• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে কথা বললেন আব্দুল মোমেন
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট। এই স্টান্টের অংশ হিসেবে ইদানীং সময়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে জানান আব্দুল মোমেন। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কি করেছে, সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের অভিযোগ কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ পাঠাতে হবে দূতাবাসগুলোকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন, তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরির বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

মানবপাচার রোধে টেকসই সমাধানে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্র সচিবের
পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে ‘বালি প্রসেস’এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) এবং রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিতি ছিলেন। সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব মানবপাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। তিনি মানবপাচারের জটিল ও অন্তর্নিহিত কারণসমূহ এবং সেগুলো মোকাবিলার অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্র সচিব মানবপাচার সমস্যার টেকসই সমাধান করা ও এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নেওয়া কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। বালি প্রসেস কো-চেয়াররা মানবপাচার মোকাবিলাকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যা মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বৃদ্ধিতে কো-চেয়াররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য বালি প্রক্রিয়ার সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে। বিষয়টি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানবপাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৩

৫০ ইউরোপীয় চিকিৎসককে জরিমানায় ক্ষুব্ধ মোমেন
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে এসে জরিমানার শিকার হয়েছেন ৫০ জন চিকিৎসক। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ৫০ বিদেশি চিকিৎসকের এই টিমকে ব্রিটিশ প্রাইভেট ফাউন্ডেশন (তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন) বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। তারা বিনা পয়সার উন্নত চিকিৎসা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গরিবদের চিকিৎসা দেবেন। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিদেশি চিকিৎসক বাংলাদেশে চিকিৎসা দিতে পারবেন না। তবে আমাদের বিশেষ অনুরোধে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় তারা এক শর্তে রাজী হন। শর্ত হচ্ছে, স্পন্সর এজেন্সিকে প্রতিজন চিকিৎসক বাবদ ১৩ হাজার টাকা ও ভ্যাট দিতে হবে। তিনি জানান, তাফিদা হলো একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ৯ বছরের মেয়ের নাম। মেয়েটির বয়স যখন ৪ বছর ছিল, অজানা অসুখের কারণে বহু মাস অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিল। মা-বাবা মেয়েটির হাসপাতাল খরচ বহন করতে না পারায় ব্রিটিশ সরকার তার মেশিন ও ভেন্টিলেটর ডিসকানেন্ট করবে বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সারা ইউরোপে তোলপাড় হয়ে যায়। তখন ইতালি সরকার শিশুটির দায়িত্ব নেয়। তাফিদা বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভালো হয়ে উঠেছে। যখন ব্রিটিশ সরকার টাকার কারণে মেয়েটির ভেন্টিলেটর খুলে দিতে চেয়েছিল তখন বহু লোক মেয়েটির জন্য টাকা তোলে। ওই চ্যারিটির টাকায় তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে এই ৫০ জন মেডিকেল বিশেষজ্ঞকে আনা-নেওয়া বাবদ প্লেনের টিকিট অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্স বিনা পয়সায় দিয়েছে। স্থানীয় হোটেল এদের থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) একমাত্র ব্যতিক্রম। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিদেশি ডাক্তারদের দেশের কোনও হাসপাতালে বিনা পয়সায় রোগী দেখা বা সেবা করা, এমনকি প্রদর্শনী শিক্ষা অপারেশন করাও নিষিদ্ধ। তবে, কয়েক বছর আগে রোকেয়া ও রাবেয়া নামক দুটি সিয়ামিজ শিশুর চিকিৎসা আমাদের সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালের সহযোগিতায় করে  হাঙ্গেরি সরকার এবং সার্থক হয়। সর্বমোট প্রায় ১৩৯ জন (বাংলাদেশি ও বিদেশি) চিকিৎসক ও সহযোগী এতে কাজ করেন। বিএমডিসির কাছ থেকে তখন কোনও অনুমোদন নিতে হয়নি। কোনও চার্জ বা জরিমানা দিতে হয়েছে বলে শুনিনি। বর্তমানে হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় উদ্যোগে রোকেয়া রাবেয়ার কাহিনী উভয় দেশে বহুল আলোচিত। শুধু তাই নয়, রোকেয়া-রাবেয়ার সম্পর্কের পথ ধরে আমার অনুরোধে হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশের ১৫০ ছাত্রছাত্রীকে ফুল স্কলারশিপ দিচ্ছে। রোকেয়া-রাবেয়ার কারণে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে আমার এখন একান্ত বন্ধু। ড. মোমেন বলেন, ইউরোপের তাফিদা রকিব ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশন ও আরটিএম বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত চিকিৎসা সেবা বিষয়ক যে কো-অপারেশনের ব্যবস্থা করল, বিএমডিসি তাতে উৎসাহ না দিয়ে বরং জরিমানা করল। বিষয়টি অস্বাভাবিক। জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএমডিসি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

