• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘ভারত বর্জনের ডাকে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর চেষ্টা চলছে’
ভারত বর্জনের ডাক দিয়ে দেশে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি। মেনন বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। কিন্তু এখনও তারা এবং তাদের সংগঠন রাজনীতি করে চলেছে। সম্প্রতি তারা নতুন করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। বয়কট ইন্ডিয়া স্লোগান তুলেছে। এই স্লোগান দিয়ে তারা কার্যত পাকিস্তান আমলের রাজনীতিকেই বাংলাদেশে চালুর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিএনপির শাসনামলে আমাদের শহীদদের সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ সময় পার গেছে, কিন্তু গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারিনি। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দেশে দেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, আজ ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে অথবা এর আগে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল সেগুলোর বিচারের জন্য এই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’  বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি উল্লেখ করে মেনন এরপর বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এখনও দেশে রাজনীতি করছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১

রমজানে দরিদ্রের প্রতি আওয়ামী লীগের সহানুভূতি ও বিএনপির ইফতারের রাজনীতি
রমজান উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো চাঙ্গা হয়ে ওঠে। রমজান মাসজুড়ে ইফতার পার্টির মাধ্যমে দলীয় রাজনীতি চাঙ্গা করার পাশাপাশি মানুষের দৃস্টি আকর্ষণের কৌশল নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা নামিদামি হোটেল, রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দিয়ে বিশাল ইফতার পার্টির আয়োজন করে। তবে এবার কিছুটা ভিন্ন। কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।সেই নির্বাচন বর্জন করে সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দিয়েছিল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, আবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন ’বয়কটের’  ডাক দিয়ে ব্যর্থ বিএনপি এখন ইফতার মাহফিলের নামে দলটির নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে কম আয়ের মানুষের জন্য কোনো কর্মসূচি নেই। অথচ  রোজায় ‘মানবসেবা’মূলক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি এবার পুরো রোজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে। রোজার শেষ সপ্তাহে ঈদসামগ্রীও বিতরণ করা হবে। রমজানে বিএনপির ইফতার রাজনীতি মঙ্গলবার রোজা শুরুর দিনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নানা স্তরে পাঁচশ’র বেশি ইফতার আয়োজন করেছে বিএনপি। এইদিনেই রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং দলের সিনিয়র নেতারা এতিম, আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেন। সেখানে মেন্যু হিসেবে ছিল- খেজুর, ফল, পেয়াজু, বেগুনি, ছোলা, জিলাপি, জুস, ডিমসহ মোরগ পোলাও রোজার মাসে রাজপথে তেমন কোনো কর্মসূচি না থাকলেও ইফতার ‘পার্টি’র নামে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিতে নানামুখী সংকটের কারণে সৃষ্ট ক্ষোভ ও হতাশা কাটিয়ে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে চান তারা।  গেল ১২ মার্চে ঢাকার ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার পার্টি। কাচ্চি বিরিয়ানির পাশাপাশি ৬-৭ পদের আইটেম দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই ইফতার পার্টিতে দেখা গেল পাকিস্তানি ব্র্যান্ড ‘সেজান’ জ্যুস। অথচ গত ১১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সস্তা খাবার বরাদ্দ রেখে নিজেরা ‘দামি ফল, খেজুর, আঙুর’ খাবে।’ আর বাস্তবতা হলো, ঢাকার ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার পার্টিতেই দেখা মিললো দামী খেজুরের। রমজানে আওয়ামী লীগের কৃচ্ছ্রতা সাধন অসহায়-ছিন্নমূল ও গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে কোনো ইফতারের আয়োজন না করার কথা রোজা শুরুর আগেই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ এবার তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোথাও ইফতার মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইফতার আয়োজনের সকল অর্থ অসহায়-গরিব মানুষের মাঝে সহায়তা হিসেবে প্রদান করবে। রমজানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা রমজান ইফতার পার্টি করতাম। এবার রমজানে আমরা ইফতার পার্টির না করে সব টাকা ও খাদ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দলের নেতারা। তারা মনে করছেন, এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বাড়াবে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোন ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন না। সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস। রমজান মাসে  কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’ পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সারাদেশের নেতাকর্মীদের আটটি নির্দেশনা দিয়ে মাঠ থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনটি। এরমধ্যে- শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহরি বিতরণ; বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ; রমজান মাসে স্বেচ্ছা রক্তদান ইত্যাদি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সারাদেশে অসচ্ছল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।  রমজান সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ একটি মাস রমজান মুসলিম জাতির কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অবতীর্ণ হওয়া, ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত সময়ও রমজান মাস। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন- 'আর তোমরা জমিনে বিপর্যয় ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করো না তার সংশোধনের পর এবং তাঁকে ডাক ভয় ও আশা নিয়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের কাছাকাছি।' (সুরা আরাফ : আয়াত ৫৬) রোজাদারদের পারস্পরিক সমবেদনা, সহমর্মিতা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে রমজান মাসের রোজার ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন বলেন, ‘একজন রোজাদার ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে গরিব-দুঃখীদের অপরিমেয় দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করতে শেখার মধ্য দিয়ে সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন ও তাদের জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করেন এবং তাদের দান-খয়রাত, জাকাত-সাদকা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।’ নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বাস এই প্রিয় বাংলাদেশে। মাহে রমজানে সমাজের স্থিতিশীলতা, শান্তি, সম্প্রীতির সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিদ্যমান। সমাজের প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষ যদি মাহে রমজানের মতো অন্যান্য মাসেও আত্মসংযমের সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে যান, তাহলে কোনো রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় না। তাই সমাজ-জীবনে পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্য ভূমিকা অনস্বীকার্য। লেখক : গণমাধ্যমকর্মী  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না : মঈন খান
বিএনপি ক্ষমতার জন্য না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি। বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে সদ্য কারামুক্তি পাওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর বাসায় তাকে দেখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। মঈন খান বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিমান্ডে ও কারাগারে তাদের নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি বলেন, সরকার বুলেট, বন্দুক ও গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসেছে। নির্যাতন করে কোনো স্বৈরাচার পার পায়নি, এই সরকারও পাবে না। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৭

