• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ম্যারাডোনা ও পেলের মধ্যে কে সেরা, জানালেন ফিফা সভাপতি
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ সময়ে ফুটবল বিশ্লেষক, পরিচালক বা খেলোয়াড়দের কাছে প্রশ্ন করা হয় বর্তমান সময়ে কে সেরা ফুটবলার মেসি নাকি রোনালদো। তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে করা হয়েছে ভিন্ন প্রশ্ন। মেসি-রোনালদো নয়, তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে পেলে-ম্যারাডোনার মধ্যে কে সেরা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচের সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হওয়া কিংবদন্তি আজতেকা স্টেডিয়ামে শুরু হবে আসন্ন আসর। গুরুত্বপূর্ণ এই ঘোষণা দিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এরপরই মায়ামি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তার কাছে দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো ম্যারাডোনার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়। জবাব দিতে গিয়ে কাউকে আগে বেছে নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইলেন না জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেন, আমি পেলেকে রাখব ডানপাশে এবং দিয়েগো ম্যারাডোনাকে বাঁ-পাশে। এরপর তাদের নিয়ে গড়ব আক্রমণভাগ। এ সময় তার জবাব শুনে সঞ্চালকরা হাসতে থাকেন। এই দুই তারকা ফুটবলারই মেক্সিকোর কিংবদন্তি আজতেকা স্টেডিয়ামে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন নিজেদের দেশকে। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, পেলে জিতেছিলেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। একই ভেন্যুতে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বে পূর্ণতা দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাও। কিংবদন্তি পেলের বিশ্বকাপ জয়ের ১৬ বছর পর এই স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। মেক্সিকোর এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও সবমিলিয়ে আরও ১৭টি ম্যাচ হয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনীসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে আজকেতায়। কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে একসঙ্গে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রথমবারের মতো বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ আসর। ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে বেশ কিছু নতুনত্ব নিয়ে। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টটিতে দল ও ম্যাচ সংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ৪৮ দলের এই আসরে ১০৪টি ম্যাচ হবে। ১১ জুন ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। ১৯ জুলাই নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭

মৃত্যুর তিন বছর পর কর ফাঁকির মামলায় মুক্তি পেলেন ম্যারাডোনা
ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর কেটে গেছে তিন বছরেরও বেশি সময়। তবে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলা কর ফাঁকির মামলা থেকে মুক্তি পেলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ইতালির সুপ্রিম কোর্ট ম্যারাডোনাকে কর-ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। কর ফাঁকির অভিযোগ করা মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত জানান , ম্যারাডোনা নির্দোষ ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে নেপলসে থাকাকালে কখনোই কর ফাঁকি দেননি তিনি। রায়ের পর তার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এটা শেষ হলো। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, ম্যারাডোনা কখনোই কর ফাঁকি দেননি। সর্বকালের সেরা ফুটবলার খ্যাত ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি লিখটেনস্টাইনের প্রক্সি কোম্পানি ব্যবহার করে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তখনকার ক্লাব নাপোলি থেকে পাওয়া ইমেজ স্বত্বের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। ৩০ বছর ইতালিয়ান রাজস্ব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মামলা চলার পর নির্দোষ প্রমাণ হলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯৩ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা চলতে থাকে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও শেষ পর্যন্ত এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অবশ্য ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগে তদন্ত শুরু হয় ১৯৯০ সালে। মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগও পরবর্তীকালে সামনে আনা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ইতালি সফরকালে ম্যারাডোনার বেশ কিছু সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে যোগ দেন ম্যারাডোনা। তার হাত ধরে পুরোপুরি বদলে যায় ক্লাবটি। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সালে নাপোলিকে লিগ শিরোপা এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে উয়েফা কাপ জেতান এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ম্যারাডোনার এ অবদান এখনো শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন নেপলসের আধিবাসীরা। ভালোবেসে অনেকে তাকে ‘নেপলসের রাজা’ বলেও ডাকেন।   
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়