• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ 
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় আকরাম হোসেন নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে হরিপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।  আকরাম হোসেন হরিপুর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার হাটপুকুর গ্রামের আব্দুল তোয়াবের ছেলে। আকরামের পরিবারের লোকজন জানান, রোববার দিবাগত রাতে আকরামকে আটক করে হরিপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থানা হাজতে তাকে আটক রাখা হয়। সোমবার দুপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় থানাতেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন স্বজনরা।  তবে হরিপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ শেখে জানান, ১১০ পিস টাপেনটাডল ট্যাবলেটসহ আকারম হোসেন ও অপর দুজনকে আটক করা হয়। থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে সোমবার দুপুরে আসামিদের ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠানোর সময় আকরাম হোসেন অসুস্থবোধ করেন। চিকিৎসার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হরিপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান। হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকতা ডা. শামিমুজ্জামান বলেন, থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালের আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মুরাদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে সীতাকুন্ড সদর থেকে আসামি মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই এলাকার এটিএম গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুরাদ। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ইউপি সদস্য মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার সীতাকুন্ড সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর নিখোঁজ হন যুবদল নেতা জামশেদ। নিখোঁজের তিনদিন পর (১৪ নভেম্বর) উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহত জামশেদের স্ত্রী রুবি আক্তার বাদী হয়ে মুরাদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৬

ট্রেনে আগুন দেওয়া নিয়ে যা বললেন যুবদল সদস্য মনসুর আলম
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি একটি মিটিং হয়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ১৭ মিনিটের এই মিটিংয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।   গ্রেপ্তারের পর  মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ মনসুর আলম ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান ভিডিও জবানবন্দিতে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হওয়ার পর একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য। এর পরে শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়।  জিজ্ঞাসাবাদে মনসুর আলম বলেন, আমরা ভার্চুয়ালি মিটিং করি। মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ আমাদের যতগুলো টিম আছে তাদের টিম লিডারসহ ভার্চুয়ালি মিটিং করি। সর্বশেষ আমাদের মিটিং হয়েছে গতকাল (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে। আমি মতিঝিলে আমার বড় ভাইয়ের অফিসে ছিলাম, ৬ টার পর যখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কল আসছে আমি যুক্ত হই মিটিংয়ে। প্রায় ১৭ মিনিটের মতো কথা হয়েছে গ্রুপে। মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, একটি থানা ভিত্তিক আরেকটি ট্রেনের একটা ব্যাপার নিয়ে কথা হয়েছিল।’  এসময় কোরআন শরীফে হাত দিয়ে মনসুর আলম তার বাচ্চার কসম কেটে বলেন, আমি সব সত্যি বলছি। আমি কাউকে ফাসাইতে চাই না কিংবা মিথ্যা কথা বলছি না। থানা আর ওয়ার্ডভিত্তিক টিমগুলোকে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া ককটেল ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করার জন্য বলা হয়েছে যাতে ভোটার না আসে। ট্রেনের বিষয়ে একটা কাজ ছিল, সেটা কে করতে পারবে বলে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম। তখন নির্দেশনা ছিল কথা অল্পের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার জন্য। সদস্য সচিব জানতে চাইল ট্রেনে কে কাজ করতে পারবে? কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামি ট্রেনকে নরসিংদী কিংবা গাজীপুরের কোথাও ঢাকায় ঢোকার আগে আর নাহলে নারায়ণগঞ্জের রুটে আপ অ্যান্ড ডাউন যেকোনো জায়গায়। মিটিংয়ে অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করলে সদস্য সচিব নির্দিষ্ট করে দেন কে কাজটি করবে।  তিনি বলেন, তার সঙ্গে সোর্স দিয়ে দিবে। পরে বলেন, এই বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলবো। এর মধ্যে সবাই গ্রুপ কল থেকে বেরিয়ে গেছে, তারা নিজেরা পার্সোনালি কথা বলছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৫

বাগেরহাট কারাগারে যুবদল নেতার মৃত্যু
নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাগেরহাট কারাগারে থাকা কামাল হোসেন মিজান (৪৫) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন মিজান গ্রেপ্তারের পর ৫৩ দিন ধরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন। কামাল হোসেন মিজান বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম জানান, যুবদলনেতা কামাল হোসেন পরিবার নিয়ে খুলনাতে থাকতেন। তিনি সেখানেই যুবদল করতেন। গেল নভেম্বরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে একটি গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তার (ইএমও) মো. ফয়সাল ইসলাম স্বর্ণ বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই হাজতিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) শংকর কুমার মজুমদার বলেন, হাজতি কামাল হোসেন রাত ১০টা, সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে সার্ডেনলি আনকনসাসনেস হয়ে যান। আশপাশের সিটে যারা আছেন, তারা দেখে তাকে কারাগারে হাসপাতালে নিয়ে যান। আমরা তাকে এখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর ওরা বলছে মারা গেছে। কারাগার সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কামাল হোসেনকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়