• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো অ্যান্টিবায়োটিক
দেশে যেসব ওষুধ কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে, অথবা যে কোম্পানি দেশে নেই, সেসব কোম্পানির ওষুধ একটি অসাধু চক্র নকল করে বাজারজাত করে আসছে। নকল মোড়কে এসব ওষুধ বাজারে ছাড়া হতো। মোড়কের ভেতরে থাকত আটা–ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট। ভয়ংকর এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৩১ মার্চ) মতিঝিল ও বরিশাল কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শাহীন, হৃদয় ও হুমায়ুন। তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার সাভার ও কুমিল্লায় কারখানা তৈরি করে এ ট্যাবলেট তৈরি করত। পরে সেগুলো নিয়ে বরিশালে গুদামজাত করত। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। চক্রটি গত ৮-১০ বছর ধরে এ প্রতারণা করে আসছিলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয়কর্মীর চাকরির পাশাপাশি এ প্রতারণা করছে। যেসব ওষুধের ভালো বাজার ছিল, কিন্তু কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যায় না, সেসব ওষুধ তারা টার্গেট করত। নকল মোড়কে আসল ওষুধ বলে বিক্রি করত। এ ছাড়া যেসব ওষুধ কোম্পানি বাংলাদেশে নেই, বাজারে নেই, সেগুলোই তারা তৈরি করে বাজারজাত করত। হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার শহীদুল দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করে শাহীনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিলেন। হুমায়ুন অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করতেন। এ ছাড়া সিরাজুল ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রয়ের যাবতীয় কাজ করতেন। কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে সেগুলো কুমিল্লার আবু বক্কর বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করতেন। এভাবেই চক্রটি নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করত। এর আগেও এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জামিনে বের হয়ে তারা আবার একই কাজ শুরু করেন। ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স-৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ-২৫০, সিপ্রোটিম-৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস-১০ নকল করে বাজারে ছাড়ত। তারা কাফকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডক্টর টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস, কুমুদিনী ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নকল করত। চক্রটি ১০ বছর ধরে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছে। তাদের নামে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য তারা ওষুধ প্রশাসনকে দিয়েছেন। চক্রটির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৬

ভুটানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ভুটানের জংখা ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার (৩১ মার্চ) ভুটানের থিম্পুস্থ জিচেনখার মিলনায়তনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। ভুটানের প্রিন্সেস ডেচেন ইয়াংজোম ওয়াংচুক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক এবং জাতির পিতার দৌহিত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এর ভুটানিজ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন। থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভুটানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজ (সিবিএস) এর কমিশনার ও ভুটানের প্রখ্যাত লেখক দাশো কর্মা উড়ার নেতৃত্বে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি জংখা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। অনূদিত গ্রন্থটি থিম্পুর পিটি প্রিন্টিং থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।   বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক, কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ইয়ন্তেন ফুন্টশো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়েনপো শেরিং, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, ভুটানে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূ্ত। থিম্পুভিত্তিক কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, সচিব, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, গবেষক এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।    মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়। অনুষ্ঠানে থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ বাংলাদেশি ও ভুটানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রন্থটির সারমর্ম উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বইটির জংখা, ইংরেজি ও বাংলা সংস্করণের কিছু অংশ পড়ে শোনান।  ভুটানি ভাষায় অনূদিত জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ঐতিহাসিক সংযোগের একটি নতুন মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হবে এবং উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য গ্রন্থটি ব্যবহৃত হবে বলে থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। গ্রন্থটি ভুটানের লাইব্রেরি, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, গবেষণা কেন্দ্রে বিতরণ করা হবে বলেও থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

