• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ঈদে রেল যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন’
এবার ঈদ যাত্রায় মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ঈদে যাত্রীরা ট্রেনে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। ঈদে যেমন তারা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন। ঠিক ঈদ শেষেও তারা একইভাবে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন বলে আশা পোষণ করেন রেলমন্ত্রী। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ এসব কথা বলেন তিনি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবার চেষ্টায় এই পথ এবার নিরাপদ হয়েছে বলে দাবি করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা যাত্রীদের ফিরতি টিকিট দিয়েছি। যাতে তারা আসার মত যাওয়ার সময়ও নিরাপদ বোধ করেন। এ সময় মন্ত্রী রেলের যাত্রী ও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০২

যানজট না থাকলেও পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ভোগে যাত্রীরা
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রায় আজ সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় কয়েকগুণ বেশি দেখা যায়। যদিও এবার ঈদযাত্রায় এখনও যানজটের ভোগান্তি না থাকলেও বাড়তি ভাড়া আদায়, ইচ্ছামতো টিকিটের দাম হাঁকাসহ অতিরিক্ত গরমের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কপথের যাত্রীদের। যাত্রীরা বলছেন, কয়েকটি পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বাসে অর্ধেক যাত্রায়ও সংশ্লিষ্ট রুটের শেষ গন্তব্যের টিকিটের মূল্য পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছে। রয়েছে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। বিভিন্ন কাউন্টারের সেলসম্যান ও স্থানীয় কিছু দালালচক্র সিন্ডিকেট করে টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন রুটের বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। তবুও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে চিটাগাংরোড পরিবহন কাউন্টার মালিকদের সংগঠন।  নারায়ণগঞ্জের কালিবাজার, সাইনবোর্ড, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর ও গাউছিয়া এলাকার বিভিন্ন জেলার বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বাসে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যাত্রীদের ভাষ্য, বিশৃঙ্খল পরিবেশে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা একপ্রকার জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষকে পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়াবৃদ্ধি ও সময়মত বাস আসা নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। শিমরাইল মোড়ে একুশে পরিবহনের বাস যাত্রী শায়েলা হক বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিতে হয় যাত্রীদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও নোয়াখালীর একুশে পরিবহনে যে টিকিট ৪০০-৫০০ টাকা ছিল; সে টিকিট এখন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য পরিবহনেরও একই অবস্থা। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে শিমরাইল মোড়ে একুশে কাউন্টারের এক টিকিট বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটা গাড়ি যখন ঢাকার বাইরে যায়, সেই গাড়ি তিনজন যাত্রী হলে ঢাকায় ফিরে। তখন আমাদের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই ব্যয় পূরণ করতে কিছু সময় ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। এর বেশি কিছু আর বলতে পারব না। শিমরাইল মোড়ে পরিবহনের কাউন্টার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর আজিজ বলেন, হ্যাঁ আসলে ঈদ আসলে একশ্রেণি দালাল চক্র ও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে হুটহাট করে টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে। বেশির ভাগ কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা জড়িত এ সকল অপকর্মের সঙ্গে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, মহাসড়কে যাতে যাত্রী পরিবহনে কোনোপ্রকার বিড়ম্বনা ও জোর জবরদস্তি করা যাবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক টিম আমাদের রয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

সাভারে দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সাভারের বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক ও ইপিজেড-আশুলিয়া-আব্দুল্লাপুর সড়কে এ যানজটের চিত্র দেখা গেছে। তবে হাইওয়ে পুলিশের দাবি, কোথাও কোথাও গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ যানজট নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর থেকে বলিয়ারপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, জাহাঙ্গীরনগর থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার, নবীনগর থেকে নয়ারহাট ২ কিলোমিটার ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর থেকে চন্দ্রা প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং ইপিজেড-আশুলিয়া-আব্দুল্লাপুর সড়কে বাইপাইল থেকে নবীনগর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ও বাইপাইল থেকে জামগড়া ২ কিলোমিটার সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। সুমন মল্লিক নামের এক যাত্রী বলেন, আমি চন্দ্রায় যাওয়ার জন্য সাভারের হেমায়েতপুর থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু দুই ঘণ্টায় জিরানী এসেছি। এখনও জ্যামে বসে আছি। সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, সড়কে বাস ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘ যানজট নেই। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪১

