• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইরানের ৭২ ঘণ্টার নোটিশের বিষয়টি অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। হামলার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ আশপাশের দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল। তবে, তেহরানের এমন দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান জানান, হামলা চালানোর বিষয়ে  প্রতিবেশী দেশ এবং ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ৭২ ঘণ্টার নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিল। তবে, ইরানের এই দাবিকে অস্বীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা আগে ইরান কোনো নোটিশ দেয়নি। হামলার বিষয়ে কোনো ধারণাও দেয়নি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, হামলা শুরু হওয়ার পরেই আমরা ইরানিদের কাছ থেকে একটি বার্তা পেয়েছি। সেই বার্তায় হামলা সম্পন্ন হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও হামলা চলমান ছিল। যদিও হামলা শুরুর আগে শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারে ইরান। এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক, জর্ডান এবং ইরাকের কর্মকর্তাদের প্রত্যেকে বলেছেন, ইরান গত সপ্তাহে কিছু বিশদ বিবরণসহ হামলার বিষয়ে প্রাথমিক সতর্কতা দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। এর জাবাবে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটিই প্রথম ইসরাইলে সরাসরি ইরানের হামলা।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩

ইরানের হামলার শঙ্কা / ইসরায়েলে কর্মরত মার্কিনীদের সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে সম্প্রতি ইরানের জেনারেলসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর জবাবে ইরান আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন এক কর্মকর্তা। এ অবস্থায় ইসরায়েলে কর্মরত নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজ কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেমের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, তেল আবিব ও বির শেভা এলাকা এ সতর্কতার আওতামুক্ত থাকবে। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান।  তবে, ইসরায়েল এই হামলায় দায় স্বীকার না করলেও এর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। দেশটির ইরানের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। কোনো একটি কনস্যুলেট ভবনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩০

যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের
নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ২০১২ সালে অভিষেক হয়েছিল কোরি অ্যান্ডারসনের। ক্যারিয়ার শুরুটা ভালো হলেও মাঝ পথে ২০১৮ সালে দল থেকে ছিটকে যান এই কিউই অলরাউন্ডার। এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি তার। প্রায় ছয় বছর পর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন অ্যান্ডারসন। তবে এবার নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মাঠে নামবেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। আগামী মাসে কানাডার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে তারা। তাদের দলে জায়গা পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন। মূলত কোরি অ্যান্ডারসনের স্ত্রী মেরি মার্গারেট যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। যার সুবাদে অ্যান্ডারসনও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান এবং নিউজিল্যান্ড দলে জায়গা না পাওয়ায় তাকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।  তাই এবার যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে দেখা যাবে ৩৩ বছর বয়সী এই সাবেক কিউই অলরাউন্ডারকে। ২০১৯ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া দল যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা ছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা। তবে তারা তা করতে পারেনি। তবে তখন থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে ভেড়াতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে ছয় বছরে ১৩ টেস্ট, ৪৯ ওয়ানডে এবং ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দলে জায়গা হয়েছে ভারতের বেশকিছু ক্রিকেটারের। যাদের মধ্যে রয়েছেন হারমিত সিং। ২০১৩ সালে আইপিএলের দল রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এক মৌসুমে খেলেছিলেন তিনি।   কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোয়াড: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), কোরি অ্যান্ডারসন, গজানন্দ সিং, জেসি সিং, সৌরভ নেত্রাভালকার, নিসর্গ প্যাটেল, স্টিভেন টেলর, অ্যান্ড্রিস গাউস, হারমিত সিং, শ্যাডলি ভ্যান শ্যালকউইক, নস্টুশ কেনজিগে, মিলিন্দ কুমার, নীতিশ কুমার, উসমান রফিক
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৬