এপিএল এর ২টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ লিমিটেড (এপিএল) প্রকাশিত দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় বৃহস্পতিবার, বিকালে গ্ৰন্থ উন্মোচন মঞ্চে এ মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রকাশিত নতুন বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারী প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার।  ড. সৈয়দ শহীদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম, এনইউবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম গ্রন্থের লেখক প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার এবং শিল্পকলা সাহিত্য ও ইসলাম গ্রন্থের লেখক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক মো. সোলায়মান মিয়া, গবেষক ও সাংবাদিক আনিসুর রহমান এরশাদ, এপিএল’র ম্যানেজার মো. আখতারুজ্জামান এবং প্রচ্ছদশিল্পী এম এম হোসেন। প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, এ কে ফজলুল হক ছিলেন যথার্থ অর্থে বাংলার কিংবদন্তি জননায়ক। তিনি ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদদের নায়ক। বাংলার গণমানুষের অবিসংবাদিত বর্ষীয়ান জাতীয় নেতা। সমকালীন বিশ্বনেতাদের মধ্যে কামাল পাশা (আতাতুর্ক), লেলিন, মাওসেতুং কিংবা জিন্নাহ-গান্ধীর ন্যায় তিনি জাতির পিতা বলে আখ্যায়িত না হলেও এবং তাঁর পক্ষে কোনো প্রচার, প্রকাশনা, বিলবোর্ড তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী পরেও তিনি স্মরণীয় বরণীয় নেতা, জনগণের মুকুটহীন সম্রাট। প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার বলেন, ‘শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম’ গ্রন্থটি, ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হক-এর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনালেখ্য। তাঁর সময়কালে (১৮৭৩-১৯৬২) দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং পার্লামেন্টে (১৯১৩-১৬) ও বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণসমূহের মসিচিত্র সংক্ষেপে বিবৃত হয়েছে। প্রায় শতবর্ষ আগে ভারতীয় হিন্দি ও উর্দুভাষী অবাঙালিদের প্রদত্ত খেতাব ‘শের-ই-বাংলা’ উপনামটি মূল নামের সাথে বহুল পরিচিত। প্রায় শতাব্দী ব্যাপী কর্মময় জীবনে তিনি যতসব উচ্চপদে সমাসীন ছিলেন, তার মধ্যে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী (১৯২৪), প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), কলকাতা করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র (১৯৩৫), অন্যতম জাতীয় নেতা মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীসহ গঠিত যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), নিখিল পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের ১০ম ও প্রথম বাঙালি গভর্নর (১৯৫৬-৫৮)। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে সৃজনশীল একাডেমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট বই প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বইমেলায় এপিএল এর স্টল নং ১৭৬। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ উপলক্ষে এই দুটিসহ মোট ১১টি নতুন বই প্রকাশ করেছে এপিএল।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫

স্বরচিত দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ ও জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের ওপর নিজের রচিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ এবং ‘আবাহন’ শিরোনামে বই দুটি প্রকাশিত হয়েছে। বই দুটির গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম।  এর মধ্যে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ বইয়ে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১৯টি ভাষণ এবং সেগুলোর ইংরেজি অনুবাদ স্থান পেয়েছে। আর অপর গ্রন্থ ‘আবাহন’-এ স্থান পেয়েছে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাতির উদ্দেশে দেওয়া তার গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলো।   এদিন মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ট্যুরিস্ট গাইড ‘জাতির পিতার সমাধিসৌধ’-এর মোড়ক উন্মোচনও করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।  একইদিন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার রচিত ‘রাজনীতির পরম্পরা’ বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রন্থটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার এবং বাংলাদেশের রাজনীতির পালাবদল সম্পর্কে অসাধারণ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।  এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মুক্তাগাছার মণ্ডা, জামালপুরের নকশিকাঁথা এবং জিআই সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা।   
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৯

এপিএল’র পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ লিমিটেড (এপিএল) প্রকাশিত পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলার গ্ৰন্থ উন্মোচন মঞ্চে এ মোড়ক উন্মোচন করা হয়। নতুন বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রফেসর ড. মাহবুব আহমেদ, প্রফেসর ড. আবু খুলদুন আল মাহমুদ, কবি মহিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাসুদ আলম, ড. মমতা হেনা, এপিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম. আবদুল আজিজ, রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, রওশন জান্নাত, ইমদাদুল হক, আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ। ইমদাদুল হক অনূদিত এ চারটি বই হচ্ছে- অভিচিন্তন: একটি ইসলামী মনোআধ্যাত্মিক চর্চা, আত্মার খোরাক: একজন চিকিৎসকের আবেগীয় আচরণ থেরাপি, অনূদিত মানব মনস্তত্ত্বের কুরআনী ধারণা এবং প্যারেন্টিং (৩য় খন্ড): চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন কৌশল। ইমদাদুল হক জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ সেখানেই। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে সৃজনশীল একাডেমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট বই প্রকাশ করে আসছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৭

