• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আইপিএল ২০২৪ / টস হেরে ফিল্ডিংয়ে রাজস্থান রয়্যালস
আইপিএলের চলতি আসরে দুর্দন্ত ছন্দে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে বাটলাররা। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছে রাজস্থান। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজস্থানের ঘরের মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মু্ম্বাই।  মুম্বাইয়ের একাদশ : ঈশান কিষাণ (উইকেটরক্ষক), রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড, মোহাম্মদ নবি, সূর্যকুমার যাদব, নেহান ওধেরা, জাসপ্রিত বুমরাহ, জেরাল্ড কোয়েটজি, পিযুশ চাওলা। রাজস্থান রয়্যালস একাদশ: সানজু স্যামসন (অধিনায়ক), জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ার, যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল,  রিয়ান পরাগ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, সন্দীপ শর্মা, রোভমেন পাওয়েল, ট্রেন্ট বোল্ট ও যুজবেন্দ্র চাহাল।
২১ ঘণ্টা আগে

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জয়ের ধারায় ফিরল রাজস্থান
এবারের আইপিএল আসরের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে জয়রথ ছুটিয়ে চলছিল রাজস্থান রয়্যালস। সবশেষ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শেষ বলের হারে ছেদ পড়ে তাদের দূরন্ত গতিতে। এবার সেই দুঃখ তারা ভুলেছে পাঞ্জাব কিংসকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে। আরও একটি শেষ ওভারের রোমাঞ্চ শেষে ফিরেছে জয়ের ধারায়। সেইসঙ্গে চার পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষস্থানটাকে পোক্ত করে নিয়েছে আরও একটু।  আট উইকেটের বিনিময়ে পাঞ্জাবের করা ১৪৭ রান রাজস্থান পেরিয়েছে ১ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে। চাপের মুখে ১০ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে দলকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ার। রান করায় মন্থর গতিতে এগিয়েছে দুই দলই। আজ চোটের কারণে পাঞ্জাব দলে ছিলেন না শিখর ধাওয়ান। রাজস্থান রয়্যালসও পায়নি তাদের ড্যাশিং ওপেনার জস বাটলারকে। তার অভাবে ১৪৮ রানের ছোট লক্ষ্যটাকে একটা সময় বেশ বড় মনে হয়েছে রাজস্থানের জন্য। কাঙ্খিত রান আসেনি পাওয়ার প্লেতে। বাটলারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া তরুণ তানুস কতিয়ান ৩১ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন তিনি। তবে ছন্দে ফেয়ার আভাস দিয়েছেন রাজস্থানের আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল। ১৩৯.২৯ স্ট্রাইকরেটে ২৮ বলে করেছেন ৩৯ রান।  ১২তম ওভারে কাগিসো রাবাদার চতুর্থ বলে হারশাল প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন জয়সোয়াল, তখন ২ উইকেট হারিয়ে রাজস্থানের সংগ্রহ ৮২ রান। কিন্তু দারুণ এ ভিত্তিটা কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থানের ইন ফর্ম মিডলঅর্ডার। সঞ্জু স্যামসন (১৮), রিয়ান পরাগ (২৩), ধ্রুব জুরেলের (৬) কেউই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি।  পরে রোভম্যান পাওয়েল ২ চারে ৫ বলে ১১ রান করে ম্যাচের সমীকরণটা ৬ বলে ১০ রানে নামিয়ে দিয়ে আউট হন। বাকি কাজটা সারেন আরেক ক্যারিবীয় শিমরন হেটমায়ার। অর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে কোনো রান না এলেও তৃতীয় ও পঞ্চম বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ১ বল বাকি থাকতেই রাজস্থানকে এনে দেন রোমাঞ্চকর জয়। অন্যদিকে ধাওয়ান না থাকায় শনিবারের ম্যাচে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ওপেনিংয়েও বদল আনতে হয় পাঞ্জাবকে। কিন্তু টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সে তেমন বদল আসেনি। টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসা জনি বেয়ারস্টো আজও ব্যর্থ। তরুণ অর্থব তাইদেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। দুজনই আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। ১০ রানে থেমেছেন তিনে নামা প্রভসিমরান সিং। ধাওয়ানের বদলে আজ অধিনায়কত্ব করা স্যাম কারেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬ রান করে আউট হয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। পাঞ্জাবের রান তখন ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৫২। শশাঙ্ক সিং ৯ রানে যখন আউট হলেন পাঞ্জাবের রান ৫ উইকেটে ৭০। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, খুব ভালো খেললেও পাঞ্জাবের রান ১৫০ হবে না। শেষ পর্যন্ত করেছে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে পাঞ্জাব। জিতেশ শর্মা ২৪ বলে ২৯ রান করে পাঞ্জাবের রানটাকে একশ'র ওপারে নিয়ে যান। বাকি কাজটা করেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও আশুতোষ শর্মা। লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে ১৪ বলে আসে ২১ রান, আর আশুতোষের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রান। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন দুজনই। ০ রানে লিভিংস্টোনের ক্যাচ ফেলেছেন উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন। আর ৯ রানে থাকতে জীবন পান আশুতোষ; তার ক্যাচ ফেলেছেন সেই স্যামসনই। রাজস্থানের হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ, ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবেশ খানও। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, কুলদীপ সেন, যুজবেন্দ্র চাহাল।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭

পরাগের দুর্দান্ত ফিফটিতে জিতল রাজস্থান
আইপিএল দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১২ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করেন রাজস্থান। ডেভিড ওয়ার্নারের ৪৯ রানের পর শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবস ঝড়ো ৪৪ রান করলেও ম্যাচ জিততে পারেনি দিল্লি। শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থানের। মাত্র ১১ রানেই বাটলারকে থামান কুলদীপ যাদব। ফেরেন যশস্বী জাইসওয়াল। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারায় রাজস্থান। ১৪ বলে ১৫ রান করে খলিল আহমেদের বলে রিশাভ পান্টকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সঞ্জু। মাত্র ৩৬ রানেই রাজস্থান রয়্যালস হারায় তিন উইকেট। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন রিয়ান পরাগ। এরপর অফ স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিনকে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামায় তারা। ক্রিজে এসেই বড় শট খেলতে শুরু করেন অশ্বিন। রিয়ান পরাগের সঙ্গে জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেয় রাজস্থান। ১৯ বলে তিনটি ছক্কায় ২৯ রান করে পরাগের জুটি। অশ্বিন অক্ষর প্যাটেলের শিকার হলে ভাঙে তার ও পরাগের ৫৪ রানের জুটি।  পঞ্চম উইকেটে ধ্রুব জুরেল ও রিয়ান পরাগ জুটি রাজস্থানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। মাত্র চার ওভারে ৫২ রান তোলেন তারা। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন পরাগ। ১২ বলে তিনটি চার মেরে ২০ রান অর্জনের পর আনরিখ নরকিয়ার শিকার হন জুরেল।  শেষ পাঁচ ওভারে ৭৭ রান তোলে রাজস্থান। আনরিখ নরকিয়ার করা ইনিংসের শেষ ওভারেই ২৫ রান তোলেন পরাগ। শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের সংগ্রহ দাড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৮৫ রান। ৪৫ বলে সাতটি চার ও ছয় ছক্কায় অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন রিয়ান পরাগ। জবাবে রাজস্থানের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ হন মারমুখী। নান্দ্রে বার্গারের প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান তোলেন মার্শ। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মার্শকে আউট করেন বার্গার। যদিও ১২ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ২৩ রান করেন মার্শ। একই ওভারে বার্গার আউট করেন রিকি ভুইকেও। এরপর অধিনায়ক রিশাভ পান্টের সাথে জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। পান্ট কিছুটা ধীরে এগোলেও ওয়ার্নার রান তুলছিলেন দ্রুতগতিতে। কিন্তু সন্দীপ শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে মাত্র একরানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন ওয়ার্নার। ৩৪ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ২৬ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করেন দিল্লির অধিনায়ক রিশাভ পান্ট। ফেরেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় অভিষেক পোরেল। চাহালকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।  শেষ পাঁচ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৬৬ রান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১৯ রান তোলেন ত্রিস্টান স্টাবস ও অক্ষর প্যাটেল। ১৮তম ওভারে একটি চারসহ নয় রান তোলেন তারা। তবে শেষ দুই ওভারে ৩২ রানের প্রয়োজন পড়ে দিল্লির। ১৯তম ওভারে চার ও ছক্কায় ১৫ রান তোলেন স্টাবস ও অক্ষর। ২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস। শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানের। শেষ সময়ে দারুণ বোলিং করেন পেসার আবেশ খান।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়