• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি সাড়ে ১৮ লাখ
দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৯৩২ জন। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি জানান, চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন। নারী ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং ৯৩২ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় যথাসময়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। খসড়া তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

এবার মিয়ানমার থেকে একসঙ্গে ১১৪ সীমান্তরক্ষীর অনুপ্রবেশ, মোট ২২৯
মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির প্রবল আক্রমণের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। সর্বশেষ একসঙ্গে ১১৪ জন সীমান্তরক্ষী মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৯ জনে। এর আগে রোববার থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে বিজিবি তাদের আরও দুজনকে রিসিভ করলে সে সংখ্যা হয় ১১৫। সর্বশেষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একসঙ্গে আরও ১১৪ জন সশস্ত্র বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি সদস্যরা তাদের সবাইকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন। এদিকে, একইসময়ে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তার মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশ। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আইনমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, জান্তা সামরিক বাহিনীর আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মিসহ জাতিগত স্বাধীনতাকামীরা। এ ছাড়া গত চারদিনে তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে দেশটির অন্তত ৬২ জন সেনা। জান্তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারজুড়ে হামলা জোরদার করেছে সশস্ত্র এই জাতিগত স্বাধীনতাকামীরা। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এ সংঘাত বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকার কথা, ঢাকায় ৮ শতাংশ
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করছে। শহরের বাসিন্দাদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন হলেও রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৮ শতাংশ সড়ক আছে। এমনকি এর মধ্যে আবার ৫২ শতাংশই মোটরযান চলাচলের অনুপযোগী; যার ফলে রাজধানী ঢাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কসহ পরিবেশ সংগঠনগুলোর যৌথ আয়োজনে ‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ন : সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বাপার সহসভাপতি ড. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে নগরায়ন সংকটের সম্মুখীন। শহরভিত্তিক উন্নয়ন ধারায় সারা দেশব্যাপী মানুষের শহর অভিমুখীতার ফলে দেশের শহরাঞ্চলগুলোর (বিশেষত রাজধানী ঢাকা) জনসংখ্যা অতি দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ধিত এই জনসংখ্যার ভারবহনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অপ্রতুল সড়ক ব্যবস্থার কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে পরিবহন খাত। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রাজধানী ঢাকা থেকে আসে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় অর্ধেক কর্মসংস্থানের কেন্দ্র হচ্ছে ঢাকা। তবে বিদ্যুৎ, পানি, পয়নিষ্কাশন, সড়ক, পরিবহন, বাসস্থানসহ নগরবাসীর বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এছাড়াও দেশব্যাপী ক্রমাগত দখল এবং দূষণে শহরগুলোর সবুজ ও জলজ অংশসমূহ বিলীন হয়ে পড়ছে। সম্মেলনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নগরায়ণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। গ্রাম হতে লোক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্রামীণ সমাজব্যবস্থায় কৃষি উৎপাদন ব্যতীত অন্য পেশা গ্রহণের সীমিত সুযোগ ও গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য-বস্ত্র, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা এবং পাশাপাশি জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রভাবের কারণে মানুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক রেহমান সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে নগর গবেষণা কেন্দ্রের (সিইউএস) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এরপর সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়