• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্ত্রীকে ২০০ টুকরা করার পর সুবিধা জানতে গুগলের দ্বারস্থ যুবক
নিকোলাস মেটসন। যুক্তরাষ্ট্রের নেবরাস্কার অধিবাসী ২৮ বছর বয়সী এক যুবক। এক বছর আগে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি। সম্প্রতি আদালতে সেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন লিংকন শহরের এই বাসিন্দা। তার বয়ানে উঠে এসেছে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক এক বর্ণনা।  লিংকন ক্রাউন কোর্টে দেওয়া ওই বয়ানে জানা যায়, গত বছরের মার্চে স্ত্রী হলি ব্রামলিকে ২০০ টুকরা করে হত্যা করেন মেটসন। এরপর টুকরোগুলো বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরে রেখে গুগলে সার্চ করেন বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল- ‘আমার স্ত্রী মারা গেলে আমি কী সুবিধা পাব?’ আরেকটি প্রশ্ন ছিল- ‘মৃত্যুর পর কেউ কি ভূত হয়ে তাড়া করতে পারে?’  পরে ব্রামলির মরদেহের টুকরাগুলো ফেলে দেওয়া হয় উইথাম নদীতে। আর এ কাজে অর্থের বিনিময়ে জোসুয়া হ্যানকক নামে নিজের এক বন্ধুকে কাজে লাগান মেটসন।   এর কয়েক দিন পরেই হলি ব্রামলির মরদেহের টুকরাগুলো পাওয়া যায় উইথাম নদীতে। এরপর মেটসন-ব্রামলি দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় বাড়ির অবস্থা দেখে। ফ্ল্যাটটিতে অ্যামোনিয়া এবং ব্লিচের তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া তারা বাথটাবে রক্তে ভেজা চাদর এবং মেঝেতে কালো দাগও খুঁজে পান। পরে মৃতের সঙ্গে মিলে যায় সেই রক্তের নমুনা। জানা যায়, ২০২১ সালে হলি ব্রামলির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নিকোলাস মেটসন। যখন হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়, তখন ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে ছিলেন এ দম্পতি।    
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫

প্রেমের টানে ঝালকাঠিতে ভারতীয় যুবক, পালালেন প্রেমিকা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ঝালকাঠিতে প্রেমিকার বাড়ি এসেছেন ইমরান (৩৪) নামে এক ভারতীয় যুবক। কিন্তু তার আসার খবর শুনে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিকা।  শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দী এলাকার ইমাদুল হাওলাদারে বাড়িতে আসেন ইমরান নামে ওই যুবক। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ কানপুর এলাকার ছেলে। তাকে একনজর দেখতে বিকেল থেকেই ওই বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইমরানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ইমাদুল হাওলাদারের মেয়ে ফারজানার। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে ইমরান বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে টাকা পাঠাতেন এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে পোশাক পাঠাতেন। এবার প্রেমিকাকে দেখতে ভারত থেকে ছুটে আসেন ইমরান। কিন্তু ইমরানের আসার খবর শুনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন ফারজানা। এদিকে যুবকটির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় ফারজানার পরিবারও। কোনো উপায় না পেয়ে পরে ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে ইমরান বলেন, ফারাজানার ছোট খালা এবং আমি সৌদিতে এক মালিকের অধীনে চাকরি করেছি। সেই সুবাদে ফারাজানার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ফারাজানার পরিবারের সবাই জানত। তারা আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর এখন তারা সব কিছু অস্বীকার করছে। আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এখন বাধ্য হয়ে আবার দেশে ফিরে যাচ্ছি। ইমরানকে চিনলেও মেয়ের প্রেম ও প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করেন ফারজানার বাবা ইমদাদুল। তিনি বলেন, আমার শ্যালিকা সৌদি আরবে থাকেন। সেখান থেকে ইমরানের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। এরপর আমাদের একটা ভিসা দেওয়ার কথা বলেছিল। আমি তার হিন্দি ভাষা বুঝতে না পারার কারণে আমার মেয়ের সঙ্গে তার কথা হতো। আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এটা মিথ্যা কথা। ফারাজানার খালা বলেন, যখন সৌদিতে থাকতাম তখন আমরা একই মালিকের অধীনে কাজ করতাম। একদিন আমার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে আমি ইমরানের কাছে মোবাইল সারাতে দিয়েছিলাম। কারণ আমি মোবাইলের তেমন কিছু বুঝি না। এরপর সে কীভাবে আমার মোবাইল থেকে আমার ভাগ্নির ছবি নিয়ে যায়। আমি সৌদি থেকে বাংলাদেশ আসার সময় আমি একটা নম্বর দিয়ে এসেছিলাম। তারপর ইমরান ওই নম্বরে একমাস কল দিয়েছিল। এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২২

