• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার 
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে-কে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)-এর সদস্য পদে সানুগ্রহ নিয়োগ প্রদান করলেন। সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকে আগামী পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছর পূর্ণ হওয়া-এর মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য, ড. পাণ্ডে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৬ সালে তিনি নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া স্টাডিজ কোর্স ও ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দুই যুগের অধ্যবসায়কালে তিনি দুই শতাধিক স্নাতক, ৩৭ জন মাস্টার্স, ৩ জন পিএইচডি এবং ১ জন শিক্ষার্থীর এমফিল তত্ত্বাবধানে করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ২৬টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), ইউনিসেফ বাংলাদেশ, সোশ্যাল মার্কেটিং কমিউনিকেশন (এসএমসি), দ্যা এশিয়া ফান্ডেশন, ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্লাস্ট (ইউএনডিপি), আর্জেল নাইনটিন, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এবং ট্রান্সপারেন্স ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (আইএনডিপি) সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তি উন্নয়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গবেষণা পরামর্শক এবং ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করেছেন।   
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:০৯

হিজাব-নিকাব পরায় হেনস্থা, অভিযুক্ত রাবি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য ও কটাক্ষ করার অভিযোগে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এদিন দুপুরে বিভাগের একাডেমিক কমিটির এক সভায় ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটি সভা করা হয়েছে। সভায় অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই অব্যাহতি কার্যকর হবে। তিনি অভিযোগ স্বীকার করায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এর আগে মানববন্ধনে স্টপ সারকাজম অ্যাবাউট হিজাব, শিক্ষক যদি এমন হয়, আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? বাবার মতো শিক্ষকের এ কেমন আচরণ! মাই হিজাব, মাই রাইট, ‘নিকাব নিয়ে হয়রানি, মানছি না, মানব না’, শেখ হাসিনার বাংলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ঠাঁই নাই, হিজাব আমার অধিকার, হিজাব আমার অহংকারসহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ফাতেমাতুস সানিহা নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের কাজ হচ্ছে সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখা। অথচ সেই শিক্ষক (ড. হাফিজ) ক্লাসের প্রথম দিনেই একটা কাগজ দিয়ে বাতাস করায় আমাকে দাড় করান। তিনি বলেন, পা থেকে মাথা পর্যন্ত এভাবে প্যাকেটের মতো করে এসেছো কেন? তোমার গরম তোমার কাছে রাখো। তিনি আমার সম্মানিত পোশাককে প্যাকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সংবিধানেরও অবমাননা করেছেন। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার এবং প্রত্যেকের পোশাকের স্বাধীনতা রয়েছে। ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, তিনি শুধু আমাকেই এমন কথা বলেননি, আমার বান্ধবীদেরও বলেছেন। আমার এক বান্ধবীর নিকাবকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘হোয়াট ইজ দিস? এ রকম লম্বা এটা কি ঝুলিয়ে এসেছো?’ এভাবে তিনি আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে হেনস্তা করেছেন। আমি চাই না, আমাদের এই শান্তিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো বোন এভাবে হেনস্তার শিকার হোক। আমি চাই না, আর কোনো বোন বুলিংয়ের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ুক। ড. হাফিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের থেকে আমরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনোই আশা করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা বহির্বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. হাফিজুর রহমানের মতো কিছু শিক্ষক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি বলেন, স্পষ্টতই এখানে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ছাত্রীদের ফ্লার্টিং মেসেজ করেছেন। মেসেজগুলো খুবই অরুচিপূর্ণ। এক শিক্ষকের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এ ধরনের মেসেজ মানানসই নয়। তিনি ক্লাসের মধ্যে ছাত্রীর হিজাব খুলতে বাধ্য করেছেন। এটা যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও। ড. হাফিজুর রহমানকে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।  একপর্যায়ে মানববন্ধনের স্থানে আসেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এবং কয়েকজন সহকারী প্রক্টর। এ সময় উপ-উপাচার্য আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা বিষয়টা অবগত আছি। একটা জরুরি মিটিং ডেকেছি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে। মিটিংয়ের পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়। প্রয়োজনে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ফেসবুকে ইসলামিক স্টাডিজ পরিবার (রাবি) নামে একটি গ্রুপে সিদরাতুল মুনতাহা নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে হিজাব-নিকাব পরে যাওয়ায় কটাক্ষ ও হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের সঙ্গে করা আপত্তিকর কিছু কথোপকথনের স্কিনশটও পোস্ট করা হয় ওই গ্রুপটিতে। এরপর বিকেলে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬

রাবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জামিল, সম্পাদক মাহিন
প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জুবায়ের জামিলকে সভাপতি ও জাগো নিউজের প্রতিনিধি মনির হোসেন মাহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেস ক্লাবের ২০২৪-২৫ সেশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন। ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি সৈয়দ সাকিব (বাংলাভিশন) ও আসাদুল্লাহ গালিব (প্রতিদিনের বাংলা), যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নুর আলম নেহাল (রাজটাইমস), কোষাধ্যক্ষ আশিকুল ইসলাম ধ্রুব (দৈনিক ইত্তেফাক), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মারুফ হোসেন মিশন (দৈনিক মানবজমিন/দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুবায়ের জিসান (ঢাকা পোস্ট), দপ্তর সম্পাদক মিরাজ আহম্মেদ আফ্রিদি (দৈনিক আমাদের নতুন সময়), ক্রীড়া সম্পাদক এম. শামীম (দৈনিক মানবকণ্ঠ)। এতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা খানম সারথি (পিবিএ নিউজ এজেন্সি), আল মাহমুদ বিজয় (দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস) ও সাবিনা ইয়াসমিন (যমুনা প্রতিদিন)। ফলাফল ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফজলুল হক, প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ও সদ্য বিদায়ী সভাপতি কামরুল হাসান অভি। নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, রিপোর্টার্স ইউনিটি, শিক্ষক ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:২১

রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য এবারও চলবে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে গত বছরের মতো এবারও বিশেষ ফ্লাইট চালাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রাজশাহী জেলা ব্যবস্থাপক মহিদুল ইসলাম শান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আমরা শিডিউলটি পাবলিশ করে দেব। এরপরই সেটি অনলাইনে পাওয়া যাবে।  মহিদুল ইসলাম শান্ত আরও জানান, গত বছর প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে বিমান বাংলাদেশ বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছিল। সোশ্যালি এবং কমার্শিয়ালি গতবার আমরা সাকসেসফুল হয়েছিলাম; বিমানও সেটি এপ্রিসিয়েট করেছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায়ও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতের বিষয়টি চিন্তা করে আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ মার্চ বিমান বাংলাদেশ বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে।  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ শুরু হচ্ছে। ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট এবং ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের মতো ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। এক ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১.২৫। প্রাথমিক ও চূড়ান্ত পর্যায়ে আবেদন শেষে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট একক ভর্তি পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০ জন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৬

রাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমতিয়াজ, সম্পাদক রিপন
দেশ রূপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নোমান ইমতিয়াজকে সভাপতি ও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি রিপন চন্দ্র রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।  সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক খবরের কাগজের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান এনায়েত করিম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি-১ আব্দুস সবুর লোটাস (কালবেলা), সহসভাপতি-২ অর্পণ ধর (সমকাল), যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইরফান তামিম (সোনালী সংবাদ), কোষাধ্যক্ষ আসিফ আজাদ সিয়াম (দৈনিক বাংলা), সাংগঠনিক সম্পাদক সাজিদ হোসেন (প্রথম আলো), দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সুমন (খবরের কাগজ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মীর কাদির (ডেইলি মেসেঞ্জার), সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল-মামুন আশিক (আমার সংবাদ), ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন (নয়া শতাব্দী), কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ফাহির আমিন (সময়ের আলো), কার্যনির্বাহী সদস্য-১ মাহবুব হাসান (কালের কণ্ঠ), কার্যনির্বাহী সদস্য-২ শাকিবুল হাসান (রাইজিংবিডি) এবং কার্যনির্বাহী সদস্য-৩ জাহিদুল ইসলাম (সাম্প্রতিক দেশকাল)। এছাড়া কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন গোলাম রববিল ও আব্দুল আহাদ।  উপদেষ্টা-১ হিসেবে আছেন তৌসিফ কাইয়ুম (বাংলা ট্রিবিউন), উপদেষ্টা-২ সাইফুর রহমান (ডিবিসি নিউজ) ও উপদেষ্টা-৩ সোহানুর রহমান রাফি (ইউএনবি)। কমিটি ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী কমিটির উপদেষ্টা নূর আলম (সময়টিভি), রাবিসাসের সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন শিমুল (কালবেলা, রাজশাহী ব্যুরো) ও সাবেক সভাপতি সুজন আলী (নিউ এইজ, নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী)। এদিকে নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাবি প্রশাসন, রাবি শিক্ষক সমিতি, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাবি প্রেসক্লাব, রাবি ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৭

