য আতশবাজি বহন করছিল না বরং উত্তর প্রদেশের দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি পরিবহন করছিল। ভারতীয় গণমাধ্যম ও স্থানীয় পুলিশ ট্রাকটি উত্তর প্রদেশের দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি পরিবহণ করছিল বলে নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফারণের এ দৃশ্য ধারণ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আগামী সোমবার অযোধ্যার আকাশে যে আতশবাজি জ্বলার কথা ছিল তা এক সপ্তাহ আগেই দেখে ফেলেন উন্নাওবাসী। জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি আতশবাজি বোঝাই ট্রাক নম্বর TN 28 AL 6639 পূর্বা থানার অন্তর্গত খড়গিখেদা গ্রামের কাছে অজ্ঞাত কারণে আগুন ধরে যায়। ট্রাকটি তামিলনাড়ু থেকে বাহরাইচ যাচ্ছিল এবং এতে দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি, শিশুদের পোস্টার, চলচ্চিত্র শিল্পীদের পোস্টার এবং ধর্মীয় পোস্টার বোঝাই করা ছিল। অর্থাৎ ট্রাকটিতে অযোধ্যার মন্দিরের অনুষ্ঠানের আতশবাজি পরিবহন করা হচ্ছিলনা। নোট: উক্ত বিষয়ে ভুল তথ্যের কারণে ‘বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির উদ্বোধনের আতশবাজির ট্রাকে আগুন’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ হয়। সঠিক তথ্য জানার পরে আরটিভি অনলাইন সংবাদটি সংশোধন করে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘বুম বাংলাদেশ’ বিষয়টি শনাক্ত করে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়