• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজ মরে গেলেও দেখতে যাব না : পরীমণি
গেল বছর ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পরেও পরীর জীবন থেকে সরে যাননি রাজ। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেই তাকে করা হচ্ছে রাজকে নিয়ে নানা প্রশ্ন। আর তাতে ক্ষুব্ধ পরীমণি জবাবও দেন দাঁতভাঙা। পরীমণি বর্তমানে কলকাতায় ‘ফেলুবক্সী’ শিরোনামে একটি সিনেমার শুটিং করছেন। সেখানেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই অভিনেত্রী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, রাজের প্রতি তার এতটাই অনাগ্রহ, যে প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর পরও নাকি তাকে আর দেখতে যাবেন না তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে পরীমণিকে প্রশ্ন করা হয়- কখনও মনে হয় ছেলের জন্য শরিফুলকে আরও একটা সুযোগ দেবেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, নামই মুখে আনতে চাই না। এত ঘৃণা ওর প্রতি। কোনোদিন মরে গেলেও দেখতে যাব না। যে মানুষটা বেঁচে আছে সে অন্য মানুষ, যে আমার কাছে ছিল, সে আরও আগে মরে গিয়েছিল। সেই মৃতদেহটা দেখেছি। আসলে মানুষটা আমার কাছে ‘ডেড’। প্রেমে বিশ্বাসী কি না কিংবা আর কখনও বিয়ে করবেন কি না, এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, নাহ। আর প্রেমে বিশ্বাস নেই। জীবন থেকে উড়ে গিয়েছে। আমার ছেলেই আমার জীবনের একমাত্র প্রেম। ওর হাসি, কান্না সবকিছুতেই ভালোবাসা আছে। ওর আর আমার মাঝে কোনো সংশয় নেই। ও শুধু আমার। পরীমণির মন খারাপ হয় কখন? উত্তরে তিনি বলেন, ছেলে যখন অসুস্থ হয়, তখন মনে হয়, জোরে একটা যদি চিৎকার দিতে পারতাম, যাতে হাসপাতালটা ফেটে যেত। ছেলে দুবার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তখন ওইটুকু বাচ্চার হাতে স্যালাইন লাগানো। পরীমণি বলেন, ওকে নিয়ে একা একা হাঁটছি। তখন মনে হয়েছিল, এই কষ্টটা আমার একার করার কথা ছিল না। তখন ওই মানুষটার ওপর আরও রাগ হয়। মানছি, বাবারা সব পারে না, কিন্তু দায় কি একা মায়ের? নায়িকা বলেন, আমাকে যে রকম দেখতে লাগে, আমি সে রকমই। বাইরে ও ভিতরে। আমার মধ্যে কোনো ‘ফিল্টার’ নেই। আমার রাগটাও দেখা যায়। মনখারাপ দেখা যায়, কিছু পুষে রাখি না। এটা অনেকের সঙ্গে চলার জন্য হয়তো ভালো নয়। তবে আমার জীবনটা সিনেমা নয়, অত ‘ফিল্টার’ দিতে পারব না। আমাকে পোষালে ভালো, না পোষালে আরও ভালো। এদিকে নির্মাণকাজ শেষের দিকে পরীমণি অভিনীত নির্মিতব্য ‘ডোডোর গল্প-Story of Dodo’ সিনেমার কাজ। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রেজা ঘটক। এতে পরীর বিপরীতে আছেন সাইমন সাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৪

ঈদেই আসছে রাজের ‘কাজলরেখা’
‘মনপুরা’ সিনেমা মুক্তির পরে ২০০৯ সাল থেকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা শেষে ২০২২ সালে এসে সিনেমাটির শুটিংয়ে নামেন। আসন্ন ঈদে ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘কাজলরেখা’র শিল্পী কলাকুশলীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নির্মাতা। সেখানে জানানো হয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে। প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহের গীতিকার একমাত্র রূপকথা অবলম্বনে ‘কাজল রেখা’ তৈরি করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এর আগে চারটি সিনেমা মুক্তি পেলেও নির্মাতা জানান, তার পঞ্চম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। ১৬ শতকের গল্পে কাজলরেখা নির্মাণ করা থেকে শিল্পী নির্বাচন ও কারিগরি দিকসহ প্রতিটি সেক্টরকে সঠিকভাবে সমন্বয় করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মনে করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, প্রতিটি সেক্টরকে এক সুতোয় একটি মালা হিসেবে গাথতে হয়েছে। ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, তৎকালীন আপামর মানুষের যে বিনোদন ছিল সেটি এখনো প্রাসঙ্গিক। এ কারণে আমি মনে করি সিনেমাটি দর্শক দেখবে। ঈদে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পাবে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকাটা ইতিবাচক দিক। আর যে সিনেমার দম থাকবে সেই সিনেমা মানুষ দেখবে। তিনি আরও বলেন, বড় আয়োজন কাজলরেখা মুক্তির উপযুক্ত সময় হচ্ছে উৎসব। ঈদ ও বৈশাখ একসঙ্গে আমরা পাচ্ছি। এ কারণে আমার কাছে মনে হয়েছে এই সময় সিনেমাটি মুক্তি দেয়া উচিত। সিনেমা নির্মাণ থেকে মুক্তি দেয়া সবকিছুই আমাদের এখানে চ্যালেঞ্জ। তাই আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, দেখা যাক ফলাফল কি আসে। ২০ এর অধিক গান নিয়ে নির্মিত এ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান প্রত্যেকেই দর্শকদের ঈদে ভিন্ন ধাঁচের ‘কাজলরেখা’ দেখার আমন্ত্রণ জানান।  দুই বছর ধরে ৫০ দিনে নেত্রকোণার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওড় ও রাজধানীর মিরপুরে ‘কাজলরেখা’র শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। নবীন প্রবীণ মিলিয়ে শতাধিক কলাকুশলী এতে যুক্ত আছেন। সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এর শিল্পী শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ইরেশ যাকের, সাদিয়া আয়মান, আবুল কামাল আজাদ প্রমুখ। সিনেমাতেও আরও অভিনয় করেছেন মিথিলা, খায়রুল বাশার, শাহানা সুমি, সুজয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩

আমি আর পেছনে তাকাতে চাই না : শরিফুল রাজ
চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিচ্ছেদের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের নানান ঝামেলায় দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন শরীফুল রাজ। তবে চলতি বছর সব বিতর্ক পেছনে ফেলে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। শিগগিরই তিনটি চলচ্চিত্র দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন এই অভিনেতা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাজ। এসময় অভিনেতা বলেন, তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাতে চান না।  রাজ অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। সিনেমাগুলো হলো— গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ এবং মিশুক মনিরের ‘দেয়ালের দেশ’। তবে তিনটি সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তনে খুব একটা খুশি নন বলে জানিয়েছেন রাজ। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ভেবেছিলাম শুধু ‘ওমর’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাবে। ‘কাজলরেখা’ ও ‘দেয়ালের দেশ’ আগেই মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এক ঈদেই আমার এতগুলো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, এটা আমার মোটেও ভালো লাগছে না।  কারণ— এই সিনেমাগুলো আমার অনেক কষ্টের, অনেক পছন্দের কাজ। বিরতি দিয়ে মুক্তি পেলে, সময় নিয়ে প্রতিটি সিনেমা বিচার–বিশ্লেষণ করে দর্শকেরা চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারতেন। কিন্তু একসঙ্গে মুক্তির কারণে দর্শকেরা তিনটি সিনেমা নাও দেখতে পারেন। বিভ্রান্ত হতে পারেন দর্শক। ভাগ করে দুই ঈদেও সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া যেত।   এদিকে তিনটি কাজ নিয়েই আশাবাদী হয়ে রাজ বলেন, তিন সিনেমার গল্প ও তার অভিনীত চরিত্র তিন ধরনের। আগে কখনও এমন চরিত্রগুলোতে তাকে দেখেনি দর্শক। সিনেমা তিনটির প্রস্তুতিতে বছরের পর বছর সময় লেগেছে।      গেল বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে বিচ্ছেদ হয় রাজ-পরীর। ওই সময় মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছিলেন রাজ। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন কাজে যুক্ত হয়ে চেষ্টা করেন কাজে ডুবে থেকে নিজেকে চনমনে রাখতে।    ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রাজ বলেন, ওই সময়টা আমার জন্য ভালো ছিল না। এক ছাদের নিচে বসবাস করা দুটো মানুষ আলাদা হয়ে গেলে, কেমন লাগে সেটা যাদের হয় তারাই বুঝবেন। এছাড়া ওই সময় আমার সন্তানকেও মিস করছিলাম খুব। প্রতিদিন যে সন্তানকে দেখছি, খেলছি, আদর করছি— সেই সন্তানের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটা খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।  তিনি আরও বলেন, এখন বেশ ভালো আছি। খাচ্ছি, ঘুরছি, কাজ করছি, সময় কেটে যাচ্ছে। নতুন নতুন চিত্রনাট্য হাতে আসছে। সেসব পড়ছি। এখন আমি আর পেছনে তাকাতে চাই না। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। তবে রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই। সংসার ভাঙার পর থেকে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন তিনি। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫

শবেবরাতের দিনে কলিজার মধ্যে কষ্ট দিয়ে দিল : পরীমণি
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন। মাঝে মধ্যেই নিজের ছবি, ভিডিও কিংবা অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি। অন্যদিকে যে কোনো ইস্যুতে প্রতিবাদ করতেও ভোলেন না পরীমণি। এবার বেজায় চটেছেন এই নায়িকা।     রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ‍শুধু প্রতিবাদই করেননি। রীতিমতো ক্ষেপে বিস্ফোরক হয়ে নেটদুনিয়ায় ধরা দিলেন পরীমণি। তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছে এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেশ অগ্নিশর্মা হয়েছেন তিনি।    এদিন আজ দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক। শবেবরাতের দিনে কলিজার মধ্যে কষ্ট দিয়ে দিল। এই কষ্ট তাদের না হোক। আল্লাহ তাদের মাফ করে দিক।’ হঠাৎ কেনো চটেছেন পরীমণি? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জাল বুনেছে নায়িকার ভক্তদের মনে। বিষয়টি জানতে পরীমণির মন্তব্যের ঘরে জানতে চাইলেও ভক্তদের কোনো জবাব দিচ্ছেন না তিনি।   তবে পরীর স্ট্যাটাসে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর কমেন্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে বেশ অবগত তিনি। নায়িকার মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন— খুব দুঃখিত। ভয়ংকর ব্যাপার। এটা কোন কথা নাকি? পরীমণি কি আর বলব! সব শুনে আমি স্তম্ভিত।  স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন একমাত্র সন্তান রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। বর্তমানে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন পরীমণি। পাশাপাশি কাজেও ফিরেছেন এই নায়িকা।  ইতোমধ্যে ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন পরীমণি। এরপর যুক্ত হয়েছেন ‘খেলা হবে’ নামের নতুন একটি সিনেমায়। এছাড়া তার হাতে রয়েছে অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’।   সম্প্রতি নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন পরীমণি। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে পরীমণি অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘বুকিং’। এটি  নির্মাণ করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এতে পরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

ঢালিউডের নয়া জুটি রাজ রিপা-শিশির
দীর্ঘ বছর এমন মহরত এফডিসিতে হয় না। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এফডিসিতে আসতেই কেন জানি মনে হচ্ছিল প্রাণের এফডিসি হয়তো আবার আগের রুপে ফিরেছে। মহরতে বিরাট বড় মঞ্চ করে, আলো জ্বালিয়ে এত বড় আয়োজন দেখে প্রথমে তো মনেই করেছিলাম হয়তো শুটিং হবে। মহরতেই এত বড় আয়োজন এখন সাধারণত হয় না। তবে আমি আশা করব, মহরতের মতো যেন এই ছবিটিও বিশাল ক্যানভাসে হবে।  এরকমটাই বলছিলেন এফডিসিতে ‘মৃত্যু ১৯’ সিনেমার মহরতে গুণী পরিচালক এফ আই মানিক।  বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসিতে) সোমবার সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘মৃত্যু ১৯’ সিনেমার মহরত। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন তানভীর হাসান। সিনেমায় অভিনয় করছেন শিশির সরদার ও রাজ রিপা।  নির্মাতা তানভীর হাসান বলেন, মৃত্যু ১৯ সিনেমাটি আমার স্বপ্নের একটি সিনেমা। এই সিনেমার কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য আমি করেছি। নিজের মতো করে গল্পটা বলতে চাই। এই সিনেমায় দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের আবহ, সংঘাত, ভালোবাসা, দ্রোহ, প্রতিশোধ, বীরাঙ্গনার গল্প সবকিছুই থাকবে। আমি মনে করি এই সিনেমা এখন দর্শকদের হাতে তুলে দেওয়ার সময়। সেই ইচ্ছা থেকেই নির্মাণ করছি। শিশির সরদার বলেন, এই সিনেমা আমার জীবনে একটা টার্নিং পয়েন্ট হবে বলে মনে করছি। নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমি পারব। আমি শাকিব খানকে খুব পছন্দ করি, উনার জায়গাটায় যেতে চাই। আপনাদের সাপোর্ট পেলে আমি সেই জায়াগাটায় একদিন যাব। রাজ রিপা বলেন, একদিন স্বপ্ন দেখতাম এফডিসিতে আসব। স্বপ্নটাকে ভিতরে লালন করি। ২০১৮ সালে দহন সিনেমার মহরতে আমি এফডিসিতে এসেছিলাম। আমি সেই সিনেমার একজন অভিনেত্রী হওয়ার পরেও আমাকে মঞ্চে ডাকা হয়নি। সেদিন থেকেই একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি এফডিসিতে আসব ও নায়িকা হয়েই আসব। একদিন আমার সিনেমার মহরত হবে বিরাট আয়োজন করে। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি একদিন সুপারস্টার হব। জানা গেছে,  চলছে শুটিং প্রস্তুতি। রোজার ঈদের পরেই ‘মৃত্যু ১৯’ সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। সিনেমাটি ২০২৫ সালের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান নির্মাতা তানভীর হাসান। এটি নির্মাতার ২য় সিনেমা। এর আগে শিশিরকে নিয়ে ‘মধ্যবিত্ত’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেন তিনি। যা ইতোমধ্যে আনকাট সেন্সর হয়েছে।  রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।   সিনেমার শুভ মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ, জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন, চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন, এফ আই মানিক, গাজী মাহমুদ, এমডি ইকবাল, বিপ্লব শরীফ, ডি এ তায়েবসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন আরজে নিরব। সিনে মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত ‘মৃত্যু ১৯ সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন নোমান মল্লিক, নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন তানভীর হাসান। এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন, আলীরাজ, ওমর মল্লিক, রুবেল, মিশা সওদাগর প্রমুখ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০১