রাজনীতি নিয়ে মাহির নতুন সিদ্ধান্ত
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। সম্প্রতি স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই নায়িকা। এরপরই প্রশ্ন জাগে, রাজনৈতিক রাকিবকে ত্যাগ করার পাশাপাশি মাহি কি রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন?  রাজনীতি নিয়েও নিয়েছেন নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, অভিনয় ও রাজনীতি সমান্তরাল চলবে। আমি প্রথমে কেন্দ্র থেকে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন সিদ্ধান্ত বদলেছি। আমার শৈশব-কৈশোরের তানোর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হব। শুধু অভিনয়ই নয়, রাজনীতির ক্যারিয়ারেও আবার শূন্য থেকে শুরু করতে প্রস্তুত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত ৯ হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন এই নায়িকা। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৯

যে কারণে রাজনীতি ছাড়ছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
ঘরের মাঠে ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম নায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর দীর্ঘদিন আইপিএল খেলেছেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার। মাঝে ক্রিকেট থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।  ক্রিকেট মাঠের মতো রাজনীতিতেও সফল হন গম্ভীর। নির্বাচনে জিতে যান পার্লামেন্টেও। ক্রিকেটের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কটাকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা জানান তিনি। মেন্টর, ধারাভাষ্যকার কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ হয়ে ফিরতে চান ক্রিকেটে।  গত দুই আসরে আইপিএলের দল লখনৌ সুপার জায়ান্টসের টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ হয়ে কাজ করেছে। আসন্ন আইপিএলে তাকে দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হিসেবে। জানা গেছে, পূর্ব দিল্লি থেকে নির্বাচিত সাংসদ সদস্য গম্ভীর নিজ দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে তাকে রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানিয়েছেন।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা মহোদয়কে আমি অনুরোধ করেছি আমাকে রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য। যাতে ক্রিকেট নিয়ে আমার প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করার জন্য আমি মনোযোগ দিতে পারি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের আসন্ন নির্বাচনে গম্ভীরের দলীয় টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। এই আভাস পেয়েই রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন সাবেক এই বাঁহাতি ব্যাটার। আসন্ন আইপিএলে কলকাতার মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। 
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩০

