• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এর আগে, এদিন সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলে যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, সংঘর্ষের পর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে সকাল ৯টার পর থেকে পুরোপুরি যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। শেষ সময়ে অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করছে। কম ভাড়ায় খোলা ট্রাকেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে সড়কের মির্জাপুর, গোড়াই, টাঙ্গাইল, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পারে যাত্রীদের জটলা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।  টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, সড়কে ৭ শতাধিক পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ দিনে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে যান চলাচল স্বাভা‌বিক
দীর্ঘ ভোগা‌ন্তির পর টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌য়ে‌ছে। এর আগে ফিট‌নেসবহীন প‌রিবহন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ও টোল আদায় বন্ধ থাকায় গভীর রাত থে‌কে মহাসড়‌কের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে গাড়ি চলাচ‌লে ধীরগ‌তি ও যানজ‌ট সৃষ্টি হ‌য়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়‌কে যানবাহন চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌তে শুরু হয়। বর্তমা‌নে একরকম ফাঁকাই হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে মহাসড়ক। স‌রেজ‌মি‌নে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গে‌ছে, প‌রিবহ‌নের তেমন চাপ নেই। ক‌য়েক‌টি করে গা‌ড়ি যা‌চ্ছে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে। এর আগে সকা‌লে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়‌কে ব্যাপক যানজ‌ট সৃ‌ষ্টি হয়। এতে মহাসড়‌কের টাঙ্গাইল-আশিকপুর বাইপাস থেকে সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে গাড়ি থমকে যায়। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, এখন পু‌রো মহাসড়কে তেমন কোনো প‌রিবহন চাপ নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে গা‌ড়িগু‌লো। দুপু‌রের পর মহাসড়ক ফাঁকা হ‌য়ে‌ছে। গা‌ড়ির চাপও ক‌মে‌ছে। চাপ আর বাড়ার সম্ভবনা নেই। বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ৯টার পর সেতুর ওপরে ১১টি গাড়ি বিকল হয়। সেগুলো তাৎক্ষণিক অপসারণ করাতে কিছুটা সময় লাগে। এতে যানজট সৃষ্টি হ‌য়ে‌ছিল। বর্তমা‌নে সেতুর টোল প্লাজার কা‌ছে কিছু সংখ্যক প‌রিবহন থাক‌লেও সেতুর দুই পা‌শে তেমন প‌রিবহন নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে গাড়ি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০১

বাস থেকে পড়ে যান হেলপার, মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল চাকা
যশোরের চৌগাছায় চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে শামীম হোসেন (২৭) নামে বাসের এক হেলপার নিহত হয়েছেন।   বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চৌগাছা-যশোর সড়কের চৌগাছা সরকারি কলেজে পাশের ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুঘর্টনা ঘটে। শামীম উপজেলার সুখপুকরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ী সুখপুকুরিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। জানা গেছে, যশোর-চৌগাছার লোকাল রুটের ইউএ ট্রাভেলসের একটি বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন শামীম। দুপুরে চৌগাছা মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে যশোরের দিকে যাওয়া এএ আফ্রিদি নামে একটি বাসে করে চৌগাছা ফিলিং স্টেশনে যাচ্ছিলেন তিনি। ফিলিং স্টেশনে পৌঁছে চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। এ সময় বাসের পেছনের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   চৌগাছা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লুৎফুন্নেছা লতা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১১

ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা
বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। তার আরেকটি পরিচয় — তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই ভীতু প্রকৃতির মেয়ে তিনি। বলা যায়, বাবা-মাকে একটু বেশিই ভয় পেতেন অনন্যা। তবে একবার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।  ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডাকার বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনন্যা। অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিং রুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন তিনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না। আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম— আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব?  অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিং রুমে বসে আমার প্রেমিকের সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। যেহেতু লিভিং রুমে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাই বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন। পরবর্তীতে বাবা আমাকে বলেছিলেন— তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম আমি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি তারা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে প্রকাশ না করলেও নানান জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিদেশেও একসঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রেমিকযুগল।         সূত্র : জি ২৪ 
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৫

