• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উচ্চঝুঁকিপূর্ণ রুট পার হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ, পাহারায় ইইউ’র যুদ্ধজাহাজ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩১ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করেছে। জাহাজটি বর্তমানে ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে এখনও জাহাজটি এখনও উচ্চঝুকিপূর্ণ নৌ-সীমার মধ্যে থাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সেটিকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তিনটি দ্রুতগতির টহল বোট।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপও। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাহাজটি এখনও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প ও সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা এবং ঢোকার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ জলসীমায় আনার আগ পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছে দুটি যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন।’ জানা গেছে, অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। মূলত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং দস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকিই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সূত্র জানায়, জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন নাবিকরা। আগামী ২০ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর শনিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কাছাকাছি থাকা ইইউ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের দিকে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২১

এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠিয়েছিল ভারত
ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। দস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে এমভি আব্দুল্লাহ থেকে সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদন গ্রহণ করে সাহায্যের জন্য নজরদারি বিমান পাঠায় ভারতীয় নৌবাহিনী। কিন্তু এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি তাদের। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ নামের জাহাজটি থেকে সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু বিমানটি এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। এরপর ১৪ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে অবরুদ্ধ করে। ওই সময় নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে না পারায় ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি। এদিকে জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা। প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৫২

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের পিছু নিয়েছে ইইউয়ের যুদ্ধজাহাজ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পিছু নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময়ে জাহাজটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল দূরে ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের উৎপাত এড়াতে এবং প্রতিহত করতে কাজ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টা। এর অন্তর্ভুক্ত একটি জাহাজই ‘এমভি আবদুল্লাহকে’ ছায়ার মতো অনুসরণ করছে, এক বিবৃতিতে জানায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। বিবৃতিতে বলা হয়, ২৩ জনকে জিম্মি নিয়েছে জলদস্যুরা। সবাই নিরাপদে আছে। সোমালিয়ার তীরের দিকে যাচ্ছে জাহাজটি।  বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল সোমালিয়া উপকূল থেকে ১৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এটি ক্রমশ উপকূলের দিকে যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টার মধ্যে জাহাজটি উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে। নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ভেসেল ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট থেকে এমভি আবদুল্লাহর এ অবস্থান তারা জানতে পেরেছেন। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৭

ভোটের নিরাপত্তায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) দেশের উপকূলীয় ৬ জেলার ১১টি আসনে ৩ হাজারেরও বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং ৬টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, নৌবাহিনীর সদস্যদের ১১টি সংসদীয় আসন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে— ভোলা ১, ২, ৩ ও ৪, কক্সবাজার ২ ও ৪,  চট্টগ্রাম ৩, নোয়াখালী ৬, বরগুনা ১ ও ২ এবং বাগেরহাট-৩। নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনীর ৩ হাজারের বেশি নৌ সদস্য এবং ৬টি যুদ্ধজাহাজ ১৯টি উপজেলায় ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। উপজেলাগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ, ভোলা জেলার ভোলা সদর, বোরহান উদ্দিন, দৌলতখান, তজুমুদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন, মনপুরা, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, বরগুনা জেলার বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী, বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা। আইএসপিআর আরও জানায়,নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়