রাবি চারুকলায় বসন্তের সাজ
‘আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা কারা যে ডাকিল পিছে বসন্ত এসে গেছে’ চারিদিকে কোকিলের কুহু কলতান আর প্রকৃতিকে বাসন্তী সাজে মাতোয়ারা করে অনুপম রায় রচিত এই গানের মতো সত্যিই বসন্ত এসে গেছে। রাত পোহলেই কাল বসন্ত। পলাশ আর শিমুল রাঙা বসন্তের আগমনে প্রতিবারের ন্যায় এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করেছে ‘বসন্ত বরণ উৎসব-১৪৩০’। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে চলছে বসন্ত বরণ উপলক্ষে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। অনুষদের প্রধান ফটক পেরুতেই দেখা হয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী জান্নাতুল আরেফিন আফ্রিদীর সঙ্গে। তিনি জানান, এবারের বসন্ত আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে অনুষদের ‘চিত্রণ-২৫’ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।  একটু সামনে এগুতেই দেখা যায় চারুকলার ফটক সাজাতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন অনুষদের কারুশিল্পের শিক্ষার্থী নুরেন তারান্নুম নওরিন ও ছাপচিত্রের শিক্ষার্থী তীর্থ কান্তি প্রামাণিক। দুজনে বলেন, বসন্তকে ঘিরে তারা সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করছেন। কাজ করতে সকলের অনেক ভালো লাগছে। অনুষদের মঞ্চের দিকে আরও জোড়ালোভাবে কাজ চলছে বলে জানান তারা। মঞ্চের দিকে চোখ দিতেই দেখা গেলো হলুদ, লাল আর রক্তিম পলাশের বর্ণের ন্যায় সাজানো হচ্ছে মঞ্চ। কাছে গিয়ে দেখা যায় পুরো মঞ্চ জুড়ে বাসন্তী রঙের আভা ছড়াচ্ছে বেশকিছু লোকজ ধাঁচের চিত্র। চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, মাছ, শখের হাঁড়ি, ঢোল, ঘুড়ি, হাতপাখা, একতারা, লক্ষী পেঁচা, হাতিসহ বিভিন্ন লোকজ ধাঁচের মোটিফ। আর এই পুরো মঞ্চ রাঙিয়ে তুলতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছেন অনুষদের চিত্রকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী প্রণব রায়।  প্রণব রায় বলেন, এবারের পুরো মঞ্চটিকে মূলত ঘুড়ির আদলে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বসন্তের বাতাসে খোলা মাঠে, গ্রামেগঞ্জে একসময় ঘুড়ি উড়ানো হত। তবে কালের বিবর্তনে ঘুড়ি এখন হারানোর পথে। সেই ঘুড়িকে মানুষের মাঝে টিকিয়ে রাখতেই আমাদের এই প্রয়াশ। এছাড়া এবারে ডামি বানানো না হলেও থাকছে ঘুড়ির নাটাই। এর বাইরে চিত্রকর্মের মাধ্যমেই পুরো বসন্তের আমেজকে আমরা ফুটিয়ে তুলতে চাই। এজন্য আমাদের সকল সাজসজ্জায় বাসন্তী রঙের আর্ধিক্য রেখেছি। এছাড়া যেহেতু বসন্তের দিনে ভালোবাসা দিবস, স্বরস্বতী পূজা এবং সুন্দরবন দিবস। আমরা এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবগুলোই উদযাপন করব। মঞ্চের সামনে দেখা যায় পাটকাঠি এবং কাগজের ফুল, লতা-পাতা ও পাখি দিয়ে বানানো হচ্ছে কোকিল চত্বর। এর নিচে দেওয়া হয়েছে একটি ক্যাকটাস। এবিষয়ে অনুষদের কারুশিল্পের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসেন বলেন, সকল বাধা বিপত্তি উতরিয়ে বসন্ত আসছে। বসন্তের কোকিল ডাকছে। এভাবে আমাদেরও বেশ কণ্টকাকির্ণ পথ পাড়ি দিতে হয় জীবনে। সেজন্যই ক্যাকটাসের উপরে বানানো হয়েছে কোকিল চত্বর। এছাড়া আমরা সবকিছুই সাজিয়েছি বাঙালিয়ানা ধাঁচে। খড়, পাটকাঠি, বাঁশসহ হাতের কাছে পরে থাকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই আমরা রাঙিয়ে তুলছি চারুকলা প্রাঙণকে। বসন্তের দিনের আয়োজন নিয়ে কথা হয় চিত্রকলার শিক্ষার্থী উম্মে রুম্মান অভির সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের বসন্তে কাঁথা পুড়িয়ে শীতকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি চারুকলার নবীনদের বরণ করে নেওয়া হবে। কাঁথা পুড়ানোর আগে থাকবে আলোচনা সভা। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয় এবং কোষাধ্যক্ষসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এরপরে একটি র‌্যালি নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করা হবে। এছাড়া বসন্তের দিনে চারুকলা প্রাঙণে থাকবে বেশকিছু পিঠার দোকান আর দিনব্যাপী পুতুল চত্বরে চলবে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। আর সাংস্কৃতিক আয়োজনে থাকবে বাঙ্গালী সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত আবৃতি, নাচ ও গানের পরিবেশনা। চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বসন্ত বরণের আয়োজন করেছি। এটা পর্যায়ক্রমে আমাদের অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর আয়োজন করে থাকে। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের বাঙালীর ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করি। পহেলা বৈশাখ যেভাবে জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে, সেভাবে এই উৎসবটিও যেন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয় আমি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০২

