• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হায়দ্রাবাদকে বিধ্বস্ত করে ছয় ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো বেঙ্গালুরু
চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় বেঙ্গালুরু বিপক্ষে ২৮৭ রান তুলেছিল হায়দ্রাবাদ। সেই ম্যাচে ২৫ রানে হেরেছিল কোহলিরা। দ্বিতীয় দেখায় সেই হারের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের নবম ম্যাচে উড়তে থাকা হায়দ্রাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে কোহলি-কার্তিকরা। সেই সঙ্গে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেলো বেঙ্গালুরু। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বেঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। এতে টানা চার জয়ের পর হারের স্বাদ পেলো হায়দ্রাবাদ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দ্রাবাদ। ৩ বলে ১ রান করে ইনিংসের ষষ্ঠ বলে সাজঘরে ফেরেন ট্রাভিস হেড। ১৩ বলে ৩১ রান আউট হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এইডেন মারক্রামও। ৮ বলে ৭ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। হেইনরিচ ক্লাসেন (৭), নিতিশ কুমার (১৩) এবং ৬ বলে ১০ রান করে আব্দুল সামাদ আউট হলেও দলীয় ৮৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। এরপর শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অজি ব্যাটার। ১৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন শাহবাজ আহমেদ। ৩৭ বলে ৪০ রানে শাহবাজ অপরাজিত থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি হায়দ্রাবাদের। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে স্বপনীল সিং, কারান শর্মা ও ক্যামেরুন গ্রিন দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও উইল জ্যাক এবং যস দয়াল নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ১২ বলে ২৫ রান করে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি উইল জ্যাক। ৯ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর পিচে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রজত পাতিদার। ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন রজত। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। ফিফটির বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি কোহলিও। ৪৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এরপর মাহিপাল লোমরোরকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ক্যামরুন গ্রিন। কিন্তু ৪ বলে ৭ রান করে আউট মহিপাল। ৬ বলে ১১ রান করে আউট হন দিনেশ কার্তিকও। শেষ পর্যন্ত স্বপনীল সিংয়ের ৬ বলের ১২ রান এবং গ্রিনের ২০ বলের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু।
৪ ঘণ্টা আগে

ডার্বি জিতে ৫ ম্যাচ আগেই চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান
মিলান ডার্বিতে এসি মিলানকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই ইতালিয়ান সিরি-এ শিরোপা ঘরে তুললো ইন্টার মিলান। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিলানের চেয়ে ১৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ২০তম লিগ শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখালো ইন্টার।  সবশেষ ২০২১ সালে সিরি-এ শিরোপা জয় করেছিল ইন্টার। এরপরের দুটি শিরোপা এসি মিলান ও নাপোলির ঘরে যায়। এ ছাড়া এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ ডার্বিতে জয়ী হলো ইন্টার।  সোমবার (২২ এপ্রিল) নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। এদিন ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বেঞ্জামিন পাভার্ডের ফ্লিক-অনে আকারবি গোল করলে ইন্টারের পার্টি তখনই শুরু হয়ে যায়।  এর ৭ মিনিট পর ফেডেরিকো ডিমারকোর নিখুঁত কাট-ব্যাক থেকে মার্টিনেজ বল ধরতে ব্যর্থ হলে ব্যবধান দ্বিগুণ করা হয়নি। থুরামও একইভাবে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। এরপর ব্যারেলর পাসে বিরতির সাত মিনিট আগে থুরামের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বিরতি থেকে ফিরে আর কোনো ভুল করেননি থুরাম। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিরি-এ অভিষেক মৌসুমে এনিয়ে ১২ গোল করলেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।  এরপর থিও হার্নান্দেজের একটি জোরালো শট রুখে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে টোমোরি ফিরতি এক বলে মাথা ছুঁইয়ে এসি মিলানের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন।  ইনজুরি টাইমে মিলান ম্যাচে ফিরে আসার লড়াই ছাপিয়ে মাথা গরম করা শুরু করে। যে কারণে থিও হার্নান্দেজ ও ডেভিও কালাব্রিয়াকে লাল কার্ড দেখতে হয়। ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রাইয়ও শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬

ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সুব্বা রাও আর নেই
ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ওপেনার, আইসিসির ম্যাচ রেফারি ও ক্রিকেট প্রশাসক রমন সুব্বা রাও আর নেই। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯২। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে, আটজন নাতি-নাতনি এবং প্রপৌত্র রেখে গেছেন সুব্বা রাও। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩টি টেস্ট খেলেছিলেন রাও। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪৬ দশমিক ৮৫। তবে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই অবসর নেন তিনি। এরপর খোলেন জনসংযোগের একটি ফার্ম। তবে ঠিকই ক্রিকেটের সঙ্গে সংযোগ ছিল তার। কাউন্টি ক্লাব সারের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বর্তমান ইসিবি প্রতিষ্ঠাতেও ভূমিকা ছিল তার। এরপর ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ১৯৯২ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৪১ টেস্ট ও ১১৯ ওয়ানডেতে আইসিসির ম্যাচ রেফারির দায়িত্বও পালন করেন। সুব্বা রাওয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ইসিবির চেয়ারম্যান রিচার্ড টমসনের ভাষ্য, ‘দারুণ একজন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, প্রশাসক এবং সারে ও টেস্ট অ্যান্ড কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অসাধারণ এক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সফল ছিলেন।’ আইসিসির ক্রিকেট মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খানের মন্তব্য, ‘রমনের মৃত্যুর সংবাদ শোনা কষ্টের। আইসিসির সবার পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাই।’
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬

ম্যাচ হেরে রেফারিকে কাঠগড়ায় তুললেন জাভি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়াটার ফাইনালে প্রথম লেগে জয়ে পেলেও ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলেনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৬ গোলের ব্যবধানে হেরে আসর থেকে ছিটকে গেছে কাতালানরা। তবে এই হারের জন্য ম্যাচের রেফারিকে দায়ী করেছেন বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ। এদিন রেফারির নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাভি হার্নান্দেজ। এমনকি পানির বোতলে লাথি মেরে নিজেও দেখেছেন লাল কার্ড। ম্যাচ শেষেও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটালেন বার্সেলোনা কোচ।  প্রথম লেগে পিএসজির মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফেরা বার্সেলোনা ঘরের মাঠেও দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় রাফিনিয়ার গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান তখন দুই গোলের। তবে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পিএসজির বারকোলাকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো। এরপর খেলার চিত্র বদলে যায়। প্রথমার্ধে পিএসজির হয়ে গোল করেন বার্সেলোনা থেকেই আসা উসমান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ভিতিনিয়ার গোলে সমতা ফেরে দুই লেগ মিলিয়ে। পরে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুটি গোল গড়ে দেয় ব্যবধান। ম্যাচ শেষে জাভি বলেন, আমরা ক্ষুব্ধ। ওই লাল কার্ডই খেলার ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। ১১ বনাম ১১ লড়াইয়ের সময় আমরা খুবই গোছানো ছিলাম। লাল কার্ড সবকিছুই বদলে দিয়েছে পুরোপুরি। আমার মতে, আরাউহোকে বের করে দেওয়া একটু বেশিই কঠোর ছিল। ‘রেফারি খুবই বাজে ছিল। আমি তাকে বলেছি, সে ধ্বংসাত্মক ছিল। লড়াইটাই শেষ করে দিয়েছে সে। রেফারিদের নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না আমি, কিন্তু এটা না বলে উপায় নেই। আমার মাথায় ঢুকছে না (এই সিদ্ধান্ত)। ১০ জনের দল হয়ে পড়া কখনোই ভালো কিছু নয় এবং খেলাটাই বদলে যায় এটির পর। এই ম্যাচ নিয়ে যত কথাই বলি, লাল কার্ডই সবকিছুর মূল।’ দ্বিতীয়ার্ধে ইলকাই গিন্দোয়ানকে করা মার্কিনিয়োসের একটি চ্যালেঞ্জে রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ায় টাচলাইনের পাশে বোতলে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন কোচ জাভি। বার্সেলোনার ডাগআউটে ছড়িয়ে পড়ে প্রবল উত্তেজনা। লাল কার্ড দেখানো হয় গোলকিপিং কোচ হোসে রামন দে লা ফুয়েন্তেকেও। নিজের লাল কার্ড নিয়ে বার্সা কোচ বলেন, ওটা আমার ভুল ছিল, আমি দোষ করেছি। সমতায় ফেরার সুযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ ছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু গিন্দোয়ানের শট পোস্টে লেগেছে। ওই লাল কার্ডের আগে ২-০ গোলে এগিয়েও যেতে পারতাম আমরা, রবের্ত লেভানদোভস্কির শট একটু ওপর দিয়ে চলে গেছে। ‘খুবই হতাশাজনক ব্যাপার যে, গোটা মৌসুমের কঠোর পরিশ্রম এভাবে শেষ হয়ে গেল রেফারির একটি বাজে সিদ্ধান্তে। গোটা ম্যাচই ১১ বনাম ১১ লড়াই দেখতে চেয়েছিলাম আমি। ওই লাল কার্ড অপ্রয়োজনীয় ছিল।’
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

