• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক দত্তক পেলেন সেবিকা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতি কন্যাসন্তান প্রসব করে উধাও হওয়ার পর বিপাকে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই নবজাতকটি দত্তক নিয়েছেন একজন সেবিকা (নার্স)। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে এক গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই মহিলা এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে নবজাতক বাচ্চাটি হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। এদিকে বাচ্চা ফেলে মা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উৎসুক জনতা সে বাচ্চাটিকে দেখতে ভিড় করে সেখানে। অনেকে সে বাচ্চার দায়িত্ব নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ‍্যায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা শিশু কল্যাণ কমিটির বৈঠকে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে নার্স মিনারা দম্পতির কাছে দত্তক প্রদান করেন। ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জয় নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নবজাতককে নার্সের হাতে তুলে দেন। এ সময় পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াছ ইউএনওকে সহযোগিতা করেন।  এর আগে শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি বরাবরে নবজাতকটিকে দত্তক নিতে প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, রাজনীতিবিদ ও দিনমজুরসহ ১৫টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনকারীদের সশরীরে সাক্ষাৎকার নিয়ে যাচাই-বাচাই শেষে কমিটির সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মিনারা দম্পতিকে উপযুক্ত মনে করে দত্তক প্রদান করেন। নার্স মিনারা খাতুন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স। তিনি নিঃসন্তান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূম্পা ঘোষ, পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে

ঝালকাঠিতে ১৪ মৃত্যু : বৌভাতে আর যাওয়া হলো না তাদের
ঝালকাঠিতে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গাবখান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন।   বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)।  ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট হাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত চারটি ইজিবাইক ও একটি মাইক্রোযোগে প্রায় ২৫ জন নিয়ে গাবখান ইউনিয়নের ওস্তাখাল গ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। আমার শ্যালিকার বৌভাতের আয়োজন ছিল। পথে গাবখান টোলে গাড়িগুলো টোল দিচ্ছিল। এরই মধ্যে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে আমাদের গাড়িগুলো, পথচারী ও টোলকর্মীদের চাপা দেয়। শেখেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতফি আহম্মেদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেনের শ্যালিকার বৌভাতে যাচ্ছিল। কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১০ জন নিজের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৪ জন নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