ডেঙ্গুতে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, শোকে মারা গেলেন বোনও
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুরাদ আহমেদ মৃধা নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মুরাদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তার চাচাতো বোন দোলেনা বেগম।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে মারা যান তিনিও। মুরাদ মৃধার গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামের খাটাসখৈল গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় মঙ্গলবার সকালে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বেলা ১১টায় জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।  এর ১০ দিন আগে মুরাদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি কিডনি জটিলতায় ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন। মুরাদ মৃধা খাটাসখৈল গ্রামের আব্দুস সাত্তারের দুই ছেলের মধ্যে ছোট। মুরাদের বাবা আব্দুস সাত্তার মৃধা জানান, অন্যের খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতেন। গুড় বিক্রির টাকা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান। বাড়িঘর তেমন একটা করতে পারেননি। উপার্জনের বড় অংশ ব্যয় করেছেন দুই ছেলের পড়াশোনায়। বড় ছেলে মুন্না মৃধা। তিনি গত বছর মাস্টার্স শেষ করে স্কয়ার কোম্পানিতে কর্মকর্তা পদে চাকরি করছেন। ছোট ছেলে মুরাদ আহমেদ মৃধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। এক মাস আগে তার অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। স্বপ্ন ছিল পড়া লেখা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হবে। তিনি আরও বলেন, মুরাদ ২৬ জানুয়ারি বাড়ি এসে জ্বরে আক্রান্ত হয়। সঙ্গে বমি ছিল। স্থানীয় একজন চিকিৎসককে দেখালে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে দেন। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। পাঁচ দিন চিকিৎসা করার পরও সুস্থ না হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে লিভার ও কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার তার ডায়ালাইসিস শুরু হয়। কিন্তু তাতেও তিনি সুস্থ হননি। সোমবার তাকে দ্বিতীয় ডায়ালাইসিসে নেওয়া হলে অবস্থার আরও অবনতি হয় এবং সন্ধ্যায় তার  মৃত্যু হয়। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে শতাধিক সহপাঠী তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।  মুরাদের চাচা আফছার মৃধা বলেন, আমাদের পৈত্রিক জমিজমা তেমন ছিল না। তবুও ভাই তার ছেলেদের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। এমনকি সুদের ওপর টাকা ধার নিয়ে ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ ও খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তিনি বলেন, যেদিন অনার্সের ফল প্রকাশ হয় সেদিন মুরাদ বাড়িতে ছিল। আমাকে নিজ হাতে মিষ্টি খাওয়ায় মুরাদ। মুরাদ আহমেদের কলেজ শিক্ষক রুহুল আমীন বলেন, মুরাদ আমার খুব প্রিয় ছাত্র ছিল। টানা তিন বছর ওকে পড়িয়েছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। কয়েক দিন আগেও ফোন করে আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪০

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুরাদ আহমেদ মৃধা নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মো. সাত্তার মৃধার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা আক্তার। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুরাদের মৃত্যু হয়েছে। সে ২৫ জানুয়ারি থেকে অসুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তিনি আরও বলেন, তার এই আক্রান্ত থাকার বিষয়টি তেমন কেউ জানত না। সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই মরদেহ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৯

রাবি ক্যাম্পাসে নিহত হিমেলের স্মরণে স্মৃতিফলকের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ট্রাক চাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল মাঠে হিমেলের নিহত হওয়ার স্থানে এই ভিত্তি প্রস্তরের উন্মোচন  করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন শেষে উপাচার্য বলেন, আমরা হিমেলের পরিবার থেকে অনুমতি নিয়েছি, কারণ কারও জন্য কিছু করতে গেলে পরিবারের অনুমতি নিতে হয়। তার মায়ের সম্মতিক্রমে আমরা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার কাজ শুরু করলাম। হিমেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নক্ষত্র হয়েই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে। এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। এছাড়াও এদিন শহীদ হিমেলের স্মরণে সকাল সাড়ে ১১টায় এক শোক র‌্যালী বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে হিমেলের মৃত্যুস্থলে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তারা। পরে হিমেল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হন সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা। উল্লেখ্য, মাহমুদ হাবিব হিমেল গত ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্মাণাধীন শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন। হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ড্রামা অ্যাসোসিয়েশনের (রুডা) সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১

বুকে ব্যথা নিয়ে রাবি অধ্যাপক শামসুজ্জোহার মৃত্যু
হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা এছামীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে জানান, দুপুরের দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করলে ড. এছামীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বিকেলের দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় রাবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামীকাল পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইখোলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে। অধ্যাপক মো. শামসুজ্জোহা এছামীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শিক্ষা ও গবেষণায় ড. শামসুজ্জোহা এছামীর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন উপাচার্য। এ ছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি। উল্লেখ্য, ড. এছামী ২০০২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন তিনি। তিনি রাবি শিক্ষক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়