• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে কামাল ফকির (২৯) নামের এক গ্যারেজ মিস্ত্রিকে হত্যার দায়ে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বাবুরচর এলাকার ওহাব মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর (৪০) ও ঝালকাঠির রামচন্দ্রপুর এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে মো. সাঈম হাওলাদার (২৫)। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২০ সালের অক্টোবরে কামাল ফকির (২৯) নামে এক গ্যারেজ মিস্ত্রিকে হত্যার দায়ে জুয়েল মাতুব্বর ও মো. সাঈম হাওলাদার নামে দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১৭ ঘণ্টা আগে

শিশু হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু মিরাজ হত্যা মামলায় মমতাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ রায় প্রদান করেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। আসামি মমতাজ উদ্দিন ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু মিরাজ কাজী একই গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।  খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা। দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজী প্রতিবেশী মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৯ জুলাই ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই নিহত শিশুর বাবা মাহবুব বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
১৮ ঘণ্টা আগে

চাঁদপুরে ব্যবসায়ী নারায়ণ হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
চাঁদপুর শহরের ঘোষ পাড়ার দই-মিষ্টি ব্যাবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে (৬০) গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি রাজীব ওরফে রাজু চন্দ্র শীলকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাজু কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ গ্রামের সুভাষ চন্দ্র শীলের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারের টিপটপ হেয়ার কার্টি সেলুনে কাজ করতেন। হত্যার শিকার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ শহরের ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি শহরের বিপনীবাগসহ বিভিন্ন দোকানে দই ও মিষ্টি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ আসামি রাজুর সেলুনে যান। কারণ নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ সুদে টাকা ঋণ দিতেন। রাজু তার কাছ থেকে দৈনিক ২০ টাকা সুদের বিনিময়ে ২ হাজার টাকা ঋণ নেন। নিয়মিত ওই সুদ পরিশোধ করলেও ঘটনার দিন করতে পারেননি। রাজু নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে আপাতত চলে যেতে বলেন এবং পরে আসতে বলেন। পরে রাত ১২টার দিকে আবার আসলে তার চুল কাটতে এবং সেভ করতে বলেন। ঠিক ওই সময় রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে সেভ করার এক পর্যায়ে ধারালো খুর দিয়ে তার গলা কেটে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তার মরদেহ বিপনীবাগ বাজারের শরীফ স্টিলের পাশে একটি বস্তায় করে রেখে আসেন। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় স্বজনরা স্থানীয়দের মাধ্যমে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের মরদেহের খোঁজ পান। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেন।  এই ঘটনায় নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে রাজীব ঘোষ ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় রাজীব ওরফে রাজু চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ ২১ সেপ্টেম্বর আসামি রাজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। মামলাটি তদন্ত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম। তিনি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি দু-বছরের বেশি সময় আদালতে চলাকালে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামি নিজের অপরাধ স্বীকার, সাক্ষ্য ও প্রমাণ এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  আসামি কারাগারে থাকা অবস্থায় ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হন। তার বর্তমান নাম আবদুর রহমান বলে সে নিজেই আইনজীবীকে জানায়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
যশোরের ঝিকরগাছার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও মাদকব্যবসায়ী আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে শার্শার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে আব্দুল করিম বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা। র‌্যাব জানায়, করিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ২০১০ সালের ২২ জুন ঝালকাঠি জেলা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আটক হন। এ ঘটনায় মামলার পর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সবশেষ আব্দুল করিমকে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ সময় তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। র‌্যাব আরও জানায়, তাদের কাছে খবর আসে বেনাপোলের দৌলতপুরে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে, স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে করে এক সপ্তাহ স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। ভুক্তভোগী ১৯ বছরের এক তরুণীকে পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করায় স্বামী নুরুল কবির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. শহীদ (৩২), মো.শরীফ (৩২) ও মো. বাপ্পীকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি নুরুল কবির নিজের পরিচয় গোপন করে তরুণীর বাড়িতে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় কাজীকে ভুয়া নাম ও ঠিকানা সম্বলিত জন্ম নিবন্ধন কপি কাজীকে এনে দেন তার সহযেগীরা। এর এক সপ্তাহ পর কবির তরুণীকে তার সঙ্গে শহরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, কিন্তু তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে একা রেখে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা নুরুলকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী স্বামী নজরুল কবিরাসহ তার ৩ বন্ধুকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় প্রতারণা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বুধবার এ মামলার রায় হলো। আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে উপস্থিত শরীফ ও শহীদকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে অনুপস্থিত নুরুল কবির ও মো. বাপ্পীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮

নওগাঁয় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন 
নওগাঁয় হত্যা মামলায় নিরঞ্জন উড়াও নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) ২০২২ সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। জমিতে কাজ করা অবস্থায় প্রতিবেশি নিরঞ্জন উড়াও লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।  সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ আগস্ট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ওই দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।  মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক। আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৩

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের ছেলে আ. গফুর, মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ, জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।  মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদ উদযাপনে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। তিনি ১১ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফেরেননি। পরদিন সকালে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

১৪ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।   রোববার (২৪ মার্চ) ভোর রাতের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার বিটেক মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    গ্রেপ্তার আব্দুল হক ওরফে কাদের (৫৬) নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে।   এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডর এএসপি মো. গোলাম মোশের্দ।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামি আব্দুল হক ওরফে কাদের ও তার বাবা ছেরাজল হক মিলে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিকটিম রুহুলকে (৩৫) হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।  কবিরহাট থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামি আব্দুল হক কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।  এতে আরও বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।   
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

ছেলেকে হত্যার দায়ে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে সৎ ছেলেকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা মামলায় আকলিমা আক্তার নামে এক মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। রায় প্রদানের সময় মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি আকলিমা আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আকলিমা আক্তার রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহ্মীরপুর এলাকার হজরত আলীর স্ত্রী। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ আগস্ট সকালে সতীনের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে চার বছর বয়সী ছেলে রিপনকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করে হজরত আলীর ছোট স্ত্রী আকলিমা আক্তার। এ ঘটনায় হজরত আলী পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আকলিমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযুক্ত আকলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন 
ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহেশপুরের নলপাড়ুয়া গ্রামের রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পী।  রায়ের বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক পরিচয়ের জেরে আসামিরা ঝিনাইদহ সদর থানার সোনারদাইড় গ্রামের রহিমা বেগমের বাড়িতে যাওয়া করতেন। তারা বিভিন্ন সময় বাদীর ১৩ বছরের কন্যাকে সেলাই মেশিনের কাজ পাইয়ে দেবে বলে বলতে থাকেন। ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে তাদের কাছে মেয়েকে তুলে দেয় রহিমা বেগম। এরপর তিন মাস ওই মেয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এরপর আসামিদের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১২ সালের ১৩ মে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই মাসের ৩১ তারিখে মানবপাচার আইনে মামলা করেন ভিকটিমের মা। তদন্ত শেষে সেই মামলায় পুলিশ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চাজশির্ট দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান জানান, মামলার যে রায় হয়েছে তাতে আমরা খুশি।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়