• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বেইলি রোড ট্রাজেডি / দায়ীদের খুঁজছে রাজউক 
রাজধানীর বেইলি রোডে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে অগ্নিকান্ডের শিকার গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নিয়ে নির্মিত হলেও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়ম ঘটেছে বলে উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। এখন এসব অনিয়মের জন্য দায়ী যারা, তাদের খোঁজ করছে রাজউকের তদন্ত কমিটি। রাজউক বলছে, নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার সনদ) ছাড়া বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা পর্যন্ত কোন সংস্থার কোন কোন কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা ছিল, সেটি নিরূপণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন–সংক্রান্ত নথিগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে চাওয়া হয়েছে। ওই নথিগুলো পেলে অবহেলা ও গাফিলতিতে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের এই ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় ২ মার্চ অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার ভবনটির ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলমসহ চারজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলাটি ইতোমধ্যে থানা-পুলিশ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, সিআইডি আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের অগ্রগতি পরে জানানো হবে।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ছাড়াই ভবনটিকে ফায়ার লাইসেন্স দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রেস্তোরাঁসহ অন্য দোকানগুলোকে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে। ঘটনা তদন্তে রাজউকের পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্থাটির পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।  তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আবদুল আহাদের কাছে। তিনি বলেন, রাজউকের অনুমোদন নিয়ে ভবন তৈরি করা হলেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। তদন্ত চলছে। এখানে কার কী দায়দায়িত্ব ছিল, সেটি নিরূপণের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ অভিমত নেওয়া হবে। অবহেলা ও গাফিলতিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫

অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা ১০ দিনের মধ্যে : রাজউক চেয়ারম্যান
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা জানিয়েছেন, আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে রাজধানীর অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হবে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মতিঝিলে রাজউক ভবনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশের (ইউডিজেএফবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ তথ্য জানান। রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বহুতল ভবন ও অগ্নিনিরাপত্তার দুর্বলতা নিরসনে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ধারণে আইন ও বিধিমালার মধ্যে সমন্বয় করা হবে। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের দায় থাকলে রাজউক তাদেরকে ছাড় দেয় না। বেইলি রোডের ঘটনায় রাজউকের কোনো কর্মকর্তার দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে কাজ করছে রাজউকের কমিটি। তিনি জানান, নানা অভিযোগে ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। এরইমধ্যে ৪ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজধানীর শপিংমলগুলোতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের রাজউক সতর্ক করছে। এ কার্যক্রমে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের সহযোগিতা করছে। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজউকের মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) আব্দুল লতিফ হেলালী, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মোহাম্মদ সামছুল হক, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রন-২) প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি রাশেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান, যুগ্ম-সম্পাদক হাসান ইমন প্রমুখ।
০৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৪

ধানমন্ডির টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিচ্ছে রাজউক
রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের আলোচিত গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিচ্ছে রাজউক। রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী ভবনটির ছাদ ফাঁকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া সেখানে রেস্তোরাঁটি গড়ে উঠেছে। তাই এটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর থেকে রেস্তোরাঁটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে রাজউক। অভিযানে (রাজউক) জোন-৩-এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অফিসের জন্য অনুমোদিত এই ভবনে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ও ফুডকোর্ট। তিনি আরও বলেন, এই ভবনটি এফ ক্যাটাগরির। অফিসের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে অবৈধভাবে প্রায় ৮-১০টির মতো রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অনুমতি রয়েছে কিনা সেগুলা খতিয়ে দেখা হয়। অভিযানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনিয়ম থাকার কারণে ৩৫ জনকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, এই ভবন নিয়ে শুক্রবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ভবনের স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘PLEASE DON’T USE THIS BUILDING FOR YOUR OWN SAFETY’ স্থপতি মুস্তাফা খালিদ লিখেছেন, প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য- সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু হয়েছে তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক ও ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিস্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে। কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর- ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এও জানানো হয় যে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে। তিনি আরও লিখেছেন, উদ্ভট সব যুক্তির বেড়াজালে একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে অসহায় না ভেবে গত মাসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন মাস্টারকে এক বার্তায় এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান। আমার ঘনিষ্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ডিজিকেও তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করলে তিনি সাধ্যমতো তা করবেন বলে জানান। আজ আবার স্টেশন মাস্টারকে বিস্তারিত তথ্য লিখলাম। দেখা যাক কি হয়। যতদূর জানি- এ ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। একজন সচেতন স্থপতি তো বটেই একজন শহরবাসী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বায়ীত্ব দৃশ্যমান অশনিসংকেতের মোকাবেলা করা।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৯