‘সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
‘সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাপান দূতাবাসে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি লিখেছেন মাৎসুশিতা কোনৎসুকে। তবে কাজুকো ভূঁইয়া ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাঞ্জেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক মো. আজিজুল বারী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ব্যবস্থাপনা পরামর্শদাতা এবং বাজার গবেষণা কোম্পানি নিউভিশন সলিউশনস লিমিটেডের সহযোগিতায়  অনুষ্ঠানের  আয়োজন করে কাজুকো ভূঁইয়া ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াওয়ামা কিমিনোরি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোকোরোজাশি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জোকো আকিরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা আলোচনা করেন, কীভাবে অতিদরিদ্র  একটি ছেলের হাত ধরে বিংশ শতাব্দীর জাপান শিল্প বিকাশের মহাসড়কে প্রবেশ করেছিল। তিনি আর কেউ নন, তিনি ছিলেন শিল্পপতি মাৎসুশিতা কোনৎসুকে। যিনি  ‘সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বইটিতে নিজের প্রচেষ্টায় জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্পটি বর্ণনা করেছেন।   মি. কোনৎসুকে ১৮৯৪ সালে জাপানে জন্মগ্রহণ করেন। আর্থিক অসুবিধার কারণে, তাকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর কর্মী হিসেবে ওসাকায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি নিজ প্রচেষ্টায় গণিত, রসায়ন এবং পদার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি ন্যাশনাল এবং প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের জন্য ইলেকট্রনিক্স তৈরি করেছিলেন। আজকের জাপানকে একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি জাপানের তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭৯ সালে মাৎসুশিতা ইনস্টিটিউট অফ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

স্বাস্থ্য বিষয়ক বই ‘রেড এলার্ট’র মোড়ক উন্মোচন
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা-এর যৌথ গবেষণার ফল ’রেড এলার্ট’। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য লেখা নন-কমিউনিকেবল ডিজিস-এর উপর রচিত বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রথম বই এটি। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়েস্টিন বলরুমে নন-কমিউনিকেবল ডিজিস, ডায়েটারি হেবিটস ও লাইফস্টাইল ইন বাংলাদেশ-এর উপর  লিখিত ‘রেড এলার্ট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন 'রেড এলার্ট' গ্রন্থ থেকে দুই ধরনের উপকার পাওয়া যাবে, এক স্বাস্থ্য বিষয়ে উপকারিতা ও দুই বাজারে অলিভ ওয়েলের মত থাকা প্রোডাক্ট গুলি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। আমি বিশ্বাস করি 'রেড এলার্ট' বইটি ব্র্যান্ড বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।  পরে তিনি গ্রন্থ প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের গবেষণামূলক কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় অব বাংলাদেশ- এর প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রকাশনাটি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)-এর গবেষণার ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপি শিক্ষা গবেষণায় সেতুবন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী। এই উদ্দেশ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এ বছরের শেষের দিকে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম কানাডার অন্টরিও ক্যাম্পাসে শুরু করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রিতা কলওয়েল অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেব কানাডিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার মিসেস দেবরা বয়েছ ও বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদসহ  দেশ বরেণ্য অনেক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বইটি সম্পাদনার মূল ভূমিকায় ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াস ইউ আহসান। এছাড়াও সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা, কানাডা এর অধ্যাপক ড. সি এমদাদ হক এবং নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম আনিসুল ইসলাম। বইটির সম্পাদক কীনোট স্পিকার সিইউবি উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. গিয়াস ইউ আহসান বলেন, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে বইটি সহসাই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে। গুরুত্ব পূর্ণ বই হিসেবে অভাবনীয় জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা এবং  সিএনআরআস এর যৌথ উদ্যেগে আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রেড এলার্ট বইটি বই মেলায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র ৮৯৫ স্টলে পাওয়া যাবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৩