যেসব মাইলফলক স্পর্শ করলো হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচ
চলতি আইপিএলের ৩০তম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এবং সেই সঙ্গে এক ম্যাচে ৮১টি বাউন্ডারির মাইলফলকও স্পর্শ করেছে এদিন। তবে শেষ পর্যন্ত ২৫ রানে হেরে গেছেন বিরাট কোহলিরা। প্রথম ইনিংসে আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৮৭ রান করে হায়দ্রাবাদ। ৪৯ বলে ৯টি চার আর ৮টি ছক্কায় সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ট্রাভিস হেড। ৩১ বলে ৬৭ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান হেইনরিচ ক্লাসেন। মাত্র ১০ বলে ৩৭* রান করেন আবদুল সামাদ। ১৭ বলে ৩২ রান করেন এইডেন মার্করাম। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলের হয়ে ৩৫ বলে ৫টি চার আর ৭টি ছক্কায় ৮৩ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ২৮ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ২০ বলে ৪২ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি।  এই ম্যাচে ৪০ ওভারে দুই দল মিলে ৩৮টি ছক্কা আর ৪৩টি চার মিলে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ৮১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪৯ রান করে; যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে আসরের অষ্টম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্যাচে দুই দল মিলে ৩৮টি ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৫২৩ রান করে;যা টি-টোয়েন্টিতে কোনো ম্যাচ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার আগের রেকর্ডটি হয়েছিল আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে। ২০১৮ সালে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের ম্যাচে হয়েছিল ৩৭টি ছক্কা। আর আইপিএলে এক ম্যাচে আগে সবচেয়ে বেশি ছক্কা ছিল ৩৩টি। আইপিএলে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৬৯টি বাউন্ডারির রেকর্ডও হয়েছে হায়দ্রাবাদ-মুম্বাইয়ের ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে বাউন্ডারি হয়েছে ৬৯টি। এর আগে ২০১০ সালে চেন্নাই ও রাজস্থানের ম্যাচটিতেও হয়েছিল সমান সংখ্যক বাউন্ডারি। তবে সোমবার হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচে ৮১টি বাউন্ডারির বিশ্ব রেকর্ড হয়। চার-ছক্কা থেকে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে এই ম্যাচে ৪০০ রান। এর আগে গত ১৭ মার্চ হায়দ্রাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে বাউন্ডারি থেকে আসে ৩৫২ রান। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৫

