• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মহিষকে পানি খাওয়াতে যাওয়ার পথে কিশোরের মৃত্যু 
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. আশিক (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের আল আমিন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহত আশিক চরজব্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের হাজী ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।     স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে আশিক তাদের মহিষকে পানি খাওয়াতে মোটরসাইকেলে করে রওনা দেয়। যাত্রা পথে আল আমিন বাজারে ইউটার্ন নেওয়ার সময় বেপরোয়া গতির জন্য তার মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০১

মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু
সিলেটের জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে মারা গেছেন মসজিদের এক ইমাম। রোববার (২১ এপ্রিল) ভোরে ফজরের নামাজ পড়াতে মসজিদে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। নিহত ইমাম হাফিজ কবির আহমদ উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের সোনাতুলা গ্রামের এবাদুর রহমানের ছেলে।  তিনি স্থানীয় চারিকাটা ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ পাতন টিকরগাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ফজরের সময় খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। নামাজের সময় ইমামকে তারা দেখতে পাননি। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফেরার সময় মুসল্লিরা রাস্তার পাশের জমিতে ইমামকে পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চারিকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান করিমকে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইমামকে উদ্ধার করে মসজিদে নিয়ে যান। বজ্রপাতে ইমামের শরীরের কাপড়ের অংশ বিশেষ পুড়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইমাম কবির আহমদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী চলে যাওয়ার তিন বছর
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর চলে যাওয়ার তিন বছর পূর্ণ হলো বুধবার (১৭ এপ্রিল)। ২০২১ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একাধারে কবরী ছিলেন অভিনেত্রী, সংগঠক, নির্মাতা, প্রযোজক ও রাজনীতিক। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেন কবরী। তার আগের নাম ছিল মিনা পাল। অভিনেত্রীর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে। তার বাবা কৃষ্ণদাস পাল ও মা লাবণ্য প্রভা পাল।  ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন কবরী। কাজ করেন টেলিভিশনে। এরপর দ্রুত সময়ে যুক্ত হন চলচ্চিত্রে। ১৯৬৪ সালে মাত্র নির্মাতা সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মিনা পাল থেকে কবরী হয়ে ওঠেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে হিসেবে পরিচিতি পান এই নায়িকা।    ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় কবরীর। এরপর ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘দেবদাস’, 'অধিকার', ‘বেঈমান', ‘সারেং বউ’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘সুজন সখি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’সহ তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই কিংবদন্তি।      ৫০ বছরের বেশি সময়ে চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী।  ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কবরী। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশ পায়।  মৃত্যুর আগে সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমায় কাজ করছিলেন কবরী। সিনেমায় তিনি নিজেও অভিনয় করেন। এখানেও কবরী তুলে ধরার চেষ্টা করেন নতুন মুখ নিশাত সালওয়াকে। এর শুটিং ছিল প্রায় শেষ পথে। পাশাপাশি চলছিল ডাবিং ও সম্পাদনার কাজ। তবে ছবিটি পুরোপুরি শেষ করে যেতে পারেননি কবীর। বছর দুয়েক আগে তার ছেলে শাকের চিশতী সিনেমাটির শুটিং পুরো সম্পন্ন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন।  ব্যক্তিগত জীবনে প্রথমে চিত্ত চৌধুরীকে বিয়ে করেন  কবরী। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ারকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পাঁচ সন্তানের মা ছিলেন   কবরী।  অভিনয় ক্যারিয়ারে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি স্বরূপ ছয়বার বাচসাস পুরস্কার, একবার বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ডস এবং দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন কবরী। ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।   
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যেই শান্তি : মীর
মীর আফসার আলী। কৌতুক অভিনেতা, উপস্থাপক ও রেডিও জকি পরিচয়ের বাইরে বাংলাদেশের কাছে যিনি পরিচিত ‘মীরাক্কেল’-এর মীর নামেই। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জনপ্রিয় এই মানুষটি মুখোমুখি হয়েছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার। সেখানে তিনি কথা বলেন নানা বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকারের শুরুতে মীর বলেন, ‘ধর্ম মানেই মন্দিরে গিয়েই পূজা করতে হবে বা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে হবে, এমনটা আমি মানি না। আমি প্রকৃতির মাঝে গিয়েও মানসিকভাবে অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারি। মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের পেছনে বসে যখন নমাজ পড়ি, সেই সময় মুখে কোরআন থেকে কী বলছি, তার চেয়ে বেশি জরুরি মনে হয় এত ভাইয়েরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিজদাহ করছেন, এই গোটা দৃশ্য দেখতে পাওয়া। এটা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। এটাই আমার অধ্যাত্মবাদ। অনেকে আমায় বলেন যে, আমাকে নাকি ‘মুসলমান-মুসলমান’ মনে হয় না।’  