বিএনপির ভুল রাজনীতি ও জো বাইডেনের চিঠি
৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন পেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পায়। ৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ১০ জানুয়ারি জয়ী সাংসদরা শপথ গ্রহণ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশী ও বিদেশী নানা মহলের বিভিন্ন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। নির্বাচনের আগে পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দফায় দফায় বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিনিধি পাঠায় এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তৎপর থাকতে দেখা যায়। যদিও তার তৎকালীন রাজনৈতিক তৎপরতা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিরুদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্যরা যখনই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন ততবারই বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। যখন ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এবং স্বতন্ত্রভাবে অংশ নেওয়া প্রায় ৬২ জন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করলেন। এ অবস্থায় আবার ও প্রশ্ন থেকে যায় বিএনপি কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আবার ও রাজনৈতিক কোন ভুল করল কিনা? বিএনপি ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে যে ভুল করেছিলো, একই ভুল আবার এক দশক পর ২০২৪ সালে করেছে বলে মনে হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার ভিন্ন কোন রাস্তা নেই। একমাত্র দেশের জনগণই পারে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সরকার নির্ধারণ করতে এবং এটাই গণতান্ত্রিক নিয়ম। বিএনপির বিদেশী শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অতি নির্ভরশীলতা এবং তাদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার তৎপরতা তাদেরকে আরও দুর্বল করেছে এবং ভুল পথে পরিচালিত করেছে বলেই মনে হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি ভারত, চীন ও রাশিয়াসহ পৃথিবীর বহু দেশ তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বললেও ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নতুন সরকারের সাথে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান এবং সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিঠিতে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় জানান। জো বাইডেন তার চিঠিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাজের অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং সফলভাবে একসাথে কাজ করার ইতিহাসের কথাও বলেন।  শুরুতেই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জ্বালানী, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করার আগ্রহ জানান।  শুধু তাই নয় বাইডেন বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং বিশেষ করে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। জো বাইডেনের চিঠিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা না থাকলেও বর্তমান সরকারের সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই যাচ্ছে বলে মনে হয়। তাই সারা পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যখন বর্তমান সরকারের সাথে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিন্ন পথে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই বিএনপির অতি বিদেশী শক্তির উপর নির্ভরশীলতাকে রাজনৈতিক আরেকটি ভুল বলেই মনে হচ্ছে। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১

সংসদে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি 
বিএনপি-জামায়াতকে উগ্র সন্ত্রাসবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু। সন্ত্রাসী, জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী এ দল দুটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শেখ সেলিম এ সময় বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। সংসদ সদস্য আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য এ দাবি করছি। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এরা যেন রাজনীতির নামে বাংলাদেশে খুন, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করতে না পারে। আর যাকেই ধরতে পারবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো দয়া-মায়া দেখানোর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই। সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না তারা। যারা সংবিধান, নির্বাচন মানে না তারা আবার কী রাজনীতি করবে? এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের ক্রীড়ানকদের সন্ধানে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে বলেন, কারা এর পেছনে জড়িত ছিল তা বেরিয়ে আসবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে মারে, তারা যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পারে। দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিশ্বের বড় সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে। কীভাবে বাংলাদেশে অস্থিরতা বৃদ্ধি করে উন্নয়নের অব্যাহত ধারা বন্ধ করা যায়, তার জন্য ষড়যন্ত্র করছে সে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের জন্য বিএনপি-জামায়াত একের পর এক নাশকতা শুরু করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায় তারা। আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, জিয়া ছিল আইএসআই-এর এজেন্ট। জিয়ার জন্ম পাকিস্তানে। তার পড়াশোনাও পাকিস্তানে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালে আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে জিয়াকে বাংলাদেশ পোস্টিং দেওয়া হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অগ্রসর হন তখন অতি বিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরাও তাদের সঙ্গে জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে যে শক্তিগুলো ছিল সেখান থেকে ষড়যন্ত্র না হলে তার গায়ে কেউ হাত দিতে পারতো না। বড় একটা চক্র বঙ্গবন্ধুর আশপাশে ঘুরে তাকে বিভ্রান্ত করেছে। শেখ সেলিম এরপর বলেন, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী এখনও আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এসব বুদ্ধিজীবীরা সেদিন কোথায় ছিলেন?    
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২