২৭ বছর পর বাড়ি ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া শাহীদা
ঢাকার উত্তরায় ৭ বছর বয়সে হারিয়ে ২৭ বছর পর নিজ বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জে ফিরলেন শাহীদা বেগম নামে পোশাককর্মী। নানা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জীবন পার করা শাহীদা বাড়িতে ফিরলেও দেখা পাননি বাবা-মার। ৪ বছর আগে বাবা-মা মারা গেলেও শাহীদার সঙ্গে দেখা মিলেছে তার বড় বোন খালেদা বেগমের। দুই বোনের সাক্ষাৎ হওয়ায় যেন নতুন পৃথিবীর সন্ধান পায় বাবা-মা হারা শাহীদা বেগম। ২৭ বছর পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন শাহীদা বেগম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল ১৯৯৭ সালে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক ছেলেকে নিয়ে পাড়ি জমায় রাজধানী ঢাকায়। ঠাঁই হয় ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। সেখানে তার সেজো মেয়ে শাহীদা বেগমও জীবিকার তাগিদে লাকড়ি সংগ্রহের কাজ করতেন। একদিন সকালে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে হারিয়ে যান সাত বছরের শাহীদা। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি শাহীদাকে।  এরই মধ্যে ঘটে গেছে শাহীদার জীবনে নানান ঘটনা। প্রথমে কুমিল্লা পরে নারায়ণগঞ্জে এক ফায়ার কর্মীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পান ছোট্ট শাহীদা। সেই থেকে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চলছে তার জীবন। এরমধ্যেই গাজীপুরের কালীগঞ্জের রাজমিস্ত্রি সেলিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহীদার। এই অবস্থায় কেটে গেছে শাহীদার জীবনের ২৭টি বছর। শাহীদা বেগম বারবার তার নিজ ভূমিতে ফেরার চেষ্টা করলেও ঠিকানা ও কারও পরিচয় না-জানার কারণে ফেরা সম্ভব হয়নি। তবে নিজ গ্রাম দিকপাড়া ও থানার নাম বকশীগঞ্জ মুখস্থ থাকায় সেই ভরসা নিয়েই ১৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে স্বামী ও একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে রওনা দেন বকশীগঞ্জের উদ্দেশে।   অবশেষে বকশীগঞ্জ শহরে পৌঁছে বিভিন্ন মানুষের সাহায্য নিয়ে খুঁজে বের করেন দিকপাড়া গ্রাম। অবশেষে বাড়ি ফিরলেও বাবা-মার সঙ্গে দেখা হয়নি তার। বাবা ইব্রাহিম খলিল ও মা ছাবেদা বেগম পরপারে চলে গেছেন আরও ৪ বছর আগে। বিষয়টি জানাজানি হলে পাশের গ্রাম বোলাকী পাড়া থেকে হারিয়ে যাওয়া বোনকে দেখতে ছুটে আসেন বড় বোন খালেদা বেগম। নিজ বাড়িতে কেউ না থাকায় খালেদার বাড়িতে অবস্থান নেন ২৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া শাহীদা। এ দিকে বাড়ির সন্ধান পাওয়া ও বড় বোন, দুলাভাই ও ভাগ্নেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ২৭ বছর পর বাড়ি ফেরায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যেও খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারাও শাহীদাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন তার বোনের বাড়ি বোলাকী পাড়ায়।   শাহীদার বড় বোন খালেদা বেগম বলেন, আমরা আমার এই বোনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আবার তার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে, তার হাত দুটো ধরতে পারব, তা ছিল কল্পনার অতীত। বাড়ি ফেরা শাহীদা বেগম বলেন, জীবনে কল্পনা করিনি আমি নতুন করে আমার বাড়ি ও আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে পাব। ২৭ বছর পর ভাই, বোন, আত্মীয়স্বজনদের কাছে পেয়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মরার পর কবর দেওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পেয়েছি এটাই জীবনের বড় পাওয়া। তবে আফসোস থেকে গেল বাবা-মাকে জীবিত দেখতে পারলাম না, এ জন্য।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

‘ঈদ এলে সেই পুড়ে যাওয়া কামিজের কথা মনে পড়ে’
অন্য সবার মতো ঈদ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত থাকেন শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও। তবে ঈদ এলেই ছোটবেলার কামিজ পুড়ে যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে তার। ঈদে যতই নতুন কাপড় কেনেন কিংবা উপহার পান না কেন সেই কামিজের কথা এখনও ভুলতে পারেননি এই অভিনেত্রী।   সেসময় মেহজাবীনের বয়স ছয় কি সাত। সবে মাত্র তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছেন তিনি। মা–বাবার সঙ্গে ওমানে থাকেন। অন্যান্য বাচ্চাদের মতো ওই বয়সে ঈদের পোশাক নিয়ে মেহজাবীনেরও ছিল আলাদা আগ্রহ। তবে বয়সে ছোট হওয়ায় সালোয়ার–কামিজ পরার সুযোগ তখনও হয়ে ওঠেনি তার। কিন্তু মায়ের মতো ছোট্ট মেহজাবীনেরও চাই সালোয়ার–কামিজ। তাই মায়ের কাছে আবদার করেন সালোয়ার–কামিজ বানিয়ে দেওয়ার জন্য।  যে কথা সেই কাজ। মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে মেহজাবীনকেও বানিয়ে দেওয়া হলো সুন্দর সালোয়ার–কামিজ। বিদেশের মাটিতে সেই ঈদের পোশাক নিয়ে উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। শুধু অপেক্ষায় ছিল, কবে ঈদ আসবে। আর কবেই বা পোশাকটা পরবেন তিনি।  অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো মেহজাবীনের। ঈদ এলো। সকালে উঠেই সেই সালোয়ার–কামিজ চলতে থাকে এদিক–সেদিক ঘোরাঘুরি। একেবারে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সেই এক পোশাক পরেছিলেন মেহজাবীন। দুপুরে ঘুমানোর পালা। কিন্তু কিছুতেই সেই সালোয়ার–কামিজ খুলবেন না। সেই পোশাক পরেই ঘুম। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার পোশাকটি অনেকটা কুচকে গেছেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৮

