• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের ছেলে আ. গফুর, মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ, জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।  মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদ উদযাপনে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। তিনি ১১ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফেরেননি। পরদিন সকালে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে এম ইনায়েতুর রহিম
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (২২ মার্চ) দিনগত রাত ৩টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন তিনি। দেশে ফিরবেন আগামী ৩১ মার্চ। এ সময় পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শুক্রবার দিনগত রাত ৩টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। আগামী ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের অবর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:২৯

১৭ বছর প্রবাসে থেকেও নিঃস্ব আব্দুর রহিম
১৭ বছর প্রবাস জীবনে একবারও মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরা হয়নি চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রহিমের। একমাত্র ছেলে এখন দশম শ্রেণির ছাত্র। ভাগ্যের নির্মমতায় গেল দুই বছর ধরে কুয়ালালামপুরের অদূরে বাতু কেভস এলাকার একটি উড়াল সেতুর নিচে বসবাস তার। পুরাতন জিনিসপত্র ও ময়লার স্তুপ থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করে কোনোরকম খেয়ে-পরে কাটছে জীবন। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক যখম হলেও চিকিৎসার টাকা না থাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহত আব্দুর রহিম বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি, পরে মাইক্রোবাসের চাকা যায় তার পায়ের ওপর দিয়ে। এ সময় জ্ঞান হারান তিনি। তিন-চার ঘণ্টা পর পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাকে পার্শ্ববর্তী সেলায়েং হাসপাতালে পাঠায়। তবে কাছে পর্যাপ্ত টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পূর্বের স্থলেই পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ১৭ বছর একজন মানুষ পরিবার-পরিজন ছাড়া থাকছেন বিষয়টি খুবই কষ্টের। তিনি ব্রিজের নিচেই থাকতেন। দুর্ঘটনার পর দুই-তিন দিন রাস্তাতেই পড়ে ছিলেন, ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। পরে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি মিলে তাকে সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। শ্রমিক লীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুলকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি হাইকমিশনের মাধ্যমে সেলায়েং হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।  এ বিষয়ে কমিউনিটি নেতা ও জাতীয় শ্রমিক লীগের মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল বলেন, শুধু টাকা নয়; আহত আব্দুর রহিমের চিকিৎসার বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার কাগজপত্র ও পাসপোর্ট। তবে, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আব্দুর রহিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশা করি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় অসহায় এ প্রবাসীকে আমরা ভালোভাবে তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে পারবো। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান আব্দুর রহিম। কাজ করতেন পাম বাগানে। নানা কারণে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই প্রবাসে থাকতে হচ্ছে তাকে। জীবনের এই সময়ে একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীর কাছে ফিরতে চান এই প্রবাসী।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৮

হাজী রহিম উল্লাহর ভোট বর্জন
অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্লাহ।  রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। ফেনী-৩ আসনের অধিকাংশ কেন্দ্রে জালভোট ও অনিয়মের অভিযোগ করেন হাজী রহিম উল্লাহ বলেন, তার  এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে সরকারি দলের লোকজন। তার সঙ্গে নবাবপুরের অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আমির হোসেন দুর্ব্যবহার করেছেন। উল্লেখ্য, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ তার দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হাজী রহিম উল্লাহ। আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ প্রার্থী। আসনে মোট ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫২। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৯। নারী ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়