৩-৩ গোলে ড্র ব্রাজিল-স্পেনের ম্যাচ
ব্রাজিল এবং স্পেনের শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই হলেও জয় পায়নি কোনো দলই। ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। তবে আবার গোল করেছেন এনদ্রিক। ১৭ বছর বয়সী এই সেন্টার ফরোয়ার্ডের ফুটবলে মুগ্ধ ফুটবল বিশ্ব। আগের প্রীতি ম্যাচ ব্রাজিল ১-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ডকে। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে সেই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি ছিল তার। এবার ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল ব্রাজিল। সমতা এনে দিল এনদ্রিকের গোল। এই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিয়াস, এনদ্রিক ও প্যাকুয়েটা। অন্যদিকে স্পেনের পেনাল্টি থেকে দুটি গোল পেদ্রির। আর অপর গোলটি করেন অলমোর। এদিকে অপর প্রীতি ম্যাচে স্লোভেনিয়া ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালকে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৭

ম্যাচ হারের জন্য হার্দিককে এক হাত নিলেন ইরফান
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেক সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। প্ৰথম ম্যাচেই নিজের পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৬ রানে হেরেছে হার্দিকের দল। তবে সব কিছু ছাড়িয়েও আলোচনায় ম্যাচের আরও একটি মুহূর্ত। রোববার (২৪ মার্চ) গুজরাট টাইটান্সের ইনিংসের শেষ ওভারে রোহিত শর্মা বৃত্তের মধ্যে চলে এসেছিলেন। হার্দিক তখন ভর্ৎসনা করে হিটম্যানকে ডিপে পাঠিয়ে দেন। সেই সময় বল করছিলেন জেরাল্ড কোয়েটজি। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে টানা ছয় বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। সাধারণত বৃত্তের মধ্যেই ফিল্ডিং করে থাকেন রোহিত। অথচ তাকে বাউন্ডারি লাইনের ধারে ফিল্ডিং করতে পাঠান পান্ডিয়া। মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হয়ে মাঠেই রোহিতের সঙ্গে এমন আচরণ ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা।  এ ছাড়াও হার্দিকের এমন আচরণ এবং তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে গুজরাট। রান তাড়ায় রোহিত শর্মার ৪৩ ও ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ৪৬ রানের ইনিংসের পরও ৬ রানে হেরে যায় মুম্বাই। শেষ দিকে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তের জন্য হার্দিককে এক হাত নিয়েছেন ইরফান। ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ইরফান বলেন, চেজ করার সময় টিম ডেভিডকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোট করা হলো। তাও যখন রশিদ খানের এক ওভার বাকি রয়েছে। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর হার্দিক সম্ভবত রশিদ খানকে ফেস করতে চায়নি।  ‘একজন ভারতীয় ব্যাটার ড্রেসিংরুমে রয়েছে। তার সত্ত্বেও রশিদকে ফেস করার জন্য একজন বিদেশিকে পাঠানো হলো, এই বিষয়ে আমি মোটেই একমত হবো না।’ অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ে নেমে নতুন বলে বুমরাহকে না এনে নিজেই বোলিংয়ে আসেন হার্দিস। আর নিজের প্রথম দুই ওভারেই ২০ রান খরচ করেন তিনি। হার্দিক এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঠান বলেন, বড় ভুল করেছে হার্দিক পান্ডিয়া। পাওয়ার প্লেতে ও নিজেই দুই ওভার বল করলো। এটাই তো খুবই বড় ভুল। বুমরাকে আক্রমণে আনতে দেরি করেছে।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:১৬

সুইডেন ম্যাচ থেকে বাদ পড়লেন রোনালদো
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল। কিন্তু এই ম্যাচের স্কোয়াডে নেই পর্তুগিজ পোস্টারবয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। গত সপ্তাহে পর্তুগাল কোচ রবের্তো মার্তিনেজের ৩২ সদস্যের প্রাথমিক দলে নাম ছিল আল নাসর অধিনায়কের। সেখান থেকে রোনালদোকে বাদ দিয়েই ২৪ সদস্যে স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে কোচ রবের্তো।  রোনালদো ছাড়া বাদ পড়েছেন আরও সাতজন। বাদ পড়াদের মধ্যে পর্তুগিজ প্রাণভোমরা অন্যতম। বাকিরা হলেন- ডিয়েগো দালত, জোয়াও কানসেলো, দানিলো পেরেইরা, ওতাভিও, রুবেন নেভেস, ভিতিনহা ও জোয়াও ফেলিক্স।  তবে পর্তুগালের ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, এক ম্যাচের জন্য তারা বাদ পড়লেও স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী প্রীতি ম্যাচের জন্য তারা দলে যোগ দেবেন। ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ মার্চ।  সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রোনালদো সৌদি প্রো লিগে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এখন পর্যন্ত ২৩টি গোল করেছেন। শুক্রবার লিগে আল আহলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচেও স্কোর করেছেন তিনি। যতটুকু জানা গেছে, বর্তমানে সৌদি আরবেই পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন ৩৯ বছর বয়সী।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