লঞ্চে আসার পথে মলম পার্টির খপ্পরে যুবক 
ঢাকা থেকে চাঁদপুরে লঞ্চে আসার পথে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে অচেতন হয়ে সবকিছু হারালো আবু বকর নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে শহরের বড়স্টেশন মোলহেড থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। যুবক আবু বক্কর শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার আরশিনগর ইউনিয়ন জয়নাল মোল্লার ছেলে। বর্তমানে হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় ভোরে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় স্থানীয় পথচারীরা দেখে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে যুবক আবু বক্কর। স্থানীয়রা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই আজাদ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন হওয়া যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রথমে যুবকের পরিচয় জানা না গেলেও পরে অনলাইন মাধ্যমে দেখে তারা আবু বক্করকে নিশ্চিত করে। আবু বক্করের ভাই হজরত আলী জানায়, ঢাকা থেকে বোগদাদিয়া লঞ্চযোগে চাঁদপুরে আসার পথে মলম পার্টির খবর পড়ে সে অচেতন হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল মানিব্যাগ ও জামা কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় মলম পার্টির সদস্যরা। এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অচেতন হওয়া যুবককে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯

সীমান্ত পেরিয়ে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। সাইফুল ইসলাম রাধানগর ইউনিয়নের হাসান আলীর ছেলে।  সাইফুল ইসলামের পরিবার জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ভারতে গরু আনতে সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে না আসায়, সাইফুলের অবস্থান সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। তবে আশঙ্কা করছেন বিএসএফের গুলিতে সাইফুলের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।  সাইফুল ইসলামের বড় ভাই রবিউল ইসলাম জানান, গত সোমবার এশার নামাজের পর সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। এরপর থেকে তার ভাইয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না। যাদের সঙ্গে গরু আনতে গিয়েছিল, তারাও ফোন ধরছে না। তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ভারতে কী হয়েছে তার ভাইয়ের ভাগ্যে। রবিউল ইসলাম আরও জানান, সাইফুল কৃষি কাজ করতেন। তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। কিভাবে যে ভারতে গরু আনতে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি ধরা পড়ে তাহলেও যেন তাদের পরিবারকে জানানো হয় সেই অনুরোধ করেন তিনি। আর তার ভাই যদি গুলিতে মারা গিয়ে থাকেন তাহলে যেন লাশটা আনার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার সেই অনুরোধও করেন তিনি।   এ বিষয়ে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮

অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ–সংলগ্ন নুরআলী মিয়ারহাট বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের মো. মিরাজ ও সমিতিরহাট ইউনিয়নের মো. ফারুক। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা গেলেও অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়া যায়নি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, নিহত যুবকেরা হাটহাজারীতে আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতারি দেওয়ার পর মোটরসাইকেলে ফটিকছড়িতে ফিরছিলেন। হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের নুরআলী মিয়ারহাট বাজার এলাকায় চট্টগ্রামমুখী একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তাদের ফটিকছড়ির নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আরেফিন আজিম ।    
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬

জাটকা পাচারকালে ২ যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদপুরে ১৫০ কেজি জাটকা পাচারকালে নুরুল ইসলাম (২০) ও কাদির (১৮) নামের ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।  চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের হক মার্কেট-সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর থেকে সোমবার ভোরে তাদেরকে জাটকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার গবিন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হাঁসা গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে ও কাদির হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের দুলাল দর্জির ছেলে। পুলিশ জানায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের হক মার্কেট-সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ কেজি জাটকা পাচার করার সময় নুরুল ইসলাম ও কাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।  অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম জানান, মৎস্য আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

প্রেম-সংক্রান্ত বিরোধে যুবক খুন, দুজনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রেম-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সাল নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার দায়ে ২ যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিঞার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)। জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সালের সঙ্গে আসামি শামীম মিয়ার কলেজপড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তারের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমের জের ধরে ২০২০ সালের ৫ জুন জবাই করে ফয়সালকে হত্যা করে মরদেহটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিতে পুঁতে রাখে শামীম। খুনের ৮ দিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মো. শামীম মিয়া ও মো. দুলাল মিয়াকে আটক করলে আসামিদের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শামীম মিয়া ও মো. দুলাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে। আর রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হবে। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করব।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১২

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. এমরাজ হোসেন সুমন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় আফ্রিকার বেস্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এমরাজ হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার জগৎপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। নিহতের স্বজনরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, শুক্রবার সকালে সুমনের দোকানে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এমরাজ হোসেন সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা আরও জানান, ১০ বছর আগে এমরাজ জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে বেস্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায় একটি স্টেশনারি ও মুদিদোকানে কাজ করতেন তিনি। পরিবারে তার ৫ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  এ বিষয়ে দাগনভূঞা উপজেলার ইউএনও নিবেদিতা চাকমা বলেন, নিহতের মরদেহ দেশে আনার জন্য সার্বিক সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া পরিবারের জন্য সরকার নির্ধারিত সহযোগিতা যেন খুব দ্রুত পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪১