ডলারের বিকল্প চিন্তার সময় এসেছে : মোমেন
ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিকল্প মুদ্রায় বৈদেশিক লেনদেনের চিন্তা করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে ‘ইউয়ান-টাকায় ট্রেড ও বাংলাদেশে ডলার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) এ সভার আয়োজন করে। বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অন্য মুদ্রা ব্যবহারের ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এর নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হবে। কিন্তু এটা খুব সহজ নয়। কারণ, এটি নতুন কিছু। আমাদের এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। এরপর তিনি বলেন, আজ যে অবস্থায় আছি, কাল সেই অবস্থা থাকবে কি না কেউ জানে না। মনে করেন, আমরা অনেক ডলার রিজার্ভ রাখলাম, অন্যান্য দেশও রাখলো। এর মধ্যে যদি যুদ্ধ হয়, ডলার তো একেবারে কাগজ হয়ে যাবে। যেভাবে পৃথিবী চলছে তাতে আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা যদি অন্য মুদ্রা ব্যবহারের অনুশীলনটা আগে থেকে করতে পারি, তাহলে হঠাৎ করে কোনো ঝামেলা এলে নিজেদের ব্যবস্থা করতে পারবো। তাই আমাদের এই অনুশীলনটা এখন থেকে শুরু করা উচিত। আমরা প্রাথমিকভাবে ইউয়ান-টাকা, রুপি-টাকা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে লেনদেন করতে পারি। বিগত ১৫ বছরে অর্জিত উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের যে অর্জন, সেই অর্জনে ধাক্কা খেতে চাই না। আমাদের অর্জনটুকু সমানে এগিয়ে নিতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ-স্থিতিশীল-অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতির দেশ হবো। কিন্তু সেটা করতে গেলে আমাদের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সেখানে হঠাৎ করে ধাক্কা খেতে চাই না। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমাস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন প্রমুখ।    
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

‘প্রকল্প সময়মতো শেষ না হলে জবাবদিহি করতে হবে’
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটে চলমান প্রকল্পগুলো সময়মতো সম্পন্ন করতে জোর তদারকি করব। প্রকল্প সময়মতো সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করে বলেই জনগণ আওয়ামী লীগকে আবার নির্বাচিত করেছে। আমি কৃতজ্ঞ, সিলেটের মানুষ ভালোবেসে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনগণের সেবা করে যাব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ। এসময় বক্তব্য দেন, মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইরশাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ প্রমুখ।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৬