অসুস্থ প্রেমিকার জন্য জোভানের কাণ্ড
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সায়রা তটিনী। সম্প্রতি চট্রগ্রামে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত নাটকে অভিনয় করেছেন তারা। নাটকটির নাম ‘এক জীবনে’।  নাটকটিতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান-তটিনী। এতে একেবারেই অন্যরকমভাবে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রিফাত আদনান পাপন। নির্মাতা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের প্রযোজনায় ‘এক জীবনে’ নাটকটির গল্পে এক অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর ভালোবাসার গল্পে নিজেদের চরিত্র মেলে ধরেছেন জোভান-তটিনী। যেখানে ভালোবাসার মানুষটিকে ঘিরে রয়েছে পাগলামি। অসুস্থ প্রেমিকাকে মানসিকভাবে স্বস্তিতে রাখার পাশাপাশি তাকে তার ভালোবাসার সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে নাটকের গল্পে। এ প্রসঙ্গে তটিনী বলেন, বর্তমান সময়ে যেসব নাটক হয়, ‘এক জীবনে’ তার থেকে কিছুটা ভিন্ন। নির্মাতা রিফাত আদনান পাপন ভীষণ যত্ন নিয়ে নাটকটি বানিয়েছেন। আর জোভানের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতাটাই অসাধারণ ছিল। সব মিলিয়ে দারুণ একটা কাজ হয়েছে।   নির্মাতা পাপন বলেন, ভালোবাসার এমন বিরল দৃষ্টান্ত সত্যিই নাড়া দিয়েছিল আমাকে। সেই সময় থেকেই গল্পটা মাথা নিয়ে ঘুরছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ের অভাবে কাজটি করা হয়নি।   তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেখানে কাউকে ভালোবেসে মানুষ কমিটমেন্টে যেতে ভয় পায়। সেখানে ভালোবাসার মানুষটা হয়তো বাঁচবে না জেনেও তার সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার মতো পাগলামি করার সাহসটা সত্যিই অভাবনীয়। প্রসঙ্গত, জোভান-তটিনী ছাড়া ‘এক জীবনে’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সুষমা সরকার, শিল্পী সরকার অপু, সমাপ্তি মাশুক, অর্পণ, বাপ্পী বাশার, নিশুসহ আরও অনেকে।   
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫

ভারতে দাঙ্গায় পড়ে ঢাকায় এসে দেশ সেরা নায়ক রাজ রাজ্জাক
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক নায়ক রাজ রাজ্জাক। যে মানুষটি একাধারে একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভূমিকা রেখেছেন।গুনী এই অভিনেতার মঙ্গলবার (২৩শে জানুয়ারি) জন্মদিন। আরটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা।  নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। কিশোর বয়সে কলকাতার মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। ১৯৬৪ সালে আলে দাঙ্গার উত্তাল সময়ে নতুন জীবন গড়তে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে রাজ্জাক পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন প্রায় অসহায় অবস্থায়। কঠোর পরিশ্রম আর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সাথে সংগ্রাম করে হয়েছেন আজকের নায়ক রাজ রাজ্জাক। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে টেলিভিলশনে ঘরোয়া নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ছিলেন রাজ্জাক। জীবনে নানা সংগ্রামের পথ অতিক্রম করেন তিনি। বেহুলা চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে প্রথম উপস্থিত হন এবং সবার মন জয় করে নেন। দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি নায়করাজ হিসেবে পরিচিতি পান। কি যে করি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেছেন। এই প্রর্যন্ত তিনি চার বার জাতীয় সম্মাননা লাভ করেন। চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি হয়েছেন, এটা যে কারো কাছেই গল্প বলে মনে হতে পারে। মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। রাজ্জাক অসীম মনোবল, অমানষিক পরিশ্রম আর মমতার মাধ্যমে ঠিকই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। রাজ্জাকের জন্ম কলকাতার সিনেমাপাড়া টালিগঞ্জে। অর্থাৎ জন্মের পর থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে তার সখ্যতা। মঞ্চের সঙ্গে জড়িত থাকলেও স্বপ্ন ছিল সিনেমাকে ঘিরে। টালিগঞ্জের সিনেমা শিল্পে তখন ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার, সৌমিত্র, বিশ্বজিতদের যুগ। সেখানে হালকা-পাতলা সাধারণ রাজুর অভিনয় সুযোগ পাবার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। এর মধ্যে শুরু হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এক