কার্বন নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন লক্ষ্যমাত্রা
কার্বন নিঃসরণ কমানোর নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে জো বাইডেন প্রশাসন৷ বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, সংশোধিত এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে ইলেকট্রিক গাড়ি শিল্পে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে৷ নতুন নীতিমালায় গাড়ি এবং ট্রাকের জন্য নির্ধারিত দূষণ-মান অবশ্য হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের মতো হয়নি৷ হোয়াইট হাউস ২০৩২ সালের মধ্যে নিঃসরণ কমাতে আরো কঠিন কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্য, বিশেষ করে মিশিগান রাজ্যের গাড়ি শিল্প কারখানা এবং কারখানার কর্মীরা ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করার দাবি জানিয়ে আসছিল৷ তাদের দাবির মুখে পরে ২০৩২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পকে অন্তত ৩৫ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয় পরিবেশ রক্ষা সংস্থা-ইপিএ৷ আগের প্রস্তাবে ২০৩২ সালের মধ্যে মোট গাড়ির অন্তত ৬৭ শতাংশ বৈদ্যুতিক করার কথা বলেছিল তারা৷ দাবির মুখে শিথিল করা প্রস্তাবে ইপিএ আরো বলেছে, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর জন্য হাইব্রিড, অর্থাৎ তেল এবং বিদ্যুতে চলে এমন গাড়িও বাড়ানো যেতে পারে৷ ইপিএ-র প্রধান মাইকেল রিগান মনে করেন, এমন প্রযুক্তি-নিরপেক্ষ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে পরিবেশ দূষণ হ্রাস যদি সম্ভব না-ও হয়, দূষণের বর্তমান মাত্রা অন্তত ধরে রাখা যাবে৷ তিন বছর আগে জো বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৫০ ভাগ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন৷ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে সেই লক্ষ্যমাত্রার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

'ড. ইউনূসকে হয়রানিতে নষ্ট হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক'
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করে তার বিরুদ্ধে সব হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের আইন বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডিক ডারবিন। একইসঙ্গে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক হয়রানি বন্ধ না হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠক ক‌রে এ অভিমত জানান ডিক ডারবিন। বৈঠকে 'ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি' বন্ধের আহ্বান জানান এ সিনেটর।  বাংলাদে‌শি দূতের সঙ্গে বৈঠ‌কের এক‌টি ছ‌বি নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে সিনেটর ডারবিন লিখেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়ায় আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করি। কিন্তু ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা অবসানের ব্যর্থতা দুদেশের অংশীদারত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  এদিকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার (১১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখাতে এসব মামলায় আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:১৬

ড. ইউনূসকে হয়রানির জন্য আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের বড় রকমের অপব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ওই ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সচেতন তারা। ব্রিফিংয়ে মিলারের সামনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে যায় এমন মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন। আপনি যেমনটা জানেন, প্রফেসর ইউনূসকে রাজনৈতিক উপায়ে হয়রানি করছে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আপনার ভাবনা যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন।  জবাবে মিলার বলেন, আমরা এই প্রশ্নের মন্তব্যের বিষয়ে সচেতন। এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন।    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষস্থানীয়দের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়া ও তার স্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার এই আদেশটি দেশটির অন্যান্য সিনিয়র নেতাদেরও ক্ষতির মুখে ফেলবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ আটকে যাবে এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না তারা। নিষেধাজ্ঞার এ আদেশ সম্পর্কে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশটিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন নজরে আসছে তাদের। দেশটির সরকার সুশীল সমাজকে লক্ষ্যবস্তু করে রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যা মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ছাড়া সেখানকার সরকারদলীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। হোয়াইট হাউস বলছে, ‘এই অবৈধ কার্যকলাপগুলো ঘুষ, চোরাচালান এবং অর্থ পাচারে জড়িত বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে এবং একই সঙ্গে অবদানও রাখে। যা জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের বাসিন্দা ও সম্প্রদায়গুলোকে আরও দরিদ্র করে তোলে।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়েতে ‘বহু অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন এবং বেআইনি হত্যার ঘটনা’ উল্লেখ করেছেন যা সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের ‘চরম শঙ্কার’ মধ্যে ফেলে দিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের আরও ১০ জন ব্যক্তি এবং তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের তালিকায় ফার্স্ট লেডি অক্সিলিয়া মানাঙ্গাগওয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওপাহ মুচিঙ্গুরিও রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে জিম্বাবুয়ের জাতীয় পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (সিআইও)-এর সদস্যসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাও। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার উপদেষ্টা কুদাকওয়াশে ট্যাগওয়াইরি, তার স্ত্রী এবং তাদের দুটি ব্যবসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে প্রথম জিম্বাবুয়ের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সেসময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মূলত তাদেরকে দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

