• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজবন্দী না, কারাগারে আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। আছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। অথচ তারা (বিএনপি) বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দী। আমি বলবো রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে বন্দী আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেটা পুলিশ করছে।  শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অগ্নি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করতে চেয়ে ছিল। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।  গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা ধরাশায়ী হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছে। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি, এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিও নি। আর নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। এর আগে, কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, গত বছর কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১৩৪ সদস্য। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর জীবন দেওয়া সদস্যদের স্মরণ করা হয়। এজন্য তৈরি করা হয়েছে মেমোরিয়াল। বাংলাদেশ পুলিশের ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে ১ মার্চ মেমোরিয়াল ডে পালন করছে। প্রতি বছর মেমোরিয়াল ডে-তে ওই বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ স্তম্ভের আন্ডারগ্রাউন্ডে ১৯৯৩-২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বীর পুলিশ সদস্যদের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়