• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গাজায় ২৫ হাজারের বেশি নারী-শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল : যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানকার ২৫ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের এ তথ্য দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। খবর রয়টার্সের।  গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত নারী ও শিশুদের সংখ্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এদিন। সেখানে লয়েড অস্টিন বলেন, ‘সংখ্যাটা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।’ তবে তিনি এও বলেন যে, এই পরিসংখ্যানটি হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নয়। তবে, অস্টিনের এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরে পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, অস্টিন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অনুমান উদ্ধৃত করে এ তথ্য দিয়েছেন। তবে এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র মহিলা এবং শিশু মৃত্যুর নয়, তিনি গাজায় মোট নিহতদের কথা উল্লেখ করছেন। সাবরিনা সিং বলেন, 'আমরা স্বাধীনভাবে গাজায় এই হতাহতের পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারি না'। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর প্রতিশোধস্বরূপ ওইদিন থেকে হামাস উৎখাতের নামে সাধারণ গাজাবাসীর ওপর নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। চার মাস হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত নিরীহ গাজাবাসীর বিরুদ্ধে অভিযানে লাগাম টানার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না দখলদার রাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে। বরং মার্কিন ও পশ্চিমা মিত্রদের প্রশ্রয়ে ক্রমেই আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজা উপত্যকাকে জনশূন্য ভূমিতে পরিণত করার হুমকিও ভেসে আসছে দেশটির সরকারস্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির মুখ থেকে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান মার্কিন মদদপুষ্ট ইসরায়েলি সেনাদের এ নির্বিচার হামলা-অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগি নারী ও শিশু। এছাড়া ৩৪০ জন চিকিৎসাকর্মী এবং ১৩২ জন সাংবাদিকও রয়েছেন এই নিহতদের মধ্যে।    
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫

আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র 
বাংলাদেশে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে এ আশ্বাস দিয়েছে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল।  মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছেন তারা। শনি ও রোববার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদসহ সুশীল সমাজের নেতা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে প্রতিনিধিদলটি। প্রতিনিধিদলের এই সফর প্রসঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, 'কীভাবে একসঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করা যায়, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি আমরা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ।' মার্কিন দূতাবাস আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং দেশটির একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। কীভাবে আমরা ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি? ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা আমাদের নেতারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে—এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিনিধিদল ও সাবের হোসেন চৌধুরীর মধ্যকার বৈঠক প্রসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জলাভূমি রক্ষা ও বন সংরক্ষণের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় তরুণ জলবায়ুকর্মীদের সহায়তা করা পর্যন্ত জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।' এছাড়া সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে দূতাবাস বলেছে, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় আট বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রদান করেছে। আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তার পরেও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠির একটি অনুলিপি রোববার বাইডেনের বিশেষ সহকারী এইলিন লুবাখারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মূল চিঠিটি হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩

সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন দেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী। পণ্য রপ্তানির বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের সঙ্গে  সম্পর্কের নতুন যুগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চায়। সামরিক সহযোগিতা, অস্ত্র চুক্তি, জিসোমিয়া নিয়েও তারা ইতিবাচক। তবে এ বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীর সংঘাতের কারণে যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে, বৈঠকে সেটা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত। তারা যেন মিয়ানমারের ওপর বাড়তি চাপ অব্যহত রাখে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কোন আলাপ হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।  ‘এছাড়া র‍্যাবের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তবে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তারা মূল সংস্থাকে এটি দেবে,’ বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এইলিন লুবাখার বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে।  অভিন্ন ভাগ্য গড়তে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে চায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৭

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের যুব সংগঠন ও বেসরকারি খাত যেন একস‌ঙ্গে কাজ করতে পারে সেজন্য নতুন অংশীদারিত্ব স্থাপনের জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো যুবদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি অর্জন করা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একস‌ঙ্গে কাজ করতে ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে । ইউএসএআইডির পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার ও ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান। বাংলাদেশের পক্ষে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শিখোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীর চৌধুরী। মা‌র্কিন দূতাবাস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, ডিজিটাল পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান ভিসা, শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শিখো, ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের মতো বাংলাদেশের যুব সংগঠনগুলোর সংযোগ ঘটাতে ইউএসএআইডির উদ্যোগে দেশে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়ুথ-প্রাইভেট সেক্টর মার্কেটপ্লেস। দেশের কর্মশক্তি আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা চিহ্নিত করে, সে বিষয়ে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি-এর এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে, এদেশের তরুণরা দেশকে আরো প্রতিযোগিতাসম্পন্ন ও পরবর্তী এশিয়ান টাইগার-রয়েল বেঙ্গল টাইগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। মা‌র্কিন দূতাবাস আরও বল‌ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি এবং কর্মক্ষেত্রে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউএসএআইডি-এর শিক্ষা ও যুব বিষয়ক কার্যক্রমগুলো বেশি করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ খুঁজছে। যুক্তরাষ্ট্র ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে সহিষ্ণুতা বাড়াতে বাংলাদেশকে আট বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে আটশ কোটি টাকার বেশি সহায়তা দিয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৩