রাজউক ও গণপূর্তকে সতর্ক হতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, অগ্নিকাণ্ড বন্ধ করতে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।  শনিবার (২ মার্চ) সকালে ঢাকায় আয়োজিত বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমার মনে হয়, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত এবং চলবে। হাসপাতাল অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই এখন থেকে অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। তবে আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। পরদিন ফের রাজধানীর ওয়ারির পেশওয়ারাইন রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৯

বেইলি রোডের ভবনটি নিয়ে দায়সারা রাজউক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) একদিন পর অনেকটা দায়সারা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনে আগুন লেগেছিল সে ভবনে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না। শুক্রবার (১ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজউক যদি অনুমোদন না দিয়ে থাকে তাহলে তারা কেন এতদিন অভিযান চালায়নি। বন্ধ করে দেয়নি কেন ভবনটি। এমন প্রশ্ন ওঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য রাজউকের অনুমোদন নেয়া হয়নি জানিয়ে সংস্থাটির নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য।  ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’ নামের দুটি ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, ‘শেখলিক’ নামের একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও ‘চুমুক’ নামের একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়ন’ নামের একটি পোশাকের দোকান, চতুর্থ তলায় ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা ইন’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে ‘অ্যামব্রোসিয়া’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর বাইরে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল ৫টায় এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা প্রশাসনের পিআইও আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ৬ জনের মরদেহ রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হতে ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ৩ জনের মরদেহ দাবি করা স্বজনরা ঢাকায় আসছেন। তাদের যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুজনকে দেখতে গেছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ঘটনার শুরু থেকেই দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যত ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন সবকিছু নিশ্চিত করা হবে। এদিকে আগুন লাগা ভবনটির কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওই ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫০

ভবনের ছাদ ঢালাইয়েও থাকবেন রাজউক কর্মকর্তারা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ভবন মালিক, আমমোক্তার ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের সময় ভবনের পাইলিং লেআউট, প্লিন্থ লেভেল ও ছাদ ঢালাইয়ের অনুমোদিত নকশা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ভবন নির্মাণ শুরু থেকে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত কর্মকর্তাদের থাকার নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে রাজউক।  রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ সামছুল হক এই অফিস আদেশ জারি করেছেন বলে  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জানা গেছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে রাজউকের সব অথরাইজড অফিসার, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।   রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ সামছুল হক বলেন, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় রাজউক আইন-বিধি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভবন মালিক, আমমোক্তার, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের সময় ভবনের পাইলিং লেআউট, প্লিন্থ লেভেল ও ছাদ ঢালাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার ইমারত পরিদর্শক, প্রধান ইমারত পরিদর্শক এবং সহকারী অথরাইজড অফিসারদের আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। মূলত অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি তারা যেন পরিদর্শন বইয়ে সবকিছু যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ  করেন সেই নির্দেশনা ফদেওয়া হয়েছে। রাজউকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবন নির্মাণের সময় ইমারত পরিদর্শক, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, সহকারী অথরাইজড অফিসার উপস্থিত থাকার ও পরিদর্শনের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করা সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারকে নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারকে প্রমাণস্বরূপ স্থির চিত্র ও ভিডিও ক্লিপ সংশ্লিষ্ট পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালককে পাঠানোর জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়