রমজানে আল-আকসায় নামাজ পড়তে দেওয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
আসন্ন রমজান মাসে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের নামাজ পড়তে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, অতীতের মতো এবারও আমরা রমজান মাসে মুসল্লিদের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশাধিকার দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এটা শুধু মানুষকে তাদের প্রাপ্য অধিকার অনুযায়ী ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয় নয়, বরং এটা এমন একটি বিষয়, যা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গ্যাভির ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় নামাজ পড়তে বাধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বলেছেন, রমজান মাসে পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের নামাজ আদায় করার জন্য জেরুজালেমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। এদিকে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দিবিনিময়ও হতে পারে বলে জানান তিনি। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের আওতায় ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস যদি একজন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েল ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া বলা হয়েছে, গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করে দেওয়া হবে। দরকার হলে আবার নির্মাণ করে দেওয়া হবে। প্রতিদিন সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পাঁচশটি ট্রাক ঢুকবে। এদিকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় প্রতিদিন গাজায় লাশের সারি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে আরও অন্তত ৭৬ জন মারা গেছেন। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৯৫৪ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৭০ হাজার ৩২৫ জন আহত হয়েছেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

যুব উন্নয়ন-কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি
কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান ভিসা, শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শিখোর মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাগো এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের মতো বাংলাদেশের যুব সংগঠনগুলোর সংযোগ ঘটাতে ইউএসএআইডি’র উদ্যোগে দেশে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইয়ুথ-প্রাইভেট সেক্টর মার্কেটপ্লেস’। এর ফলে দেশের কর্মশক্তি আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা চিহ্নিত করে সে বিষয়ে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।  অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি এর এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে এদেশের তরুণরা দেশকে আরও প্রতিযোগিতাসম্পন্ন ও পরবর্তী এশিয়ান টাইগার (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। সেই সঙ্গে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি এবং কর্মক্ষেত্রে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউএসএআইডি এর শিক্ষা ও যুব বিষয়ক কার্যক্রমগুলো বেশি করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ খুঁজছে। বাংলাদেশের যুব সংগঠন এবং বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারেন, এজন্য তাদের মধ্যে নতুন অংশীদারিত্ব স্থাপনে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল যুবদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি অর্জন।   এ সময় ইউএসএআইডি থেকে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান। বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শিখো’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীর চৌধুরী।   ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই সময়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে সহিষ্ণুতা বাড়াতে বাংলাদেশকে আট বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে আটশ কোটি টাকার বেশি সহায়তা দিয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১০

রাশিয়ার ওপর পাঁচশরও বেশি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচশটিরও বেশি নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া আলাদাভাবে একশরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।   মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি নাভালনির কারাবাস এবং রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে। প্রায় ১০০টি সংস্থা বা ব্যক্তির উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এছাড়া জ্বালানি বিক্রি করে যেন রাশিয়া বেশি অর্থ লাভ করতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ব্যাপারে বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, বিদেশে আগ্রাসন এবং দেশে নির্যাতনের জন্য আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করবে—পুতিনকে চড়া মূল্য দিতে হবে। বাইডেন বলেছেন, নাভালনিকে কারাদণ্ড দেওয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। এছাড়া রাশিয়ার অর্থনৈতিক খাত, প্রতিরক্ষা শিল্প, কেনাকাটার নেটওয়ার্ক এবং নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।  বাইডেন বিবৃতিতে বলেছেন, দুই বছর আগে তিনি ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। পুতিন যদি তার মৃত্যু ও ধ্বংসের মূল্য পরিশোধ না করেন তবে তিনি চালিয়ে যাবেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইইউ প্রায় দুইশ কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে যারা রাশিয়াকে অস্ত্র সংগ্রহে সহায়তা করেছে বা ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত , যা মস্কো অস্বীকার করে। তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রশস্ত্র রাশিয়ায় পাঠানোর সঙ্গে জড়িত ১০টি রাশিয়ান কোম্পানি এবং ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইইউ এখন দুই হাজার জনেরও বেশি ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের রাশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করার তালিকা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়