সাংবাদিক মনিরুজ্জামানের ‘যাপিত জীবনের গল্প’র মোড়ক উন্মোচন
অমর একুশে বইমেলায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের ‘যাপিত জীবনের গল্প’ জীবনী গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ঝুমঝুমি প্রকাশনের (৭১ ও ৭২ নম্বর স্টল) সামনে এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যাসেবা পৌঁছে দিতে চাই। আমি যদি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারি তাহলে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে এত ভিড় হবে না।  তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে বার্ন ইউনিট নেই। গরিব মানুষকে কষ্ট করে ঢাকায় আসতে হয়। আমি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবো। শতভাগ না পারলেও যদি ৫০ ভাগ করতে পারি তাহলে নিজেকে সফল মনে করব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, আমার একটা স্বাভাবিক জীবন ছিল। তা একটা টেলিফোন এসে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি আগে বাসায় বিশ্রাম নিতাম, টিভির বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতাম, এখন সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছি। সামন্ত লাল সেন বলেন, সাংবাদিকদের অনেক কষ্ট সহ্য করে কাজ করতে হয়। কিন্তু সত্য সংবাদ প্রকাশ করলে তার যে কত উপকার হয় আমি নিজেই তার প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল আমার সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। তিনি আমার জীবনের উত্থান-পতন অনেক কিছুর সাক্ষী। কেমন করে শূন্য থেকে বার্ন ইনস্টিটিটিউট স্থাপন করলাম, কীভাবে এতদূর এলাম- সবকিছুর সাক্ষী তিনি। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পথচলায় অনেক সাংবাদিক আমাকে সর্বদা সহযোগিতা করেছেন। ৫ থেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে সাংবাদিকরা অনেক অবদান রেখেছেন। তারা স্বাস্থ্যখাতের সমস্যাগুলো সবার কাছে তুলে ধরেছেন, তার জন্য আজকের এই হাসপাতালকে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিণত করতে পেরেছি। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ, যার অনুপ্রেরণায় আমরা সফল হয়েছি। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আরিফ সোহেলের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, ঝুমঝুমি প্রকাশনীর প্রকাশক শায়লা রহমান তিথি, নির্বাহী পরিচালক পাশা মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বইটিতে লেখক সাংবাদিকতা পেশার সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, প্রিয়-অপ্রিয় এবং বিব্রতকর পরিস্থিতির পাশাপাশি গ্রাম ও শহুরে জীবনের নানান বাস্তব ঘটনা পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন। অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার বাণীর মাধ্যমে মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের সাংবাদিকতার পথচলা শুরু। পরে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সমকালে অপরাধ ও স্বাস্থ্যবিষয়ক রিপোর্টিংয়ে বেশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনে দীর্ঘদিন সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেন। মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ ২৪ ডটকমে প্ল্যানিং এডিটর হিসেবে কর্মরত।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪

গীতিকার, গায়ক শামস মনোয়ারের দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
কবি, গীতিকার ও গায়ক শামস মনোয়ার। নিজের লেখা কবিতা ও গানে তিনি তুলে ধরেন বহুমাত্রিক ভাবনা। এবার বইমেলায় দুইটি বই নিয়ে হাজির হলেন তিনি। বই দুটির নাম 'প্রথমা' ও 'Reaching Devotion'। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ছায়ানট অডিটোরিয়ামে এর মোড়ক উন্মোচন করেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।  এসময় তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও স্মার্ট ঢাকা গড়তে সবাইকে বই পড়ার আহবান জানিয়ে বলেন, জয় বাংলা বলার জন্য আমাদের এক হতে হবে। জয় বাংলা বলার জন্য কোনো দল করতে হয় না। দেশের উন্নয়নে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।  পাশাপাশি ঢাকা-১০ আসনের মানুষকে নির্ভেজাল ভালোবাসা দিতে চান বলেও জানান ফেরদৌস। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঋদ্ধিমান মোনায়েম সরকার, সংগীত শিল্পী শুভ্র দেব ও শামস মনোয়ারের মা সুফিয়া মনোয়ার। অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারিকে উৎসর্গ করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'একুশ' প্রদর্শন করা হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৫

