• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তারাবিহ নামাজের নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত
তারাবিহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- বিশ্রাম, স্বস্তি, প্রশান্তি ইত্যাদি। তারাবিহর প্রতি ৪ রাকাত নামাজ পড়ার পর একটু বিশ্রাম গ্রহণ করা হয় বা বিরতি নেওয়া হয়। রমজান মাসে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করাকে তারাবিহ বলা হয়। তারাবিহ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমাদান মাসে তারাবিহর নামাজ পড়বে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ আল-বুখারি, হাদিস: ১৯০১, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৫৯,) রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করল। (শুআবুল ঈমান : ৩/৩০৫-৩০৬) তারাবিহ নামাজের নিয়ত   উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতে রাসুলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতি শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ : আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবিহর সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার। নিয়ত বাংলায়ও পড়া যাবে। অনেক আলেম  বলেছেন, নিয়ত না করলেও নামাজের সওয়াবের কোনো তারতম্য হয় না। তারাবিহ নামাজের দোয়া প্রতি চার রাকাত নামাজের পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা পড়ে থাকেন। তা হলো- উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’ তবে মনে রাখতে হবে, এই দোয়া না পড়লে নামাজ হবে না, এমন ধারণা করা যাবে না। অনেক আলেমের মতে, তারাবিহ নামাজে চার রাকাত পর পর বিশ্রামের সময়টিতে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম। তারাবিহ নামাজের মোনাজাত তারাবিহর নামাজ শেষে দেশের মসজিদগুলোতে একটি দোয়া পড়ে মোনাজাত করার প্রচলন রয়েছে। তা হলো- উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’ উল্লেখ্য, তারাবিহর নামাজ ২ রাকাআত করে পড়তে হয়। ২ রাকাত করে ৪ রাকাআত শেষ হওয়ার পর দোয়া পাঠ করতে হয়। এভাবে রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ২০ রাকাআত করে তারাবিহ আদায় করতে হয়।
১১ মার্চ ২০২৪, ১২:২৫

আখেরি মোনাজাত শেষ, ফিরতি পথে মুসল্লিদের ঢল
তুরাগতীরের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এখন সবাই ঘরমুখো হয়েছেন। এতে সড়কে যানবাহনে সংকট দেখা দিয়েছে। মোনাজাতের সুবিধার জন্য গাড়ি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অপেক্ষমাণ যাত্রীরা। তবে অনেকেই গাড়ির অপেক্ষা না করে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ ১১ ৪৪ মিনিটে। এর পরেই সড়ক, ট্রেন এবং নৌপথে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে কয়েক দিন আগে থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ইজতেমা মাঠে। শুক্রবার ইজতেমার প্রথমদিন জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী। এ লক্ষ্যে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত মোনাজতের আগ পর্যন্ত অব্যহত থাকে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন বলে ধারণা করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। রোববার ফজরের পর বয়ান কর‌বেন ভার‌তের মুফতি মাকসুদ তার বক্তব্য বাংলা তরজমা কর‌বেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। এরপর হেদা‌য়ে‌তি বয়ান। হেদা‌য়ে‌তি বয়া‌নের শে‌ষে হেদায়েতের কথা ও দোয়া। মোনাজাত প‌রিচালনা কর‌বেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছে‌লে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন। এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা’দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা’দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা'দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৯

আজ আখেরি মোনাজাত
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সা'দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আ'মবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তা শেষ হবে। ইজতেমায় ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা'দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী।  এদিকে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত আজও অব্যহত রয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। রোববার ফজরের পর বয়ান কর‌বেন ভার‌তের মুফতি মাকসুদ তার বক্তব্য বাংলা তরজমা কর‌বেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। এরপর হেদা‌য়ে‌তি বয়ান। হেদা‌য়ে‌তি বয়া‌নের শে‌ষে হেদায়েতের কথা ও দোয়া। মোনাজাত প‌রিচালনা কর‌বেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছে‌লে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন। এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা'দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা'দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা'দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা'দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা'দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা'দ কান্ধলভী।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪১

