• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু
রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে আলেয়া বেগম (৬০) নামের আরও একজন মারা গেছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  নিহত আলেয়া বেগম নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল হকের স্ত্রী। জানা যায়, গত ৮ দিন আগে দগ্ধ হয়ে তিনি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ইনচার্জ ফারুক হোসেন। তিনি জানান, এ নিয়ে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে ১৪ জানুয়ারি মারা যান নগরীর তাজহাট এলাকার নাসরিন বেগম (৩৫) এবং ১৩ জানুয়ারি মারা যান পীরগাছার মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬৫)। এ দিকে শীত নিবারণ করতে গিয়ে পঞ্চগড়ে এ পর্যন্ত ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৬

রংপুরে বাস ডাকাতির ঘটনায় আটক ৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় বাস ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা। তিনি জানান, গত রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ এবং গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ধারালো চাকু, তিনটি স্মার্ট ফোন এবং ডাকাতদের ব্যবহৃত পাঁচটি বাটন ফোন ও লুট করা স্বর্ণ সদৃশ এক জোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন পীরগঞ্জের আগাচতরা গ্রামের ফিরোজ মিয়া (২৮), জয়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫), বড় আলমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৩৮), বড় গোপীনাথপুর গ্রামের শাহজাহান আলী (৩০) এবং ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়কারী চতরা গ্রামের মনোয়ার হোসেন মজিন (৩৮)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা জানান, ডাকাতদল গত ১২ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে গাজীপুরের চান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী হিসেবে ছদ্মবেশে বাসে ওঠে। এরপর রাত ১টার দিকে বগুড়ার শেরপুর ফুড ভিলেজে যাত্রাবিরতির সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তঃজেলা বাস ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ, মেহেদী, মোহাম্মদ আলী এবং শাহজাহান আলীসহ তাদের সহযোগী আরও চারজন ডাকাতির সুযোগ খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পীরগঞ্জ থানাধীন লালদিঘী ওভার ব্রিজ পার হয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা বাসের ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজারসহ বাস যাত্রীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে এবং বাসটিকে তারা নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ডাকাতরা ধারালো চাকুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮টি স্মার্ট ফোন, বাটন ফোন ৮/১০টি, নগদ ৪২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।  এ ঘটনায় সোমবার পীরগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তিনি আরও জানান, আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯

শীতে রংপুরে ৬ দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে তিন শতাধিক
গত ছয় দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন বয়স্ক ছয় জন। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক চেয়ে দুই-তিনগুণ বেড়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে পড়ছে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস। তবে হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্টার খাতায় ঠান্ডাজনিত রোগে মৃত্যুর কোনও তথ্য নেই। হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, এটি হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। আরও পড়ুন : রাজধানীতে আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার   শিশু বিভাগের দুটি ওয়ার্ডের সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের তিনতলার ৯ ও ১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে ৮০ শয্যার বিপরীতে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল পর্যন্ত ভর্তি আছে তিন শতাধিক শিশু। কোনও কোনও বেডে তিন থেকে চার জন শিশু রোগীকে রাখা হয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে অনেক শিশুকে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের আলাদা রাখার জন্য ১০টি শয্যা বরাদ্দ আছে। এর বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ৪০ জনের বেশি। দুটি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ শিশু জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এসব ওয়ার্ডে গত ছয় দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশই মারা গেছে ঠান্ডাজনিত রোগে। পাশাপাশি মেডিসিন ওয়ার্ডে ছয় বয়স্ক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে মারা গেছেন। দেখা গেছে, মেডিসিন, শিশু ওয়ার্ডসহ সব কটি ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অধিকাংশ রোগী মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একইভাবে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, আন্তবিভাগ ছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে গড়ে তিন শতাধিক শিশু। শিশু ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শত শত শিশুকে নিয়ে তাদের অভিভাবকরা হাসপাতালের বহির্বিভাগে দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন। বহির্বিভাগের কর্তব্যরত দুজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় গুরুতর অসুস্থ ছাড়া অন্যদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আরও পড়ুন : আরটিভিতে আজ যা দেখবেন   বহির্বিভাগের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক রোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আক্রান্ত শিশুদের বেশিরভাগই জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। গত কয়েকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন স্বজনরা।  শিশু বিভাগে দিনে কত শিশুর মৃত্যু হচ্ছে জানতে চাইলে ৯ এবং ১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত দুই চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালের পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কোনও তথ্য সাংবাদিকদের দিতে পারবেন না তারা। এ নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন এই দুই চিকিৎসক। শীতজনিত রোগে গত ছয় দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু। মেডিসিন ওয়ার্ডের মৃত্যুগুলোও স্বাভাবিক। শীতজনিত রোগে ছয় দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এটি নির্দিষ্ট করে বলার সুযোগ নেই। এসব মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না, এজন্য আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্যও নেই। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দিনে শত শত শিশু রোগী হাসপাতালে আসছে জানিয়ে ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, এর মধ্যে বেশিরভাগ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডগুলোতে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় এখন ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে। এই সময়ে যে কেউ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব রোগ থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় ব্যবহার, যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলা জরুরি। শিশুদের ঠান্ডা বাতাস থেকে দূরে রাখা, সেইসঙ্গে ধুলাবালু থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে শিশুদের ঘর থেকে কম বের করতে হবে। ঘরের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস যেন না ঢোকে, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। আরও পড়ুন : তীব্র শীত কতদিন থাকবে, নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অফিস   আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। গত চার দিন ধরে অধিকাংশ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। একই সঙ্গে নামছে তুষারের মতো কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে রংপুরের মানুষ। শীতের এমন অবস্থা জানুয়ারি মাসজুড়েই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও আগামী তিন দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা দুপুর পর্যন্তও থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রার হ্রাস-বৃদ্ধিসহ দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে। শনিবার রংপুরে তাপমাত্রা এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার বইছে শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে পড়ছে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস। তবে কয়েক দিনের মধ্যে ঠাণ্ডা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭

রংপুরে ভোট দেবেন যে কয়েকজন হেভিওয়েট
রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে কয়েকজন হেভিওয়েট রয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন সংসদের স্পিকার, বাণিজ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় উপনেতা ও চিফ হুইপসহ সাতজন। এরমধ্যে ঢাকার ভোটার হওয়ায় রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী হয়েও ভোট দিতে পারবেন না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবে অন্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোট দিবেন। জানা গেছে, রংপুর-১ (গংগাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি ভোট দিবেন তার নির্বাচনীয় এলাকার গংগাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের গার্লস স্কুল কেন্দ্রে। এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বদরগঞ্জ হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন তিনি। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভোট দেবেন পীরগাছার জেএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের বর্তমান সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। ৫ বারের সংসদ সদস্য তিনি। এবারে ছেলে রাশেক রহমানের জন্য তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন না। নৌকা প্রতীকে লড়ছেনতার ছেলে রাশেক রহমান। মিঠাপুকুরের ইমাদপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর সেন্টারে ভোট দিবেন তিনি। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবারেও নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তিনি ভোট দেবেন লালদিঘি উচ্চ বিদ্যালয় ও মকিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।  
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৫১

ডিসেম্বরে সারাদেশে ২৩৬০ অগ্নিকাণ্ড, সবচেয়ে বেশি রংপুরে
সারাদেশে গত ডিসেম্বর মাসে ২ হাজার ৩৬০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯২টি। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ছিল রংপুর বিভাগে। এসব অগ্নিকাণ্ডে ১৮ জন আহত ও ৮ জন নিহত হয়েছেন।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এসব তথ্য জানান।  তালহা বিন জসিম বলেন, ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৩৬০টি অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ঘটে ৫৭১টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০৮, রাজশাহী বিভাগে ৪৪৫, খুলনা বিভাগে ১৬০, সিলেট বিভাগে ৮০, বরিশাল বিভাগে ৯৭ ও রংপুর বিভাগে ৬০৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত নভেম্বর মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৩৬০টি। সে হিসেবে নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে দুর্ঘটনা অনেকটা বেশি ছিল। ডিসেম্বরে ঢাকায় দিনে গড়ে ৬টির বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ডিসেম্বরে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯২টি আগুনের ঘটনায় ৪ জন আহত ও ৪ জন নিহত হয়েছেন। ডিসেম্বরে শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪০টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়। এ ছাড়া, পুরো ঢাকা বিভাগে ১৮১টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৮টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৫টি, রাজশাহী বিভাগে ২০৯টি, খুলনা বিভাগে ১১৫টি, সিলেট বিভাগে ১৯টি, বরিশাল বিভাগে ৫১টি ও রংপুর বিভাগে ১০৯টি দুর্ঘটনা ঘটে।   ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, ডিসেম্বর মাসে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় চার হাজার ৬১০টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এ ছাড়া, ৯৪৬টি কলের মাধ্যমে ৯৪১ জন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয়েছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়