সৈয়দ আশিক রহমানের ‘প্রেম পুরাণ’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমানের উপন্যাস ‘প্রেম পুরাণ’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। দেশের অনগ্রসর বেদে জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে ‘প্রেম পুরাণ’ উপন্যাস সৈয়দ আশিক রহমানের তৃতীয় গ্রন্থ। বইটি পাওয়া যাবে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ‘বেহুলা বাংলা’র ২২৪ ও ২২৫ নম্বর স্টলে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘বই উন্মোচন মঞ্চ’-এ বিকেল ৪টায় ‘প্রেম পুরাণ’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, খ্যাতিমান গীতিকার কবির বকুল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নিশাদ দস্তগীর, বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা ফয়সাল আমিন; আরটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান সুদেব চন্দ্র ঘোষ, উপবার্তাপ্রধান মামুনুর রহমান খান, মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আবু সাদেক মোহাম্মদ আলিম, সম্প্রচার ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান স্বপন ধর, ডিজিটাল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান কবির আহমেদ, অনলাইন ইনচার্জ বিপুল হাসান ও বার্তা বিভাগের নির্বাহী প্রযোজক বেলায়েত হোসেনসহ অন্যরা।    অনুষ্ঠানে শামসুল হক টুকু বলেন, একটি অনগ্রসর জাতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মানবসম্পদ হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য যে অদম্য বাসনা বা ভাবনা, সেটি কয়জনের থাকে? এ ক্ষেত্রে সেটি সৈয়দ আশিক রহমান সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন। পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে সৈয়দ আশিক রহমানের ‘প্রেম পুরাণ’ উপন্যাস অনবদ্য ও অসামান্য।   বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সৈয়দ আশিক রহমান তৃণমূল পর্যায়ের একটি বেদেগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকাকে উপন্যাসে তুলে ধরেছেন, এটি সত্যিই ব্যতিক্রমী একটি কাজ। আমি আশা করব আপানার এই উপন্যাস পড়ে যারা বেদেদের জীবনী সম্পর্কে জানেন না, তারা জানতে পারবেন। সৈয়দ আশিক রহমান শুধু ওপরের তলার লোকদের নিয়েই নাটক-নোবেল না করে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের উপন্যাসে তুলে এনেছেন, এটি প্রশংসনীয়।  লেখকের আরও দুটি বই ‘ভুবন ভ্রমিয়া শেষে’ ও ‘ভুবন ভ্রমিয়া শেষে ২’-এর প্রসঙ্গ টেনে গীতিকার কবির বকুল বলেন, সৈয়দ আশিক রহমান ভ্রমণপিপাসু মানুষ। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এর আগে দুটো ভ্রমণবিষয়ক বই লিখেছেন। এবারের বইটি একটু ভিন্ন। আমাদের অনগ্রসর বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা কেমন, আমরা কম-বেশি সেটি জানি। আমি মনে করি, ‘প্রেম পুরাণ’ উপন্যাসটি পড়লে বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় আমরা ভালোভাবে জানতে পারব।    সৈয়দ আশিক রহমান বইটির প্রারম্ভে লেখেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উত্তরাধুনিক সময় একবিংশ শতাব্দী। এই সময়েও সভ্যতার মুখোশে মোড়ানো মানুষের মননকে জাত-ভেদ, ক্ষমতা-ক্ষীণতার ঘুণপোকা কুড়েকুড়ে খাচ্ছে। তাইতো দানবতা সংসার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্বজুড়ে। প্রান্তিক যে মানুষটি অগ্রসর হতে চায়, নিজেকে প্রমাণ করার মধ্যদিয়ে, তাকে চেপে ধরতে চায় চারপাশ। সব প্রতিকূলতার মধ্যেও একজন বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে ‘প্রেম পুরাণ’ উপন্যাস। উপন্যাসটিতে আছে বেঁচে থাকার লড়াই। আছে অমর প্রেমের করুণ বাস্তবতা। আমি বিশ্বাস করি, আমার পাঠক এই উপন্যাস থেকে সেই উপলব্ধিগুলোকে খুঁজে পাবেন; যার মাঝে তিনি বেড়ে উঠেছেন এবং প্রতিনিয়ত কম-বেশি সেই বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন।  উল্লেখ্য, সৈয়দ আশিক রহমানের জন্ম ১৯৭৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়। তিনি বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। কর্মসূত্রে ভ্রমণ করেছেন দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। ভ্রমণবিষয়ক একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ হলেও ‘প্রেম পুরাণ’ তার প্রথম উপন্যাস। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘ভুবন ভ্রমিয়া শেষে’ (২০১৮), ‘ভুবন ভ্রমিয়া শেষে-২’ (২০২২)। এ ছাড়া চিত্রকলার প্রতি ভালোবাসার টানে লেখক আঁকাআঁকিতেও সময় দেন।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়