বুয়েটে ভর্তি হয়েও গানের টানে শান্তিনিকেতনে চলে যান সাদি মহম্মদ
দেশের প্রয়াত কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ। একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন তিনি। তার গানের সুরে বুঁদ হয়ে থাকতেন শ্রোতা-দর্শকরা।  হঠাৎ করেই বুধবার (১৩ মার্চ) পাড়ি জমালেন কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী। নিজ বাসার একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার।   গেল বছরের জুলাই মাসে সাদি মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ মারা যান। এরপর থেকেই নাকি নানা কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মানসিকভাবে ঠিক স্বাভাবিক ছিলেন না। মা হারানোর বেদনা কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না সাদি মহম্মদ। এভাবেই চলছিল। এদিন রোজা রাখেন, ইফতারও করেন।  এমনকি সন্ধ্যার পর নিজের রুমে গিয়ে তানপুরা নিয়ে সংগীত চর্চাও করেন সাদি মহম্মদ। এরপরই হয়তো না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করছেন সবাই।  ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সাদি মহম্মদ। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে শহীদ পিতার সন্তান। তার বাবার নাম শহীদ সলিমউল্লাহ। মায়ের নাম জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। ১৯৭৩ সালে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন সাদি মহম্মদ। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মন বসাতে পারেননি এই সংগীতশিল্পী।  ১৯৭৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালে গানের টানে স্কলারশিপ নিয়ে শান্তিনিকেতনে সংগীত নিয়ে পড়তে চলে যান সাদি মহম্মদ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই থেকে গানের জগতে পথচলা শুরু সাদি মহম্মদের।    বর্ষা ও বসন্তের গান ভীষণ পছন্দ করতেন সাদি মহম্মদ। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র, উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের সিনেমা ছাড়াও হলিউডের ‘দ্য বাইসাইকেল থিফ’, ‘রোমান হলিডে’ ছিল তার পছন্দের তালিকায়। এ ছাড়া বই পড়তে ভালোবাসতেন। তার প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।     রবীন্দ্রসংগীতে সাদি মহম্মদের মূল পরিচিতি গড়ে উঠলেও আধুনিক গানেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার কণ্ঠে। সঙ্গে আধুনিক  গানও। এ ছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।  ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মধ্যদিয়ে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সাদি মহম্মদ। এছাড়া ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি-১২/১০ বাড়িটি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সলিমউল্লাহর বাড়িতে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন দলের শীর্ষ নেতারাসহ বঙ্গবন্ধুপুত্র শহীদ শেখ কামালও।  ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি মহম্মদের আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ। পতাকাটি সেলাই করে দিয়েছিলেন সাদী মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ।  মূলত সেই পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের পুরো বাড়ি। পাশাপাশি গুলি করে হত্যা করা হয় সাদি মহম্মদের বাবা সলিমউল্লাহকে। পরবর্তীতে তার বাবার নামেই ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়।   ২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মহম্মদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী।   
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৬