ঈদযাত্রার ট্রেন ছাড়তে দেরি, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ট্রেনে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিনটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশন থেকে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যায়। জানা গেছে, এদিন সকাল ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস স্টেশন ছাড়ার ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে ৭টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ছাড়ার কথা ছিল ৮টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি ৩৫ মিনিট দেরি করে ৮টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ৪০ মিনিট দেরিতে ৯টা ২৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। এ ছাড়া তিতাস কমিউটার ৯টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন ছাড়ে সকাল ১০টায়। তবে অন্য ট্রেনগুলো যথাসময়ে স্টেশন ছেড়েছে। এদিকে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় নারী ও শিশুদের। ধূমকেতু এক্সপ্রেসের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, দিনের শুরুতেই যদি ট্রেন ছাড়তে দেরি হয় তবে সারাদিন কী হবে? স্টেশনের ভেতরে ভালো টয়লেট নেই, বিশ্রামও নেওয়া যায় না। এ অবস্থায় দেরিতে ট্রেন ছাড়লে ভোগান্তি বাড়ে। এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, শনিবার বেশিরভাগ ট্রেনই যথাসময়ে স্টেশন ছেড়েছে। দু-একটি ট্রেন দেরিতে আসায় স্টেশন ছাড়তে কিছুটা সময় লেগেছে। গত ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফেরার জন্য গত বুধবার (৩ মার্চ) থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। রেলওয়ের সূচি অনুযায়ী, বুধবার (৩ মার্চ) ১৩ এপ্রিলের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিলের টিকিট ৫ এপ্রিল বিক্রি করা হচ্ছে। আর ১৬ এপ্রিলের টিকিট ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিল।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০০

আগরতলা ইমিগ্রেশন সার্ভার ডাউন, ভোগান্তিতে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা
ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার জটিলতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভারত ও বাংলাদেশে ভ্রমণরত কয়েক শতাধিক যাত্রী। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সার্ভার ডাউনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম।  তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মাধ্যমে আমাদেরকে তাদের সার্ভার ডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, তাদের সেন্ট্রাল সার্ভার ডাউন। সার্ভার সচল না হওয়া পর্যন্ত আখাউড়া ইমিগ্রেশন থেকে যেন কোনো যাত্রীর ইমিগ্রেশন না করা হয়।  সার্ভার সচল হলে দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন শুরু হবে বলেও জানান তিনি। এ দিকে চলতি বছরের শুরু থেকে আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্ট সীমান্তপথে ভারত ভ্রমণকারী পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে বলে স্বীকার করেছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।  কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্ভার পরিবর্তন করে নতুন সার্ভার স্থাপন করা হলেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।  এ পথে ভ্রমণ পাসপোর্টধারী একাধিক যাত্রী বলেন, যাত্রীসেবার মান বাড়লে সরকার পাবে বড় অংকের একটি রাজস্ব। পুরাতন সার্ভার পরিবর্তন করে দ্রুত নতুন সার্ভারে যাত্রীদের সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪

অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন ট্রেনের যাত্রীরা
নরসিংদীর পলাশে রেললাইনে বড় ফাটল দেখে লাল নিশান উড়িয়ে আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিরোধ করেন আনসার ভিডিপির সদস্যরা। এতে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার চামড়াব ও জিনারদীর বরাব রেলক্রসিংয়ের মাঝামাঝি স্থানে এই ঘটনা ঘটে।  আনসার ভিডিপির দলনেতা মেহেদী হাসান জানান, প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল থেকে তারা রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা চামড়াব রেলক্রসিং পার হয়ে সামনের দিকে গিয়ে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি রেললাইন ফাঁকা দেখতে পান। এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থলের দিকে আসতে দেখা যায়। পরে দ্রুত লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করেন তারা। পলাশ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান রাজু বলেন, এটি কোনো নাশকতা নয়। শীতের কারণে রেললাইনে এমন ফাটল দেখা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরও তৎপর থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জিনারদী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার বরকত হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত কারিগরি টিম গিয়ে লাইন মেরামত কাজ শুরু করে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৮