স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করেছিল আমেরিকা : ড. মোমেন
নির্বাচনের আগে আমেরিকা মূলত তাদের স্বার্থের জন্য কিছু ইস্যু তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সিলেট যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তার সঙ্গে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  আরও পড়ুন : ১৯ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে   ড. মোমেন বলেন, আমেরিকার একটা নিয়ম—ঘটে গেলে পরে ঠিক। আর ঘটার আগে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মূলত তাদের দেশের স্বার্থ হাসিলের জন্য। তারা অনেক কিছুই চায়। ভাবল ইলেকশনের আগে যদি চাপটাপ দিয়ে সেগুলো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ডকট্রিন অব রিয়্যালিটিতে বিশ্বাসী। বাস্তব হয়ে গেলে তখন তারা কোনো ঝামেলা করে না। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার সরকার আমাদের বিরোধী ছিল। ১৬ ডিসেম্বর যখন আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করলাম, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম। এরপর যখন ১৬টি প্রস্তাব আসে ১৫টাই বাংলাদেশকে সাপোর্ট করে। স্বাধীনতার পর ভারত এবং আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল। তারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। আমেরিকা আমাদের  ১ নম্বর  রপ্তানি ও বিনিয়োগকারী দেশ। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’  এরপর ড. মোমেন বলেন, বিরোধী দলের (বিএনপি) অসহযোগ আন্দোলন ও তাদের প্রোপাগান্ডাকে মিথ্যা প্রমাণ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আমার দল নৌকাকে ভোট দিয়ে স্থায়িত্ব ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। আরও পড়ুন : লরি-মাহিন্দ্রা মুখোমুখি সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ২ জনের    মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সিলেটের উন্নয়ন সরাসরি তদারকি করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন,  সিলেটে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমার জন্য কেঁদেছেন, দোয়া করেছেন। তারা যে আমাকে এতো পছন্দ করেন, তা আমি জানতাম না। সিলেটবাসীর ভালোবাসায় আজ আমি ধন্য। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সিলেটের চলমান উন্নয়নগুলো সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রেখে তিনি বলেন, আগে মন্ত্রী ছিলাম, তাই ব্যস্ততার জন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সরাসরি তদারকি করা সম্ভব হয়নি। এখন সংসদ সদস্য হিসেবে সিলেটের চলমান উন্নয়ন কাজগুলো আরও ভালোভাবে দেখভাল করব।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৬

বিশ্বের সব দেশই নির্বাচনের প্রশংসা করেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের সব দেশই প্রশংসা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সব দেশই বলেছে সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ভালো বলেছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটি ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। আমি বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। এবারের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন হয়েছে। ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২১

বিকেলে কূটনীতিক-পর্যবেক্ষকদের ব্রিফ করবেন মোমেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকায় বিভিন্ন দেশের মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পেশাজীবী, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের ব্রিফ করবেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে সারাদেশে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ২২৫টি আসনে নিরঙ্কুশ জয়লাভের মধ্যদিয়ে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে জয়লাভ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত-চীনসহ বিভিন্ন দেশ। তবে বাংলাদেশের এই নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল না বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২০

দেশে এসেছেন ৬০ বিদেশি পর্যবেক্ষক : পররাষ্ট্র সচিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এখন পর্যন্ত ৬০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক দেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক ব্রিফিং শেষে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৬০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক এসে পৌঁছেছেন। ১২৭ জনের আসার কথা। এ ছাড়া ৭৩ জন বিদেশি সাংবাদিক অ্যাক্রিডিটেশন পেয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের আসা অব্যাহত রয়েছে। এর আগে নির্বাচনের অগ্রগতি জানাতে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করে নির্বাচন কমিশন। সোনারগাঁও হোটেলে তাদের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ব্রিফ করা হয়। বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা কম প্রশ্ন করেছেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমি তাদের অনেককেই বলেছি, আপনারা আরও প্রশ্ন করতে পারতেন। কম করলেন কেন? এ বিষয়ে তারা (কূটনীতিকরা) জানিয়েছেন, ইসির সঙ্গে তাদের সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা অনেক আপডেটেট, তাই তারা প্রশ্ন কম করেছেন। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব জানান, ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা আশ্বস্ত হয়েছেন কি না, সেটা তারা বলতে পারবেন। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেনসহ প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরাও ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। এ সময় পররাষ্ট্র ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০২

‘ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।  সোমবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, একজন ব্যক্তির কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব না পড়াটাই স্বাভাবিক। এটি আমাদের একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে, তারও আপিল করার সুযোগ আছে। এটি চলমান আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। এ নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চাই না। এর আগে সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ড পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আদালত। এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া বাকি তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন। এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়