• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘তারা ট্রেনে উঠে বলে, আমরা মন্ত্রীর এলাকার লোক’
নিজের নির্বাচনী আসনের মানুষজন ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে জানতে পেরেছেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রেলমন্ত্রী বলেন, আমার এলাকার যারা ট্রেনে চড়েন, তারা রেলের লোকজনের ওপর দাপট নেয় বলে শুনেছি। তারা ট্রেনে উঠে বলে, ‘মন্ত্রীর এলাকার লোক’। এসব বন্ধ করতে হবে। আমার এলাকার লোক বলেই ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে এমন নয়। আমি এলাকার লোকদের বলবো, ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ভদ্র ও ভালো ব্যবহার করবেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে রেলমন্ত্রী রাজবাড়ী স্টেশনে নামেন। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ট্রেনে রাজবাড়ী আসার অনুভূতি অনেক ভালো। এই ট্রেন সার্ভিস আগে ছিল না। ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে এসেছি খুব অল্প সময়ে। যে সার্ভিসটা পেয়েছি সেটি উল্লেখ করার মতো। এই সার্ভিসের আরও উন্নতি হবে। যারা যাত্রী রয়েছেন তারা সুলভমূল্যে ও সস্তায় যাতে এই সার্ভিসটা পান সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জিল্লুল হাকিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন রেলের আরও সম্প্রসারণ হবে। রেল সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। মাল পরিবহনেও রেল সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি জেলায় রেলের কানেক্টিভিটি তৈরি করা হবে। প্রত্যেকটি জেলায় রেল পৌঁছে দেওয়া হবে। আর কিছুদিন পরেই ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু হবে। এছাড়াও আরও কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রেলের সম্প্রসারণের জন্য। রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচুর কোচ আমদানি হচ্ছে। ইঞ্জিনও আমদানি হয়েছে, আরও কিছু আমদানি হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুখের খবর এটা রাজবাড়ী রেলের শহর, রাজবাড়ীতে একটা রেলের সবচেয়ে বড় কারখানা নির্মাণ করা হবে। যেটা ১০৫ একর জমি নিয়ে, সৈয়দপুর থেকেও বড়। এই কারখানায় রিপিয়ারিং,মেইনটেনেন্সসহ বগি তৈরির কারখানা যাতে হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা আমাদের রাজবাড়ীবাসীর জন্য একটি বড় ব্যাপার। এ ছাড়াও মন্ত্রী রাজবাড়ীতে নতুন একটি আধুনিক রেলস্টেশন করার ঘোষণা দেন। রেলমন্ত্রী দুদিনের সরকারি সফরে রাজবাড়ীতে এসেছেন। আজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা শুরু করেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছান। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকারসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেলমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সাঈদা হকিমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১২

রাজবাড়ী জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
রাজবাড়ী জেলা কারাগারের কয়েদি শহিদুল বিশ্বাসের (৪৩) মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  শহিদুল বিশ্বাস বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামের আবুল বিশ্বাসের ছেলে। শহিদুল বিশ্বাসের ভাই রেজাউল বিশ্বাস বলেন, তার বড় ভাই বালিয়াকান্দির বহরপুর বাজারে পাটের ব্যবসা করতেন। চেক ডিজ-অনার মামলায় তার এক বছরের সাজা হয়। ২০২৩ সালের ১৯ মে থেকে তার ভাই জেলা কারাগারে ছিলেন। আজ ভোরে কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানায় যে, তার ভাই অসুস্থ। সকাল ৭টার দিকে তারা কারাগারের গেটে গিয়ে জানতে পারেন, তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটি চেকের মামলায় শহিদুল বিশ্বাস আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। সকালে বুকে ব্যথা হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোর ৬টার দিকে শহিদুলকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তি করা হয় ৬টা ১৫ মিনিটে। ৬টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়