• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
 রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় পাভেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহতের মা পারুল বেগম।  মামলার আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহির ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন।  মামলাসূত্রে জানা গেছে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক পাভেল তার পরিবারের সঙ্গে ১২ বছর ধরে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। মামলার আসামিরা পাভেলের পূর্ব পরিচিত ও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। মামলার আসামিরা বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন। পাভেল তাদের (আসামিদের) এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় আসামিদের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাভেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন হাবিব। এই মামলায় পাভেল ১৮ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন।  পাভেল তাড়াতাড়ি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাবিব। তাকে (পাভেল) কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দেবেন- এই মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করেন হাবিব। এতে হাবিবের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতেন পাভেল। গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার  প্রধান আসামি হাবিব তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড্ডা থেকে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিয়েন আসে। ওই দিন রাতে মামলার আসামিরা পাভেলকে পল্লবীর ১২ নম্বর  স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যান। আসামিরা পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি ধারাল অস্ত্রের ক্ষত পেয়েছে পুলিশ। ডিএমপির পল্লবী জোনের এসি শাহিদ বলেন, পাভেল ও মামলার আসামিরা সবাই বাড্ডা এলাকার হলেও ঘটনাটি পল্লবী এলাকায় ঘটেছে। মামলার প্রধান আসামি হাবিবসহ অন্যরা আমাদের নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁর মহাদেবপুর অটোরিকশা চুরির অভিযোগে আরমান সাকিদার (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদরের পাইকারি কাঁচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আরমান সাকিদার পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়খলি খাঁপাড়ার আমজাদ সাকিদারের ছেলে। জানা যায়, দুপুরে পাইকারি কাঁচাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে। পরে হাত বেঁধে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে হাটের ইজারাদারের লোকজন হাত বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাদের অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

মিরপুরে ২ যুবককে ছুরিকাঘাত, নিহত ১
রাজধানীর মিরপুরে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. রাসেল (২৫)। এতে আহত হয়েছেন রাশেদ (২২) নামের আরেক যুবক। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর সাড়ে ১১ এর আধুনিকের মোড় নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত পৌনে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত রাশেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর সাড়ে ১১ আধুনিকের মোড়ের কিছুটা সামনে আসলে আমাদের দুজনকে ১০-১২ জন মিলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ওই এলাকার তানজিলা ও তার স্বামী কালু, ভাই শাহিনের সঙ্গে রাসেলের পূর্বশত্রুতা ছিল। তারাই আজকে এ হামলা করেছে।   এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত রাশেদের অবস্থাও গুরুতর। রাশেদকেও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর রাসেলের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।   এ দিকে পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) মোকলেসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিরপুর ই-ব্লকে বিহারিদের নিজেদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনায় এক যুবক মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা এতটুকু জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৬

পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবককে হত্যা, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার 
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে পাওনা ৫ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় যুবক আব্দুল্লাহকে (২৬) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যার জড়িত প্রতিবেশী বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১।  বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ৯টায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪৫) এবং তার ছেলে এছানুল হক (২৪)। রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আব্দুল্লাহপুর আটিপাড়া সুজনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, আসামি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভিকটিম গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর জমিসংক্রান্ত বিষয়ে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে স্থানীয় চায়ের দোকানের তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি শহিদুল ইসলামের মনে প্রচণ্ড ক্রোধ এবং প্রতিশোধ সৃষ্টি করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ভিকটিম আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেলে বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্ব পাশে স্থানীয় মেধা বিকাশ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায়। পরে অনুষ্ঠান স্থলের পশ্চিম পাশে সালামের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। এ সময় আসামি শহিদুল ইসলাম ভিকটিম আব্দুল্লাহর সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মিমাংসা করে দিলে ভিকটিম আব্দুল্লাহ স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে চলে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় আসামি শহিদুল ইসলামের নির্দেশে অপর আসামি রফিক এবং নুরুল ইসলাম নূরু ভিকটিম আব্দুল্লাহকে মাঠ থেকে ডেকে বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্বপাশে সুরুজ মিয়ার টিনসেড ভবনের পেছনে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে। পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ঘটনাস্থলে শহিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে ভিকটিমের বাম পাজরে পার দিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার ছেলে এছানুল হক আব্দুল্লাহও বাম পাজরে পার মারলে সে মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমের শরীরের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আনন্দ উল্লাস করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে দুপুরে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১৫ মার্চ) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের শিকার আব্দুল্লাহ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে। সে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার টিএম বিডি লিমিটেড পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বাঁশবাড়ী বাজারে বাবা ও ছেলে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:০২

রাজধানীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর মিরপুরে আল আমিন (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১০ মার্চ) মিরপুর মুক্তবাংলা মার্কেটের সামনে সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজমিস্ত্রী আল আমিন বরগুনার বেতাগী উপজেলার কালকা বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তার সহকারী হৃদয় মিয়া জানান, এক মেয়ে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হিরাকে নিয়ে মিরপুর-১ নম্বরের গোদারাঘাট এলাকায় থাকতেন আল আমিন। শনিবার সকালে মিরপুর-১ নম্বরের মুক্তবাংলা মার্কেটের সামনের রাস্তায় আমরা কাজে যাওয়ার জন্য বসে ছিলাম। এরপর আমি একটা কাজের জন্য সামনের দিকে যান। ফিরে এসে দেখি, আল আমিন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  নিহতের বাবা আবুল হোসেন জানান, সকালে কাজের জন্য আমার ছেলে বের হয়। এরপর জানতে পারি, তাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে তারই এক সহকর্মী।  শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে জানতে পেরেছি আল আমিনের সহকর্মী তাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৩:২১

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় যুবককে হত্যা
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে পাওনা ৫ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় কারখানা শ্রমিক আব্দুল্লাহকে (২৬) ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে।  শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইয়ার মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আব্দুল্লাহ গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউরিনিট স্পিনিং কারখানায় চাকরি করতেন। আব্দুল্লাহর মামা সাইদুল ইসলাম বলেন, বিকেলে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান দেখতে যায় আব্দুল্লাহ। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে এহসানের (১৮) সঙ্গে আব্দুল্লাহর বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে মিলিয়ে দিয়ে দুজনকে আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর এহসান ও তার বাবা শহীদ (৪৫) আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক মাঠ থেকে রাস্তায় তুলে নিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে আব্দুল্লাহ মারা যান। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাবা শাহাদত আলী বলেন, শহীদ জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে প্রায় চার মাস আগে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। জমি কিনে না দেওয়ায় টাকা চাইলে দেই, দিচ্ছি বলে সময় পার করতে থাকে। টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিলে সে আমাকে ও আমার ছেলে আব্দুল্লাহকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক নাজমুল হুদা বলেন, যুবক আব্দুল্লাহকে তার স্বজনেরা মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭

বগুড়ায় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ার সদর উপজেলায় এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২ মার্চ) উপজেলার চকফরিদ কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম আজহারুল ইসলাম শান্ত (২৪)। নিহত শান্ত বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতারা সাহাপাড়া এলাকার আবুল হোসেন আলীর ছেলে।  শান্তর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে শহরের ফুলদিঘী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এ ছাড়াও সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে ডিগ্রিতে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টারনেটের ব্যবসা করতেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, শান্ত এবং তার বন্ধু ইমরান মিলে ইন্টারনেটের ব্যবসা করতেন। বিকেলে ইন্টারনেটের কাজ করার জন্য বাসা থেকে বের হন শান্ত। কারও সঙ্গে শান্তর প্রকাশ্য শত্রুতা আছে কিনা তা জানা নেই তাদের।  তবে পরিবার বলছে, এলাকায় একটা গ্রুপের সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে শান্তর কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, দুর্বৃত্তরা শান্তকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছে। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা এখনও জানা যায়নি। আমাদের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। আশা করছি দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪১

থানায় যুবককে পেটানোর অভিযোগে এসআই ক্লোজড
নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় এক তরুণকে পেটানোর অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে।     বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। একই দিন দুপুরের দিকে থানায় আটক বড় ভাইয়ের খবর নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল নোমান (২৩) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের উত্তর কাদরা মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগীর পরিবারও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শাহাদাত হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে তার ছোট ছেলে নোমান বড় ভাইয়ের খোঁজ নিতে থানায় যান। থানায় উপপরিদর্শক সঞ্জয় সিকদারের কাছে তার বড় ভাইকে আটকের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। ওই উপপরিদর্শকের সঙ্গে নোমানের কথা-কাটাকাটি হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নোমানকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পিটিয়েছেন ওই উপপরিদর্শক। এতে নোমান অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদার বলেন, শাহাদাত হোসেনকে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় আনার পর তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। নোমান নামে কাউকে তিনি চেনেন না। নোমানকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন, সেটিও তিনি জানেন না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, আটক ভাইয়ের খোঁজ নিতে যাওয়া তরুণকে থানায় পেটানোর অভিযোগ ওঠায় সেনবাগ থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

ফেসবুক কমেন্ট করায় যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যা
যশোরে ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে দ্বন্দ্বে আকাশ হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে শহরের বটতলা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আকাশ হোসেন ওই এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক। আকাশের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে কমেন্ট করা নিয়ে একই এলাকার তানভীরের সঙ্গে আকাশের অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তানভীর তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন বলে আকাশের পরিবার দাবি করছে। এ বিষয়ে আকাশের স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার সাব্বির ও তানভীর। তাদের সহযোগীরা বেধড়ক পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যান আকাশকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান জানান, রাত ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  এ প্রসঙ্গে ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামিদের আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবককে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ বসতঘর থেকে মোরছালিন ভূঁইয়া নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মোরছালিন ভূঁইয়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। নিহতের স্বজনদের দাবি পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা মোরছালিনকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে বাড়িতে তালা লাগিয়ে আব্দুল্লাহসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙে বস্তায় বাধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছি। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’ তিনি আরও বলেন, আব্দুল্লাহ একজন চিহ্নিত মাদককারবারি। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, মাদকসহ আখাউড়া থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে টাকা পয়সার বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়