যে কারণে জুমার খুতবার মাঝে বসে যান ইমাম
খুতবা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বক্তৃতা, প্রস্তাবনা, ভাষণ, ঘোষণা, সম্বোধন ইত্যাদি। খুতবা জুমার নামাজের আগে দিতে হয়। জুমার নামাজের জন্য খুতবা দেওয়া ওয়াজিব। জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দিতেন, উভয় খুতবার মাঝখানে বসতেন। খুতবায় তিনি কোরআন পড়তেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮০) ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন, অতঃপর বসতেন, পুনরায় দাঁড়াতেন। যেমন- আজকাল তোমরা করে থাকো। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৭৯) সুতরাং জুমার আগে দুই খুতবা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তাই এক খুতবা দিয়ে জুমার নামাজ পড়ালে জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেলেও তা মাকরুহ হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১৪৮; হেদায়া : ১/১৪৮; ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া : ৩/৩৮৫) জুমার নামাজে দুই খুতবার মাঝে ইমাম বসে থাকেন। বসার কয়েকটি কারণ আছে বলে উল্লেখ করেছেন আলেমরা। তা হলো- মহানবি (সা.) জুমার নামাজের জন্য দুটি খুতবা দিতেন। তাই নবিজির সুন্নত আদায়ের জন্য দুটি খুতবা দিতে হয়। দুটি খুতবা দিলে নির্দিষ্ট বিষয়ের আলোচনা পরিপূর্ণ হয়। পাশাপাশি এতে খতিবের আরাম হয় এবং শ্রোতাদের স্বস্তি হয়। একদল আলেমের মতে, জুমার দুটি খুতবা দুই রাকাত নামাজের স্থলাভিষিক্ত। প্রতিদিন চার রাকাত জোহরের ফরজ নামাজ পড়তে হয়। এর বিপরীতে জুমার দিন দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হয়। আর দুটি খুতবা বাকি দুই রাকাতের কিছুটা হলেও শূন্যতা পূরণ করে। তাই এই দুই খুতবাকে জুমার নামাজের অংশ বিবেচনা করা হয়। এবং কেউ বিশেষ কারণে জুমার জামাতে শরিক হতে না পারলে তাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ পড়তে হয়। এই দিক থেকে জুমা ও জোহরের মধ্যে সাদৃশ্য আছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

আজ পোস্তগোলা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ, শঙ্কা বাড়তি যানজটের
রাজধানীর পোস্তগোলা সেতুর সংস্কার কাজ চলছে। ফলে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেতু দিয়ে ভারী-হালকা কোনো ধরণের যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। বাড়তি যানজটের শঙ্কায় এই রুটের হাল্কা ও ভারী সব যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। দেওয়া হয়েছে বিকল্প রুটের নির্দেশনাও। এর আগে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকাসহ ২১ জেলার যানবাহনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাড়তি যানজট হতে পারে। হালকা যানবাহনগুলো ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারী যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে। সে হিসেবে আজ কোনো ধরনের যানবাহন পোস্তগোলা সেতু ব্যবহার করতে পারবে না। ব্যবহার করতে হবে বিকল্প রুট। ২০২০ সালে, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের ধাক্কায় ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, পোস্তগোলা ব্রিজ বুড়িগঙ্গা সেতু-১ নামেও পরিচিত। জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিংয়ের কাজ করা হবে। সেতুটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় মহাসড়ক (এন-৮) বা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের তৃতীয় কিলোমিটারে অবস্থিত।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

সন্ধ্যা থেকে ঢাকার যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকার কিছু সড়ক বন্ধ থাকবে। এসব পথে চলাচলকারীদের বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। যেসব সড়ক বন্ধ বা ডাইভারশন দেওয়া হবে শাহবাগ ক্রসিং, টিএসসি ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং, জিমনেশিয়াম মাঠ গেইট, রোমানা ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, বকশি বাজার ক্রসিং, চাঁনখারপুল ক্রসিং। যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা ১. কাঁটাবন ক্রসিং-নীলক্ষেত ক্রসিং-পলাশী ক্রসিং-বকশীবাজার ক্রসিং হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং ২. শাহবাগ ক্রসিং- কাঁটাবন ক্রসিং- বাঁটা সিগনাল ক্রসিং-সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হয়ে মিরপুর রোড ৩. শাহবাগ ক্রসিং- মৎস্য ভবন ক্রসিং- কদমফোয়ারা ক্রসিং- হাইকোর্ট ক্রসিং- আব্দুল গণি রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট ক্রসিং ৪. হাইকোর্ট ক্রসিং- বঙ্গবাজার ক্রসিং-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স- গোলাপশাহ মাজার ক্রসিং হয়ে ফুলবাড়িয়া ক্রসিং ৫. শাহবাগ ক্রসিং- হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং- বাংলামোটর ক্রসিং- সোনারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট ক্রসিং ৬. বকশীবাজার ক্রসিং- চাঁনখারপুল ক্রসিং- নিমতলী ক্রসিং হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার যেসব সড়কে প্রবেশ নিষেধ বকশি বাজার-জগন্নাথ হল ক্রসিং সড়ক, চাঁনখারপুল-রোমানা চত্বর ক্রসিং সড়ক, টিএসসি-শিববাড়ী ক্রসিং সড়ক, উপাচার্য ভবন-ভাস্কর্য ক্রসিং সড়ক। পায়ে হেঁটে চলাচলের সড়ক পলাশী ক্রসিং থেকে শহীদ মিনার হয়ে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট ক্রসিং, টিএসসি ক্রসিং, শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং। গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান জিমনেশিয়াম মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি) মোকাররম ভবন মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (আইন শৃঙ্খলা বাহিনী) নীলক্ষেত ক্রসিং-পলাশী ক্রসিং (সর্বসাধারণ)।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