ফেক আইডিতে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে যুবক ধরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে প্রেমের টানে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার তুলাই শিমুল এলাকা থেকে বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছুটে আসেন আলআবি মৃধা নামের এক যুবক। এসে জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।  ফেসবুকে যে নামের আইডির সঙ্গে কথা বলছেন তিনি, সেই নামের নারী বিবাহিত এবং এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ কিছুই জানে না। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।  তালতলী উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল‌্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ আলআবি মৃধাকে তার মা খোরশেদা বেগমের জিম্মায় দিয়ে দেয়।  জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলার কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের সঙ্গে বরগুনার তালতলী উপজেলার নায়াপাড়া এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। আলাপের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের টানে ওই কিশোর বান্ধবীকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন তালতলীতে। ভুক্তভোগী আলআবি মৃধা বলেন, ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে আরিফা ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। এরপর ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সাথে মেসেজে সবসময় কথা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল আরিফা ইসলাম। সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এই এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে পুলিশ আমাকে আটক করে। ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমার ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি জানার পর এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় আলআবি মৃধাকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে তার পরিবারকে খবর দিয়ে আসতে বলা হয়। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় আলআবিকে তার মা ও বোনের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তিন গ্রামের ছয়জন যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে জাল ভিসা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা খেয়ে সেখান থেকে সরাসরি দালালের বাড়িতে এসে গত ছয় দিন ধরে অবস্থান করছেন। আর বিদেশ নয়, দেওয়া টাকা ফেরত নিয়ে তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে চান। তা না হলে, দালালের বাড়িতেই সবাই শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মাহুতি করবেন বলে জানান।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামে দালালের বাড়িতে গিয়ে ওই ছয় যুবকের অবস্থানের দৃশ্য দেখা যায়।  দালালের বাড়িতে অবস্থানরত যুবকরা হলেন, উপজেলার পাঁচগ্রামের আতিকুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, আলামিন তালুকদার, মোলামগাড়ীহাটের মেহেদী হাসান, জিন্দারপুর গ্রামের আবু তাহের। অবস্থানরত যুবক, দালালের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিন্দারপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে দালাল সুলতান মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠান। এলাকায় তাকে মাবুদ নামে চেনেন। সাড়ে তিন বছর আগে একই এলাকার পাঁচগ্রাম, মোলামগাড়ীহাট ও জিন্দারপুর গ্রায়ের ছয়জন যুবক একসঙ্গে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালাল মাবুদের সাথে ৩৩ লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তির পুরো টাকা তারা পরিশোধও করেছেন। তখন থেকে  কালক্ষেপণ করেন মাবুদ। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া নয়, তাজিকিস্তানে পাঠানোর কথা হয়। তাতেও রাজি হন ওই যুবকরা। অনেক দেরিতে হলেও চলতি বছরের ১৮ মার্চ তাদেরকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকায়। ২০ মার্চ রাতে একবুক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্য টিকিটসহ কাগজপত্র হাতে পেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  উপস্থিত হন ওই ছয় যুবক। ‘বিধিরবাম’ এয়ারপোর্টে চেকিংয়ে গিয়ে জানতে পারেন ম্যানপাওয়ার, ভিসা, বিএমইটি স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করে তাদের ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছেন দালাল মাবুদ। শুধুমাত্র বিমানের টিকেট ছিল আসল। এয়ারপোর্ট থেকে তাদেরকে ফেরত আসতে হয়। তাই তারা নিজ বাড়িতে না গিয়ে দালাল সুলতান মাহমুদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এখানেই শেষ নয়, গত ছয় মাস আগে একই উপজেলার আতাহার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম, জিন্দাপুর গ্রামের মোশারফের ছেলে মোহসিন আলী, বেলগড়িয়া গ্রামের ফরিদুলের ছেলে ফয়সাল, মহেশপুর গ্রামের ইউনুসের ছেলে রিমন, পাঁচগ্রামের মৃত মজিদের ছেলে মোস্তফাসহ আরও অনেককেই মালয়েশিয়াতে একই কৌশলে পাঠিয়েছে দালাল মাবুদ। তারা বর্তমানে কাজ না পেয়ে মাবুদের লোকজনদের কাছে বন্দি অবস্থায় মালয়েশিয়া জীবন-যাপন করছেন।   অবস্থানরত যুবক আতিকুল ইসলাম বলেন, জমি বন্ধক রেখে দালাল মাবুদকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়ে আজ বড় বিপদে পড়েছি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ছয় দিন ধরে এ বাড়িতে অবস্থান করছি। পুলিশ নয়, নিজেরাই এর সমাধান চাই। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে যাবো না। কপালে যা আছে তা হবেই। আরেক যুবক আবু তাহের বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়া হয়নি তাতে কোনো সমস্যা নেই। তাজিকিস্তানে যাওয়ার দিনে কেন ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানো হলো। আমরা আর বিদেশে যাবো না, টাকা ফেরত চাই। তিনি আরও বলেন, মাবুদের সাথে সমাধানের জন্য আমরা বসেছিলাম, কিন্তু ৯৯৯ এ ফোন করলে মাবুদকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরাও থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ মাবুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলেছিল, আমরা অভিযোগ করিনি। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর থেকে মাবুদ পলাতক।   দালাল সুলতান মাহমুদ ওরফে মাবুদ বলেন, আমি যে এজেন্সির মাধ্যমে তাদেরকে পাঠাচ্ছি মূলত তারাই এসব ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করেছে। তারা যে ভুয়া কাগজপত্র করেছে তার কিছুই জানি না। টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমি তাদের নিকটে সময় চেয়েছি। তাদের টাকার ব্যবস্থা করছি। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া যাদেরকে পাঠিয়েছেন তারা এখন বন্দি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পায়নি, তার হেপাজতেই তারা রয়েছেন। খরচ যা লাগছে তিনিই দিচ্ছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরও ব্যবস্থা হবে। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতারিত যুবকদের অভিযোগ দিতে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তারা অভিযোগ দিতে নারাজ। মাবুদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়