গরু আনতে যাওয়া সাইফুলের ভাগ্যে কী ঘটেছে 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার আশঙ্কা পরিবার ও স্থানীয়রা করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।   সাইফুল ইসলামের বড় ভাই রবিউল ইসলাম জানান, গত সোমবার এশার নামাজের পর সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলো। এরপর থেকে সাইফুলের আর কোন খোঁজ তারা পাচ্ছিলেন না। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তার ভাইয়ের মরদেহের ছবি ফেসবুকে দেখার পর তারা এখন নিশ্চিত যে, তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বিএসএফের গুলিতেই।  রবিউল ইসলাম আফসোস করে বলেন, সাইফুল কৃষি কাজ করতো। তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। কিভাবে যে ভারতে গরু আনতে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। যেন লাশটা আনার ব্যবস্থা করা হয়। এটাই বিজিবি আর সরকারের কাছে অনুরোধ।   এ বিষয়ে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, সাইফুল ইসলাম নামে একজন মিসিং হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। সাইফুল ইসলাম মারা গিয়েছে কিনা, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবার রাতে সীমান্তে ফায়ারিং এর শব্দ শোনা গিয়েছিলো, এর প্রেক্ষিতে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো। তারা আমাদের সন্ধ্যার মধ্যে জানাবে বলে জানিয়েছে। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

মিস ইউনিভার্সে যাওয়া নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন সেই সৌদি সুন্দরী 
রুমি আলকাহতানি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে দারুণ খ্যাতি আছে ২৭ বছর বয়সী এ সৌদি সুন্দরীর। সম্প্রতি লাস্যময়ী এ তরুণীকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় তার অংশগ্রহণের খবরে। কারণ, এর আগে কখনো এমন প্রতিযোগীতায় নিজেদের কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি সৌদি আরব।  কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাপারটি নিয়ে মুখ খুলেছে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য।  জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী আরও বড়ভাবে আলোচনায় আসার জন্যই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় নিজের অংশগ্রহণের খবরটি ছড়িয়েছেন রুমি আলকাহতানি। ইনস্টাগ্রামে আরবি ভাষায় দেওয়া এক পোস্টে এই সৌদি মডেল লিখেছিলেন, ২০২৪ সালের মিস ইউনিভার্সে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। পোস্টটিতে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা হাতে একটি ছবিও জুড়ে দেন রিয়াদে জন্ম নেওয়া আলকাহতানি। ছবিতে একটি ঝলমলে গাউন, মাথায় মুকুট এবং ‘মিস ইউনিভার্স সৌদি আরব’ লেখা স্যাস পরে ছিলেন তিনি। আলকাহতানির ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ওই পোস্টের সূত্র ধরেই খবরটি নিশ্চিত ভেবে নেয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদি আরবের প্রথম প্রতিনিধি নিয়ে ছাপা হয় প্রতিবেদন। তোলপাড় হয় রুমি আলকাহতানি নামের এই সুন্দরী মডেলকে নিয়ে।  কিন্তু মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ এখন দাবি করছে, এবারের প্রতিযোগিতায় সৌদি সুন্দরীর অংশগ্রহণ নিয়ে প্রকাশিত খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। শুধু তাই নয়, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তারা সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত কোনো বাছাই প্রক্রিয়াই পরিচালনা করেনি।  বিবৃতিতে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখন পর্যন্ত যে দেশগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে, সে তালিকায় নাম নেই সৌদি আরবের। বর্তমানে আমরা একটি কঠোর যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যেন দেশটির একজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রদানের জন্য যোগ্য এবং প্রতিনিধিত্ব করার জন্য জাতীয় পরিচালক নিয়োগ করা হয়। এটি চূড়ান্ত এবং আমাদের অনুমোদন কমিটি দ্বারা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব আমাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে না। প্রসঙ্গত, ইনস্টাগ্রামে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ অনুসারী রয়েছে রুমি আলকাহতানির। গত ২৫ মার্চ মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে বলে দাবি করা হয়েছিল এই অ্যাকাউন্ট থেকে। সূত্র : আল-আরাবিয়া, খালিজ টাইমস।   
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৬