পোস্তগোলা সেতু সংস্কার / ২১ জেলার যান চলাচলে বিকল্প সড়ক নির্ধারণ
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত পোস্তগোলা সেতুর (বুড়িগঙ্গা-১) সংস্কার কাজ চলবে। এই সময়ে ঢাকাসহ ২১ জেলার যানবাহন চলাচলে বিকল্প সড়ক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তরে ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সড়ক জনপথ অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, পোস্তগোলা সেতুর (বুড়িগঙ্গা সেতু-১) সংস্কারকাজ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ চলবে। এ অবস্থায় ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের বিকল্প সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা (বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর), খুলনা বিভাগের ১০ জেলা (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর) এবং বৃহত্তর ফরিদপুর অংশের পাঁচ জেলা (ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী) থেকে দেশের অন্যত্র যানবাহন চলাচলের (গমন ও আগমন) ক্ষেত্রে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েকটি সাধারণ নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হলো।   ঢাকা মহানগরে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া, নবীনগর, আমিনবাজার, গাবতলী এ রুট অনুসরণ করতে বলা হলো। সায়েদাবাদের পরিবর্তে গাবতলীতে যাত্রীবাহী বাস থামবে। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলা ঢাকা (আংশিক), মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইলে (আংশিক) যানবাহন যাতায়াতের জন্য দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া, নবীনগর, বাইপাইল, চন্দ্রা, ভোগড়া চৌরাস্তা হয়ে এশিয়ান হাইওয়ে ব্যবহার করে যাতায়াত করতে বলা হলো। একইসঙ্গে রাজশাহী, রংপুর বিভাগমুখী যানবাহনগুলোকে লালনশাহ সেতু (কুষ্টিয়া, পাবনা) ব্যবহার করে যাতায়াত করতে বলা হলো। পাশাপাশি ময়মনসিংহ বিভাগ ও টাঙ্গাইল জেলায় (আংশিক) যাতায়াতের ক্ষেত্রে লালনশাহ সেতু (কুষ্টিয়া, পাবনা) ও বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যাতায়াত করতে বলা হলো। আর সিলেট বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যানবাহন যাতায়াতের জন্য দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া ও নবীনগর, বাইপাইল, চন্দ্রা, ভোগড়া চৌরাস্তা হয়ে এশিয়ান হাইওয়ে ব্যবহার করে যাতায়াত কতে বলা হলো। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে যাতায়াতের জন্য পদ্মা সেতু হয়ে শ্রীনগর ও মুন্সীগঞ্জ ও মুক্তারপুর সেতু, তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, মদনপুর হয়ে যাতায়াত করতে বলা হলো। অথবা শরীয়তপুর ও চাঁদপুর ফেরি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে বলা হলো। এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, সেতুর সংস্কারকাজ চলাকালীন ঢাকা মহানগরের বাইরে থেকে ভারী যানবাহনগুলো কোন পথে আসবে, সম্ভাব্য কোন পথ দিয়ে আসতে পারে, যেতে পারে- এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। ডিএমপি এ নিয়ে কীভাবে কাজ করতে পারে, ডিএমপিকে অন্যান্য অংশীদাররা কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা আলোচনা করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়