ম্যাচ হেরে যা বললেন শান্ত
ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয়বার শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে হারানোর মিশনে নামলেও শেষ পর্যন্ত লঙ্কানরাই শেষ হাসি হেসেছে। সফরকারীদের কাছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতায় ফিরেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য ১৭ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। ম্যাচ হারের পর লঙ্কান ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। তার (শান্ত) ভাষ্য, হৃদয় দারুণ খেলেছে, যেটা আমরাও তার থেকে আশা করেছিলাম। সৌম্যর ব্যাটিংও ভালো ছিল। আমার মনে হয়, এই উইকেটে আমার আর সৌম্যর আরও লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত... যাই-হোক পরের ম্যাচে চেষ্টা করব, সেটা করতে। আসলে আমরা যে রান করেছিলাম, সেটা একেবারে কম না। কিন্তু তারা আরও ভালো ব্যাটিং করেছে। আশা করছি, আমরা আরও শক্তিশালীভাবে ফিরতে পারব। পরের ম্যাচে বিশেষ কিছুর অপেক্ষায় সবাই। উল্লেখ্য, আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হবে। সব কিছু বিবেচনায় শেষ ম্যাচটিই দুই দলের জন্য অঘোষিত ফাইনাল।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৪

জাতীয় ইভেন্টে পুরুষদের ম্যাচ পরিচালনায় নারী রেফারি
ইউরোপ আমেরিকা নয়, দৃশ্যটি ঢাকায় ৩৪তম জাতীয় পুরুষ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার। দক্ষতার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করছেন রেফারি ফারজানা আক্তার লিলি।  পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মেয়ে লিলির হ্যান্ডবলে হাতেখড়ি গ্রামের স্কুল থেকে। জাতীয় পর্যায়ে একটি টুর্নামেন্টে স্কুল চ্যাম্পিয়ন হলেও খেলার দিকে বেশি ঝোঁকেননি তিনি। বরং রেফারিং-এর চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহ বরাবরই। তার ভাষ্য, ২০২০ সালে আমি একটি কোর্স করেছি। ট্রেনিং করেছিলাম। সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে মহিলা প্রিমিয়ার লিগে রেফারিং করেছি। এরপর বিজয়ে কাপে রেফারিং করি। এবার প্রথমবার জাতীয় পর্যায়ে করছি। তিনি যোগ করেন, আমার নার্ভাসনেস কাজ করেনি। আমি শুরু থেকেই পেশাদার কাজ করছি। সামাজিক বাধা আটকাতে পারেনি, গণবিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী লিলিকে। পুরুষতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতার জাল ছিন্ন করে ঠিকই প্রতিভার বিকাশ ঘটান। নিজের কাজে শতভাগ মনোযোগী লিলি পুরুষকে দেখেন সহযোগী হিসেবেই। লিলির মন্তব্য, আমরা দুইজন মেয়ে এখানে কাজ করছি। শুরু থেকেই সহযোগিতা পাচ্ছি। এই পাটাতনে দাঁড়িয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সদা তৎপর হ্যান্ডবলকে আবেগ বানানো লিলি। শুধু জাতীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। নিজের অগ্রযাত্রায় দেশের মেয়েদেরও অনুপ্রাণিত করতে চান ফারজানা আক্তার লিলি।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়