বিদেশে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্য’ নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এলে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। এবার এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের সম্পর্কে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে অবগত। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। একজন সাংবাদিক তার প্রশ্নে মিলারকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি একটি ওপেন সিক্রেট। মন্ত্রিপরিষদের একজন সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে একটি সাম্রাজ্য গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে, যার মূল্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। যা দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের ১ শতাংশের সমতুল্য। এটি দুর্নীতির অসংখ্য ঘটনার মধ্যে কেবল একটি নমুনা মাত্র। সরকারকে জবাবদিহি করতে এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এই প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে অবগত আছি। একইসঙ্গে নির্বাচিত সকল কর্মকর্তা যেন দেশের আইন এবং অর্থনৈতিক বিধি-বিধান মেনে চলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি। যা ছিল ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ২০২২ সালে ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। এই প্রপার্টিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু সাদা রংয়ের বাড়ি। সেই সঙ্গে আছে সিনেমা হল ও জিমনেসিয়াম। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে টাওয়ার হ্যামলেটসে আবাসন- যেখানে ইংল্যান্ডের বৃহত্তম বাংলাদেশি কমিউনিটির আবাসস্থল এবং লিভারপুলে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভবন। আন্তর্জাতিক এই সংবাদ সংস্থা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রায় আড়াইশ প্রপার্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, যখন এই প্রপার্টিগুলো কেনা হয়, তখন যুক্তরাজ্যজুড়ে তীব্র আবাসন সংকট চলছিল এবং এর ৯০ ভাগই ছিল সদ্য তৈরি নতুন বাড়ি। ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে সাইফুজ্জামানের অন্তত ৫টি প্রপার্টি খুঁজে পেয়েছে। মিউনিসিপ্যাল প্রপার্টির নথি অনুসারে, এসব সম্পত্তি ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ছয় মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বলছেন, তার এসব সম্পত্তির কারণে প্রশ্ন উঠতে পারে, রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা আছে এমন লেনদেন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের আইন আদৌ কার্যকর কি না। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে প্রাক-নির্বাচনী ঘোষণায় সাইফুজ্জামান তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৮ দশমিক তিন মিলিয়ন টাকা (দুই দশমিক চার মিলিয়ন ডলার) এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মোট সম্পদের পরিমাণ নয় লাখ ৯৩ হাজার ডলার বলে জানান। তিনি বাংলাদেশে সম্পদের ঘোষণাপত্রে তার যুক্তরাজ্যের সম্পদের পরিমাণ দেখাননি। মন্ত্রী হিসেবে ২০২২-২৩ সালে তার বেতন প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড হিসাবে দেখানো হয়। সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যের ২০১৭ সালের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইনে সংজ্ঞায়িত ‘পলিটিক্যালি এক্সপোজড পারসন (পিইপি)’ ক্যাটাগরিতে পড়েন। এটি যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সম্পত্তির এজেন্ট, ঋণদাতা, প্রপার্টি আইনজীবী এবং অন্যদের ওপর পিইপি শনাক্ত করার কাজ করে। এইসব ব্যক্তি সম্পত্তি কেনার মতো ব্যবসায়িক লেনদেনে নিযুক্ত থাকলে তাদের সম্পৃক্ততা অতিরিক্ত তদন্তের দাবি রাখে। ব্লুমবার্গ তাদের প্রতিবেদনে উল্লিখিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যাদের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য সম্পত্তি কেনার সঙ্গে জড়িত আর্থিক সেবা ও আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কেনায় ৬৭০ কোটি পাউন্ড মূল্যের ‘সন্দেহজনক তহবিল’ চিহ্নিত করেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪

পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপি প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে, তার আইনি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর দ্য ডনের। ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে তা পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আগামী দিনগুলোতে এটি নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব। ‘মার্কিন আইন প্রণেতারা বাইডেন প্রশাসনকে কথিত নির্বাচনী জালিয়াতির দাবির বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের জন্য চাপ দিচ্ছেন?’- এমন  প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি জানি না তারা ঠিক কোন সংস্থার কাছে প্রস্তাব করেছেন। আমরা মনে করি পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থা এ ঘটনার তদন্ত করতে নিজেই কার্যকর। আর এটিই প্রথম কাজ হওয়া উচিত। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটিই সঠিক হবে আর তাদের এটিই করা উচিত। তিনি বলেন,  সহিংসতা এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবার উপর বিধিনিষেধের মতো রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সহিংসতার নিন্দা জানায়। এগুলো নির্বাচনের উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলেছে। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কথিত নির্বাচনী অনিয়ম সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটি স্পষ্টতই একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে।   সর্বশেষে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং সরকার গঠনের পর দেশটির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র। প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছরের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে বহুল কাঙিক্ষত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা শীর্ষে উঠে এসেছেন। সহিংসতা, অনিয়ম ও অভিযোগের মধ্যদিয়ে শেষ হয় ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের সময় শুরু হয় টালবাহানা। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর খুবই ধীর গতিতে শুরু হয়েছিল বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ। এরপর নির্বাচনের তিনদিন পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যখন নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৫ আসনের মধ্যে নওয়াজের দল পিএমএল-এন মাত্র ৭৫টি আসন পেয়েছে। আর পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০১টি আসন। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই), এবং জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামসহ (জেইউআই-এফ) বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২০

মার্কিন নাগরিকদের পাকিস্তান সফরে যেতে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে পাকিস্তান সফরে ইচ্ছুক মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শনিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভ্রমণ পরামর্শে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন মিছিল, সমাবেশ এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সম্ভাব্য বিঘ্ন এবং সুরক্ষা উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে দিন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাবে। এরই অংশ হিসেবে মিছিল, সমাবেশ ও বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত যা যে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে ট্র্যাফিক অবরুদ্ধ, পরিবহন ব্যাহত হতে পারে। যার ফলে অবাধ চলাচল এবং সুরক্ষায় বাধা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে এবং তারা যেসব এলাকায় যেতে চান সেসব এলাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের স্থান সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি, নির্বাচনের দিন, ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকাগুলোতে জনাকীর্ণ হতে পারে। মার্কিন নাগরিকরা পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বরং এসব তাদের এড়িয়ে চলা উচিত। পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা করা মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং তাদের পরিকল্পিত অঞ্চলে রাজনৈতিক সমাবেশের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের আশপাশের নির্দিষ্ট এলাকায় ভিড় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন নাগরিকদের এসব স্থান এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি আগের মতোই : যুক্তরাষ্ট্র 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় এক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল মার্কিন ভিসা নীতি। নির্বাচনের পরও থেমে নেই সেই আলোচনা। এবার বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান খোলাসা করল যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে নতুন করে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা তার পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।  স্থানীয় সময় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে এভাবেই নিজেদের অবস্থান জানান দেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।  বেদান্ত বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভিসানীতি এবং তা পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন কোনো খবর আমার কাছে নেই। এতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভিসানীতির বিষয়টি এমন নয় যে, নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আর তাই সূর্য ডুবে গেছে। এরপরও সাংবাদিকরা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এখনো চলমান কি না। জবাবে বেদান্ত বলেন, 'হ্যাঁ, ভিসানীতি বহাল আছে। তবে, প্রয়োগে কোনো পরিবর্তন হয়নি।' এর আগে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গটিও উঠেছে। সেখানে ড. ইউনূসের মামলা পরিচালনায় স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।    
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

নির্বাচন সুষ্ঠু না হলেও একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র : পিটার হাস
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যদিও বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এরপরও কিছু ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পিটার হাস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকতেই পারে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করলেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৮

ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র
জর্ডানে সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাবে সিরিয়া-ইরাকের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের অবকাঠামোতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় মার্কিন সেনা ঘাটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ৩ মার্কিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪১ সেনা আহত হন।  এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সিরিয়া-ইরাকে থাকা ইরানি ও তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছিল, টানা কয়েক দিন এ হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে কখন কোথায় এ হামলা হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে মার্কিন বিমান হামলা করার কথা জানিয়েছিল তারা। এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ৮৫টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, তার নির্দেশে মার্কিন বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। যা মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হতো। আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ শুরু হলো, এটি চলমান থাকবে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না। তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের জানা দরকার, কেউ যদি একজন আমেরিকানের ক্ষতি করেন তবে আমরা তার জবাব দেবো।  গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাটিগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলার শিকার হচ্ছে। এবার এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়