দ্বিতীয় পর্ব / ইজতেমার আখেরি মোনাজাত রোববার 
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সা'দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আ'মবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তা শেষ হবে। ইজতেমায় ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা'দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী। এদিন দুপুর দেড়টায় খুতবা শুরু হয়। তার বয়ানের বাংলা তরজমা ক‌রেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার আগে জুমার ফাজায়েল বয়ান ক‌রেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। নামাজ শেষ হয় ১টা ৫৭ মিনিটে। জুমার পরে বয়ান ক‌রেন শেখ মোফলে। তার বয়ান বাংলা তরজমা ক‌রেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর।   এদিকে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত আজও অব্যহত রয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। রোববার ফজরের পর বয়ান কর‌বেন ভার‌তের মুফতি মাকসুদ তার বক্তব্য বাংলা তরজমা কর‌বেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। এরপর হেদা‌য়ে‌তি বয়ান। হেদা‌য়ে‌তি বয়া‌নের শে‌ষে হেদায়েতের কথা ও দোয়া।  মোনাজাত প‌রিচালনা কর‌বেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছে‌লে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে।   বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন। এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা'দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা'দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা'দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা'দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা'দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা'দ কান্ধলভী।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১২

আখেরি মোনাজাত শেষে সড়কে মানুষের স্রোত 
তুরাগতীরের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। হাট-ঘাট মাঠ যে যেখানে রয়েছেন সেখানই এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন মানুষ। এখন সবাই ঘরমুখি হয়েছেন। এতে সড়কে স্রোত নেমেছে মানুষের। গাড়ির সংখ্যা অপ্রতুল এবং মোনাজাতের সুবিধার জন্য গাড়ি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আশ-পাশ সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অপেক্ষামান যাত্রীরা। তবে অনেকেই গাড়ির অপেক্ষা না করে পায়ে হেটে রওনা দিয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় মোনাজাত শেষ হয়।। এর পরেই সড়ক, ট্রেন এবং নৌপথে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে কয়েকদিন আগে থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ইজতেমা মাঠে। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ তাৎপর্যপূর্ণ মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন বলে ইজতেমার আয়োজকরা ধারণা করছেন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হয় হেদায়েতী বয়ান। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক হেদায়েতী বয়ান করেন। পরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা নসিহতমূলক কথা বলবেন। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল ছুটেছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে জানান, আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে খিত্তায় খিত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মুসল্লিরা যাতে খুব দ্রুত এবং নিরাপদে ময়দান ত্যাগ করতে পারেন সেজন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে। এবারের ইজতেমায় অন্যতম আকর্ষণ ছিল ৭২ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর যৌতুকবিহীন এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন এই বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মোতাবেক তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। বর-কনের সম্মতিতে উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সকাল থেকেই অভিভাবকরা হবু দম্পতিদের নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাত করে নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়। এ সময় মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়। ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বাদ আসর এই বিয়ে পড়ান ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান। বিয়েতে ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী মোহরানা ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড় শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ। বর বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, তাবলিগ জামাতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করার। আজ সেই আশা পূরণ হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৯

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তুরাগতীরে লাখো মুসল্লির ঢল
৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গীর তুরাগতীরে ধর্মপ্রাণ লাখ লাখ মুসল্লির ঢল নেমেছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাবলিগ জামাত আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপার্শ্বে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ এ তাৎপর্যপূর্ণ মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ইজতেমার আয়োজকরা ধারণা করছেন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়েতি বয়ান। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক হেদায়েতী বয়ান করবেন। পরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা নসিহতমূলক কথা বলবেন। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল ছুটেছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে জানান, আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে খিত্তায় খিত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মুসল্লিরা যাতে খুব দ্রুত এবং নিরাপদে ময়দান ত্যাগ করতে পারেন সেজন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২

ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে যখন
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগতীরে চলমান বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে। সাধারণত আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হয়। এবারের আখেরি মোনাজাত রোববার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছি। জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ভোগড়া বাইপাস থেকে ইজতেমামুখী সাধারণ জনগণের কোনো গাড়ি চলবে না, তারা ডাইভার্ট হয়ে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে মীরের বাজারের দিকে চলে যাবেন। এই পথে কেবল মুসল্লিদের গাড়ি আসতে পারবে। আর ঢাকার ভেতরে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ডাইভার্ট করে দেবে তিনশ ফিটের দিকে। আশুলিয়া সড়কের গাড়ি মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে ডাইভার্ট করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আখেরি মোনাজত শেষে সবার আগে এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার চালুর চেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি। এর ফলে মুসল্লিরা দ্রুত ইজতেমা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জিএমপি কমিশনার। এদিকে তুরাগতীরে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শনিবার ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের মৃত্যু হলো। এরমধ্যে ইজতেমা ময়দানে মারা গেছেন ৭ জন, আর ময়দানে আসার পথে মারা গেছেন একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৭

বিশ্ব ইজতেমায় গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ২ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং দ্বিতীয় পর্ব আগামী ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দেশি-বিদেশি লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্ব ইজতেমায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন এবং যথাস্থানে যানবাহন পার্কিং করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইজতেমা চলাকালে খিলক্ষেত থেকে আদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আগতদের যানবাহন রাখার ঢাকার স্থান : ১. ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ, ৫ নং ব্রিজের ঢালে। ২. সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ। ৩. রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১০ নং ব্রিজ এবং ১১ নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্বে ১৬ নং সেক্টরের ভেতর এবং বউবাজার মাঠ। ৪. বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন। ৫. ঢাকা মহানগরী : ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা। গাজীপুর মহানগর এলাকায় পার্কিং স্থান : ১. ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়, চৌরাস্তা, গাজীপুর, ২. উত্তরবঙ্গ ও টাঙ্গাইল হতে আসা যানবাহন পার্কিং : ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, চৌরাস্তা, গাজীপুর, ৩. মিরের বাজার রাস্তা দিয়ে গাজীপুরগামী যানবাহন পার্কিং : পুবাইল কলেজ, পুবাইল, গাজীপুর, ৪. সরকারি যানবাহন : টঙ্গীর টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) এবং টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠ। নির্ধারিত স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক ও হেলপারকে গাড়িতে অবস্থান করতে হবে এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। যেসব স্থানে পার্কিং করা যাবে না : উত্তরার খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আখেরি মোনাজাতের আগের রাত অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত আব্দুল্লাহপুর হতে ভোগড়া বাইপাস এবং মিরের বাজার হতে স্টেশন রোড পর্যন্ত উভয়মুখী রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ইজতেমার শুরুর দিন হতে অর্থাৎ ১ম পর্ব ২ ফেব্রুয়ারি হতে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ২য় পর্বে ৯ ফেব্রুয়ারি হতে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মন্নু গেইট হতে কামারপাড়া রোড বন্ধ থাকবে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী ভিআইপি/বিদেশি মুসুল্লিদের বহনকারী যানবাহনগুলো উত্তরার বিএনএস টাওয়ার হতে টঙ্গী ফ্লাইওভার হয়ে স্টেশন রোডে নেমে মন্নু গেইট কামারপাড়া রোড ব্যবহার করবেন। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল, আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আসা যানবাহনসমুহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রুসং পরিহার করে সাভার গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। অথবা ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমুহ কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে প্রগতি সরণী হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেইট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে ৩০০ফিট দিয়ে আগত যানবাহনসমুহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সারণী এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী-মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দও সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমানক্রু বহনকারী যানবাহন ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহন চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয়সরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসুল্লিগণ পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে যাবেন তাদের তুরাগনদীর উপরে বেইলী ব্রিজ অথবা কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে।  আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করতে বলা হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়