সেটা আবার কী, আনন্দবাজারের এমন প্রশ্নের জবাবে মীর আফসার আলী বলেন, ‘সে রকমভাবে আমি নামাজ পড়ি না। নিয়মিত মসজিদে যাই না। আমার মনে আছে একটা ঘটনা। আমাদের বাড়িতে ডোকরার দুর্গাপ্রতিমা আছে, সেটা কোনো কারণে ভিডিওর মাধ্যমে অনুরাগীদের নজরে আসে। ব্যস, ট্রোলিং শুরু। মুসলমানের বাড়িতে দুর্গাপ্রতিমা কেন থাকবে?’  মীর অবশ্য এসবে খুব একটা কান দেন না। তিনি বলেন, ‘মানুষ সব ক্ষেত্রেই কথা বলবে। এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যেই শান্তি। এ সব দেখা এখন ছেড়ে দিয়েছি।’
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যা যা করবেন
সারা মাস রোজার পর ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেন সবাই। জীবনের শৈশব, কৈশোর যেখানে কেটেছে, সেই আপনজনদের সঙ্গেই ঈদ উদযাপনের জন্য ছুটে যায়। তখন ফাঁকা পড়ে থাকে বাসা। তাই বাড়ি যাওয়ার আগে কিছু কাজ গুছিয়ে নিলেই ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে। কারণ, আপনি যে বাসায় থাকেন সে বাসার নিরাপত্তার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এই নিরাপত্তা ঈদযাত্রার প্রস্তুতিপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  জেনে নিন, ঈদযাত্রায় যাওয়ার আগে বাসার নিরাপত্তায় আপনার কী কী করে যেতে হবে- কাজের একটি তালিকা করুন: সবার আগে একটি তালিকা তৈরি করুন। কার জন্য কী নিতে চান, ব্যাগে কী নিতে হবে, কোন কাজগুলো আগে সারতে হবে, ঈদে কোথায় কোথায় যেতে চান, সবকিছু একটি নোটে লিখে নিন। এখন সব স্মার্টফোনেই নোট করার সুবিধা থাকে। সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কাজগুলো করা সহজ হবে। কোনোকিছু ভুলে গেলেও তালিকা দেখে মনে করে নেওয়া যাবে। ব্যাগ গুছিয়ে নিন : বাড়িতে যাওয়ার আগে সময় করে ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। নয়তো শেষ মুহূর্তে এসে গোছাতে গেলে তাড়াহুড়োয় অনেক কিছুই ভুলে ফেলে যেতে পারেন। অতিরিক্ত জিনিসপত্র টানবেন না। যতটুকু দরকার, ততটুকুই নিন। ফোনের চার্জার, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাগজপত্র ইত্যাদি গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনের সময় যেন হাতের কাছেই পাওয়া যায়। গ্যাসের চুলা বন্ধ করুন : অনেক সময় রান্না শেষে চুলা বন্ধ করার কথা আমরা ভুলে যাই। অথবা বন্ধ করলেও সেটি ভালোভাবে বন্ধ হয় না। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আরেকবার ভালোভাবে দেখে নিন। কারণ কোনো কারণে গ্যাস লিক হলে বদ্ধ করে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকুন। পানির কল বন্ধ করুন : অনেক সময় কল চালু রাখা অবস্থায় পানি চলে গেলে পরে আর বন্ধ করতে মনে থাকে না। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে পানি চলে এলে তা অপচয়ের ভয় থাকে, যদি বাড়িতে কেউ না থাকে। তাই সবগুলো পানির কল ভালোভাবে বন্ধ করুন। এতে আপনি বাসায় না থাকলেও পানির অপচয় হবে না। সুইচ বন্ধ রাখুন : বাড়ির ইলেকট্রিক বাতি, ফ্যান, কম্পিউটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদির সুইচ বন্ধ করে বের হবেন। সবগুলো প্লাগ খুলে রাখার চেষ্টা করবেন। যদি ফ্রিজ খালি থাকে তবে সেটিও পরিষ্কার করে বন্ধ করে রেখে যান। আর যদি খালি না থাকে তবে চালু অবস্থায়ই রাখতে হবে, নয়তো ভেতরে থাকা খাবার নষ্ট হবে। ঘরের একটি ছবি তুলে নিন : সবকিছু শেষে বাড়ির সবগুলো কক্ষের একটি করে ছবি তুলে নিন। এতে কোনো ধরনের অসঙ্গতি থাকলে তা চোখে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ছবি তুলে রাখুন। ঘর ভালোভাবে তালাবদ্ধ করুন : শুধু বাড়ির প্রধান দরজায়ই নয়, সবগুলো দরজা ও জানালায় ভালোভাবে লক করুন। লক করা হলে আরেকটার টেনে দেখবেন ভালোভাবে লক হয়েছে কি না। সবগুলো তালার চাবি সঙ্গে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যেন বেড়াতে গিয়ে চাবি হারিয়ে না যায়। নয়তো ফিরে এসে বিপদে পড়তে হতে পারেন। পথের খাবার : একেবারে খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। আবার খুব ভরা পেটেও নয়। খেয়ে ভ্রমণের সময় তেল-মসলাযুক্ত না খেয়ে হালকা খাবার খান। পথে খাওয়ার জন্য (ইফতার বা সেহরি) রাস্তার খোলা খাবার কিনে না খেয়ে সঙ্গে রাখুন পানি, ফল ও হালকা বিস্কুট বা ক্র্যাকার্স।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯

তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা 
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে পারেনি। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের মোট চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়েই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা 'হিট অ্যালার্ট' জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাংলাদেশে কোনও স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদগুলোতে নিদাঘের সূর্য তাতিয়ে উঠছে প্রতিদিন। বৈরি হয়ে উঠছে প্রকৃতি। হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণীকুল। দিবাভাগে অস্বস্তিকর প্রহর কাটাচ্ছে মানুষ। সর্বত্রই দিনের ব্যবধানে একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা।  আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দু’টি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে। বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে বাতাসে এখন জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এতে করে মানুষের শরীরে অস্বস্তিবোধ বৃদ্ধি হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোর ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সাল ছিল উত্তপ্ত বছর। কিন্তু এগুলোর মাঝে ২০২৩ সালের কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সারা দেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। গতবার দেশে রেকর্ডধারী তাপমাত্রা ছিল। সেই তুলনায় এবার তো এখনও কম আছে। শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে না, সারা বিশ্বেই ২০২৩ সাল উষ্ণতম বছর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। ওই বছর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহকে আবহাওয়াবিদ মল্লিক সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে, ২০২৩ বছরের তাপপ্রবাহকে ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি’ তাপপ্রবাহ বলে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে একটানা ২০ থেকে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে, তা ৮ ও ৯ এপ্রিল নাগাদ কিছুটা কমতে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এসময় তাপমাত্রা এমনিতেও বেশি থাকে। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া দরকার। যখন ঝড় হয়, তখন ভারি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আর বাড়ে না। কিন্তু আট-নয় তারিখের আগে ভারি বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেইযোগ করেন তিনি। এদিকে তাপপ্রবাহ কতদিন থাকবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনও প্যাটার্ন নেই। তবে তীব্র তাপপ্রবাহ সাধারণত গড়ে তিন থেকে সাতদিন ধরে চলে। মৃদু তাপপ্রবাহের দৈর্ঘ্য আবার অনেক বেশি থাকে। বাংলাদেশে মৃদু তাপপ্রবাহ সর্বোচ্চ ২৩ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ারও রেকর্ড রয়েছে বলে জানান মল্লিক। তিনি মনে করেন, তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হলে তা নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য বজ্রবৃষ্টি দরকার। আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, অনেকদিন ধরে তাপপ্রবাহ হলে কোনও কোনও এলাকার বায়ুরচাপ কমে যায়। বায়ুরচাপ কমলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বাতাসের কোথাও জড়ো হতে শুরু করে এবং তখন সেখানে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই মেঘ বৃষ্টিপাত ঘটায় বাংলাদেশ বা ভারতের বিহার, আসাম, উড়িষ্যা, মেঘালয়, ত্রিপুরা, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। তাই, তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো বজ্রবৃষ্টি।  এটা ঠিক যে বাংলাদেশে এপ্রিল মাস উষ্ণতম। কিন্তু প্রতি বছর এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ শুরু হয় না। কোনও কোনও বছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়। আবার কোনও কোনও বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর তাপপ্রবাহ শুরু হতে দেখা দেয়। আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার কোনও পর্যায়ভিত্তিক আবর্তনরীতি নাই। এই মাসের এক তারিখ তাপপ্রবাহ হল, আগামী বছরও যে একই তারিখে হবে, বিষয়টা এমন না।” ২০১৪ সাল ছিল বাংলাদেশের উষ্ণতম বছরগুলোর মাঝে অন্যতম। সে বছর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ এপ্রিল, ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৪ এপ্রিলেই, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি। ২০১৯ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭ দশমিক এক ডিগ্রি। আবার, ২০২০ সালে আবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৭ এপ্রিল, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরের তিন বছরেও কখনও এপ্রিলের শেষে, কখনও বা মার্চের শেষে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। আবহাওয়াবিদ ড. মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়। এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি। এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। বাংলাদেশের তাপমাত্রার উর্ধ্বগতিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ছোঁয়া লেগেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের হিসেব অনুযায়ী তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করে। কোনও স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূত্র : বিবিসি
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

‘ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না’
বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, আজকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি কখনো রাজনীতি করে না। আমরা চাই বাংলাদেশে মানুষের অধিকার ফিরে আসুক, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক, মানবাধিকার ফিরে আসুক, নারীর অধিকার ফিরে আসুক, শিশুর অধিকার ফিরে আসুক। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল ৩টায় শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানাতে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ড. মঈন খান বলেন, সরকারকে আমরা অনুরোধ করবো তারা যেন বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা এটা যেন উপলদ্ধি করে। এই সরকার মুখে বলে তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। তারা যদি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতো তাহলে কেন তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। কেন তারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। কেন তারা বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছে। এটা আমাদের কথা নয়। সারা বিশ্ব এখন এ কথা বলে। আজকে সরকারকে বুঝতে হবে ক্ষমতার জোরে, বুলেটের জোরে, বন্ধুকের জোরে, টিয়ার গ্যাস মেরে, গ্রেনেড মেরে হয়তো বিরোধী দলের মুখ স্তব্দ করে রাখার প্রয়াস নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাদের সেই দুরাশা সফল হবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রীকামী মানুষ সারা জীবন যুদ্ধ করেছে কথা বলার জন্য। আপনারা জানেন ১৫২ সালে আজকে থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগে এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের মুখের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল। তারা স্বাধীনতা চায়, কথা বলতে চায়, ভোট দিতে চায়, গণতন্ত্র চায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের একটি কথা, একটি মাত্র দাবী এটা হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী । আওয়ামী লীগের মতো লগি বৈঠার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি জনগনের জন্য রাজনীতি করে, জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমরা সেই আন্দোলন করেছি। সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের সেই আন্দোলনে সাড়া দিয়ে এ সরকারকে চলে যেতে বলেছে। আসাদুজ্জামান হিরা খান (৪৫) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন খানের ছেলে। সে কাওরাইদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ বন্দি থাকা অবস্থায় মারা যায়। এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার, সাবেক সভাপতি উসিরাজ উদ্দিন কাইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলাম আকন্দ, আব্দুল মোতালেব, শ্রীপুর পৌর সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

৬ দফা দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের
মধ্যরাতে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনার জেরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে থেকেই শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস।   শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চ মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হলের সিট বাতিল করতে হবে। ২. ইমতিয়াজের সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার করতে হবে। ৩. রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বহিরাগত যারা ক্যাম্পাসে ঢুকেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন ও কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেলেন- এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট জবাবদিহি দিতে হবে বুয়েট প্রশাসনকে। ৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ চান। ৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামীতাল শনিবার ও পরদিন রোববার টার্ম ফাইনালসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করা হবে। ৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটের নীতিমালা অনুযায়ী এখানে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রতি অপমানজনক। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়ার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। ঘটনার দেড় দিন পার হলেও ছাত্রলকল্যাণ পরিদপ্তর থেকে ঘটনার কোনো সদুত্তর ও জবাবদিহিতা শিক্ষার্থীদের কাছে আসনি। জড়িতদের বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা। ৩০ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বুয়েটের সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২২:১৩

কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের এক নির্মাণ শ্রমিক অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।  নিহত আবুল কালাম (৩৫) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নগর গ্রামের রৌশন আলী মিয়াজী বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।   বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে বসুরহাট টু দাগনভূঞা সড়কের মীর বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. হায়দার হোসেন সম্রাট। তিনি বলেন, নিহত কালাম পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক ছিল। ফেনী জেলার দাগনভূঞার তালের চারা এলাকার মাদরাসা মার্কেট সংলগ্ন একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছিল। পায়ে হেঁটে ওই ভবনে কাজ করতে আজ সকালে বাড়ি থেকে বের হয় কালাম। কাজে যাওয়ার পথে তিনি আরেক শ্রমিকসহ দাগনভূঞার মীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে বসুরহাট থেকে ঢাকামুখী একটি অ্যাম্বুলেন্স তাকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩

বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে
দেশে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিদেশে যাওয়া অথবা আন্তর্জাতিক অভিগমনের হার ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যা ২০২২ সালে ছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। সেই হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।  বিদেশে যাওয়ার এই হার ২০২১ সালে ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আর এই হার ২০২০ সালে এক দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে পুরুষদের বিদেশ যাওয়ার হার ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর নারীদের বিদেশে যাওয়ার হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। পাশাপাশি ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়