হঠাৎ বন্ধ মেট্রোরেল
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে স্টেশনে থাকা অসংখ্য যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  হঠাৎ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হওয়ায় সুস্পষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ফেসবুকে যাত্রীরা বলছেন, শেওড়াপাড়া-কাজীপাড়ার মাঝামাঝিতে মেট্রোরেলের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ে সমস্যা হতে পারে। আমরা ট্রেন চালু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ডিএমটিসিএল’র জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, মেট্রোরেল সার্ভিস সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সিগন্যাল সিস্টেমে অসুবিধার কারণে রেল সার্ভিসটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা সমাধান হলেই মেট্রোরেল চালু করা হবে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৫

সড়কে গাড়ি কম, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
আগামীকাল ৭ জানুয়ারি সারাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই ভোটকে ঘিরে ‘একতরফা’ নির্বাচন বর্জন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন : মাঠে বন্ধ থাকলেও ফেসবুকে থেমে নেই প্রচার   ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। চলবে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত। হরতালের শুরুতেই শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি দেখা গেলেও তা অন্যদিনের তুলনায় খুবই কম। সড়কে গাড়ি কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেককেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। আজ সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর খামারবাড়ি, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় খুবই কম সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও কম চলাচল করছে। ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ ও অফিসগামী যাত্রীদের বাসের জন্য বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত, ২ শিক্ষক আটক   তবে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে সাধারণ মানুষ গণপরিবহনকে বেছে নিলেও আতঙ্কিত হওয়ার কথাও জানান তারা। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে নাশকতার আশঙ্কাও করেন অনেক যাত্রী। নিজেরাই গাড়ির জানালার গ্লাস বন্ধ করে রাখছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন কোম্পানির বাস রিকুইজিশনে নেওয়া হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। আবার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর হরতালের কারণেও অনেকে রাস্তায় বাস বের করছেন না। ফলে দুইয়ে মিলে রাস্তায় নেই বাস। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই রাজধানীর বাইরে গেছেন। ফলে সকালে অফিস টাইমে রাস্তায় যাত্রী অনেক কম। তবে যারা রাজধানীতে আছেন বা বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হয়েছেন, গণপরিবহন সংকটের কারণে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও গন্তব্যে যাওয়ার বাস পাচ্ছেন না অনেকে। মাকে নিয়ে গাজীপুর যেতে ফার্মগেট বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। এখন বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় বাস নেই। এখানে প্রায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। মায়ের দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। আরও পড়ুন : অগ্নিদগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক   খিলক্ষেত যেতে ফার্মগেট বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, অন্যান্য দিন পাঁচ মিনিট দাঁড়ালেই বাস পাওয়া যেত। আজ আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু বাস নেই৷ একে তো দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে গেছে। তার ওপর আবার দেরিও হচ্ছে। যদিও রাস্তা ফাঁকা। বাস পেলে বেশি সময় লাগবে না। এদিকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্রে করে বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ভোট বর্জনের আহ্বানে এবং সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৮

লঞ্চ-কার্গোর সংঘর্ষ, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন-১৬ লঞ্চকে একটি কার্গো ধাক্কা দিলে লঞ্চের তলা ফেটে পানি প্রবেশ করে। এ ঘটনায় লঞ্চে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন পাঁচ শতাধিক যাত্রী। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আরও পড়ুন : কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ   সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সুপারভাইজার সিরাজ জানান, তারা লঞ্চটি নিয়ে নিরাপদে মেঘনা নদীর এখলাছপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী রয়েছেন। যাত্রীদের উদ্ধার করতে অন্য লঞ্চ আসবে। এ বিষয়ে চাঁদপুরের নৌপুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা দিতে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। লঞ্চ ও কার্গো দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লঞ্চটি এখলাছপুরের একটি চরে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।  
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়