জটিল হিসাবে টালমাটাল পাকিস্তানের রাজনীতি
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা পার হলো। এত বেশি সময় হয়ে গেলেও এখনো হয়নি পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা। অন্তত ১০টি আসনের ফলাফল অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সবচেয়ে বেশি আসনে ইমরান খানের সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেলেও শেষ মুহূর্তের পরিসংখ্যান সব হিসাব বদলে দিতে পারে। নির্বাচনের ফলাফল এখন যে অবস্থাতে রয়েছে তাতে বলাই যায়, জটিল হিসাবে টালমাটাল পাকিস্তানের ভোটের রাজনীতি।  বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইমরান খানের সমর্থকরা জয়ী হলেও তাদের জন্য সরকার গঠন করা অনেকটা অনিশ্চিয়তার মধ্যেই থাকবে।  জানা যায়, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন, যার মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। এবার একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় মোট ২৬৫ আসনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে দলগুলোকে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে অন্তত ১৩৪টি আসন পেতে হবে তাদের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্য বলছে, ভোট হওয়া ২৬৫ আসনের মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তারা জিতেছেন ৯২ আসনে। এরপর ৭১টি আসনে জিতেছে রয়েছে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। ৫৪ আসনে জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি। যদিও পাকিস্তানের আরেক গণমাধ্যম জিও নিউজ দাবি করছে, ইমরানপন্থী স্বতন্ত্ররা জিতেছেন ৯৪ আসনে। পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৪ এবং পিপিপি পেয়েছে ৫৪ আসন। ১৭টি আসনে জিতে এমকিউএম-পি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এ ছাড়া, অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৯টি আসনে। কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইমরান সমর্থক প্রার্থীরা ৯৬ আসনে, পিএমএল-এন ৭৫ এবং পিপিপি জিতেছে ৫৪ আসনে। এখনো ১০টি আসনের ফলাফল পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে সংরক্ষিত আসন ছাড়াই অন্তত ১৩৪টি আসনে জয় পেতে হবে এবং সংরক্ষিত আসনসহ পেতে হবে ১৬৯টি। অর্থাৎ, এবারের নির্বাচনে কোনো দলই যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না, তা নিশ্চিত। ফলে সরকার গড়তে জোট গঠন অবধারিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইমরানপন্থিদের সরকার গঠন আটকাতে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে রাজি হয়েছে নওয়াজ ও বিলওয়াল ভুট্টোর দল। পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ বিলওয়াল ভু্ট্টো ও তার বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জানা যায়, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বাসায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহবাজ শরিফ। এ সময় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেয়েও বেশ বিপাকে রয়েছেন ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা। কারণ, দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় তারা সংরক্ষিত আসন পাবেন না। ফলে পিটিআই’র পক্ষে সরকার গঠন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বতন্ত্ররা তিন দিনের মধ্যে যেকোনো দলে যোগ দিয়ে সরকার বা বিরোধী দল গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০২

রাজনীতি না করার ঘোষণা মসিউর রহমান রাঙ্গার
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা আর রাজনীতি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, যে দলে গণতন্ত্র নেই সেই দল করে কী হবে। জাতীয় পার্টির কোনো গণতন্ত্র নেই। তাই আগামীতে রাজনীতি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  উল্লেখ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসন থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর কাছে তিনি পরাজিত হন। এর পরে থেকে রাঙ্গাকে আর রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। নিজেকে এক প্রকার গুটিয়ে রেখেছিলেন।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের বহিস্কৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করার অনুষ্ঠানে মশিউর রহমান রাঙ্গা ছিলেন না।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৭

‘হয় ক্লাস শেষে রাজনীতি করেন, না হয় শিক্ষকতা ছাড়ুন’
যে সকল স্কুল কলেজের শিক্ষক রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদেরকে উদ্দেশ্য করে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা বলেছেন, হয় ক্লাস শেষে রাজনীতি করেন, না হয় শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করেন। কিন্তু শিক্ষকতা এবং রাজনীতি দুইটি একসাথে করবেন না।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর আদর্শ কলেজে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  নাঈমুজ্জামান ভূইয়া বলেন, ক্লাসরুমে দায়িত্বটা পালন করে তারপর রাজনীতি করেন। ক্লাসরুমে ক্লাস নিচ্ছেন না ছাত্রছাত্রীদের কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নেতা হিসেবে আমার কাছে দাবী নিয়ে আসলে আমি সেই দাবী গ্রহণ করবো না। আমি জেলা শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ করেছি, যে সকল জায়গায় শিক্ষক রাজনীতির সাথে যুক্ত ঐ সকল শিক্ষকদের উপস্থিতি বেশি বেশি যাচাই করেন।  সাংসদ বলেন, ধর্মীয় বিষয়ে যে কাজটা করতে হবে সেটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সন্তানদের দীক্ষিত করতে না পারি তারা যদি সাম্প্রদায়িক হয়ে গড়ে উঠে তাহলে এত উন্নয়ন বার্থ হয়ে যাবে। যদি অমার সন্তানেরা আলোকিত মানুষ না হয়। তাহলে আমাদের সকল আয়োজন বার্থ হয়ে যাবে।  কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে, বলরামপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদ বকুল, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল হুদা, স্বাস্থ্য জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আশরাফুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌর কাউন্সিলর হাসনাত হামিদুর, পঞ্চগড় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজি আল তারিক, আটোয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তাকে ফুল দিয়ে ওই ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ছাত্র ছাত্রীরা সংবর্ধনা দেন। পরে একই মঞ্চে বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়