সময় কলকাতায় থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন এক সুহৃদ রাজ্জাককে পরামর্শ দিলেন ঢাকায় চলে আসতে। বললেন, ঢাকার চলচ্চিত্র নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে গেলে হয়তো কিছু একটা হবে। ভদ্রলোক ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা আবদুল জব্বার খানের পরিচিত। তিনি রাজ্জাককে পাঠালেন তার কাছে একটা চিঠি দিয়ে। তিনি রাজ্জাক কে বলে দিলেন ঢাকার কমলাপুরে থকেন আবদুল জব্বার খান। তখন রাজ্জাক প্রথম এসে কমলাপুরে বাসা নেন। এর পর চিঠি নিয়ে জব্বার খানের কাছে যান তিনি রাজ্জাককে একবাল ফিল্ম লিমিটেড এর কাজ করার সুযোগ করে দেন। উজালা ছবির মধ্যদিয়ে রাজ্জাকের শুরু হল ঢাকার চলচ্চিত্র জীবন। পরিচালকের পাশাপাশি বেশ কিছু ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। এসব ছবির মধ্যে ডাক বাবু, ১৩নং ফেকু ওস্তাগার লেন, আখেরী স্টেশন উল্লেখযোগ্য। পর্যায়ক্রমে তিনি জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দান করেন। আর তখন থেকেই তার ভাগ্য খুলে যায়। সহকারী হিসাবে কয়েকটি ছবি পরিচালনা করার পর হঠাৎ এক দিন তিনি নায়ক হওয়ার সুযোগ পান। লোক কাহিনী নিয়ে জহির রায়হান তখন বেহুলা ছবির নির্মাণ কাজ করেছেন। জহির রায়হান তাকে বললেন আপনিই আমার ছবির নায়ক। ঐসময় রাজ্জাকের চেহারার মধ্যে কলকাতার বিশ্বজিৎ-এর ছায়া খুজে পাওয়া যেত। জহির রায়হানের সুনিপুণ হাতের ছোয়ায় অসাধারণ লক্ষ্মীন্দর হয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হলেন রাজ্জাক। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন অপূর্ব সুন্দরী বেহুলারূপী সুচন্দা। বেহুলা ছবিটি ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। দর্শকের কাছে ছবিটি সুপার হিট হয়। এই ছবির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পায় আরেক জন নায়ক যিনি চলচ্চিত্র শিল্পের অপরিহার্য নায়ক। ঢাকার সিনাম হলগুলোতে তখন পাক-ভারতীয় ছবির দাপট। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী, জেবা, সুধির, শামীম আরা, ওয়াহিদ মুরাদ এবং কলকাতার ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, বিশ্বজিৎ, সৌমিত্র এবং ভরতের রাজ কাপুর, নার্গিম, দিলীপ কুমার এদের ছবির সঙ্গে পালা দিয়ে চলতে শুরু করল ঢাকার নির্মাতাদের নির্মিত ছবি। আব্দুল জব্বার খান, রহমান, শবনম, খলিল, ফতেহ লোহানী, খান আতা, সুমিতা দেবী, আনোয়ার হোসেন, সুচন্দা তাদের সাথে আরো একটি নাম যোগ হল আর তা হচ্ছে রাজ্জাক। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এখানে নির্মিত বেশিরভাগ ছবির নায়ক রাজ্জাক। দুই ভাই, আবির্ভাব, বাঁশরী, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, যে আগুনে পুড়ি, পায়েল, দর্পচূর্ণ, যোগ বিয়োগ, ছদ্মবেশী, জীবন থেকে নেয়া, মধুর মিলন ইত্যাদি ছবির সাফল্যে রাজ্জাক হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্রের অপরিহার্য নায়ক। দেশ যখন পাকিস্তান থেকে ভাগ হয়ে যায় তখন বাংলাদেশে পাক ভারতীয় ছবির প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাদের উপর দয়িত্ব পরে রাজ্জাক তাদের মধ্যে একজন। এর পর সড়ক দুর্ঘটনায় রহমান পা হারালে চলচ্চিত্রে রোমান্টিক নায়কের শূন্যতা দেখা দেয়। তখন রাজ্জাক একাই তা সামাল দেন। খুব দক্ষতা এবং নৈপুন্যতার সাথে রাজ্জাক একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম মুক্তি পায় রাজ্জাক অভিনীত মানুষের মন ছবি। ছবিটি ব্যবসা সফল হওয়ার কারণে নতুনভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জেগে উঠে। ছবিটি পরিচালনা করেন মোস্তফা মাহমুদ। এই ছবির মধ্য দিয়ে শুরু হল চলচ্চিত্রে নয়ক রাজ্জাকের যুগ। তার পর মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে প্রথম ছবি চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ওরা ১১ জন, এসএম শফির ছন্দ হারিয়ে গেল, বাবুল চৌধুরীর প্রতিশোধ এবং কাজী জহিরের অবুঝ মন ছবিতে অভিনয় করে রাজ্জাক হয়ে যান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আইকন। ১৯৭৩ সালে জহিরুল হকের রংবাজ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে রাজ্জাক বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি সূচনা করেন চলচ্চিত্রের আধুনিক অ্যাকশন যুগেরও। রংবাজ দিয়েই রাজ্জাক তার অভিনয় জীবনে বৈচিত্র নিয়ে আসেন। রংবাজ ছবির সাফল্যের পর দর্শকদের একঘেয়েমি থেকে মুক্ত রাখতে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি। শুধু অ্যাকশান, রোমান্টিক নয় ত্রিরত্নের মতো কমেডি ছবিতেও অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। আজিজুর রহমানের অতিথি ছবিতে সেক্রিফাইসিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৪ সালে নতুন পরিচালক মাসুদ পারভেজ পরিচালিত সিনেমাতে অতিথি শিল্পী হিসেবে একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করেন। এতে নায়ক হিসাবে অভিনয় করেন সোহেল রানা, তার জীবনেও এটি প্রথম ছবি। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে অন্য সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্জাককে তেমন কোনো কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়নি। রাজ্জাক বরাবরই মানুষকে যথাযোগ্য সম্মান আর ভালোবাসা দিয়েছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নামীদামী প্রযোজক-পরিচালকদের সম্মানে পার্টির আয়োজন করেছেন বছরের পর বছর। রাজ্জাকের স্ত্রী লক্ষী রাত জেগে স্বামীর বন্ধুদের পছন্দ মতো রান্নাবান্না করে খাইয়েছেন। নির্মাতারাই তাকে নিয়েছে-বাদি থেকে বেগম, সমাধি, কি যে করি, সেতু, আগুন-এর মতো জনপ্রিয় ছবির সেরা চরিত্রে। এক সময় পরিচালকগণ মনে করতেন পর্দায় নায়ক মারা গেলে ছবি চলবে না। ঠিক এমন সময়ই বেঈমান, সমাধি আর সেতু ছবির শেষ দৃশ্যে জার্জাক মৃত্যুবরন করেন, এতে দর্শকদের খুব কষ্ট দিয়েছেন ঠিকই তবে ছবির সাফল্যও আদায় করে নিয়েছেন। ১৯৭৭ সালে রাজ্জাক যখন পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, তখন তিনি বেছে নেন প্রেমের গল্পকে। ছবি করেন অনন্ত প্রেম এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ববিতা। গল্প, গান, চিত্রায়ন, অভিনয় সবকিছু মিলিয়ে ছবিতে তারা দর্শকদের যা উপহার দিয়েছে দর্শক কি তা কখনো ভূলতে পারবেন? প্রেমের ছবির মূলমন্ত্র হচ্ছে মান অভিমান, প্রেম ভালোবাসা এবং সর্বশেষে মিলন। এসব ছবি দেখে দর্শক হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরেন। অভিনেতা রাজ্জাকের বৈচিত্রময় সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের কথা স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৭৮ সালে রাজ্জাক যখন খুবই জনপ্রিয় এক অভিনেতা তখনও তিনি আজিজুর রহমানের অশিক্ষিত ছবিতে গ্রামের পাহারাদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, লুঙ্গি আর শার্ট পরে, যা আজো ভুলবার নয়। ছবিটির শেষ প্রর্যায়ে মাস্টার সুমনের মৃত্যু পর পুলিশের খাতায় রাজ্জাকের স্বাক্ষর করার দৃশ্য আজো মনে পরলে চোখে পানি এসে যায়। এর দুই বছর পর একই পরিচালক আজিজুর রহমানের ছুটির ঘণ্টা ছবিতে স্কুলের দপ্তরির চরিত্রে রাজ্জাকের অসাধারণ অভিনয় কি মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব? বড় কথা ওই সময় যে অবস্থানে থেকে রাজ্জাক পাহারাদার কিংবা স্কুলের দপ্তরির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সেটা আজকের কোনো জনপ্রিয় নায়কের কাছ থেকে আশা করা যায় ? রাজ্জাক তার দুই পুত্র বাপ্পারাজ এবং সম্রাটকে নিয়ে এক সঙ্গে অভিনয় করেছেন কোটি টাকার ফকির ছবিতে। দুই ছেলেকে নিয়ে অভিনয় করাটাকেই রাজ্জাক তার জীবনের সেরা প্রাপ্তি হিসেবে মনে করেন। তিনি বলেছিলেন, আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই। সবকিছুই আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। তবে একটা কষ্ট আছে, সেটা হলো আমার বড়মেয়ে শম্পার অকাল মৃত্যু। ও বেঁচে থাকলে আমরা সম্পূর্ণ এবং পরিপূর্ণ পরিবার নিয়ে গর্ববোধ করতে পারতাম। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১৩মিনিটে রাজধানী ঢাকায় একটি হাসপাতালে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮

২৩ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এইদিনে
আজ মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪।  একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৫৫৬ -  চীনের সানসি প্রদেশে বিশ্বের ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিলো। ১৫৭০  -  স্কটল্যান্ডের অন্তবর্তীকালীন শাসন আর্ল অব মোর খুন হন। ১৯১৩   - তুরস্কে অভ্যুত্থানে নাজিম পাশা নিহত হন ও শেবকেত পাশা নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। ১৯১৯ -  মুসোলিনি ইতালির ফ্যাসিস্ত পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২০ -  ভারতীয় উপমহাদেশের বিমানে মাল পরিবহন ও ডাক যোগাযোগ শুরু হয়। ১৯২২ -  কানাডার টরেন্টো জেনারেল হাসপাতালে প্রথম ডায়াবেটিস বা বহুমুত্রে আক্রান্ত এক রোগীকে কৃত্রিম ইনস্যুলিন দেয়া হয়। ১৯৪৩ -  ব্রিটিশ বাহিনী ত্রিপোলি অধিকার করে নেয়। ১৯৫০ -  ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ নেসেট মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দেসকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছিলো। ১৯৬৪  -  ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া যুদ্ধ বিরতিতে সম্মতি প্রকাশ করে। ১৯৬৭ -  সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আইভরি কোস্টের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৬৮ -  নিজ জলসীমায় গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে উত্তর কোরিয়া কর্তৃক ইউএসএস পিউব্লো (এজিইআর-২) জাহাজ আটক হয়। ১৯৭৯ -  ইরানের শাহ সরকারের শেষ প্রধানমন্ত্রী শাপুর বখতিয়ার ইরানের বিমান বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। ১৯৮৯ -  সোভিয়েত তাজাখস্তানে ভূমিকম্পে চৌদ্দ শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯২  -  এল সালভেদরের পার্লামেন্টে গৃহযুদ্ধে জড়িত গেরিলাদের সাধারণ ক্ষমা করে বিল পাস করে। ১৯৯৬  -  ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রাবনকে হত্যার পর আদালতে ইগল আমির স্বীকাররোক্তি দেন। ১৯৯৭ -  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১ম নারী হিসেবে মেডেলিন অলব্রাইট সেক্রেটারী অব স্ট্যাট নিযুক্ত হন। ২০০১ -  বাংলাদেশে চতুর্থ আদমশুমারি শুরু হয়। ২০০২ -  পাকিস্তানের করাচীতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরবর্তীতে নিহত হন। জন্ম: ১৭১৯ -  ইংরেজ গণিতবিদ ও তাত্ত্বিক জন লান্ডেন জন্মগ্রহণ করেন। ১৭৫২ -  ইতালিয়ান পিয়ানোবাদক, সুরকার ও পথপ্রদর্শক মুযিও ক্লেমেন্টি জন্মগ্রহণ করেন। ১৭৮৩ -  ফরাসী ওপন্যাসিক স্তাঁদাল জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২৩ -  শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক ও উনিশ শতকের বাংলার পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা প্যারীচরণ সরকার জন্মগ্রহণ করেন । ১৮৬২ -  জার্মান গণিতবিদ ডেভিড হিলবার্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৬ -  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ অটো ডিলস জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯১ -  ইতালীয় মার্কসবাদী তাত্ত্বিক আন্তোনিও গ্রামসি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৭ -  ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন । ১৮৯৮ -  সোভিয়েত চলচ্চিত্র পরিচালক ও চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক সের্গে আইজেনস্টাইন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৭ -  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী হিদেকি ইউকাওয়া জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৫ -  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম আর্থার লিউইস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ -  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান প্রাণরসায়নী ও ফার্মাকোলজিস্ট গারট্রুড বি. এলিওন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ -  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান রসায়নবিজ্ঞানী জন চার্লস পোলানি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিখ্যাত কবি ও বিশিষ্ট নাট্যকার ডেরেক এলটন ওয়ালকট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ -  বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক নায়ক রাজ রাজ্জাক জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ -  ইন্দোনেশিয়ার ৫ম প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ওমর হেনরী জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৫০ -  আমেরিকান অভিনেতা, প্রযোজক ও সুরকার রিচার্ড ডিন অ্যান্ডারসন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ -  গায়ানার অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রেসিডেন্ট ভারাট জাগডেও জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ -  নিউজিল্যাণ্ডের উইকেটরক্ষক (ক্রিকেট) এডাম প্যারোরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ -  পাঞ্জাবী গায়ক ও সংগীতশিল্পী কমল হীর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ - ওলন্দাজ ফুটবল খেলোয়াড় আর্ইয়েন রবেন জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু: ১০০২ -  রোমান সম্রাট তৃতীয় অটো মৃত্যুবরণ করেন । ১৮০৬ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী ওয়িলিয়াম পিট মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৫৯ -  কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন। ১৯০৯ -  বাংলা সাহিত্যের একজন কবি নবীনচন্দ্র সেন মৃত্যুবরণ করেন । ১৯৪৪ -  রাশিয়ান কবি ভিক্টর গুসেভ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৬ -  হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক আলেকজান্ডার কোর্ডা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৬ -  আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ সংগ্রামী শিল্পী ও গায়ক পল রোবসন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৩ -  ইংরেজ ক্রিকেটার ফ্লপি ডিস্ক মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৯ -  স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালি মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৩ -  আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়ক নিল কার্টার মৃত্যুবরণ করেন। ২০১২ -  বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের একজন অভিনেতা অমল বোস মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৫ -  সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ মৃত্যুবরণ করেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৪০