রাজ-বুবলীর ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’তে মুগ্ধ নেটদুনিয়া (ভিডিও)
প্রতি ঈদেই সিনেমা মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকেন দর্শকেরা। হলগুলোতে রীতিমতো উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ডজন খানেক সিনেমা। এর মধ্যে অন্যতম  প্রতীক্ষিত রাজ-বুবলীর সিনেমা ‘দেয়ালের দেশ’।    গত ২৩ মার্চ মুক্তি পায় ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার টিজার। সিনেমার প্রথম ঝলকেই দর্শকদের নজর কাড়ে রাজ-বুবলী। শুধু তাই নয়, সিনেমাটির টিজারটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবার মুক্তি পেল সিনেমার প্রথম গান।    শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে মুক্তি পেয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার প্রথম গান ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’। টিজারের মতোই রাজ-বুবলী অভিনীত সিনেমার প্রথম গানেও মুগ্ধ নেটদুনিয়া।      রোহিত সাধু খাঁনের কথায় গানটির সুর-সংগীত সাজিয়েছেন ইমন চৌধুরী। ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’ গানটি গেয়েছেন মাহতিম শাকিব ও অবন্তী সিঁথি। গানটিতে রাজ-বুবলীর প্রেমের রসায়ণের চিত্র ফুটে উঠেছে। কখনও তারা পাবলিক বাসে, কখনও সড়কে, কখনও আবার নদীর ধারে প্রেমের গল্প রচনা করছেন এই জুটি।  কিন্তু সেই প্রেমে বড় ধাক্কা হয়ে আসে বুবলীর অসুস্থতা ও মৃত্যু! যার রহস্য লুকিয়ে আছে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায়। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত অধিকাংশ সিনেমার টিজার, গান প্রকাশ্যে এলেও সমালোচকদের মতামত অনুযায়ী এগিয়ে আছে ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমা।   প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক মিশুক মনি। সিনেমায় রাজ-বুবলী ছাড়া আরও রয়েছেন— আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুক, স্বাগতাসহ অনেকে। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৪

জাবিতে বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায় ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।  বুধবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাদের নাম উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার ও কৃষ্ণ বলে জানা গেছে। তারা সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা এবং এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান ওরফে রাফি।  লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ওই চার কিশোর দুটি মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান। বহিরাগত জানতে পেরে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে আরও দুই শিক্ষার্থী এসে ওই চার কিশোরকে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যান এবং মারধর করেন। সেখানে তাদের আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষার্থী। এ সময় টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় তাদেরকে। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদের কাছে থেকে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকা উঠিয়ে নেন। এদিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। তিনি বলেছেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরে একপ্রকার জোর করে টাকা ও ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের বাইকে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করি। লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। না হলে তারা টাকা ফেরত দিতেন না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা টাকা ও ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করে তার পরিবার।  এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনও ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এবারের মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।  আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই। আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

বোনকে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলো না ভাইয়ের
খুলনার একটি এনজিওতে চাকরি করতেন নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার জিনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মান্নান মন্ডল। ছুটিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এসেছিলেন গ্রামের বাড়িতে।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ছিল তার বোন ইতি রাণীর।  জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে মান্নান বোনকে নওগাঁ শহরের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব ডিমজাওন এলাকায় পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী মিনি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মান্নান মন্ডল মারা যান। অপরদিকে বোন ইতি রাণী সামান্য আহত হন। আর ভাইয়ের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থী বোন। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়