নির্মাতাকে নিয়ে নায়িকা রিপার বিস্ফোরক মন্তব্য
ঢাকাই সিনেমার নবাগত নায়িকা রাজ রিপা। অভিনয়ে নাম লেখানর আগে জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের (অনূর্ধ্ব-১৮) সদস্য ছিলেন তিনি। খুলনা বিভাগে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাডমিন্টনকে বিদায় জানিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ার লড়াই করছেন। অন্যদিকে শোবিজের নতুন মুখ শিশির সরদার। সিনেমা-নাটকে কাজ করছেন নিয়োমিত। এদিকে নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরী ২০২০ সালে ঘোষনা দিয়েছিলেন নতুন সিনেমা ‘মুক্তি’ নির্মানের। ছবিটিতে প্রধান নায়িকা হিসেবে চুড়ান্ত করা হয় নবাগতা রাজ রিপাকে। ২০২১ সালের শুরুতে ‘মুক্তি’র শুটিং শুরু হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সেটা বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজকও ছিলেন ইফতেখার চৌধুরী। সিনেমাটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন নায়িকা রাজ রিপা। পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীকে ট্যাগ করে লিখেছিলেন, আমি কার সাথে কাজ করবো কী করবো না এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভাই আপনি আগে ‘মুক্তি’  সিনেমা শেষ করেন, নয়তো প্রমাণগুলো নিয়ে আমি মুখ খুললে কোথাও সম্মান নিয়ে চলতে পারবেন না বলে রাখলাম ইফতেখার চৌধুরী স্যার। আমার ধৈর্য্যের কারণে এখনও ভালো আছি, ভালো থাকতে দেন, নয়তো আমার মাথার তার ছিঁড়ে গেলে কিন্তু আমি ধ্বংস হওয়ার আগে আপনাকে ধ্বংস করবো, কসম আল্লাহর।   রিপা বলেন, সিনেমাটি অনেকদিন ধরে আটকে রয়েছে। এখন শুটিংও শেষ করছেন না আবার আমি অন্য কোথাও কাজ করি সেটাও চাইছেন না। এভাবে তো চলতে পারে না। আমার ক্যারিয়ার সংকটে পড়েছে।   পোস্ট দেয়ার ঘণ্টা খানেক পর সেটি অনলি মি করেন রাজ রিপা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পোস্টটির স্ক্রিনশট চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার হয়েছে। পরে তার ফেসবুকে আর পোস্টটি দেখা যায়নি।   প্রসঙ্গত, সেলিব্রেটি ক্রিকেট লীগে খেলতে গিয়েও আলোচনায় আসেন রাজ রিপা। গত বছর তিনি জাজ মাল্টি মিডিয়ার ‘ময়না’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন।   
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২২

মাহিয়া মাহির প্রশংসা করে যা বললেন অভিনেত্রী রাজ রিপা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অন্যদিকে ঢাকাই সিনেমার নবাগত নায়িকা রাজ রিপা। বর্তমানে নির্বাচনীর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মাহি। আর এই দিকে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নবাগত এই নায়িকা।   আরও পড়ুন : ভোট বর্জনের আহ্বান রিজভীর   সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের কাজের পাশাপাশি মাহিকে নিয়ে কথা বলেন রিপা। শুধু তাই নয়, রীতিমতো এই চিত্রনায়িকার ব্যাপক প্রশংসাও করেছেন তিনি। রিপা বলেন, মাহি আপু ভীষণ ভালো মনের একজন মানুষ।   বুধবার (৩ জানুয়ারি) সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন মাহি। সঙ্গে জুড়ে দেন কয়েকটি ইমোজিও।   রাজ রিপা বলেন, মাহি আপু আসলেই একজন ভালো মনের মানুষ। আমি বাস্তবে আপুকে যতটুকু দেখেছি সে খুবই নম্র-ভদ্র, ভীষণ অমায়িক একজন মানুষ। আমি দেখেছি কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাহি আপু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। আর আপুর এই ব্যাপারটা আমাকে খুবই ইমপ্রেস করে।    আরও পড়ুন : ঢাবির কার্জন হলে ছাত্রলীগের জন্মদিন উদযাপন   অভিনেত্রী আরও বলেন, মাহি আপুর মুখ থেকে আমি কখনও শুনিনি কাউকে নিয়ে সমালোচনা করতে, কারও নামে বদনাম কিংবা খারাপ মন্তব্য করতে। মাহি আপু সব সময় নিজের মতো করে থাকতে পছন্দ করে। এমনকি কেউ দুটো কথা বললেও প্রতিবাদ না করে সে চুপ করে থাকে।   মাহির নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাজ রিপা বলেন, নির্বাচনে মাহি আপু জয়ী হলে সে জনসেবা করবে। এটা আমি বুঝি। মাহির আপু কাছে যাওয়ার মতো যোগ্যতা এখনও কারও হয়নি। আর যাদের তার কাছে যাওয়ার যোগ্যতা নেই তারাই শুধু আপুকে নিয়ে ট্রল করবে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়